বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ক্লিনিক থেকে চুরি হয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই মাস পর সেই নবজাতককে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিভাগ থেকে ওই নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরপরই নবজাতককে মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। তবে ক্লিনিক থেকে নবজাতককে চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আয়শা আকতার আশার এক বছর আগে সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয়। সোহেল জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করায় অন্তঃসত্ত্বা আয়শা বেলকুচি গ্রামে নানি আছিয়া খাতুনের বাড়িতে থাকতেন। এই অবস্থায় ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার লোকজন আশাকে তার নানির বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। তারা আশাকে শেরপুর শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে আশা সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান জন্মের পর আশা অচেতন থাকা অবস্থায় রফিকুল নবজাতককে চুরি করে এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেয়।
এ ঘটনায় আশা বাদী হয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নবজাতককে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে থাকে পুলিশ। অবশেষে নবজাতককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে আয়শা বলেন, আমার বুকের ধন আমি ফিরে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি। যারা আমার ছেলেকে চুরি করেছিল, আমি তাদের বিচার চাই।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, তদন্তের স্বার্থে নবজাতককে উদ্ধারের কৌশল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন