আরও ১৯০৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালনে ৮ বিভাগে আরও ১৯০৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ চাহিদার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি ভোটগ্রহণের দুদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৪ সালের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৫ দিনের জন্য নির্বাচনী এলাকার সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে, বিশেষ করে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিতকরণের প্রয়োজন হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে দেওয়া চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৮ বিভাগে ১১৬২ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য মোবাইল কোর্টে নিয়োজিত ৭৫৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত আছে। ৮ বিভাগে অতিরিক্ত আরও ১৯০৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন। এ ১৯০৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৮৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৮৩ জন, সিলেট বিভাগে ১৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮৬ জন এবং রংপুর বিভাগে ২৮২ জনের চাহিদা দিয়েছে ইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের চাহিদা অনুযায়ী পদায়ন করে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য দুটি ব্যাচে বিভক্ত করে প্রথম ব্যাচের কর্মকর্তাদের আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় ব্যাচের কর্মকর্তাদের ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের চাহিদা কমিয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী অপরাধ ও নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম অনুসন্ধানের জন্য সংসদের ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে ইসি। জেলা পর্যায়ে কর্মরত বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) আর্টিকেল ৯১-এ তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচারবিভাগ, আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২২ নভেম্বর জারিকৃত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে-এমন ‘নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম’-সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে তিনশ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো।’ এদিকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নামানোর আগেই তাদের সংখ্যায় কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা কমিয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০-এর জায়গায় প্রায় ৮০২ জনে নামিয়ে আনতে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নতুন করে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। এতে ১৫টি পর্যন্ত ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। যদিও তিন দিন আগে গত ২০ নভেম্বর পাঠানো চিঠিতে প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। নতুন চিঠি অনুযায়ী, মাঠপর্যায়ে অনেক কমসংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগের মতো গতকালের চিঠিতেও আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কমবেশি ৮২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। চিঠিতে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে, সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে। এই হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভা পর্যায়ে ২১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫, চট্টগ্রামে ১০, খুলনায় ছয়, গাজীপুরে চার এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে মোট ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনে চিঠি দেয় ইসি। ওই চিঠিতে ন্যূনতম প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন এবং প্রতিটি পৌরসভার জন্য তিনজন ও বড় পৌরসভার জন্য চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। সিটি করপোরেশনভুক্ত নির্বাচনী আসনগুলোতে প্রতি চার থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। ওই হিসাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতো। নতুন চিঠিতে তা কমিয়ে ৮২০ জনে নামাল ইসি। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে ডিসিরা উল্লেখিত ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যার কমবেশি করতে পারবেন।  
২৩ নভেম্বর, ২০২৩
X