বেসরকারি শিক্ষক বদলির নীতিমালা তৈরির নির্দেশ
সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা তিন মাসের মধ্যে প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নীতিমালা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি আরও জানান, ‘এ রায়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আশা ও দাবি পূরণ হলো। আমরা আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা আদালতের রায় অনুসরণ করে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন করবেন।’ উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন জেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক বদলি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

লজিস্টিক্স পরিষেবার ব্যয় কমাতে হচ্ছে নীতিমালা
জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতার সঙ্গে পণ্য পরিবহন ও সেবা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য জাতীয় লজিস্টিক্স উন্নয়ন নীতি-২০২৪ এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে লজিস্টিকস পরিষেবার ব্যয় খাতভেদে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা কমানো গেলে সার্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের ফলে একদিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে, অন্যদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রাপ্ত বিভিন্ন শুল্ক সহায়তা, ট্রেড রিলেটেড সাপোর্ট মেজারস, স্পেশাল অ্যান্ড ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্ট এবং অনেক রিডাকশন কমিটমেন্টের আওতা সংকুচিত হবে।  নাটোরে ওয়াজেদ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় : গত বছর ২৩ অক্টোবর ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। কিন্তু সংসদে আইনটি পাস না হওয়ায় নতুন করে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হয়েছে। ওয়াজেদ মিয়ার নামে নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কোন বিষয় পড়ানো হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

নীতিমালা নির্ধারণের অধিকার বুয়েট কর্তৃপক্ষের : ডাকসুর সাবেক ভিপি 
বুয়েট অধ্যাদেশ ও নীতিমালা কী হবে তা নির্ধারণ করার অধিকার বুয়েট কর্তৃপক্ষের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামান।  তিনি বলেছেন, বুয়েটের ছাত্ররা ক্লাস করবে, পরীক্ষা দিবে, যখন রাজনীতির প্রয়োজন হবে তখন রাজনীতিতে অংশ নেবে, এমন পরিবেশই প্রয়োজন। বুয়েটের ছাত্র সংসদ সবসময় তাদের মতো করেই হয়, সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নয়।  শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার এফডিসিতে বুয়েটের চলমান অস্থিরতা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।  আখতারউজ্জামান বলেছেন, বর্তমান সমস্যার সমাধান ছাত্র-শিক্ষকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত। গত ৫ বছরে রাজনীতিমুক্ত বুয়েটে অনেক সফলতা যেমন রয়েছে তেমনি অতীতে রাজনীতি চলমান রেখেও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। আমরা ছাত্র সংসদ চাই, কিন্তু মারামারি হানাহানির ছাত্র সংসদ চাই না। ছাত্র রাজনীতি মানে শুধু কয়েকটি স্লোগান নয়। ছাত্র রাজনীতির ধরন পাল্টাতে হবে। বর্তমান ছাত্রদের রাজনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্ব প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।  সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আদালতের আদেশে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকবে, না কি বুয়েট কর্তৃপক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে আদালতে তুলে ধরবেন তা বুঝতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কী থাকবে না তা আদালতে তুলে ধরার পূর্বে সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভোটের আয়োজন করতে পারেন। ওই ভোটের ফলাফল আদালতে তুলে ধরা হলে আমরা আশা করি বুয়েটের চলমান সংকটের একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে। তবে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশে ও ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়ে বুয়েটে অরাজনৈতিক স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠন করা যেতে পারে।  ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ১০ দফা সুপারিশ করেন।  সেগুলো হলো—  ১. উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি থাকবে কী থাকবে না সে বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মতামত আদালতের কাছে তুলে ধরা।  ২. শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার না বানানো।  ৩. লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন বা দলীয় পরিচয়ের পরিবর্তে ব্যক্তি পর্যায়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন করা।  ৪. বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, যৌন হয়রানী, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিচার দ্রুততম সময়ে করার লক্ষ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা।  ৫. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাদা-লাল-নীল-বেগুনি ইত্যাদি নামকরণের মাধ্যমে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা।  ৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং, টর্চার সেল, হল দখল, সিট দখল, আদিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস দমনে কর্তৃপক্ষকে কঠোর হওয়া।  ৭. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সব মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের হলে সহাবস্থান নিশ্চিত করা।  ৮. শিক্ষক নিয়োগে রাজনৈতিক বিবেচনার পরিবর্তে যোগ্য মেধাবীদের শিক্ষকতায় আসার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।  ৯. আসন্ন বাজেটে উচ্চাশিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য গবেষণা, বৃত্তি ও কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো।  ১০. উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিকল্পে ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা বাড়াতে হবে।  ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের সহায়ক’ শীর্ষক ছায়া সংসদে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের  বিতার্কিকদের পরাজিত করে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মল্লিক, সাংবাদিক মাহবুব কবির চপল ও সাংবাদিক শামীমা সুলতানা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ব্যাংক একীভূতকরণের নীতিমালা জারি
প্রথমবারের মতো দেশে জারি করা হলো ব্যাংক একীভূতকরণের জন্য নীতিমালা। সেখানে একীভূতকরণের ফলে কী হবে তা স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তপশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।   এতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ধারা ৪৯(১)(গ), ৭৭(১৬) এবং কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ধারা ২২৮ ও ২২৯-এর বিধান মোতাবেক কোনো ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানি বা ফাইন্যান্স কোম্পানির সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অধিকতর সবল ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসঙ্গে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা, যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক-কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।   কোনো দুর্বল বা সংকটাপন্ন ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে, হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংকের মূলধন, তারল্য, খেলাপি ঋণ ইত্যাদি আর্থিক সূচক প্রভাবিত হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অধিগ্রহণকারী ব্যাংককে নীতি সহায়তা দেবে।   ব্যাংকের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা এবং জনস্বার্থে ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নীতি সহায়তা দেবে :   ১) ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ, সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও), এসএলআর (স্যাচুটরি লিকুইডিটি রেশিও), এলসিআর (লিকুইডিটি কাভারেজ রেশিও), এনএসএফআর (নেট স্ট্যাবল ফান্ডিং রেশিও) সংরক্ষণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অংশ ছাড় দেওয়া হবে।   ২) হস্তান্তরকারী ব্যাংকের আয়ের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের পুঞ্জীভূত ক্ষতি সামঞ্জস্য করতে হস্তান্তরকারী ব্যাংকের এ ক্ষতিকে ‘গুডউইল’-এ রূপান্তর করে তা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে হস্তান্তর-গ্রহীতা ব্যাংকের আয় থেকে সমন্বয় বা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে।   ৩) বিদ্যমান সুবিধার আওতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তারল্য সুবিধা প্রদান করা হবে।   ৪) ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ক্রয়ের মাধ্যমে নগদ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।    ৫)  মূলধন বৃদ্ধির জন্য শেয়ার, পারপেচুয়াল বন্ড এবং সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুতে সহায়তা দেওয়া হবে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, কাটছে মাটি
খুলনার পাইকগাছায় সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই যথেচ্ছ স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, কৃষিজমি ও নদী থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। কোনো কোনো মালিক বলছেন, জরিমানার টাকা দিলেই সবকিছুই বৈধ। উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাড়ুলী ও হরিঢালীতে ১৫টি ইটভাটা কৃষিজমিতে অবস্থিত। এসবের প্রায় সবগুলোই জনবসতি এলাকা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রধান সড়ক, গ্রাম ও বনাঞ্চলের ধারের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে। মাটি কাটা হচ্ছে আবাদি জমি থেকে। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অধিকাংশরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে পরিবেশ হচ্ছে নষ্ট। নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে ও বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের কথা থাকলেও অল্প দূরত্বে এসব স্থাপিত। প্রায় প্রত্যেকটি ইটভাটার পাশে সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, হাটবাজার ও ব্যস্ততম সড়ক অবস্থিত। পাইগাছায় স্থাপিত ভাটাগুলো হলো হরিঢালীর মাহবুবুর রহমান রঞ্জুর যমুনা ব্রিকস ১ ও ২, গদাইপুর মুজিবুর রহমানের ফাইভ স্টার, ফতেমা রহমানের এফএফবি, চাঁদখালীর নাজমুল হুদা মিথুনের এসএমবি, মহিউদ্দিন খানের বিএকে, বাদশার খানের খান ব্রিকস, মুনছুর গাজীর এস এম ব্রিকস, আব্দুল হালিমের স্টার ব্রিকস, আব্দুল মান্নান গাজীর বিবিএম ব্রিকস, আব্দুল জলিলের এডিবি ব্রিকস, শহাজাদা ইলিয়াসের এমএসবি ব্রিকস, সিরাজুল ইসলামের এসবিএম ব্রিকস, শফিকুল ইসলামের এমবিএম ব্রিকস, রাড়ুলী ইউনিয়নে মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদারের ইটের ভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী আদালতের উদ্যোগে প্রতি বছর ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও ভাটা মালিকরা জরিমানা দিয়ে যথারীতি ভাটায় ইট পুড়িয়ে আসছে।  ভাটার মালিক বিষ্ণুপুর মিথুন জানায় জরিমানার টাকা দিলে সব বৈধ হয়ে যায়। এ কারণে সে পরিমাণ টাকা আগে থেকেই রেডি করে ভাটার কাজ শুরু করি।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটা ভাটা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৩ লক্ষাধিক জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে। মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে চার জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। ভাটা মালিক মিঠু জানান, তিন বছর যাবৎ পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র পাইনি। লাইসেন্স নেই, তবে সরকার আমাদের কাছ থেকে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করছে। কয়েকবার ভাটা ভেঙে দেওয়ার কথা শিকার করেছেন তিনি।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজ্ঞাপন নীতিমালা হবে অনলাইন পোর্টালের জন্য
অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। গতকাল মঙ্গলবার চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩ প্রয়োজনবোধে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন তিনি। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডের তথ্য ভবনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি। এর আগে, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের প্রদর্শনী এবং বিক্রয় কেন্দ্র, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপন হার নির্ধারণে নীতিমালা থাকা দরকার। এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। বিগত দিনে যখন সামরিক শাসন ছিল ও সামরিক শাসন থেকে উদ্ভূত দল যখন এ দেশ শাসন করেছে এবং তাদের সাথে বিভিন্ন সময় যখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি ছিল, সে সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে বাস্তবতা ছিল, সে জায়গা থেকে এখন আমরা কতটুকু এগিয়েছি, কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, সংখ্যাগত দিক থেকে এবং গুণগত দিক থেকে, এ তুলনামূলক বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশনা বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেশের মানুষের কাছে এবং বিশ্ববাসীর কাছে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। এখন প্রযুক্তি অনেক অগ্রসর হয়ে গেছে, মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে অধিদপ্তরের কাজে নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করতে হবে।  চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগমসহ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।   
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ নিয়ে রুল
সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ আরোপ কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ রুল দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭, ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

মোটরসাইকেল চলাচলে হচ্ছে নতুন নীতিমালা
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইজিবাইক, নসিমন, করিমনের কারণে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে মোটরসাইকেলেও। আমি মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হয়েছে নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক রোড সেফটির উপরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি এই দুটি কাজ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। বারবার বলার পরও কেন তিন চাকার বাহন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কী ভূমিকা রাখছেন– এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তা ছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে। এদিকে, আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ২৪ জন। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বরেই ৪৮৩টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪১ জনের। সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, গত ডিসেম্বরে ৪৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে নিহতের সংখ্যা ৮৮ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে নিহতের সংখ্যা ৭৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪৯ জন, বরিশালে ২৮ জন, সিলেটে ২৪ জন, রংপুরে ৫৪ জন, ময়মনসিংহে ৪৮ জন। সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়, যা শতকরা ২৫.৩৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সড়কে মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানিয়েছে আরও কয়েকটি সংস্থা। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৭৫ জন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫২৪ জন এবং বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির রিপোর্ট অনুযায়ী ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত হয়েছেন।  
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X