শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুবিতে আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের উপর সংঘবদ্ধ হামলা ও গণমাধ্যমে উপাচার্য কর্তৃক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের স্বাধীনতাবিরোধী ও জামাত শিবির বলে অবিহিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে আবাসিক শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছা. আশিখা আক্তার। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মোছা. আশিখা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পদত্যাগপত্রের সূত্রে বিষয়টি জানা যায়। পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের হাউস টিউটর পদে অদ্যবধি দায়িত্ব পালন করছি। সম্প্রতি গণমাধ্যমে উপাচার্য কর্তৃক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াত-শিবির বলে অবিহিত করা এবং গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আমি নিজেকে অনিরাপদ বলে মনে করছি। তথাপি ওই হামলায় সম্মানিত নারী সহকর্মীদের ওপর আক্রমণ নজিরবিহীন ও নিন্দনীয়। এমতাবস্থায়, আমি ওই প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।’ এ ছাড়াও ভবিষ্যতে তিনি নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার অঙ্গীকার করেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলমান ফার্স্ট মিনিস্টারের পদত্যাগ
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্বাধীনতাকামী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) প্রধান হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মাত্র এক বছর টিকতে পারলেন। অথচ তার দায়িত্বগ্রহণকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে অভিবাসী ও মুসলমানরা তাকে নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন। প্রথমবারের মতো কোনো মুসলমান হিসেবে হামজা ইউসুফ স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তার পূর্বসূরি নিকোলো স্টার্জেনের পদত্যাগের পর তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিরোধীপক্ষের উত্থাপিত দুটি আস্থা ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কার মধ্যে এ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। টেলিভিশনের দেওয়া ভাষণে ইউসুফ পদত্যাগের বিষয়টি জানান। এ সময় তিনি কারণ হিসেবে বলেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে বাণিজ্য করতে চাই না। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কারও সঙ্গে চুক্তি করতেও আমি রাজি নই। তার আগে আট বছর ধরে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিকোলা স্টার্জেন। স্কটল্যান্ডে জেন্ডার সংস্কার, ট্রান্স-জেন্ডার বন্দি এবং স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে যেসব বিতর্ক এবং টানাপড়নে চাপে পড়েন তিনি। একটি তহবিল কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তার নাম জড়ায়। এরপর আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে জনমত গঠন, স্বাধীনতার প্রশ্নে দলটির ভূমিকা কেমন হবে এবং ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণের স্কটল্যান্ড হিমশিম খাচ্ছে। এবার ইউসুফের পদত্যাগ আরও একটি ধাক্কা দিল। নিয়ম অনুযায়ী এসএনপিকে ২৮ দিনের মধ্যে নতুন নেতা খুঁজে বের করতে হবে। স্কটিশ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নির্বাচন হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর হয়েছে বিভাজন। এটিই দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। নতুন যিনি দায়িত্ব পাবেন; এ বিভাজন ঠেকানোই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় কুবির আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সালমা আক্তার উর্মি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সালমা আক্তার উর্মি স্বাক্ষরিত এক পদত্যাগপত্রে বিষয়টি জানা গেছে। পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলের হাউস টিউটর পদে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করেছি। গতকালকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আমি অনিরাপদ বলে মনে করেছি। এ অবস্থায়, আমি প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। তবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার অঙ্গীকার করেছি। এছাড়াও চিঠিতে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। পদত্যাগের বিষয়ে সালমা আক্তার উর্মি বলেন, গতকাল আমাদের শিক্ষকদের ওপর সাবেক শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। তাই আবাসিক শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের অপসারণের দাবিতে কুবির সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুবি শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এতে কোনো শিক্ষক ক্লাস ও পরীক্ষা নিবে না। এমনকি শিক্ষকদের কেউ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে কোনো ধরনের কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে না। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না সেজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, যারা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেওয়া হবে। শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় আগামীকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন করব। তবে গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, হামলাকারীদের ও সন্ত্রাসী উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি আমরা।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

গাজা ঘিরে অস্থিরতা বাড়ছে ইসরায়েলে / এবার পদত্যাগ করতে পারেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান
টানা প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এর পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে পারেনি দেশটি। গত বছর হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার বিষয়েও আছে ক্ষোভ ও সমালোচনা। এ অবস্থায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীপ্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এমন খবরই সামনে এনেছে। খবর আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার এ কথা জানিয়েছে। ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সমস্ত কর্মকর্তাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকে। এমনকি অনেক অফিসার ‘যুদ্ধবিষয়ক তদন্তের প্রস্তুতির জন্য’ আইনি প্রতিনিধিত্ব চেয়েছেন বলেও সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে। এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি। অবশ্য নতুন গোয়েন্দাপ্রধান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে সোমবারই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়। ‘চ্যানেল ১২’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইনি ইঙ্গিত পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র লিখেছিলেন মেজর জেনারেল আহারন হালিভা। মূলত তদন্ত কমিটি গঠিত হলে তার সমস্ত বিবৃতিও সেখানে উপস্থাপন করা হবে বলে ধারণা পাওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করেন। ইসরায়েলের বেসরকারি এই সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘অদূর ভবিষ্যতে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে’ এমন কমান্ডারদের মধ্যে আহারন হালিভাই প্রথম। এ ছাড়া ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রনেন বারসহ আরও বেশ কয়েকজন অফিসারও এ তালিকায় রয়েছেন। এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের শত শত যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

পদত্যাগ করতে পারেন ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর প্রধান
ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে টানা প্রায় সাত মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।  শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল হার্জি হালেভি ‘কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’ ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার এ কথা জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে দায়ী সমস্ত কর্মকর্তাকে ‘ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকেই।’ ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর অন্যদের পদত্যাগের বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে। এমনকি অনেক অফিসার ‘যুদ্ধবিষয়ক তদন্তের প্রস্তুতির জন্য’ আইনি সহায়তা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের শত শত যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে আটক করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। সপ্তম মাসে পৌঁছানো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এই যুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট তৈরি করেছে। যুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অবশ্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।  
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও নৃশংসতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি পালন করছে তার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডিনে এক পোস্টে পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন তিনি। পোস্টে হালা রাহারিত জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন। পদত্যাগের বিষয়ে হালা রাহারিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, স্টেট ডিপার্টমন্ট কর্মকর্তাদের সরকারের নীতির সঙ্গে মতানৈক্য থাকলে তারা তা প্রকাশ করতে পারে। ওয়াশিংটনের গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় কর্মকর্তা হালা রাহারিত। প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পর পরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জশ পল জো বাইডেনের ধ্বংসাত্মক ও অন্যায্য অস্ত্র নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ছিলেন। একই বিষয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। তিনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ ছাড়া সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও নৃশংসতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি পালন করছে তার বিরোধীতা করে পদত্যাগ করেছেন ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডিনে এক পোস্টে পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন তিনি।  পোস্টে হালা রাহারিত জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।  মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন। পদত্যাগের বিষয়ে হালা রাহারিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, স্টেট ডিপার্টমন্ট কর্মকর্তাদের সরকারের নীতির সঙ্গে মতানৈক্য থাকলে তারা তা প্রকাশ করতে পারে। ওয়াশিংটনের গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্র গপ্তরের তৃতীয় কর্মকর্তা হালা রাহারিত। প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জশ পল জো বাইডেনের ধ্বংসাত্মক ও অন্যায্য অস্ত্র নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ছিলেন। একই বিষয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। তিনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত আমেরিকান।   উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।  এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন।  
৩০ নভেম্বর, ০০০১

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও নৃশংসতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি পালন করছে তার বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডিনে এক পোস্টে পদত্যাগের কথা নিশ্চিত করেন তিনি।  পোস্টে হালা রাহারিত জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।  মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন। পদত্যাগের বিষয়ে হালা রাহারিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, স্টেট ডিপার্টমন্ট কর্মকর্তাদের সরকারের নীতির সঙ্গে মতানৈক্য থাকলে তারা তা প্রকাশ করতে পারে। ওয়াশিংটনের গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করা পররাষ্ট্র গপ্তরের তৃতীয় কর্মকর্তা হালা রাহারিত। প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান শুরুর পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা জশ পল জো বাইডেনের ধ্বংসাত্মক ও অন্যায্য অস্ত্রনীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ছিলেন। একই বিষয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। তিনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আমেরিকান।   উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ ছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।  এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন।    
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি বিরোধী নেতা লাপিদের
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে হামাসও। তবে প্রায় সাত মাস পরও হামাসকে পরাজিত করতে পারেনি ইসরায়েল। এর মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হতাহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমন অবস্থায় ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার’ জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ। খবর আনাদোলুর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেন। এ দাবিটি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সামনে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইসরায়েলি সরকার আগামী ২০ মে পর্যন্ত হারেদিম নামে পরিচিত কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদিদের নিয়োগ সংক্রান্ত পিটিশনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের রায় স্থগিত করতে চায়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লাপিদ বলেন, ‘আর কতদিন অজুহাত দেখিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে কলঙ্কিত করতে থাকবে এ বিশৃঙ্খল সরকার? আইডিএফের (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) কাছে যথেষ্ট সৈন্য নেই এবং প্রত্যেককে তালিকাভুক্ত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ করা উচিত এবং এ সরকারকে আমাদের জীবন থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আনাদোলু বলছে, হারেদিমকে সামরিক বাহিনীর চাকরি করা থেকে ছাড় দিয়ে যদি নতুন নিয়োগ আইন পাস না করা হয়, তাহলে ক্ষমতাসীন জোটের ধর্মীয় দলগুলো সরকার থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। মূলত ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ হারেদিম এবং তারা সামরিক বাহিনীতে কাজ করে না। এর পরিবর্তে তারা তাদের জীবন তাওরাত অধ্যয়নের জন্য উৎসর্গ করে থাকে। অন্যদিকে আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেক ইসরায়েলিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হয়। তবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া থেকে হারেদিমের অব্যাহতি কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত বছর অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল আগ্রাসন চালাচ্ছে এবং তাদের আক্রমণের মধ্যে এ বিতর্কটি আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে যারা ধর্মনিরপেক্ষ, তারা হারেদিমকে যুদ্ধের বোঝা ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ওরফে খোকন শাহবাগ থানায় এ জিডি করেন। জিডি নম্বর-১৪২৭।  জিডিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ২০ বছর মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি পরিবহন সেক্টরে কোনো কাজ করেন নাই। একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগের সংস্কৃতি নেই, সেহেতু মন্ত্রী মহোদয় ইচ্ছা করলে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করতে পারেন।  জিডিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি যাত্রীদের কল্যাণ করবে এটাই তাদের কাজ। কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যাতে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বর্তমান সরকার টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। সরকারের ক্ষমতায় থাকার বয়স ১৫ বছর ৩ মাস। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সেখানে ২০ বছর মন্ত্রী থাকেন কীভাবে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। ওনার এই মিথ্যাচারের বক্তব্য যমুনা টেলিভিশন, আরটিভি, অন্যান্য স্যাটেলাইট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ওনার এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে। 
২৩ এপ্রিল, ২০২৪
X