বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপির উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।   এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার পাঁচ দেশে সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরে বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন। উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধরনা দেয়।  সাংবাদিকরা এ সময় 'ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যাপীঠগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের আইনরক্ষা বাহিনীর হামলা নিয়ে' মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা (যুক্তরাষ্ট্রে) বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।' এ দিন সংবাদ সম্মেলনে ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত পাঁচ দেশে সরকারি সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রীর সাথে ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সহযোগিতাবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর লেটার অব ইন্টেন্ট স্বাক্ষরের পর ২৮ থেকে ২৯ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় 'হিউম্যানিটি এট দ্য ক্রসরোডস : অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি ভিয়েনায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের সাথে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অস্ট্রিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দ্বৈত কর এড়ানোর প্রস্তাবিত চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা, ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি'র (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সাথে  সাক্ষাতে পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা এবং অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনের কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  ৩ থেকে ৫ মে পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্বের কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  তিনি বলেন, উদ্বোধনী অধিবেশনে আমি ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে, আমরা তাদের সহায়তা দিচ্ছি। ওআইসি সম্মেলন সমাপনীতে আমরা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের আহ্বান করেছি। ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০ জন মন্ত্রী ও সংস্থাপ্রধানের সাথে বৈঠকের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন মন্ত্রী।  এর আগে এদিন দুপুরে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক মিনিস্টার অব স্টেট অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন এবং মেট্রোরেলেও ভ্রমণের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।  যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা তুলে ধরে মিনিস্টার অব স্টেট ট্রেভেলিয়ান দু'দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ ব্যক্ত করে এর আরও সম্প্রসারণে জোর দেন। বৈঠকে পূর্বসম্মতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কেনা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১২ ঘণ্টা আগে

ডোনাল্ড লু’র সফরে রোহিঙ্গা সংকট গুরুত্ব পাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর আসন্ন বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (৮ মে) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান। এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় অবশ্যই আলোচনার মধ্যে আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বরাবরই চমৎকার এবং দুই দেশ সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এদিকে ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে লু আগামী মঙ্গলবার (১৪ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবে। সফরটি ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডোনাল্ড লু এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।  সোমবার (৬ মে) গাম্বিয়ার বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলনেতা হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।  সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের অধিবেশনে পশ্চিম আফ্রিকার স্থানীয় সময় রোববার অপরাহ্নে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়কমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও ওআইসি নেতাদের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন।  অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।  সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
০৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় শনিবার গাম্বিয়ার বানজুলের স্যার দাওদা কাইরাবা জাওয়ারা আন্তুর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে দেশের পক্ষে বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ওআইসি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি এবং শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে গাজায় চলমান সংকট সমাধান সম্ভব বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়ার বিস্তারে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে তা দূরীকরণের জন্য ওআইসিকে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মামলা করায় গাম্বিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মন্ত্রী। এবারের ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে গাম্বিয়া সৌদি আরবের কাছ থেকে সভাপতিত্ব গ্রহণ করে। বক্তব্যে ওআইসির মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ায়ী, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
০৬ মে, ২০২৪

ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে মিসরের সঙ্গে আলোচনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও ভিসা অব্যাহতি নিয়ে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শনিবার (৪ মে) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ এবং মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় হাছান মাহমুদ পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে প্রস্তাবনা দিলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল ভিসা অব্যাহতি নিয়ে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হন। পাশাপাশি উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন  আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একমত হন তারা। মিসরে বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবন নির্মাণে মিসর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
০৪ মে, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ
বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  গাম্বিয়ার বানজুলে ২-৩ মে অনুষ্ঠানরত ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। হাছান মাহমুদ গাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনদের এর সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবনা দেন। গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।  বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে ওআইসির দৃঢ় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ দিন সন্ধ্যায় অপর এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রিয়াদ মনসুর ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার  অনুরোধ জানান। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনের কথা অবহিত করেন।  ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন। পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি  ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠক দুটিতে উপস্থিত ছিলেন।
০৪ মে, ২০২৪

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহ বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে। ক্রমাগত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের টেকসই, নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে সব প্রকার মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা ও সমর্থন প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশসমূহের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ওই দেশসমূহে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরণ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধি প্রধান লক্ষ্য। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য দেশে নতুন শ্রমবাজার বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনায় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় অনেক দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ল্যাটিন এবং আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি। দক্ষিণ আমেরিকান দেশগুলো যেমন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, চিলি, উরুগুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই সীমিত পরিমাণে হয়ে থাকে, যেমনটি রয়েছে আফ্রিকার দেশগুলোতেও। অথচ বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলগুলো অনেক সম্ভাবনাময়। তাই নিয়মিত অংশীদারদের বাইরেও এখন সম্ভাবনাময় ও অনুদ্ঘাটিত গন্তব্যসমূহের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, এসোয়াতিনি, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় উচ্চপর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি সফরেই বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা গেছে। 
০২ মে, ২০২৪

গাম্বিয়ায় ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাম্বিয়ার বানজুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হবে ২ মে থেকে, যার নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি জোরদার- প্রতিপাদ্য নিয়ে গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনের প্রস্তুতি সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। দুদিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। জানা গেছে, ইউরোপ সফর শেষ করে বুধবার (১ মে) গাম্বিয়ায় যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ৪-৫ মে গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম বার্ষিক ওআইসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।  এবারের ওআইসির সম্মেলনে ফিলিস্তিন প্রশ্ন, তরুণ, নারী, পরিবার, ইসলামোফোবিয়া, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সদস্য নয় এমন দেশগুলোর মুসলিম সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নেতারা মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ইস্যু বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যু, অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়, যুবসমাজ, নারী, পরিবার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য, মুসলিম সম্প্রদায় এবং ওআইসি বহির্ভূত দেশগুলোর সংখ্যালঘু, ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং আইনি বিষয়ে আলোচনা করবেন। ওআইসির ১৫তম সম্মেলনে চূড়ান্ত ইশতেহার প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে থাকবে শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থাপিত ইস্যুতে সংস্থাটির অবস্থান, ফিলিস্তিন ও আল-কুদস আল-শরিফ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব এবং বানজুল ঘোষণা। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, স্থায়ী প্রতিনিধি ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জাবেদ পাটোয়ারী, নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও গাম্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় সাম্প্রতিক নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়গুলো ওআইসির এবারের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। এ ছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভাব ফেলে এমন নারী ও যুবসমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
০১ মে, ২০২৪

দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইইউয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ জ্ঞান, দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ভবিষ্যতে বড় অংশীদারত্বের লক্ষ্যে কাজ করছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বন্ধুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলি মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিকলাস কাভার্নস্টর্ম অতিথি হিসেবে এবং বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দেশের মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ বক্তব্য দেন।   পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দেড় দশকে অর্জিত টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশকে এশিয়া এবং এর বাইরেও দ্রুততম বর্ধনশীল একটি অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইইউয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে যাতে বিশ্বে কোথাও মানুষকে যুদ্ধের ভয়াবহতা সহ্য করতে না হয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় এবং বিশ্বজুড়ে মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা যায়। ইইউ এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিকলাস কাভার্নস্টর্ম বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ন্যায়বিচার, সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে যা বিদ্যমান অংশীদারত্বমূলক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে চলেছে। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে ইইউয়ের আগ্রহের কথা জানান। বেলজিয়াম সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ আগামী দিনে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে নতুন রূপ দেবে। বেলজিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা, রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য, বেলজিয়ামের রাজনীতিকরা, গণমাধ্যম, থিংক ট্যাঙ্কস, একাডেমিয়া, ব্রাসেলসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে বসবাসরত বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পারমাণবিক শক্তির অপ্রসারণ এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিশেষ করে জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)  দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্যা জানায়। অস্ট্রিয়ায় সরকারি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সদস্য হয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং পরমাণু সামগ্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ অবিচল। এ সময় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান হাছান মাহমুদ। তিন বলেন, বাংলাদেশ তার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখবে।  খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারমাণবিক কৃষি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং রেডিও থেরাপির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য আইএইএ-কে ধন্যবাদ জানান।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্যের জন্য পরমাণু বা ‘এটমস ফর ফুড’ এবং কার্বন নিঃসরণকে শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পরমাণু শক্তির ব্যবহার বা ‘এটমস ফর নেট জিরো’ উদ্যোগের জন্য মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির প্রশংসা করেন এবং এই উদ্যোগে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।  আইএইএ মহাপরিচালক পরমাণু বিজ্ঞান প্রয়োগকে কাজে লাগিয়ে মানবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে এজেন্সির টেকসই সহায়তাদান নিশ্চিত করেন এবং ‘অ্যাটম ফর ফুড’ উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বিশেষ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।  তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ সংস্থাটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততায় এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহায়তার অব্যাহত থাকবে।  এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প চালুর সময় আইএইএ  মহাপরিচালককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।  ভিয়েনায় দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক কাজী রাসেল পারভেজ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
X