শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
তীব্র তাপদাহেও কক্সবাজারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়
বৈশাখের খরতাপেও পর্যটক উপস্থিতি বেড়েছে কক্সবাজারে। ঈদের পর গরমে পর্যটক আসায় ভাটা পড়বে, এমন ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে প্রায় প্রতিদিনই উল্লেখ করার মতো ভ্রমণপিপাসুরা অবস্থান করছেন পর্যটন নগরীতে। কলাতলীর পাঁচ তারকা হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলোতে কমবেশি বুকিং হচ্ছে। ভরদুপুরেও লোকারণ্য থাকছে বেলাভূমি ও সাগর তীর। গোসল ও নানাভাবে সৈকতে উপভোগ করছেন ভ্রমণপিপাসুরা। আবাসনসহ পর্যটন সেবার সকল খাত মিলিয়ে দৈনিক কোটি টাকার বাণিজ্য হচ্ছে। এর আগেও ঈদ পরবর্তী তিন দিনে শতকোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। আর পর্যটক উপস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশ। এদিকে, গরমে তারকা হোটেলগুলো তাদের নির্দিষ্ট ভাড়ায় ছাড় দিচ্ছে। গেস্ট হাউস, কটেজ বা নরমাল হোটেলগুলোর অধিকাংশ সহনীয় পর্যায়ে ভাড়া রাখায় গরমেও পর্যটক উপস্থিতি বাড়ছে বলে মনে করছেন আবাসন সেবা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, নিয়মিত রেলের পাশাপাশি দুটি স্পেশাল রেলও ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে চলাচল থাকায় কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকের উপস্থিতি রয়েছে।   ঢাকার মালিবাগ থেকে আসা পর্যটক দম্পতি আবরার নাঈম বলেন, এর আগে শীত মৌসুমে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলাম। এখন রেলে যাতায়াত করতে পারায় পরিবার নিয়ে গরমেই চলে এসেছি। সারা দেশেই তো গরম। এখানে সাগরের সান্নিধ্যে এসে গরম তাড়ানো যাচ্ছে। সঙ্গে হোটেল ভাড়াও তুলনামূলক কম পাচ্ছি। আমার বন্ধুদেরও এ সময়ে কক্সবাজার আসতে বলেছি। ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ছাড়াও রেস্তোরাঁ, ওয়াটার ও বিচ বাইক, কিটকট, শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, বার্মিজ পণ্য বিক্রিসহ কয়েক লাখ মানুষ সরাসরি পর্যটন সেবা সংশ্লিষ্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। পর্যটক সমাগম বাড়লে তাদের আয়ের পথও সুগম হয়। ঈদের পর হতে কমবেশি পর্যটক উপস্থিত থাকায় হোটেল-রেস্তোরাঁ, মার্কেটের ব্যবসায়ী ও হকাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, আগে পর্যটকরা বুকিং দিয়ে কক্সবাজারে আসত। ট্রেন চালু হওয়ার পর হতে কক্সবাজার পৌঁছে রুম দেখে বুকিং দিচ্ছে। গত ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভালোই ব্যবসা হয়েছে। কিন্তু ১৫ এপ্রিল থেকে ব্যবসায় অন্ধকার নামবে বলে ভেবেছিল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু উল্লেখ করার মতো পর্যটক গরমেও কক্সবাজার আসছেন। কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আয়-ব্যয় সমান্তরাল। দুদিনের ব্যবসায় এখানে টিকে থাকা কষ্টকর। রমজানে কোনো ব্যবসা-ই হয়নি। তবে, ঈদের পর দুদিন পর্যটকে ঠাঁসা ছিল কক্সবাজার। এরপর হতে, প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে। এতে বিনিয়োগ পুরো না উঠলেও নিয়মিত খরচটা পোষানো সম্ভব হবে। কক্সবাজারের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, ভ্রমণে সিদ্ধহস্ত পর্যটকরা নিরাপত্তা, সেবা, বুফে ব্রেকফাস্ট, ডিনারসহ অন্য সুযোগের কারণে তারকা হোটেল উঠেন। গরম ও ঈদের পর হতে, বিশেষ ছাড়ে রুম পাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদ ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে হোটেলে আমরা বৈশাখী মেলা ও জলের গান শিল্পী গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছি। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার পাবার পর পর্যটকদের আগমন চলমান রয়েছে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসে ২৫ হাজারের মতো কক্ষ রয়েছে। ঈদে একদিনে আবাসন থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৯-১০ কোটি টাকা। পরিবহন, রেস্তোরাঁ ও অন্য পর্যটন অনুষঙ্গের সেবা মূল্য এসেছে ২০-২৫ কোটি টাকার মতো। এ হিসাবে ঈদ-নববর্ষের ছুটিতে শতকোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এরপর হতে গরমেও প্রায় প্রতিদিন কমবেশি পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, সৈকতকে ঘিরে কক্সবাজারকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো গেলে বছরজুড়েই পর্যটক সমাগম সমান্তরাল রাখা সম্ভব। এখানকার রাজস্ব আয়ে রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি আসত বলেও মত তার। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আপেল মাহমুদ বলেন, আগের মতো-ঈদ ও নববর্ষ ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক সমাগম মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল আমাদের। যা এখনো বিদ্যমান। সৈকতে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করেছি আমরা। বিপদাপন্ন পর্যটকরা একটি বাটন টিপেই সেবা নিশ্চিতের সুযোগ পাচ্ছেন। পর্যটকের নিরাপত্তা ও সেবায় সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, ঈদ-নববর্ষের মতো না হলেও প্রতিদিনই কমবেশি পর্যটক উপস্থিতি রয়েছে। হোটেলে-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত টাকা আদায় কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রানি রদ এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন। ঈদের পর হতে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

এবার শ্রীমঙ্গলে পর্যটক কম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। এখানকার হোটেল ও রিসোর্টের প্রায় ২৫ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ব্যবসার ওপর মন্দা প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঈদ উপলক্ষে হোটেল-রিসোর্টে যে বাড়তি খরচ হয়েছে, তা ওঠানোও কষ্টসাধ্য হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানগুলো হলো হাইল হাওরের বাইক্কা বিল, উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বধ্যভূমি ৭১, শংকর টিলা লেক, ভাডাউড়া লেক, জাগছড়া লেক, ফুলছড়া গারো লাইনের লেক, বিদ্যাবিল হজম টিলা, নাহারপুঞ্জিতে শতবর্ষ গিরীখাত ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। শ্রীমঙ্গল রাধানগর গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, চা বোর্ডের টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, টি হ্যাভেন, লেমন গার্ডেন, বালিশিরা রিসোর্ট, নবেম রিসোর্ট, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট, হিড বাংলাদেশসহ এখানে শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। জানা যায়, ৯০ শতাংশ পর্যটকই শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রিসোর্টে রাত যাপন করে থাকেন। বাকি ১০ শতাংশ পর্যটক জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় অবস্থান করে থাকেন। প্রতিটি স্পটে পুলিশ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ করে ঈদের আগেই প্রতিটি হোটেল-রিসোর্টে আসত পর্যটক। কিন্তু এবার দেখা গেল ভিন্নচিত্র। ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গলে তেমন পর্যটক নেই। রমজানের কারণে টানা এক মাস বন্ধ থাকার পর ঈদে আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঈদ উপলক্ষে হোটেল-রিসোর্টে যে বাড়তি খরচ হয়েছে, সেটা ওঠানোও তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ব্যবসার ওপর মন্দা প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। শ্রীমঙ্গলে টি হ্যাভেন রিসোর্টের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা যে ক্রেতা পাচ্ছি, তার বেশিরভাগই স্থানীয়। পর্যটক নেই বললেই চলে। অন্যান্য বছর আমাদের এখানে প্রচুর পর্যটক আসতেন। এবার শ্রীমঙ্গলে পর্যটক কম আসায় আমাদের বিক্রি কমেছে। এটা শুধু আমাদেরই নয়, সবারই কমবেশি একই সমস্যা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে টানা তিন দিন যেখানে হাউসফুল থাকার কথা, সেখানে মাত্র ২৫ শতাংশ রুম ভাড়া হয়েছে। অথচ প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে পুরো রিসোর্ট হাউসফুল থাকত। এবারের মতো কম রুম বুকিং এর আগে কখনো হয়নি। এই ক্ষতি পোষাতে আমাদের কষ্ট হবে। শ্রীমঙ্গল জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঈদ সামনে রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে। আমাদের প্রতিটি টিমে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। একজন সাব-ইন্সপেক্টর আর চারজন কনস্টেবল দিয়ে প্রতিটি টিম গঠন করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন স্পটে গোয়েন্দা তথ্য বা অগ্রিম তথ্য জানার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যও থাকবেন।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

সমস্যায় জর্জরিত নিঝুম দ্বীপ, কমছে পর্যটক
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, সাগরের জলরাশি ও ঢেউয়ের গর্জনের সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় মনোমুগ্ধকর স্থান নিঝুম দ্বীপ। মায়াবি হরিণ, সুদীর্ঘ সমুদ্রসৈকত ও বিস্তৃত কেওড়া বনের সমাহার নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার এ দ্বীপ। দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর হাজারও পর্যটক ঘুরতে আসেন এখানে। কিন্তু নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় সম্ভাবনাময় নিঝুম দ্বীপে দিন দিন কমছে পর্যটকের সংখ্যা। জানা গেছে, খানাখন্দে ভরা দ্বীপের প্রধান সড়কের কারণে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকদের। আকর্ষণ হারাচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন স্থানটি। তবে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে দেশের অন্য যে কোনো পর্যটনকেন্দ্রের মতো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে দ্বীপটি। ২০০১ সালে সরকার জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করলেও চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। দ্বীপে হাতেগোনা কয়েকটি থাকার হোটেল ও খাবারের রেস্টুরেন্ট থাকলেও তা খুবই নিম্নমানের। এতে দুর্ভোগে পড়েন পর্যটকরা।  ১৩ বছর আগে আইলা প্রকল্পের আওতায় আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে বন্দরটিলা ঘাট থেকে নামার বাজার বিচ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর মেরামত করা হয়নি। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে একাধিকবার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। প্রতি বছর জলোচ্ছ্বাসের পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাটি দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করা হলেও কিছু দিন চলার পর তা আবারও গর্তে পরিণত হয়। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সময় এই সড়কের ওপর দিয়ে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। এতে করে অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার মাঝখানে ছোট বড় অনেক গর্ত। জোয়ারের স্রোতে সড়কের মাটি সরে ভেঙে পড়েছে ঢালাই। মোটরসাইকেলে চলা গেলেও অটোরিকশায় করে চলাচল করতে কষ্ট হয়। ধাক্কা দিয়ে গাড়িগুলো পার করতে হয়। অনেক জায়গায় যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি পার করেন চালকরা। স্থানীয়রা জানান, ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছেন অনেকে। কয়েকদিন আগেও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান নিঝুম দ্বীপের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিনের ছেলে সম্পদ। ধানবোঝাই টমটম উল্টে আহত হন কৃষক। দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যায় আবুল কালাম নামে আরেক কৃষকের। এ ছাড়া প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্বীপের অটোরিকশাচালক জসিম মিয়া বলেন, ‘রাস্তার ঢালাই ভেঙে যাওয়ায় সরু পথ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। বন্দরটিলা বাজার থেকে যাত্রী এবং মালামালবোঝাই করে নামার বাজার যাওয়ার সময় আটকা পড়েছি। এখন গাড়ি থেকে মালামাল নামিয়ে মাথায় বহন করে ভাঙা অংশ পার করতে হবে। প্রতিদিনই আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’ আরেক অটোরিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘দিনের বেশিরভাগ সময় স্থানীয় মানুষের চেয়ে পর্যটকদের আনা নেওয়া করা হয়। কিন্তু রাস্তার এই খারাপ অবস্থা দেখে পর্যটকরা অনেক বিরক্ত হন। অনেকে মোবাইলে অন্যদের না আসার পরামর্শ দেন।’ পর্যটক শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘লোকমুখে শুনে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছি। যে কষ্ট পেয়েছি তাতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার ইচ্ছে মাটি হয়ে গেছে। সৌন্দর্যের মায়ায় পরে আবার আসার ইচ্ছে থাকলেও কষ্টের জন্য আসা হবে না।’ নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দা নান্টু মাঝি বলেন, ‘আশ্বাসে আশ্বাসে দিন যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা শুনেছি ভেঙে যাওয়া ব্রিজটা হবে, কবে হবে জানি না। যদি ব্রিজ ও সংযোগ সড়কটা দ্রুত হয় তাহলে পর্যটকদের জন্য যেমন ভালো হতো, আমাদের জন্যও ভালো হতো।’ নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কেফায়েত হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যটক একটু কম। রাস্তাঘাট ভালো না তাই তারা এসে কষ্ট পাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অনেক পর্যটক আসবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ‘দ্বীপটিতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য সরকারিভাবে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দ্বীপে পর্যটকের তুলনায় আবাসন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়।’ তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চলছে। নিঝুম দ্বীপের প্রধান যে সড়কটি তা প্রতি বছর পরিবেশগত কারণেই বিপর্যস্ত হয়ে যায়। আমরা যদি বরাদ্দ পাই তাহলে সড়কটি সুন্দর করতে পারব।’ ইউএনও আরও বলেন, ‘আমাদের ডাকবাংলো ও কিছু রিসোর্ট আছে। যদি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসে তাহলে আবাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। পর্যটন করপোরেশন একটি আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেটি চলমান রয়েছে।’
১৯ মার্চ, ২০২৪

ট্রেনের টিকিট নিয়ে প্রতারণার শিকার, সারারাত রাস্তায় ৯ পর্যটক
কক্সবাজার থেকে ফিরতে অন্যের সহযোগিতায় ট্রেনের টিকিট কেটে প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী ৯ পর্যটক বাড়ি ফিরতে না পেরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ওই পর্যটকরা গাজীপুরের টঙ্গীর বাসিন্দা বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী পর্যটকরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে ট্রেনে তারা কক্সবাজারে আসেন। ভ্রমণের সময় রেলের নিরাপত্তায় থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তার কাছে ফিরতি ট্রেনের টিকিট পাওয়ার সহযোগিতা চাইলে তিনি টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন। রোববার রাত ১১টার দিকে রেলস্টেশনে আসেন তারা। তারা ভেবেছিলেন রাত ১২টায় ট্রেন। কিন্তু ট্রেন আসেনি। পরে জানতে পারেন কক্সবাজার থেকে রাত ১২টায় কোনো ট্রেন ছাড়ে না। ফলে রাতভর স্টেশনে কাটাতে হয়েছে তাদের। মোহাম্মদ লালচান বাদশা নামের এক পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, ৬৯৫ টাকার টিকিট ১২৫০ টাকা নিয়েছে বায়েজিদ। টিকিটে তারিখ উল্লেখ থাকলেও সময়ের জায়গাটা অস্পষ্ট ছিল। বায়েজিদ আমাদের রাত ১২টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে আসতে বলেন। এসে দেখি ট্রেন নেই। ওই ব্যক্তিকে আনসার সদস্য বলে দাবি করেন তিনি। আরেক পর্যটক রিয়াদ হাসান রাসেল বলেন, ট্রেনে ফিরব বলে হাতে থাকা টাকা দিয়ে অনেক পণ্য ক্রয় করেছি। তা ছাড়া টাকা ব্যবস্থা করতে পারলেও এত রাতে ঢাকা ফেরার গাড়িও পাওয়া যায় না। তাই ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট পেতে হয়েছে আমাদের। অভিযুক্ত বায়েজিদও নিজেকে আনসার সদস্য দাবি করেন। তিনি বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) থেকে টিকিট নিয়ে তাদের দিয়েছি। ট্রেনটি রাতে নয়, দিনের সাড়ে ১২টায় ছাড়ে। পর্যটকরা সময় বোঝেনি, এতে আমার অপরাধ কি? টিকিটের অতিরিক্ত দামে নেওয়ার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের রেল মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের একটি ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায়, আরেকটি রাত ৮টায় ছাড়ে। রাত ১২টায় কোনো ট্রেন নেই।  তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারি করার সুযোগ নেই। যদি কেউ অসাধু উপায়ে এ রকম করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সহকারী রেলস্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান বলেন, এটি পর্যটকদের অজ্ঞতা। তারা কার কাছ থেকে টিকিট নিচ্ছেন, কক্সবাজার থেকে কতটি ট্রেন ছাড়ে, তার সময় কখন; এসব জানা দরকার। যার কারণে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। তিনি আরও বলেন, রেলস্টেশনে কোনো আনসার সদস্য কাজ করে না। শুধু আরএনবি সদস্য রয়েছেন। তারপরও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ তুষারধস, রুশ পর্যটক নিহত
পর্যটকদের কাছে মনোরম দৃশ্যের জন্য লোভনীয় জম্মু-কাশ্মীর। তবে আকর্ষণীয় এ পর্যটন অঞ্চলের ভয়াবহ তুষারধস দেখা দিয়েছে। এতে একজন রুশ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পাবর্ত্য এলাকা গুলমার্গে ভয়ারবহ তুষারধস হয়েছে। জলাবায়ু পরিবর্তনের ধারায় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এ ধস দেখা দিয়েছে। এতে রুশ পর্যটক নিহত এবং অপর এক পর্যটক নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া আরও পাঁচ পর্যটককে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।   #WATCH | Sonmarg, J&K: Snow clearance work is underway in the Hung area of Sonmarg as Nalla Sindh flows on the road due to an avalanche. (Visuals Source: Mechanical Engineering Department, Kashmir) pic.twitter.com/2ackVgAIPJ — ANI (@ANI) February 21, 2024 স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি ওই পর্যটকের দল স্থানীয় গাইড ছাড়াই স্কি করতে গিয়েছিলেন। সেখানকার কংডুরি অঞ্চলে তুষারধসে তারা আটকা পড়েন। খবর পেয়ে সেনা ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে প্রতিকূল পরিবেশের কারণে অভিযানে যোগ দেয় হেলিকপ্টারও।  ভারতের এ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তুষারধসের কারণে বুধবার শ্রীনগর-লেহ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। গত  তিন দিন ধরে কাশ্মীরে ভারী তুষারপাত চলছে। এর ফলে উপত্যকার পার্বত্য এলাকায় তুষার ধসের ঘটনা বাড়ছে।   
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চাঁদের গাড়ি খাদে পড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২ পর্যটক নিহত
বান্দরবানের রুমা-কেওক্রাডং সড়কে চাঁদের গাড়ি পাহাড়ি খাদে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কেওক্রাডং থেকে রুমায় আসার পথে আধা মাইল দূরে টার্নিং পযেন্টে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ‘নারীর চোখে বিশ্ব’ নামের একটি সংগঠনের হয়ে কেওক্রাডং ভ্রমণে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। পরে সবাই চাঁদের গাড়ি করে কেওক্রাডং থেকে রুমায় ফিরছিলেন। নিহতরা হলেন, মাগুরার বাসিন্দা ফিরোজা বেগম (৫৩), ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের পরীক্ষার্থী জয়নব (২৪)। আহতরা হলেন, আঞ্জুমা হক (৩৫), মোছা. রিজভী (৩৪), রাফাল (১১), তার মা রুপা (৪৩), তাহমিদা (২৩), তাজনিন (২৪). আন্জুমান হক (৩৫), ইতু (১৬), স্বর্না (২৩) ও ডা. মাজিলা হক। তাদের অনেকের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। আহত ডা. মাজিলা হক জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৫৭ জন তিনটি জিপ গাড়ি (চাঁদের গাড়ি) করে পর্যটনস্পট কেওক্রাডং থেকে ফিরছিলাম, তখন পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুর্ঘটনার সময় পিছনের গাড়িতে থাকা গাইড ও প্রত্যক্ষদর্শী সিয়ামথাং বম বলেন, আমাদের সামনে গাড়ি ড্রাইভার খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর থেকে গাড়ি চালক পলাতক রয়েছেন।  মুনথাং বম নামের অপর গাইড বলেন, মোট ৫৭ জন পর্যটকের মধ্যে সকালে ৩৭ জন জিপ গাড়ি করে ফিরছিল। আর বাকি ২০ জন কেওক্রাডংয়ে থেকে যায়। সকালে যারা ফিরছিল, ওই গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়।  রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তন্ময় মজুমদার বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে সড়কেই আহতদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আতহ ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রুমা থানা পুলিশের এসআই মিদন বলেন, ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

তুষারধসে চীনের জিনজিয়াংয়ে আটকা ১ হাজার পর্যটক
তুষারধস ও ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে পথঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের পর্যটন গ্রাম হেমুতে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার পর্যটক। হেমু এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে ৩ থেকে ২১ ফুট পর্যন্ত তুষারের স্তূপ জমেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি। জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে ৩টি দেশের সীমান্ত রয়েছে—কাজাখস্তান, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া। হেমু গ্রামটি সেই সীমান্ত এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে গ্রামটিতে সারা বছরই চীনের বিভিন্ন অঞ্চল ও এই তিন দেশ থেকে আগত পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। সিনহুয়া জানিয়েছে, রবি ও সোমবারের ব্যাপক তুষারধসের জেরে গ্রামটির সঙ্গে অন্যান্য অঞ্চলের সব সংযোগ সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

চীনে ভয়াবহ তুষারধসে ১ হাজার পর্যটক আটকা
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের একটি পর্যটন গ্রামে ভয়াবহ তুষারধস হয়েছে। তুষারধস ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গ্রামটির সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানে প্রায় এক হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। তুষারধস হওয়া গ্রামটির নাম হেমু। গ্রামটি চীন, কাজাখস্তান, রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়া—এই চার দেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সীমান্তবর্তী এই গ্রামটি নৈসর্গিক হওয়ায় সারা বছর সেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেন। বেশ কয়েক দিন ধরে জিনজিয়াংয়ের আলতাই প্রিফেকচারের হেমু গ্রামে ভারী তুষারপাত হচ্ছে। প্রবল তুষারপাতে বেশ কয়েক বার তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে। অনেক সড়কে সাত মিটার পুরো তুষারের আস্তরণ পড়েছে। এসব কারণে গ্রামের সব সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সড়ক থেকে তুষার সরিয়ে নেওয়ার কাজ গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বেশ কয়েকজন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হেয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল সিসিটিভি জানিয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হয়। এ জন্য উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় খুব কম। মঙ্গলবার সকালে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে সেখানে আঠা ও জ্বালানির মতো জরুরি ত্রাণসহায়তা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। উদ্ধার ও ত্রাণসহায়তা কাজের জন্য ৫৩ জন কর্মী এবং ৩১ সেট যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাঠানোর কথা জানিয়েছে আলতাই মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির প্রধান ঝাও জিনশেং সিসিটিভিকে বলেছেন, এই তুষারধসের ঘটনাটি তুলনামূলক নতুন। আমরা এর আগে ভারী তুষারপাত দেখেছি। তবে এত বেশি তুষারধস দেখিনি।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

কক্সবাজারের পথে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’
ঢাকা ছাড়ল দ্বিতীয় ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’। বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে নতুন এই ট্রেন ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করে। নতুন এই ট্রেনের প্রথম যাত্রায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছেন ৭৮৫ যাত্রী। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, নতুন ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ বুধবার ভোর সোয়া ৬টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। এর আগে ভোর সাড়ে ৫টায় এক সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতার আয়োজনও করা হয়েছে স্টেশনে। জানা গেছে, কমলাপুর থেকে কক্সবাজারের নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ৬৯৫ টাকা। এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা। বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও একই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা (কমলাপুর) থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনের নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ৪৫০ টাকা এবং এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া ৮৫৫ টাকা। একই ভাড়া বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার স্টেশন পর্যন্ত নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ২৫০ টাকা। এসি শ্রেণির ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া ৪৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার থেকে ফিরতি পথেও একই ভাড়ার হার কার্যকর হবে। পর্যটক এক্সপ্রেসের ঢাকাগামী ট্রেনের নম্বর ৮১৫ এবং কক্সবাজারগামী ট্রেনের নম্বর ৮১৬। ট্রেনের রেকে থাকবে মোট ১৬টি কোচ। মোট আসন ৭৮৫টি। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনকে ট্রেনের রেক বেইজ ধরা হয়েছে। সেখানেই ট্রেনের ওয়াটারিং, সার্ভিসিং ও ক্লিনিং করা হবে। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ রোববার। পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি কক্সবাজার স্টেশন থেকে ৮১৫ নম্বর ট্রেন রাত ৮টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়বে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। এরপর বিরতিহীনভাবে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর সাড়ে ৪টায়। অন্যদিকে ৮১৬ নম্বর ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে। সেখানে ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়বে। এরপর বিরতিহীনভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়বে। কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়। এক্ষেত্রে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাত্রাপথে ট্রেনে মোট সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাত্রাপথে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪
X