

পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং কম। এ পর্যন্ত সব হোটেলে ২০-৩০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। বাকি ৮০-৭০ শতাংশ এখনো ফাঁকা রয়েছে। অথচ পর্যটকদের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ৩০-৪০ শতাংশ ছাড়। তবে তারকা মানের কয়েকটি হোটেলে ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত শতভাগ বুকিং রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ঈদের আগেই হয়তো আরও কিছু কক্ষের বুকিং হতে পারে। এ অবস্থা চললে এবারের ঈদে ব্যবসায় মন্দা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বরাবরের মতো পর্যটকদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর পর্যটক হয়রানি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঈদের ছুটিতে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। হোটেলের ভেতর-বাইরে রং ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব দিকে খেয়াল রাখছে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, বিগত সময়গুলোতে রোজার ১৫ দিনের মধ্যে হোটেলের ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং হতো। এবার আজকের দিন পর্যন্ত মাত্র ২০-৩০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদী কয়েকদিনের মধ্যে পর্যাপ্ত বুকিং হবে। ব্যবসাও ভালো হবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হোটেল-মোটেলগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলা হচ্ছে। তবে বিগত সময়ের হিসাবে করলে এবার ঈদ মৌসুমে তেমন একটা ব্যবসা নাও হতে পারে।
তারকা হোটেল ওশান প্রারাডাইসের পিআরও সায়ীদ আলমগীর বলেন, ঈদ বলে নয়, আমরা সব সময় পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকি। তবে এবারের ঈদের আগে-পরে প্রায় ১০ দিনের ছুটি থাকলেও ব্যবসা হতে পারে মাত্র চার দিন। এখনো হোটেল কক্ষের তেমন বুকিং না হলেও ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল তিন দিন শতভাগ বুকিং রয়েছে আমাদের।
হোটেল দি সি প্রিন্সেসের সিনিয়র ম্যানেজার মাজেদুল বশর চৌধুরী সুজন বলেন, ঈদের সময় হোটেলগুলোতে ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখনো শতভাগ বুকিং না হলেও ঈদের পরে শুক্রবার থেকে তিন দিন শতভাগ বুকিং রয়েছে। অন্য সময়ে তেমন কোনো বুকিং নেই। তাই আমরা ধারণা করছি এবারের ঈদে আগের মতো ব্যবসা হবে না।
এদিকে পর্যটকের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আর পর্যটক হয়রানি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানায় জেলা প্রশাসন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকের সেবা নিশ্চিত ও নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন স্পটগুলো এবং সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পোশাকধারীদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে থাকে জেলা প্রশাসন। তারপরও হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা চালকের হাতে হয়রানির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।