মঙ্গলবার জাতিসংঘের ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করবেন পলক
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৮ মে) তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৪ এ পুরস্কার গ্রহণ করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। নিরাপদ ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম তৈরির জন্য উইনার হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) দেওয়া পুরস্কার গ্রহণ করবেন তিনি। ডব্লিউএসআইএস-এর এক ই-মেইল বার্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য ফোরামে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। কোভিড ১৯ অতিমারি কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার জন্য বিসিসি উদ্ভাবন করে ‘বৈঠক’ নামক ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আড়াই হাজারের বেশি সভা, সেমিনার, কর্মশালা, অনলাইন ক্লাস, ওয়েবইনার, নীতি-নির্ধারণী আলোচনা সভা, প্রশিক্ষণ, চাকরির ইন্টারভিউ প্রভৃতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিসিসির এ অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই অ্যাওয়ার্ড ভবিষ্যতে বিভিন্ন সফল উদ্যোগ নিতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া এটুআই-এর ‘শিক্ষক বাতায়ন’ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ক্যাটাগরিতে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর ‘ওকে, দ্য পিরিয়ড ট্র্যাকার অ্যাপ ফর গার্লস বাই গার্লস’ ই-হেলথ্ ক্যাটাগরিতে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার-২০২৪ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা দেওয়া এক হাজার ৪৯টি প্রকল্প/ উদ্যোগ থেকে বাছাই করে ৩৬০টি প্রকল্পকে ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ৩টি প্রকল্প/উদ্যোগ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। 
২৭ মে, ২০২৪

এআই সভ্যতার জন্য বড় ঝুঁকি : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে এআই-এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে  ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ-এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন। ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদের পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে শামিল করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্র্যের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম. আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।
১৭ মে, ২০২৪

আইসিটি খাতে জাপানি বিনিয়োগ চান পলক
বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বিনিয়োগের জন্য জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। আইটি ও আইটিইএস খাতে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। হাইওয়ে কমিউনিকেশন, মেট্রোরেল, থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ইত্যাদিসহ বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে জাপান সফলতার সঙ্গে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘমেয়াদি ভিশন নিয়ে পোস্ট, টেলিকম এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশ স্টার্টআপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, বেসিসের সভাপতি মি. রাসেল টি আহমেদ।
১০ মে, ২০২৪

পুরান ঢাকায় ডিজিটাল ল্যাব চান সাঈদ খোকন
পুরান ঢাকায় ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনে সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। বৃহস্পতিবার (০৯ মে) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান তিনি। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সম্পূরক প্রশ্নে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজ আমাদের সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার স্মৃতির প্রতির শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি প্রশ্ন করছি ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীকে। পুরান ঢাকার তরুণ-তরুণীদের জন্য ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কি না? যদি না থাকে তাহলে এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করবেন কি না?  এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনার মাধ্যমে সংসদ সদস্য মহোদয়কে আশ্বস্ত করতে চাই, ওনার নির্বাচনী এলাকায় আমাদের এস্টাব্লিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় নতুন করে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে সারা বাংলাদেশে আরও ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে আরও পাঁচ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
০৯ মে, ২০২৪

কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা (আইটিইএস) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে। শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পলক বলেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেওয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড়  হয়েছে। চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, বাক্কো’র প্রায় চার’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ।  বাক্কো’র প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সেক্রেটারি জেনারেল মি. তৌহিদ হোসেন, বাক্কো’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট  আবুল খায়ের।
০৫ মে, ২০২৪

ইউএন এসকাপের দুই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করলেন পলক
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসকাপ)-এর ৮০তম সম্মেলনে দুটি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেগুলো হলো—‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা’ এবং ‘স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির বিশেষ সংস্থা’। গতকাল মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে অধিবেশন দুটির আয়োজন করা হয়। প্রথম অধিবেশন সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের জেন্ডার ইক্যুইলিটি ও এমপাওয়ারমেন্ট বিষয়ক নেপালের ৩০-৩০ নেটওয়ার্ক প্রতিনিধি সাঞ্জানা চান্দিয়াও। সভায় ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও উদ্ভাবনার মাধ্যমে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের ২০২০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন শেষে নতুন কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। অধিবেশনে বক্তব্য দেন কোরিয়ার এনআইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মুন সেন জি, চীনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস জিন জাং, রাশিয়ার ডিজিটাল নীতি গবেষক জোরি তো কম্বোয়িন, ভারতের এক্সেসেবিলিটি ডিজিটাল টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত রঞ্জন ভার্মা, থাইল্যান্ডের সিয়াম কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটি পন বোনা পার্ট।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন পলক
জাতিসংঘের (ইউএন) ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসকাপ) এর একটি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এসকাপ এর ৮০তম সম্মেলনে -এর ‘এজেন্ডা নং ২(এ) - মূল বিষয়: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা এবং এজেন্ডা নং ৩: স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলির বিশেষ সংস্থা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন তিনি। থাইল্যান্ডে অবস্থিত জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গঠিত কমিশনের ৮০তম অধিবেশন। পাঁচ দিনের এই অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার থেকে ব্যাংককে অবস্থান করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ দুপুর ২টায় ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ) এর ৮০তম সম্মেলনের মূল প্রোগামে এজেন্ডা-২(এ) ও এজেন্ডা-৩ নিয়ে আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন প্রতিমন্ত্রী পলক। ‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধা’ শীর্ষক এ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনের সুবিধার নিশ্চিত করতে গৃহীত এজেন্ডা ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপকে শক্তিশালী করার একটি সুযোগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেল। তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে এ ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে ‘কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’ মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার পার সাঐল এর বাড়িতে ফেলে রাখা ফেলে রেখে আসা হয়। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাসার বড়ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রথমে সানোয়ার হোসেন সুমন এবং নাজমুল হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে সানোয়ার হোসেন সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে এই অপহরণ ও মারধরের কথা স্বীকার করে। গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে যান জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের নেতাদের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরবর্তীতে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাও তিনি মাথা পেতে নেবেন বলে ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে ১৬ এপ্রিল দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, মন্ত্রীর শ্যালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন একটি নাটক সাজানো হয়েছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

দুঃখিত পলক ক্ষমা চেয়ে বললেন ছাড় পাবে না কেউ
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ নিরপেক্ষভাবে এবং সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্তভাবেই এ মামলার তদন্ত করছে। তদন্তে ঘটনায় যারাই জড়িত থাকবে বা দোষীসাব্যস্ত হবে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক, আইনগত ও সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। সে ক্ষেত্রে কার কী পরিচয়, কে আমার ভাই, কে আমার শ্বশুর কিংবা শ্যালক এটা কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়। এটা নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এ ঘটনায় জড়িত আমার আত্মীয় কিংবা যেই হোক এটা ব্যবহার করে কোনো বাড়তি সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সরাসরি এ বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন এবং তার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা যারাই হোক, পরিচয় যাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়। এরই মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আরও বাকি যারা জড়িত আছে তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’ তিনি বলেন, আহত দেলোয়ার হোসেন পাশা ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আমি দেশের বাইরে থেকেই হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি।’ আগামী ৮ মে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে থেকে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক। নির্যাতনের পর বিকেলে একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ারকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

মারধরের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দেখতে হাসপাতালে পলক
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য অপহরণ ও মারধরের শিকার অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গেলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক।   শুক্রবার (১৯ এপ্লিল) সকালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। এ সময় অসুস্থ দেলোয়ারের শারীরিক অবস্থা ও তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসার পর তিনি সরাসরি তত্ত্বাবধান করছেন। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের পরিচয় যাই হোক, যেন কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়। দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আমি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবে যেন আরও বাকি আসামিরা জড়িত আছেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবেন। যারা তাকে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে তুলে নেয়, আপনারা ভিডিও ফুটেজে দেখেন। এ হামলার সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত এবং তাদের পেছনে কারা আছেন, তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আমাদের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আওয়ামী লীগের উপজেলা বা পৌর শাখার কেউ যদি জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যেন সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।  পলক বলেন, আমি সেই সময় একটি মিটিংয়ে দেশের বাইরে ছিলাম। শোনার পর থেকেই পুলিশ, প্রশাসন এবং আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করি। দেলোয়ার ভাইয়ের যথাযথ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলি। দায়িত্বশীল চিকিৎসকরা তার সুচিকিৎসা প্রদান করেন। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সে দোয়া করি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, নৌকার বিজয়ী সংসদ সদস্য এবং সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি মনে করেছি- এ ধরনের ঘটনা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই, যেন ভবিষতে কেউ কারও পরিচয় দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের দুঃসাহস করতে না পারে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ এপ্লিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বের হন। এ সময় তারা জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে দুর্বৃত্তরা আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে নেয়। এ সময় তারা তাকে গাড়ির ভেতর মারধর করে। পরে বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) ফেলে রেখে চলে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীব রুবেলের বলে জানা যায়। পরে আহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
X