বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
পিতৃত্ব অস্বীকার করায় যুবদল নেতা কারাগারে
ঝালকাঠিতে যুবদল নেতা হিরন মৃধাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। পিতৃত্ব অস্বীকার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে বাদী নাবালক পুত্র মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষে মা আয়েশা আক্তার সুমা রাজাপুর সহকারী ও পারিবারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় গত ১৮ মার্চ আদালত যুবদল নেতা হিরন মৃধার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরের কুমারপট্টিতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান আদালত। বাদীপক্ষ ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের  নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে আয়েশা আক্তার সুমার সঙ্গে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বিয়ে হয় মো. মোকছেদ আলী মৃধার ছেলে যুবদল নেতা হিরন মৃধার। তবে মাত্র দু’মাস সংসার করার পর একই বছর ৭ ডিসেম্বর হিরন মৃধার সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু এরই মধ্যে স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ২০২১ সালের ২০ আগস্ট সাবেক ওই দম্পতির ঘরে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় মো. আব্দুল্লাহ মৃধায়। তবে হিরন মৃধাকে বারবার সংবাদ পাঠানো সত্ত্বেও তিনি ছেলে কোনো খোঁজখবর বা ভরণপোষণ দেননি। একপর্যায়ে সন্তানকে অস্বীকার করায় গত ২২ সেপ্টেম্বর খোরপোষের দাবিতে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর রাজাপুর সহকারী ও পারিবারিক আদালত হিরন মৃধাকে দোষী সাবস্ত্য করে ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ডিক্রি ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায় পালন না করায় বাদীপক্ষ চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে ডিক্রি জারি (নং-২/২৪ইং) মামলা করে। এ মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী নাবালক হওয়ায় তার পক্ষে মা আয়েশা আক্তার সুমা বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার আগে আমার গর্ভে সন্তান ছিল। ছেলে জন্মের পরে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বহুবার জানানো হলেও সে সন্তানের কোনো খোঁজখবর বা ভরণপোষণ দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি।
২৮ মার্চ, ২০২৪
X