৯০ পদে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির ৬টি ক্যাটাগরিতে মোট ৯০ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়  পদ ও জনবল : ০৬টি ও ৯০ জন  চাকরির ধরন : স্থায়ী রাজস্ব  কর্মস্থল : পিরোজপুর প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদন শুরুর তারিখ : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২৩ মে, ২০২৪ ১. পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ পদসংখ্যা : ০৫টি  বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড–১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান/গণিত/অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি  ২. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদসংখ্যা : ০১টি  বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ৩. পদের নাম : স্টোরকিপার পদসংখ্যা : ০৫টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। ৪. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদসংখ্যা : ০৩টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস ৫. পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী পদসংখ্যা : ৭৪টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড–১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস ৬. পদের নাম : ড্রাইভার পদসংখ্যা : ০২টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (অষ্টম শ্রেণি) পাস বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।  আবেদনের বয়সসীমা : ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৬ নং পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও  বিজ্ঞপ্তিটি বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
০২ মে, ২০২৪

পিরোজপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে চাঁদা না দেওয়ায় মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখমের মামলায় আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার অনিরুজ্জামান অনিক জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর ছেলে। ভুক্তভোগী মো. খুরশীদ আলম রায়হান মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক।  এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার ঘটনায় আহত রায়হান বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১২-১৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দয়ের করেন। মামলার বিরণীতে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রায়হান বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর এলজিইডি থেকে ঠিকাদারি ব্যবসার কাজ শেষে বের হন। এ সময় এলজিইডির সামনের বাইপাস সড়কে জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিকসহ ওঁৎ পেতে থাকা ২২-২৩ জন সংঘবদ্ধভাবে রায়হানের ওপর চড়াও হয়। এ সময় রায়হানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ১৫ লাখ টাকা না দিয়ে পিরোজপুর আসছ কেন বলে চেঁচামেচি করতে থাকে অনিক। এ সময় তাকে খুন করার কথা বলে অনিক পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায়, ঘাড়ে ও কানের ওপর আঘাত করলে সে জখম হয় এবং চাঁদার টাকা পরিশোধের কথা বলে। এ সময় চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অনিকের সঙ্গে থাকা সংঘবদ্ধ দল জিআই পাইপ, লাঠিসোঁটা দিয়ে রায়হানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এ সময় রায়হানের সঙ্গে থাকা তার চাচাতো ভাই হাসানুজ্জামান হেলালসহ শাকিল বাবু, নজরুল ইসলাম সোহেল ও জিয়ার ওপরও সবাই চড়াও হয়। এতে তারা সবাই আহত হয়। এক সময় মামলার ২নং আসামি ইয়াসিন সিকদার রামদার কোপে রক্তাক্ত করলে রায়হান নিস্তেজ হয়ে পড়ে। রায়হান মৃত ভেবে তার পকেটে থাকা ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে সবাই সটকে পরে। এ সময় রায়হানের সঙ্গে থাকা মামলার সাক্ষীরা প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রমজান আলী উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে প্রেরণ করেন। এ ব্যপারে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. খুরশীদ আলম রায়হানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনার পর অনিরুজ্জামান অনিকসহ ১৩ জন নামীয় ও ১২-১৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার ১নং আসামি অনিরুজ্জমান অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

হাতে ভাজা মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত পিরোজপুর উদ্যোক্তারা
পিরোজপুরে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদার জোগান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উদ্যোক্তারা। তবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকা উদ্যোক্তারা কাঁচা মালের (ধান) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন মুনাফা অর্জনে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি মেশিনে ভাজা মুড়ি বাজার দখল করায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা আগের থেকে কিছুটা কমেছে। তাই আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে এ শিল্পের উদ্যোক্তার সংখ্যাও। ফলে বাজারে যারা টিকে আছেন তারাও যেন ছাড়তে চাইছেন এই শিল্প। প্রায় অর্ধশত বছর ধরে হাতে ভাজা মুড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বেশ কিছু মুড়ি শিল্প উদ্যোক্তা ও কারিগর। ৫০ বছর ধরে বংশ পরম্পরায় তারা শত তড়াই-উতরাই পেরিয়েও টিকে আছেন এই পেশায়। রমজান কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের। দিনের ১২ ঘণ্টা আগুনের জ্বালে মুড়ি ভাজছেন বেশ কিছু কারিগর। বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রভাব পড়ছে এই পেশাতেও। দিনভর পরিশ্রম করেও চাহিদা অনুযায়ী মুনাফা অর্জন করতে পারছেন না কারিগররা। ধানের দাম বেশি হওয়ায় মুড়ির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে খুব বেশি লাভ করতে পারছেন না পাইকাররাও। নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামের মুড়ির কারিগর নমিতা রাণী বলেন, তিন ঝিকের ৩ চুলায় ৩টি পাত্রে দুজন বসে মুড়ি ভাজতে হয়। প্রথমে ১/২দিন আগে মোটা চাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। এর পর সেই চাল পানি ঝরিয়ে চুলায় থাকা মাটির তাওয়ায় চালে লবণ পানি দিয়ে এক মুঠো নারকেল পাতার শলা দিয়ে নাড়তে থাকি। চালের লবণ পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে একই জায়গায় অন্য চুলার ওপর থাকা আরেকটি তাওয়ায় সেই চাল ঢেলে দেই। এরপর অন্য আরেকজন আবারও শলা দিয়ে নাড়াতে থাকে। এক পর্যায় চালগুলো প্রচণ্ড গরম হয়ে লাল হয়ে গেলে অপর একটি চুলায় থাকা মাটির পাতিলে তপ্ত বালুর মধ্যে ঢালা হয়। পরে সেই পাতিল চুলা থেকে তুলে হাতে ধরে নাড়াতে থাকে। এভাবে চালগুলো মুড়িতে পরিণত হয়। এরপর সেই মুড়িগুলো অন্য একটি পাত্রে ঢেলে রাখি। প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চুলার আগুনের তাপের মধ্যে শ্রম দিচ্ছেন এই শিল্পে। পালা করে দুই দুজন করে চারজন তিন থেকে সাড়ে তিন মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারেন তারা। অন্য কোনো কাজ না থাকায় তারা এ কাজ করেই সংসার চালিয়ে থাকেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামের মুড়ি শিল্প উদ্যোক্তা সুনিল চন্দ্র বেপারি বলেন, আমি এই মুড়ির কারবার করি ২০/২৫ বছর ধরে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মুড়ির ধান প্রতি মণ ১৮শ টাকা করে কিনে আনি। মুড়ি পাইকারি বিক্রি করি ১০৫/১১০ টাকা করে। এতে সামান্য কিছু লাভ হয়। ধানের দাম বেশি, এজন্য তেমন একটা লাভ হয় না। মিলের মুড়ির জন্য আমাদের এই মুড়ির চাহিদা কমে গেছে। তবে আমাদের মুড়ি খেতে খুবই সুস্বাদু। সরকার যদি এই শিল্পের প্রতি নজর দিত তাহলে আমরা ভালোভাবে চলতে পারতাম। পাইকার নিত্যা নন্দ বিশ্বাস বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে মুড়ি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে গ্রাম ঘুরে ঘুরে মুড়ি কিনে থাকি। আমি সব মুড়ি কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাটে পাইকারি বিক্রি করি। উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা করে কিনে নিয়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি করি। এতে বেশি লাভ হয় না। ধানের দাম বেশি বলে বেশি দামে কিনতে হয়। যা লাভ হয় মোটামুটি সংসারটা চলে যাচ্ছে।     এ বিষয়ে মালিখালী ইউনিয়নের লড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) দিপঙ্কর সমাদ্দর বলেন, বাজারে আগে তো হাতে ভাজা মুড়ি ছাড়া অন্য মুড়ি পাওয়া যেতো না। মেশিনে ভাজা মুড়ি তো সেদিন থেকে শুরু হলো। আমরা দুই ধরনের মুড়ির মধ্যে হাতে ভাজা মুড়িটাকে ভালো মনে করি। কারণ হাতে ভাজা মুড়িতে কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। হাতে ভাজা মুড়িতে কোনো সার ব্যবহার করা হয় না। সে কারণে খেতেও অনেক মজা হয়। হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা থাকলেও তেমন পাওয়া যায় না। সরকার যদি এদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে এ শিল্পটা টিকে যেত।         জেলা বিসিকের উপব্যাবস্থাপক আলী আজগর নাছির বলেন, মেশিনে রাসায়নিক সারে ভাজা মুড়ির দাম কম আর কাঁচা মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতে ভাজা মুড়ি শিল্পের কারিগর কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা থাকায় এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব। তাদের এ শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্তে পিরোজপুর জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে।  কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পিরোজপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ প্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ জন্য নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখের মধ্যে (সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা) পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর সদ্য বিলুপ্ত জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও ইফতেখার মাহামুদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ২০ জন সহসভাপতি, ৬ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৪ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রাখা হয়। ১ বছর ২ মাসেও বিলুপ্ত এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারেনি।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত
পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।  শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, পিরোজপুর জেলা শাখার কমিটি সাময়িক স্থগিত করা হলো এবং একই সাথে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখা, পিরোজপুর এর আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কোনো বক্তব্য পাওয়া জায়নি।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

নাশকতার মামলায় পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুকে নাশকতার অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ নভেম্বর) ভোর রাতে ঢাকা থেকে পিরোজপুরে আসার পথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাভলু গাজীর স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি তামান্না জামান আশা কালবেলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তামান্না জামান আশা জানান, দলীয় কাজের জন্য জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে পিরোজপুরে নিয়ে আসেন। তাকে নাশকতার দায়ে অভিযুক্ত করে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা চাই। পিরোজপুর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমান সরকার বিএনপির আন্দোলনকে ভয় পেয়ে পুলিশ দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের যে গণগ্রেপ্তার করছে তার অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তিনি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুর মুক্তিসহ গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন।  পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, নাশকতার অভিযোগে মামলায় গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩
X