পেঁয়াজ আমদানি সুফল বয়ে আনবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে বাংলাদেশে। এ পেঁয়াজ আনা-নেওয়ার বিষয়ে ঝুঁকি নিতে হয়েছে। যদিও এই ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, পেঁয়াজ আনা, দরদাম ঠিক করা প্রত্যেকটা জিনিসই কিন্তু আমরা নিজেরা বসে করেছি। পেঁয়াজের দাম যদি হঠাৎ করে কমে যেত, সেটার কিন্তু একটা সম্ভাবনা ছিল। তারপরও আমরা ঝুঁকিটা নিয়েছি। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা (ভারত) তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট। অন্তত এই পেঁয়াজ ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি বলেন, ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিসর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। টিটু বলেন, এই একই পেঁয়াজ ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ভারত থেকে টিসিবির ১৬শ টন পেঁয়াজ আমদানি
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ৫টায় ৪২টি রেলওয়াগনে করে এ চালান আসে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ পেঁয়াজ আমদানি করেছে।   টিসিবি ভারত থেকে মোট ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। এর মধ্যে প্রথম চালানে আজ ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকল। ইনভয়েসে প্রতি টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৪৩৫ ডলার। এ পেঁয়াজ খালাসে নিযুক্ত দর্শনা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আতিয়ার রহমান জানান, টিসিবি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে। প্রথম চালানে আসা ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের মধ্যে ১২শ টন ঢাকা সিটিতে ও ৪শ টন চট্টগ্রাম সিটিতে যাবে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আসলে সারা দেশে দেওয়া হবে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক জানান, রোববার বিকেলে ৪২টি ওয়াগনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর ইয়ার্ডে এসেছে। এ পেঁয়াজ দর্শনা বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে বুকিং দেওয়া হয়েছে। কাস্টমস ইনভেন্টরি ও শুল্কায়ন, কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র এবং রেলভাড়া পরিশোধের পর রাতেই আমদানি করা পেঁয়াজ সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে চলে যাবে।  দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক ইনভেনটরিতে আমদানি করা এ পেঁয়াজ গুণগত মানসম্পন্ন বলে মনে হয়েছে। যথাযথ শুল্কায়নের পর খুব দ্রুত পেঁয়াজের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এতে বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হবে।’
৩১ মার্চ, ২০২৪

মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে অসহনীয় হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও খুচরা বাজারে বাড়তি দামে ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে দীর্ঘদিন। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার মিয়ানমার থেকে আনা যাচ্ছে পেঁয়াজ।    মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ থেকে শুরু হয়েছে। ৪২ দিন এ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে ১২০ টন পেঁয়াজ ও ৮০ টন শুকনা সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক জানান, মিয়ানমারে আরও ৬০০ টন পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি সামগ্রিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মিয়ানমার থেকে আনা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ আরও ১৫ টাকা যোগ করে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়। বিকেলের মধ্যে পেঁয়াজ খালাস করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে চলমান সংঘর্ষের কারণেই রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ ছিল।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

পেঁয়াজ আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকে ট্যারিফ কমিশনের চিঠি 
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যটির স্থানীয় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশি করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।  গত সোমবার (২১ আগস্ট) পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠিয়েছে সংস্থাটি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  সাধারণত দেশে প্রতি বছর আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়করসহ মোট ১০ শতাংশ শুল্কারোপ আছে। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  জানা গেছে, দেশের পেঁয়াজের স্থানীয় উৎপাদন দ্বারা মোট চাহিদার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। ঘাটতি মেটাতে আমদানির প্রায় শতভাগ ভারত থেকে হয়ে থাকে। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট ভারত সরকার আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে ভারতে প্রতি টন পেঁয়াজের মূল্য ২৮০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৪শ’ থেকে ৪২০ ডলার। এর প্রভাবে স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য মতে, গতকাল ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। তবে সরেজমিনে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  এদিকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিকল্প উৎস মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টিসিবি ও বেসরকারি আমদানিকারকদের উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন মনে করে, এর মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।   
২২ আগস্ট, ২০২৩
X