ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যটির স্থানীয় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশি করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
গত সোমবার (২১ আগস্ট) পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠিয়েছে সংস্থাটি। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাধারণত দেশে প্রতি বছর আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পেঁয়াজের আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুল্ক কাঠামো অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়করসহ মোট ১০ শতাংশ শুল্কারোপ আছে। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের পেঁয়াজের স্থানীয় উৎপাদন দ্বারা মোট চাহিদার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। ঘাটতি মেটাতে আমদানির প্রায় শতভাগ ভারত থেকে হয়ে থাকে। কিন্তু গত ১৯ আগস্ট ভারত সরকার আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে ভারতে প্রতি টন পেঁয়াজের মূল্য ২৮০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে আমদানি মূল্য দাঁড়াবে ৪শ’ থেকে ৪২০ ডলার। এর প্রভাবে স্থানীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য মতে, গতকাল ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। তবে সরেজমিনে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি বিকল্প উৎস মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টিসিবি ও বেসরকারি আমদানিকারকদের উৎসাহিত করার পরামর্শ দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন মনে করে, এর মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।
মন্তব্য করুন