বাসে তুলে নিয়ে প্রকৌশলী হত্যায় হেলপার গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরায় প্রকৌশলী ফুলবাবু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুদ রানা নামে এক বাস হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১ গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। নিহত ফুলবাবু বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের সাইড প্রকৌশলী ছিলেন। ১৩ এপ্রিল দায়িত্ব পালনের সময়ে আসমানি পরিবহনের একটি বাস সরাতে বলার জেরে পরিবহন শ্রমিকরা তাকে মারধর করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান তিনি। র‌্যাব-১-এর সরকারি পরিচালক (অপস) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, বাসের হেলপার মাসুদ রানা ওই ঘটনায় দায়ের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার পর থেকেই র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আবুল হাসান জানান, ঘটনার দিনই তারা আসমানি পরিবহনের বাসচালক আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেন। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।
১১ মে, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / গাহইল খাল পরিদর্শনে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী 
কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর নওগাঁর নিয়ামতপুরের গাহইল খাল পুনর্খননের কাজ পরিদর্শন করেছেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকালে নিয়ামতপুরে খাল পরিদর্শনে যান তিনি। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ কালবেলাকে বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। তাই  গাহইল খাল পুনর্খননের কাজ পরিদর্শনে এসেছি। টেকসই ক্ষুদ্রাকার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খালটির পুনর্খননের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। পরিদর্শনকালে চলমান কাজটি আরও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, খাল পুনর্খনন কাজের চিহ্নিত কিছু ত্রুটি সমাধানের ব্যাপারে কথা হয়েছে। নির্দিষ্ট কাঠামো অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলেছি। সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়ন হলে পুনরায় পরিদর্শন শেষে বিল প্রদানের ব্যাপারে নির্দেশ দিব। গাহইল খালের পুনর্খননে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করতে বলেছি। নিয়ামতপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে খাল পুনর্খনন যেন নিয়ম মোতাবেক দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন করা হয় এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি বলেন, এ ছাড়া খালের পাড়ে বন বিভাগের গাছ থাকায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে হেলে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া গাছগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম, নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ প্রমুখ। এর আগে কালবেলার অনলাইন সংস্করণে ‘খাল পুনর্খনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ নিয়ামতপুর গাহাইল খালের পুনর্খনন কাজ পরিদর্শন করেন।
০৩ মে, ২০২৪

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় প্রকৌশলী নিহত
গাজীপুরের মীরের বাজারে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১ মে) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত শাহাদাত হোসেন মুন্না সড়ক নির্মাণ কোম্পানি ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার রামগতি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে গাজীপুরের বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল মীরের বাজারে যান শাহাদাত হোসেন। সেখানে পৌঁছে মোটরসাইকেলটি ইউটার্ন নেওয়ার সময় একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জিএমপির পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, শাহাদাত হোসেনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০১ মে, ২০২৪

দুর্নীতির মামলায় সওজের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মনির কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসেন পাঠানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশে মনির আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। তার বিরুদ্ধে মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ড্রিমলাইনারের কারিগরি বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলতে বিমানকে মন্ত্রীর নির্দেশ
ড্রিমলাইনার-৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজের বিষয়ে বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত কারিগরি ত্রুটির বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে দ্রুত কথা বলার জন্য বিমানকে নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত উত্থাপিত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে  ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ তৈরিকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশ সরকার এবং বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়। এ সময় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কারিগরি ও মেইনটেনেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে বোয়িংয়ের সঙ্গে বিমানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বিদ্যমান। দ্রুতই এ বিষয়ে অধিকতর তথ্য জেনে মন্ত্রীকে অবহিত করবেন বলেও জানান তিনি।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ল বাস প্রকৌশলী নিহত
প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে প্রবেশের আগেই রাইদা পরিবহনের দ্রুতগতির বাস তার মোটরসাইকেলটি চাপা দিয়ে টার্মিনালের টিনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। দ্রুত প্রকৌশলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ৩৬ বছর বয়সী মাইদুল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। তার কর্মস্থলও ছিল নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, ছুটির সকালে প্রায় যানবাহনশূন্য সড়কে বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। এক সময় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভেতর ঢুকে যায়। পাশ দিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রকৌশলী মাইদুল। তার মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে ঢুকে যায়। তার দেহ চাকা এবং নির্মাণাধীন স্থাপনার পাশে রাখা মাটির ভেতর আটকে থাকে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলটিও তার ওপর আছড়ে পড়ে। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত জানিয়েছেন, রাইদা পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। প্রকৌশলীকে চাপা দিয়ে এর চালক ও হেলপার পালিয়েছে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাসটিতে কী ধরনের ত্রুটি ছিল, তা চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তারের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেই চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া কাগজপত্র যাচাই করে মালিকানাও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বলেন, প্রকৌশলীকে দ্রুত উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মাইদুলের স্বজনরা বলেন, মাইদুল স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর কাওলা এলাকায় সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। তিনি দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভেঙে ঢুকে গেল বাস, নিহত প্রকৌশলী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে পড়ে রাইদা পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এ কর্মকর্তার নাম মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটি রাইদা পরিবহনের বাসের নিচে চলে যায়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমন চন্দ্র দাস বলেন, নিহতের মরদেহের সুরতহাল চলছে। সুরতহাল শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনায় জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

দুদকের মামলায় সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইকরামের স্ত্রী কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্যের মামলায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রংপুর জেলার সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহর স্ত্রী আতিকা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আত্মসমর্পণ করলে গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আতিকা খাতুন তার নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করে তা গোপন করেন। অপরদিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও দখলে রাখেন। এরআগে ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন রাশেদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাল ২ হাজার ২০৬ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদর্শন না করে তা গোপন করেন। তিনি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩ কেটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন ও দখলে রাখেন।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

মারমুখি আচরণেই অভ্যস্ত রাজশাহী চিনিকলের সেই প্রকৌশলী
রাজশাহী চিনিকলের এক প্রকৌশলী তুই তুকারি করে কথা বলতেই পছন্দ করেন। দিনের পর দিন তিনি অফিসের সহকর্মী ও অধীনস্ত কর্মচারীদের এভাবে কথা বলেন। করেন মারমুখী আচরণও। চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পর্যন্ত তিনি তুই তুকারি করে কথা বলেছেন। পরে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সবশেষ গত ২৪ মার্চ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদককে তুই তুকারি করে কথা বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রড দিয়ে শ্রমিক নেতার হাতের আঙ্গুলও ফাটিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি তদন্ত করে তার কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল বাশার। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এই চিঠি ইস্যু করা হয়। অভিযুক্ত সামিউল ইসলাম রাজশাহী চিনিকলে সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) পদে কর্মরত। গত ২৪ মার্চ চিনিকল সিবিএর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় চিনিকল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কমিটি তদন্ত শেষ করে এমডির কাছে প্রতিবেদন দেয়। এর প্রেক্ষিতে সামিউল ইসলামের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। এ  ছাড়া সিবিএ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলামের কাছেও কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। তাদের সাতদিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।  তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামিউলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন তিন কর্মচারী। এ জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- টারবাইন অপারেটর সোহেল রানা, খালাসি আলমগীর হোসেন ও হিসাব শাখার অফিস সহায়ক মুরাদুল ইসলাম। সহকারী ব্যবস্থাপক (সিভিল) সামিউল ইসলামের কৈফিয়ত তলবের চিঠিতে বলা হয়েছে, চিনিকলের টারবাইন অপারেটর সোহেল রানার কোয়ার্টারে পানির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে সামিউল ইসলাম সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি শ্রমিক নেতাকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন এবং শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেন। কাজের অগ্রগতির বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না দিয়ে এমন আচরণ করে তিনি অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শ্রমিকেরা জানান, সবার সঙ্গে এমন আচরণই করে থাকেন সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম। বিভিন্ন সময় তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। বছরখানেক আগে চিনিকল সংলগ্ন হরিয়ান বাজারে কাঠ ফাঁড়াই করতে গিয়ে এক স’মিলে চিনিকলের এমএলএসএস মনসুর আলীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অন্য শ্রমিকেরা তাকে সামিউলের হাত থেকে রক্ষা করেন। মাস ছয়েক আগে চিনিকলের যান্ত্রিক প্রকৌশল প্রধান মেসবাউল ইসলামের সঙ্গেও একই আচরণ করেন তিনি। সেদিন চিনিকলে নতুনের জায়গায় পুরাতন বোরিং পাম্প ও পাইপ বসাচ্ছিলেন প্রকৌশলী সামিউল। মেসবাউল ইসলাম এই অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সামিউল তার সঙ্গে মারমুখী হন তিনি। রাজশাহী চিনিকলের অধীনেই পরিচালিত হয় চিনিকল উচ্চবিদ্যালয়। প্রকৌশলী সামিউল এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসলাম আলীর সঙ্গেও তুই তুকারি করে কথা বলেছেন। শুক্রবার দুপুরে আসলাম আলী বলেন, ‘বছরখানেক আগে স্কুলে একটি কাজ চলছিল। এক সকালে প্রকৌশলী সামিউল ফোন করে বলেন, ‘এই হেড মাস্টার সাহেব আপনি কোথায়?’ আমি বলি, আপনি এভাবে কথা বলছেন কেন? এ সময় তিনি বলেন, ‘তোর সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে?’ তুই তুকারি করে আরও অনেক খারাপ কথা বলেন তিনি। আমি একটি নোট দিয়ে বিষয়টি চিনিকলের এমডিকে জানাই। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সামিউলের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সবার সঙ্গেই এ রকম আচরণ করেন।’ এ বিষয়ে প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম বলেন, তিনি এখনও কৈফিয়ত তলবের চিঠি পাননি। চিঠি পেলে জবাব দেবেন। অধীনস্থদের সঙ্গে মারমুখী আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। প্রধান শিক্ষককে তুই তুকারি করার প্রসঙ্গ তুলতেই ‘তার সঙ্গে কিছুই হয়নি’ বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সংস্কার খাতে প্রতি অর্থবছরে চিনিকলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এগুলোর বেশিরভাগ অর্থই ভুয়া ভাউচারে নয়ছয় করেন প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম। তিনি চিনিকলের এমডিকেও তছরুপ করা অর্থের ভাগ দেন। এ জন্য এমডি সামিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। রফিকুলকে মারধরের ঘটনায় এমডি শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াই নিজেদের কর্মকর্তাদের নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। নিজেদের মতো করে তদন্ত প্রতিবেদন করে সামিউলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্টো ‘শায়েস্তা’ করতে তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি এবং আমার সাধারণ সম্পাদক রফিকুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’ সিবিএ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে রড দিয়ে মেরে আঙ্গুল কেটে দিয়েছেন সামিউল। এ ঘটনায় এমডির কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এ অভিযোগের তদন্ত হয়নি। সামিউল উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ তদন্ত করে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের কারণে চিনিকলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’ জানতে চাইলে চিনিকলের এমডি আবুল বাশার বলেন, ‘রফিকুল সিবিএ নেতা পরে, আগে আমার কর্মচারী। তিনি তার বিভাগের মাধ্যমে অভিযোগ না করে সংগঠনের পক্ষ থেকে করেছেন। এ জন্য তার অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়নি।’ সামিউলের তুই তুকারি করে কথা বলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক একটা নোট দিয়েছিলেন। আমি তাদের মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। আর সামিউলের বদলির জন্য মৌখিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেছিলাম। কিন্তু বদলি করা হয়নি। এরমধ্যে এবার শ্রমিক নেতার সঙ্গে ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা ঘটল।’ সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সব কাজ স্বচ্ছভাবেই হয়।’ উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে ঘটনাটি সরকারী প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিযোগের তদন্ত করছে না পুলিশ। তবে ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার মহাব্যবস্থাপক (পরিদর্শন ও তদন্ত) আকুল হোসেনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির দুই সদস্য হলেন- ব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাইফুল ইসলাম ও উপব্যবস্থাপক (পুরকৌশল) শাহিনুল ইসলাম। শুক্রবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা চিনিকলেই অবস্থান করছিলেন। তদন্ত কমিটির প্রধান আকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সময় নেব। সঠিক বিষয়টা আমরা তুলে আনতে চাই। তারপর আমরা করপোরেশনে প্রতিবেদন দেব। সে অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
৩০ মার্চ, ২০২৪

ফেনীতে এলজিইডির প্রকৌশলী ও কর্মচারীদের মারধর
ফেনীতে সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়ন এন্টারপ্রাইজের লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৭ মার্চ) সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর শর্শদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা, কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজু। ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত করা ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এলজিইডির সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা কেল্লা শাহ সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে কাজে অনিয়ম দেখতে পেয়ে তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমলে নেয়নি। বুধবার সকালে অফিসের কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার ও নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকে নিয়ে ফের পরিদর্শনে যান। সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ায় সতর্ক করে পুনরায় দিতে নির্দেশ দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের মারধর করে। আহত মাসুদ রানা বলেন, সড়কে বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। কাজ ঠিক করে পুনরায় বিটুমিন দিতে তাদেরকে নির্দেশনা দেই। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহেল ও শ্রমিকদের দলনেতা মোফার নেতৃত্বে শ্রমিকরা মারধর শুরু করে। আমাকে বাঁচাতে এলে কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকেও মারধর করে তারা।   এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাস গুপ্ত বলেন, ঘটনাটি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ফেনীর যেকোনো উন্নয়ন কাজে অনিয়মের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যেই অনিয়ম করবে, কোনো পরিচয়ই তাকে রেহাই দিতে পারবে না। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবদুল আহাদ নয়ন বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৮ মার্চ, ২০২৪
X