Thu, 16 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
এসএসসি পাসে ওয়ালটনে নিয়োগ, বয়স ২০ হলেই আবেদন
২ মিনিট আগে
ঝড়ের সঙ্গে সতর্ক সংকেত জারি
৩০ মিনিট আগে
উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোয় মনোযোগ দিতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
৩৩ মিনিট আগে
ড. ইউনূসের কর ফাঁকি মামলার প্রথম দিনের শুনানি শেষ
৪৬ মিনিট আগে
ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ
৪৫ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৬ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সম্পর্ক গভীর করতে চীনে পুতিন
চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাকে আড়ম্বরপূর্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পশ্চিমা শক্তির বিপরীতে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শি বন্ধু পুতিনের আগমনে প্রস্তুতির কোনো কমতি রাখেননি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানানো অভ্যর্থনা ছিল রাজকীয়। যথারীতি ছিল লালগালিচা সংবর্ধনা। সঙ্গে ছিল মোটরবাইক শোভাযাত্রা। দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পুতিনের আগমনে রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে চীনের পথঘাট। পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সফরকালে পুতিন ব্যস্ত সময় পার করবেন। শির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দিনের পরের ভাগে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন পুতিন। আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন চীন। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েক দিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। এরপর দুজন একসঙ্গে ঘোষণা দেন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব থাকবে। পুতিনের চীন সফরের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে সফর করছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
যে কারণে বন্ধু শি’র দেশ সফরে পুতিন
বিশ্বজুড়ে পশ্চিমাদের যে একক আধিপত্য, তার ইতি টানতে বদ্ধপরিকর চীন। এই কাজে দেশটির পাশে রয়েছে আরেক পরাশক্তি রাশিয়া। দেশ দুটির প্রেসিডেন্টের মধ্যেও রয়েছে দারুণ শখ্য। যখন ন্যাটোভুক্তিতে বাধা দিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় মস্কো। এর জেরে নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হয়ে যায় পুতিনের দেশ। শঙ্কা ছিল- নিষেধাজ্ঞার তলে চাপা পড়বে রাশিয়ার অর্থনীতি। কিন্তু ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের মতো দেশের কারণে নিষেধাজ্ঞা কাবু করতে পারেনি মস্কোকে। বরং যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। সেই সম্পর্কের পার আরও চড়িয়ে দিতে এবার বন্ধু শি জিনপিংয়ের দেশে সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে চীনে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের পক্ষ থেকেই পুতিনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েকদিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। এরপর দুজন একসঙ্গে ঘোষণা দেন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব থাকবে। পুতিনের চীন সফরের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, “চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ভ্লাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ১৬ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন।” গেল ছয় মাসের মধ্যে পুতিনের এটি দ্বিতীয় চীন সফর হবে। ইউক্রেনে হামলার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চীন। রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখায় চীন পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। যদিও এগুলো তারা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পশ্চিমা দেশগুলো। বর্তমানে চীনের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো রাশিয়া। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত বছর চীনে রাশিয়ার তেল রপ্তানির পরিমাণ ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুতিন এবং জিনপিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।
১৫ মে, ২০২৪
কেন বন্ধু শি’র সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন পুতিন?
বিশ্বজুড়ে পশ্চিমাদের যে একক আধিপত্য, তার ইতি টানতে বদ্ধপরিকর চীন। এই কাজে দেশটির পাশে রয়েছে আরেক পরাশক্তি রাশিয়া। দেশ দুটির প্রেসিডেন্টের মধ্যেও রয়েছে দারুণ সখ্যতা। ন্যাটোভুক্তিতে বাধা দিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় মস্কো। এর জেরে নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হচ্ছে পুতিনের দেশ। শঙ্কা ছিল- নিষেধাজ্ঞার তলে চাপা পড়বে রাশিয়ার অর্থনীতি। কিন্তু ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের মতো দেশের কারণে নিষেধাজ্ঞা কাবু করতে পারেনি মস্কোকে। বরং যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। সেই সম্পর্কের পার আরও চড়িয়ে দিতে এবার বন্ধু শি জিনপিংয়ের দেশে সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে চীনে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের পক্ষ থেকেই পুতিনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালানোর নির্দেশ দেন পুতিন। এর কয়েক দিন আগে বেইজিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তার। এরপর দুজন একসঙ্গে ঘোষণা দেন চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব থাকবে। পুতিনের চীন সফরের ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন বলেছে, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ভ্লাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ১৬ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন।’ গেল ছয় মাসের মধ্যে পুতিনের এটি দ্বিতীয় চীন সফর হবে। ইউক্রেনে হামলার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চীন। রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখায় চীন পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। যদিও এগুলো তারা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পশ্চিমা দেশগুলো। বর্তমানে চীনের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো রাশিয়া। পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত বছর চীনে রাশিয়ার তেল রপ্তানির পরিমাণ ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুতিন এবং জিনপিং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন।
১৫ মে, ২০২৪
বাইডেন যেভাবে পেলেন ‘জেনোসাইড জো’ কুখ্যাতি
জর্জিয়ার আটালান্টায় গত ১০ মার্চ নির্বাচনী প্রচারণায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ডিক্টেটর বলছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় বাইডেনকে থামিয়ে দেন এক ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী। তিনি বলেন, তুমিই ডিক্টেটর জেনোসাইড জো, তোমার কারণে গাজায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।ফিলিস্তিনপন্থি ওই আন্দোলনকারীর তোপের মুখে পড়ে তটস্থ হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই ঘটনার পর থেকেই জেনোসাইড জো বা গণহত্যাকারী জো কথাটি বাইডেনের নামের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা আমেরিকা এবং এর বাইরের বিভিন্ন বিক্ষোভে তাকে এই নামে আখ্যা দিয়েছেন। এ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিক্ষোভ। আগামী নির্বাচনে বাইডেনের ফের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির ছাত্র বিক্ষোভ। সেখান থেকেও বাইডেনকে ডাকা হচ্ছে— জেনোসাইড জো বলেই! সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাইডেন। সেখানে কোনো রাখঢাক ছাড়াই সাংবাদিক এরিন বার্নেট তাকে প্রশ্ন করেন— মি. প্রেসিডেন্ট ক্যাম্পাসগুলোয় চলমান ছাত্র আন্দোলন জেনোসাইড জো স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, আপনি কি তরুণ সেসব আমেরিকানদের কথা শুনেছেন? জবাবে বিব্রতবোধ করা বাইডেন জানান, তাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। তবে, বিদ্যমান আইন মানতে হবে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। গাজায় ইসরায়েলি হামলার অন্ধ সমর্থন দেওয়ায় এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাইডেনের এই জেনোসাইড জো নামটি বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একশরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ। এ সময় দুই হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের জোয়ারে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাইডেন আগের চেয়ে আরও বেশি বাধার মুখে পড়ছেন বলে মনে হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যা তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষের ঝড় বইয়ে দিয়েছে; যারা কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে। এই তরুণরা এবং তাদের কাছাকাছি দৃষ্টিভঙ্গির অন্যান্য সংখ্যালঘু যেমন– লাতিন, এশিয়ান, আফ্রিকান-মার্কিন সম্প্রদায়ের সদস্যরা মূলত ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোটার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। তাদের সমর্থন বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম, যা পেলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবেন বাইডেন। বিভিন্ন জরিপে বাইডেনের জনপ্রিয়তা অনেকাংশে কমেছে। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা কমার পেছনে একটি কারণ হলো গাজার যুদ্ধ। যেহেতু তরুণদের একটি বড় অংশ মনে করে, ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো ন্যায়সংগত নয়। মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ এর অনুমোদন দিয়েছিল। ৭১ শতাংশ অসম্মতি জানিয়েছিল এবং অসম্মতির পক্ষে তরুণদের অবস্থান।
১৫ মে, ২০২৪
মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ইসরায়েলের গোপন আঁতাত ফাঁস
গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গেল সপ্তাহে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ রাফাহ সীমান্তের ফিলিস্তিন অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। এবার খবর বেরিয়েছে, রাফা সীমান্তে প্রতিনিধি পাঠাতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন দেশের কর্মকর্তাদের বরাতে এমন খবর ছেপেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইসরায়েলি সরকারের গোপন আঁতাতের অভিযোগ অনেক পুরোনো। গেল অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সেই অভিযোগের পালে নতুন করে হাওয়া লেগেছে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই চায়, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব থাকুক। কিন্তু হামাসের কারণে তেলআবিবের সেই খায়েশ পূরণই হচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গেল সপ্তাহে সোমবার রাফার সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর ওই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এমন অবস্থায় ইসরায়েল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মিসর। কায়রোর দাবি, রাফা সীমান্ত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে গেলেই তারা ট্রাক যেতে দেবে। ইসরায়েলের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলছেন, তারা রাফার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের কাছে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে হামাসঘেঁষা কাউকে ইসরায়েল চায় না বলেও জানিয়েছেন তারা। গেল সপ্তাহেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রস্তাব দেন যে, রাফা সীমান্ত পরিচালনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তবে ওই কর্মকর্তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সদস্যের ভূমিকায় থাকতে পারবে না বলে শর্ত দেয় ইসরায়েল। অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলের এমন শর্তে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও তার উপদেষ্টা। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন যে, ‘আন্ডারকভার’ হিসেবে রাফা সীমান্তে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো ১০ দিন ধরে আটকে রাখা ফিলিস্তিনের রাজস্ব ছেড়ে দিতে ইসরায়েলে প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আব্বাস। রাজস্বের ওই অর্থের ওপর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বাজেট নির্ভর করে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর আব্বাস সরকারকে চাপে রাখতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব। অবশ্য ওই বাজেটের অর্থ ছেড়ে দিলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মকর্তাদের রাফা সীমান্তে পাঠাবে না। কারণ তাদের আশঙ্কা কর্মকর্তাদের হত্যা করতে পারে হামাস। আব্বাস সরকারও চায় রাফার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে হস্তান্তর করা হোক। তবে সেটা তাদের পাশ কাটিয়ে ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নয়। বরং তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেই রাফার নিয়ন্ত্রণ চায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তেমন কিছুর ব্যাপারে ইসরায়েলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে রাফায় কর্মকর্তা পাঠাতে আপত্তি নেই আব্বাসের।
১৫ মে, ২০২৪
প্রকাশ্যেই গাজার যোদ্ধাদের সাহায্য করছেন এরদোয়ান
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তলানিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল-তুরস্কের সম্পর্ক। সবশেষ গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ সম্পর্ক এবার চূড়ান্ত অবনতির পথে হেটেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধ করা হয়েছে সবধরনের তুর্কি বাণিজ্য। এমন পরিস্থিতিতে হামাসকে সন্ত্রাসী নয় বরং তুর্কি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসায় ভাসেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এবার আর সমর্থন নয় প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিলেন হামাসকে দেওয়া তুর্কি সহায়তার। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের সঙ্গে সোমবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এরদোয়ান আবার হামাসের প্রতি নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানান, হামাসকে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করেন না। বরং তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার সৈনিকের দায়িত্ব পালন করছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্ক তার সাধ্যমতো হামাসকে সব সময় সহায়তা করে যাবে। এ সময় তুরস্কের হাসপাতালগুলোতে কয়েক হাজার হামাস যোদ্ধা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, যখন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হবে তখন তুরস্কের আপত্তি থাকবে। আমি কখনোই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করি না। আমি এখন পর্যন্ত হামাসকে ধাপে ধাপে অনুসরণ করছি। আমার দেশে, আমাদের হাসপাতালে হামাসের এক হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে। তারা সবাই চিকিৎসাধীন এবং আমরা এভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অবশ্য এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তুরস্কের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এখানে শুধু হামাস সদস্য নয় বরং হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা থেকে আসা আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার কথা উল্লেখ করা হয়ছে। গেল বছরের নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের পর আঙ্কারা আহত বা অসুস্থ গাজাবাসী, প্রধানত উপত্যকার ক্যান্সার রোগীদের তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ সময় এরদোয়ান ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবকে তুলে ধরে, জোর দিয়ে জানান- একটি স্থায়ী সমাধানের চাবিকাঠি ১৯৬৭ সালের সীমানার ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে নিহিত। যার রাজধানী হিসেবে ‘পূর্ব জেরুজালেম’ শহরকে মেনে নিতে হবে।
১৫ মে, ২০২৪
এক শর্তে কালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব : বাইডেন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বন্দি ইসরায়েলি সব জিম্মিকে হামাস মুক্তি দিলে আগামীকাল সোমবার (১৩ মে) যুদ্ধবিরতি সম্ভব বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শনিবার সিয়াটলে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর সিএনএনের। বাইডেন বলেন, আমি যেমনটা বলেছি, এটি হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা চায় তাহলে আমরা আগামীকালই একটি যুদ্ধবিরতি করতে পারব। আর যুদ্ধবিরতি আগামীকাল থেকেই শুরু হবে। গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
১২ মে, ২০২৪
ইসরায়েলকে পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই খবর জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী রাফা সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সে সঙ্গে শহরটিতে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে দুঃখিত হয়েছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাফা শহরে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংক বহর ফিলিস্তিনের সীমান্ত নগরী রাফাতে প্রবেশ করেছে যা খুবই উদ্বেগজনক। পুতিনের বার্তা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়া এই অনুপ্রবেশকে আগ্রাসন এবং ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকের এলাকায় একটি অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিভিন্ন ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, রাফা শহরে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো যে কোন হুমকিকে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচনা করবে মস্কো। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। কিন্তু ‘শর্ত পূরণ না হওয়ায়’ এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে তারা রাফা অঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দিয়েছে তারা। বর্তমানে রাফা শহরে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রয়েছেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবন আবারও হুমকির মুখে পড়েছে।
০৯ মে, ২০২৪
ইসরায়েলের রাফা অভিযান নিয়ে বাইডেনের কড়া হুঁশিয়ারি
গাজার রাফায় ইসরায়েলের হামলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আবারও অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন এখনই রাফায় স্থল অভিযান চায় না। এ বিষয়ে ইসরায়েলকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছেন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজার রাফা শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। বাইডেন বলেন, ‘যদি তারা রাফায় প্রবেশ করে আমি কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেব। আমি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে স্পষ্ট বলেছি, যদি তারা জনবহুল এলাকগুলোতে অভিযান চালায়, তাহলে তারা আমাদের সমর্থন পাবে না।’ তবে ইসরায়েলকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও বক্তব্যে অঙ্গীকার করেন। এর আগে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল। বিবিসি জানায়, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্ত্র ও গোলাবারুদের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। তেল আবিব যেন প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে, তাই প্রতি বছর ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেয় মার্কিন প্রশাসন। গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তাদেরও আশঙ্কা, রাফায় ইসরাইলের সর্বাত্মক অভিযান অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটবে এবং মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই যুক্তরাষ্ট্র এখনই রাফায় স্থল অভিযান চায় না। এ ছাড়া মনে করা হচ্ছে, হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সমর্থনের জন্য ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার ওপর চাপ বজায় রাখতে চায় বাইডেন প্রশাসন। মিসরের কায়রোয় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইসরাইল এ আলোচনায় কোনো আপসরফায় পৌঁছতে রাজি না হলে তাদের চড়া মূল্য দিতে বাধ্য করবে মার্কিন প্রশাসন। কারণ, এই যুক্তি যে মানা হবে, মধ্যস্থতকারী কাতার ও মিসরকে তার নিশ্চয়তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল যে মার্কিন সাহায্যনির্ভর বোমার চালান আটকে এবং আরও চালান আটকানোর হুমকি দিয়ে তা আবারও অনুধাবন করাল ওয়াশিংটন। ইসরায়েলের প্রতি হঠাৎ বাইডেনের বিরূপ আচরণের বিষয়ে আরও একটি কারণ আলোচনা হচ্ছে। তা হলো- যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গাজা ইস্যুটি জড়িয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থনের রাশ টেনে ধরতে ডেমোক্র্যাটিক সমর্থকদের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছেন। কারণ, আসন্ন নির্বাচনে এই ইস্যুতে তরুণ ভোটারদের কাছ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন বাইডেন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চোখ রাঙাচ্ছে বাইডেনের নির্বাচনী ফলাফলকে। এর জেরে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে বোমা সরবরাহ আটকে দেওয়া এবং রাফায় হামলার বিরোধিতা প্রকাশ করছেন বাইডেন।
০৯ মে, ২০২৪
জনপ্রিয়তা হারিয়ে খেসারত দিতে হয় প্রেসিডেন্ট জনসনকে
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিন্ডন বি জনসন। তিনি বেশ জনপ্রিয় এক প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কিন্তু ভিয়েতনাম যুদ্ধের কারণে তার সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। এ যুদ্ধের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে শিক্ষার্থী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। তরুণদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নাম লেখানো হয়েছিল। তখনকার মুষ্টিযুদ্ধের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলি ভিয়েতনামের যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানান। চিকিৎসক বেনজামিন স্পোকও যুদ্ধে অংশ নিতে অসম্মতি জানান। আলির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেতাব কেড়ে নিয়েছিল সরকার। জেল হয়েছিল তার ও স্পোকের মতো আরও অনেকের। এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনগণ। ভিয়েতনাম-প্রশ্নেই ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের ওপর আস্থা হারিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রবাসী। আর এরই জেরে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। রিপাবলিকান আর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তাও ছিল চমকপ্রদ। পরে নানা নাটকীয়তার পর ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হুবার্ট হামফ্রেকে হারিয়ে দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী রিচার্ড নিক্সন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
০৯ মে, ২০২৪
আরও
X