বিব্রতকর ফেসবুক স্টোরি বন্ধ করবেন যেভাবে
বর্তমান সময়ে ফেসবুক পোস্টের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে স্টোরি পোস্ট। ১ দিনের জন্য এ পোস্টে ফটো, ভিডিও শেয়ার করা যায়। সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায় পছন্দের মিউজিক। যে কারণে সুবিধাটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পোস্টকালে স্টোরিতে কারও নাম মেনশন করলে সেই ব্যক্তি চাইলে স্টোরিটি শেয়ার করতে পারেন। যা অনেকের ক্ষেত্রে বিব্রতকর হতে পারে। যদিও আপনি চাইলেই ফেসবুক স্টোরি শেয়ারের সুবিধা বন্ধ করতে পারেন। বন্ধ করবেন যেভাবে  ফেসবুক স্টোরি শেয়ারের সুবিধা বন্ধের জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে স্ক্রল করে সেটিংস অ্যান্ড প্রাইভেসি নির্বাচন করে সেটিংস বাটনে ট্যাপ করুন। এবার স্ক্রল করে অডিয়েন্স অ্যান্ড ভিজিবিলিটির নিচে থাকা স্টোরিজ অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার পরের পেজে প্রদর্শিত অপশন থেকে শেয়ারিং অপশনস নির্বাচন করলেই দুটি অপশন দেখা যাবে। ‘অ্যালাউ আদারস টু শেয়ার ইয়োর পাবলিক স্টোরিজ টু দেয়ার ওন স্টোরি’-এর নিচে থাকা ডোন্ট অ্যালাউ অপশন নির্বাচন করলে অন্য কেউ স্টোরি শেয়ার করতে পারবেন না।
০৭ মে, ২০২৪

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিচার চেয়ে উপাচার্যকে সহকর্মীদের চিঠি
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচারের সুপারিশ করেছেন তার বিভাগেরই সব শিক্ষক। বিভাগটির ১১১তম একাডেমিক সভায় সব শিক্ষকই এ সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) উপাচার্য বরাবর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একাডেমিক কমিটির সব শিক্ষকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার তার ফেসবুকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি কমিটি ও ডিগ্রি প্রদান বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং তিনি বারবার ফেসবুকে এটা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন কখনই বিভাগের কোনো পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন না। তার এমন মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে ড. আবুল হোসেনসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। একইসঙ্গে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, নির্বাহী কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটসহ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড হতে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থণা করে। একাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। একাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে। এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানী করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, ফেসবুকে ভিসি, ডিন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালাগালের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিনের অভিযোগ
ফেসবুক পোস্টে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ডিন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য হওয়ার অভিযোগ এনে শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। প্রকৃতপক্ষে, আমি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের (বর্তমান প্রক্টর) পিএইচডির একটি উন্মুক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পিএইচডি সেমিনারে আমন্ত্রিত হলে সকল ডিন যাবার চেষ্টা করি। কমিটির সদস্য না হলেও মিথ্যা পোস্টে আমার সম্মান ও পেশাগত মর্যাদার হানি হয়েছে। একজন ডিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ন  করছেন বলে মনে করি। অভিযোগপত্রে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. আবুল হোসেন আরও বলেন, এর আগেও তিনি (সেকেন্দার) আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন, যা সাবেক উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সেকান্দারের যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে খতিতে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক সালেহ সেকেন্দারের ফেসবুক পোস্টের সত্যতা মেলেনি। পিএইচডি সেমিনারের তিন সদস্যের মূল্যায়ন কমিটিতে তিনি ছিলেনই না। এদিকে এর আগে ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, অসৌজন্যমূলক আচরণে দুই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডিন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালাগালসহ নানা ঘটনায় ২০১৯ সালে ৭১তম বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পান শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার। এরপর থেকে সিনিয়র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফেসবুকে গালাগালসহ পোস্ট দিতে থাকেন তিনি। ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’সহ নানা কটূক্তি করায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষকের থেকে শিক্ষক সুলভ আচরণ কেউই পাচ্ছে না। অভিযোগ এসেছে শুনেছি। নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে সবাইকে। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ করছে তার বিরুদ্ধে। উনি শিক্ষক কিনা আমার সন্দেহ হয়। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুক পোস্টে লালনের গান, আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন যুবক
ফেসবুক পোস্টে লালনের গানের দুই লাইন লিখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে আটককৃত যুবককে জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিব হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।  শরীয়তপুর জেলা কোর্ট পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে স্ট্যাটাসকে ঘিরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের হরি নারায়ণ রক্ষিতের ছেলে সঞ্জয় রক্ষিতকে (৪০) ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার আটক করে। সঞ্জয় পেশায় স্বর্ণকার। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ (১) এর ধারায় তাকে আটক করা হয়েছিল। পরে ৫০ টাকার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন ভবিষ্যতে তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।  এ বিষয়ে রোববার রাত ১০টার দিকে ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মিন্টু মন্ডল টেলিফোনে বলেন, ফেসবুকের স্টোরিতে দুটি লাইন লেখাকে ঘিরে সঞ্জয় রক্ষিত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দাবি করেছেন, এই লেখার মাধ্যমে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তাই সামাজিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে সঞ্জয়কে আটক করে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারা অভিযোগ করেছেন, জানতে চাইলে ওসি তাদের নাম উল্লেখ না করে বলেন, স্থানীয় কয়েকজন এই অভিযোগ করেছেন। যে গানের দুটি লাইন লিখে স্টোরিতে দিয়েছেন সঞ্জয়, সেটি লালনের গানের অংশ তা জানেন কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, কোনো কিছু জানার থাকলে থানায় আসেন। আমি এখন ব্যস্ত আছি, এখন কথা বলতে পারব না। উল্লেখ্য, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’ লালনের এ গানের দুটি লাইন লিখে ফেসবুক স্টোরিতে দেওয়ায় ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করার অভিযোগের পর রোববার তাকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সঞ্জয়ের ফেসবুকের স্টোরির স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, তিনি সেখানে লিখেছেন- 'সুন্নতে খাতনা দিলে যদি হয় মুসলমান, তাহলে নারী জাতির কী হয় বিধান'। এই দুটি লাইন লালনের 'সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে' গানের।  যদিও লালনের গানের এই দুইটি লাইনের মধ্যে খাতনা শব্দটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাতনা শব্দটি সঞ্জয় রক্ষিত সম্ভবত নিজ থেকে যুক্ত করেছিলেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুক ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ!
আজকাল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয়গুলো বিভিন্ন দাপ্তরিক প্রয়োজনে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে থাকে। কম সময়ে অধিক লোকের কাছে তথ্য পৌঁছানো যায় বলেই এ পথ অবলম্বন করা হয়। তবে, এ পথে না হাঁটার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে ডাচ প্রাইভেসি ওয়াচডগ এপি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে এমন পরামর্শই দিয়েছে এপি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারের ফেসবুক পেজের সঙ্গে যুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে কি করা হয়, তা জানার আগ পর্যন্ত সংস্থাগুলো যেন ফেসবুক ব্যবহার না করে। এপির চেয়ারম্যান আলেইদ ওলফসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোর ফেসবুক পেজে যেসব ব্যবহারকারী যুক্ত আছেন, তাদের ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্যের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত।’ এ বিষয়ে এরই মধ্যে ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটাকে জানানো হয়েছে। ডিজিটালাইজেশন মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী আলেকসান্দ্রা ভ্যান হাফেলেন মেটার সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। আলেকসান্দ্রা ভ্যান হাফেলেন বলেন, ফেসবুক এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আমরা এটি ব্যবহার বন্ধ রাখব। তারা যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ফেসবুক ব্যবহারই বন্ধ করে দেব বলেও জানান তিনি।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

শাকিবের মার্কিন নায়িকাকে নিয়ে অপু বিশ্বাসের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ঢাকায় সিনেমার সুপার স্টার শাকিব খান প্রথমবারের মতো মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফির সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে এই জুটির সিনেমা ‘রাজকুমার’। এরই মধ্যে সিনেমাটির দুটি গান মুক্তি পেয়েছে। যেখানে কোর্টনির সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সে মেতেছেন শাকিব খান। বিশেষ করে টাইটেল গানের পরে ‘বরবাদ’ শিরোনামের গানটিতে এই জুটির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরাও। গানটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাসও। কথা বলেছেন কোর্টনিকে নিয়ে। কোর্টনি কফির একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে তার রূপের প্রশংসা করছেন তিনি। ছবিটি শেয়ার করে অপু বিশ্বাস লিখেছেন, ‘মিষ্টি দেখতে।’ রাজকুমার সিনেমায় ‘বরবাদ’ গানটি লেখার পাশাপাশি সুর-সংগীত করেছেন কিংবদন্তি প্রিন্স মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন নতুন গায়ক আলিফ। ‘বরবাদ’ এর দৃশ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের হলুদ সরিষা ক্ষেত, রেলওয়ে স্টেশনের সৌন্দর্য। তেমনি এর সঙ্গে দেখা গেছে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন দৃশ্য। নায়িকা কোর্টনি কফির সঙ্গে শাকিবের প্রেমময় রসায়ন যেমন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তেমনি রয়েছে বিরহের আঁচ। কারণ এই গানের মূল বাণীতে রয়েছে বিরহের বন্দনা। রাজকুমার চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে পারিবারিক সম্পর্ক এবং একজন স্বপ্নবাজ তরুণের বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাত্রার গল্পকে কেন্দ্র করে। এতে শাকিব-কোর্টনি ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, এরফান মৃধা শিবলু, ডা. এজাজ প্রমুখ।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ফেসবুক চ্যাটিং করে প্রেমে পড়লেন কেয়া পায়েল
মনের মানুষটাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য পৃথিবীতে কত ঘটনাই ঘটে। তবে সব ঘটনাকে ছাপিয়ে এই ঘটনাটি একেবারেই ব্যতিক্রম। যা দেখা যাবে ঈদের বিশেষ নাটক ‘মাধবীলতা’য়। প্রবীর রায় চৌধুরী ও অনিক ইসলামের যৌথ চিত্রনাট্যে এটি নির্মাণ করেছেন প্রবীর নিজেই। আর তাতে প্রধান দুই প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল। সিএমভির ব্যানারে নির্মিত বিশেষ এ নাটকে দেখা যাবে, প্রেমিকা কেয়া পায়েলকে পেতে প্রেমিক জোভানের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে। সেটি কী, জানতে হলে দেখতে হবে পুরো নাটক। গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, ফেসবুক চ্যাটিং করে একে অপরের প্রেমে পড়ে যান জোভান ও কেয়া পায়েল। প্রেমের গভীরতা যখন বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তখন জোভান আবিষ্কার করেন পায়েলের এক নতুন জটিলতা। যেটার কথা শুনে জোভানের পরিবার বেঁকে বসে। শুরু হয় প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য জোভানের অন্যরকম আত্মত্যাগের প্রক্রিয়া। প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘মাধবীলতা’ নাটকটি উন্মুক্ত হবে আসছে ঈদের বিশেষ আয়োজনে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে।  
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

হিরো আলমের ফেসবুক পেজ হ্যাক, ছড়ানো হচ্ছে অশ্লীল ছবি 
কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সিনেমার কাজে বর্তমানে কলকাতায় অবস্থান করছেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি কালবেলাকে জানালেন আবারও হ্যাকার কবলে পড়েছে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ। শনিবার রাত ২টা ৫০ এর দিকে তার ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, উগান্ডা সাইবার টিম দ্বারা পেজটি হ্যাক করা হয়েছে। এক অডিও বার্তায় আলম বলেন, ‘আমার পেজ আবারও হ্যাক করা হয়েছে। বিষয়টি ডিবিকে জানিয়েছি। আমার আইটি বিভাগও পেজটি উদ্ধারে কাজ করছে।’ এদিকে হ্যাকাররা পেজের কাভারের ছবি পরিবর্তন করে একটি অশ্লীল ছবি শেয়ার করে। তবে কমিউনিটি গাইডলাইনের আওতায় ছবিটি ফেসবুক সরিয়ে দিয়েছে। তবে অনেকেই কাছেই বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পাঠানো হচ্ছে জানান আলম। এ ছাড়া ভারতের বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তি বুরহান ওয়ানিকে নিয়েও একটি পোস্টও দেওয়া হয়েছে।  গত বছরও হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল ফেসবুক পেজসহ হিরো আলমের দশটি অ্যাকাউন্ট। এবার আবারও একই ঘটনার শিকার হলেন তিনি। তবে ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজটি এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 
৩১ মার্চ, ২০২৪

ফ্লোরিডায় ১৬ বছরের আগে ফেসবুক চালাতে নিষেধাজ্ঞা 
কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বয়সসীমা নির্ধারণ করে বিলে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসানতিজ। এর ফলে ১৪ বছরের নিচে কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে না। ১৪ অথবা ১৫ বছরের কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে চায় তাহলে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে। খবর রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আইনটি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে ১৪ এবং ১৬ বছরের নিচে যারা রয়েছে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এদের মধ্যে যদি কারোর পিতামাতার অনুমতি থাকে তাহলে সেগুলো বন্ধ রাখা হবে না। থার্ড পার্টি ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপ্রাপ্তদের বয়স যাচাই করা হবে।  রাজ্যের রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন আইনসভা ফেব্রুয়ারিতে যাদের বয়স ১৬ বছরের নিচে তাদের ফেসবুক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু ডেসানতিজ নামের একজন রিপাবলিক সেই বিলে চলতি মাসে ভেটো দেন। তিনি দাবি করেন এর ফলে পিতামাতার অধিকার খর্ব হবে।  গভর্নর ডেসানতিজ এক বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের জন্য বিভিন্নভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আইনের ফলে পিতা-মাতা এখন তাদের ছেলেমেয়েদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খারাপ প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারবে।  এ আইনের সমর্থনকারীরা বলেছেন, যেসব কিশোর-কিশোরীরা অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এবং মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভুগে তাদের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।  তবে সমালোচকরা বলছেন, নতুন বিলটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী আইনের পরিপন্থি। এর মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী এবং তাদের পিতামাতার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।  
২৬ মার্চ, ২০২৪
X