জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবি শিক্ষক সেকান্দারের বিচার চেয়ে উপাচার্যকে সহকর্মীদের চিঠি

আবু সালেহ সেকেন্দার। ছবি : সংগৃহীত
আবু সালেহ সেকেন্দার। ছবি : সংগৃহীত

ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচারের সুপারিশ করেছেন তার বিভাগেরই সব শিক্ষক। বিভাগটির ১১১তম একাডেমিক সভায় সব শিক্ষকই এ সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) উপাচার্য বরাবর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত একাডেমিক কমিটির সব শিক্ষকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার তার ফেসবুকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি কমিটি ও ডিগ্রি প্রদান বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং তিনি বারবার ফেসবুকে এটা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন কখনই বিভাগের কোনো পিএইচডি কমিটির বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন না। তার এমন মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে ড. আবুল হোসেনসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। একইসঙ্গে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, নির্বাহী কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটসহ সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।

আরও উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড হতে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থণা করে।

একাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। একাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে।

এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানী করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, ফেসবুকে ভিসি, ডিন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালাগালের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোল্ডেন ভিসার সুবিধা কী, খরচ কত?

আইলার দুঃস্বপ্নকে ছাপিয়ে যেতে পারে ভয়ংকর ‘রেমাল’ 

সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য

ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাইসাইকেল আরোহীর

‘এমন খুচরা এমপি আমি পকেটে রাখি’

কুরলুস ওসমানের নায়ক কবে ঢাকায় আসছেন?

খেলতে গিয়ে শিশুরা দিল এলএমজি-ম্যাগজিন-গুলির সন্ধান

বিশ্বকাপ যাচ্ছে ব্রাজিলে

তিনি এসেছিলেন বলে……

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু 

১০

শেখ হাসিনা: স্বাধীন বাঙালির অনিঃশেষ প্রেরণা

১১

রাজধানীর সড়কে প্রাণ গেল তরুণীর

১২

নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণ, গ্রেপ্তার ৫

১৩

জনতার মুখোমুখি হলেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

১৪

‘বিএনপি পাকিস্তানের দালাল হয়ে জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত’

১৫

দিঘিতে মিলল এক মণ কোরাল মাছ

১৬

চবিতে ঝরনার নেমে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৭

ভালো ফলনের পরও হতাশ কৃষক

১৮

কিশোর গ্যাংবিরোধী র‌্যালিতে গ্যাং লিডার মিজান

১৯

সাহাবির তিলাওয়াতে যে কারণে দিগ্‌বিদিক ছুটছিল ঘোড়া

২০
X