নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
পুরোনো গ্লানি, হতাশা, মলিনতাকে পেছনে ফেলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। রোববার পহেলা বৈশাখে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, গ্রামীণ মেলা, ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছিল নানা বয়সী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘটে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র সব মানুষের মহামিলন। মানুষের জয়গানের মধ্য দিয়ে বাংলা ১৪৩১ সালকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ হাওরের মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত অলওয়েদার সড়কে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়। রোববার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রমনার বটমূলে সুরের মাধুরীতে বরণ করে নেওয়া হয়েছে নতুন বছরকে। পরে সকাল সোয়া ৯টায় ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাক-ঢোল বাদ্যের তালে তালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল বড় আকারের রাজা-রানীর দুটি মুখোশ। হাতি, পাখি, বড় মুখোশ, গাজীর পটে আঁকা দুটি চিত্র, বনরুই, চাকা, গন্ধগোকুল ও টেপা পুতুল। ছোট আকারে হাতে বহন করার মতো ফুল, প্যাঁচা, পাখির মুখোশ ইত্যাদি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড় আকারের প্রতীকগুলো লোকসংস্কৃতির উপকরণ ও দেশের বিপন্ন প্রাণী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের রাস্তার দেয়ালজুড়ে আঁকা হয়েছে আলপনা। গ্রামবাংলার নারী, পশুপাখির দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। গানে গানে বাংলা নববর্ষকে হৃদয়ের অর্ঘ্যে আবাহন জানিয়েছে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। শিশুপার্কের ব্যাংক চত্বরে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। পুথি পাঠ, লালন সংগীত লোকসাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান শুরু করে তারা। অনুষ্ঠান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল’ শিরোনামে উদীচীর আয়োজনে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হতেই উদীচী অনুষ্ঠান শুরু করে। শেষ করে সন্ধ্যা ৭টায়। হাজারেরও বেশি কণ্ঠে ‘ওঠো ওঠো রে, বিফলে প্রভাত বহে যায় যে’ সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বঙ্গাব্দ ১৪৩১-কে বরণ করেছে সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’। সুরের ধারার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পরিচালনায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সকাল ৬টায় ‘হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে রোববার ‘বৈশাখের রং লাগাও প্রাণে’ শিরোনামে উন্মুক্ত ক্যানভাসে ছবি আঁকার উদ্বোধন করেন বরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ। এরপর রঙের তুলিতে ক্যানভাস রাঙান বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম এবং মহাপরিচালক আনজীর লিটন। শিশুরাও মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকে বৈশাখের ছবি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে নগর ভবন প্রাঙ্গণে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের পান্তা-ইলিশ দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটির আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আসরের শিশু-কিশোররা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

চার দিন পর জবিতে পালিত হবে নববর্ষ
নববর্ষের  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার। নানা আয়োজনে এদিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) উপাচার্যের আদেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা ১৪৩১ সনের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান আগামী ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উদযাপন করা হবে। এদিন বর্ষবরণ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। এদিন সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা জবি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার জবি ক্যাম্পাসে শেষ হবে। এরপর একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরের সামনে আলোচনা সভা, সংগীত বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান এবং নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রযোজনায় রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হবে।  এদিন বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য এসব অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

মস্কোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বর্ষবরণ
রাশিয়ার মস্কোতে নানা আয়োজনে বৈশাখ উদযাপন করল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্র সংগঠন রুদেন’। বৈশাখ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আড্ডার আয়োজন করে সংগঠনটি।  বৈশাখের বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি সরব হয়েছিল বিদেশি অতিথিরাও। সংগঠনের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম হাওলাদার জানান, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও নিজেদের শেকড় ভুলে যাইনি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি- নিজেদের সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে। সবার উৎসাহ আমাদের সামনের পথ চলতে সহায়ক হবে। সাংস্কৃতিক আড্ডায় আসার জন্য বিদেশি বন্ধুদের প্রতিও আন্তরিক ভালোবাসা জানাই।  বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক আড্ডার সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন- রুদেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. প্রশান্ত ধর, বাংলা প্রেস ক্লাব রাশিয়ার সভাপতি বারেক কায়সার, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা স্মৃতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পিএইচডি গবেষক সৈয়দ আহসানুল ইসলাম আশিক, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি.এম. ইয়াসরিফুল ইসলাম, সানজিদা কামাল, কাজী সোনিয়া তাসনীম প্রমুখ।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

চবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন
‘এই বৈশাখে বৈশ্বিক বৈভবে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বর্ষবরণ উৎসব পহেলা বৈশাখ’ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষকে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে দিনব্যাপী এ বর্ষবরণ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। কেন্দ্রীয় উদযাপন কমিটির সদস্য হয়ে ছিলেন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও উপউপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড.  মো. সেকান্দর চৌধুরী। দিনব্যাপী কর্মসূচি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জারুলতলায় এসে শেষ হয়। পরে বেলা ১১টায় জারুলতলায় বৈশাখী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংগীত, বৈশাখের গান ও নৃত্য অনুষ্ঠান। অতঃপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে উপাচার্য ও উপউপাচার্যরা ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।  আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল হক বলেন, নববর্ষের একটাই ভাব সেটা হচ্ছে সার্বজনীনতা। একটি জাতি শিক্ষা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে যত বেশি উন্নত সেই জাতি তত বেশি এগিয়ে থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি প্রকৃতার্থেই প্রগতিশীল করতে হয় তাহলে এই সাংস্কৃতিক ধারা বজায় রাখতে হবে।  শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, গত বছরের সব অন্যায় অবিচারকে ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে আবার নতুন করে শুরু করব। যাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ তলানিতে এসে ঠেকেছে তাদের প্রতি সজাগ দৃষ্টিপাত রাখার জন্য অনুরোধ করছি মাননীয় উপাচার্যকে। উপউপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আজকের এই বাংলা নববর্ষ যাদের জন্যে পেয়েছি তাদের প্রাণভরে স্মরণ করছি। পুরাতনের গ্লানি মুছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্যারের নেতৃত্বে এগিয়ে যাব আমরা।  উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব। যে যাই বলুক না কেন, এই নববর্ষকে নিয়ে যতোই ব্যাঙ্গাত্মক করুক না কেন আমরা আমাদের অনাগত ভবিষ্যতের কাছে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে যাব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নববর্ষ উৎসবের সূচনা করেন সাবেক উপাচার্য আবু ইউসুফ স্যার। তিন দিনব্যাপী সেই আয়োজন চলতে থাকে। অনেকেই আমাকে বলেছিলেন ঈদের পরপরই এই উৎসব কীভাবে পালন করবেন? আমি তাদের বলেছিলাম, যদি ঈদের দিনেও নববর্ষ হতো তাহলেও আমরা এই উৎসব পালন করতে দ্বিধাবোধ করতাম না। আমি কথায় বিশ্বাসী না কর্মে বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আপন গতিতে উন্নতির চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাব।  আলোচনা শেষে দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ পর্যন্ত  গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা (মুক্ত মঞ্চে), কাবাডি খেলা (বুদ্ধিজীবী চত্বরে) এবং বউচি খেলা (চাকসু প্রাঙ্গণে) অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলী হোসাইন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সুমন মামুন, অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ।  সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তন্ময়ী হাসান অয়ন।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

শরীয়তপুরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় হাডুডু খেলা
শরীয়তপুর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে  শুরু হয়ে ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বৈশাখী গান, বৈশাখী মেলার গান ও জেলা শিল্পকলার নৃত্য পরিচালক সোহেল মীরমালতের কোরিওগ্রাফিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগুনের পরশমনি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।  সানাই ও ব্যান্ডের তালে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা, বাহারি রঙের সাজে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করে- কেউ সাজে গ্রামীণ বধূ, নতুন বউ, জংলী মানব, বাউল। কেউ কেউ কুলায় ১লা বৈশাখ ১৪৩১ এবং ককশিটে পেঁচা, পাখি, বিভিন্ন দেশীয় ফলের প্রতিকৃতি বানিয়ে তা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সদর উপজেলার তুলাষার ইউনিয়ন ও রুদ্রকর ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় রুদ্রকর ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়রা তুলাশার ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়দের সবাইকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বৈশাখী মেলায় উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।  জেলা শিল্পকলার শরীয়তপুরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা কালবেলাকে বলেন, বৈশাখী উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব একটিমাত্র উৎসবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।  
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

জাসাসের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বিকেলে 
বিকেলে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সালকে বরণ করবে বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস। রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। জাসাসকে ইতোমধ্যে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মৌখিক অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সচিব রুহুল কবির রিজভী জাসাসের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন। অনুষ্ঠানে জাসাসের সাংস্কৃতিক নেতা ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।  
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

রমনার বটমূলে শেষ হলো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
রাজধানীর রমনার বটমূলে শেষ হলো বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হয় সকাল ৯টায়। এতে অংশ নেন দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ধনী নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। ফলে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন এক বর্ণাঢ্য মহোৎসবে রূপ নেয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।  তিনি বলেন, আজ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহাল, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি- এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ। উৎসবে যোগ দেওয়া লোকজন জানান, নতুন বছর মানেই একটি নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এই আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জুগিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর ৬টা থেকে রমনা বটমূলে মানুষের ঢল নামে। তাদের পোশাকে লাল-সাদার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানায় সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রং-নকশার পাঞ্জাবি। তারা রমনার বটমূল ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শেষে তারা রমনা পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে ছবি তোলেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন শুরু করে ছায়ানট। সেদিনের আয়োজনের প্রথম গানটি ছিল ‘আলোকের এই ঝরনাধারায় ধুইয়ে দাও...।’ 
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ষবরণ ঘিরে হামলার শঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার 
বর্ষবরণ ঘিরে হামলার শঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে রমনায় নিরাপত্তার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।   ডিএমপি কমিশনার বলেন,  ‘পহেলা বৈশাখের উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ কিন্তু সেই আয়োজনে অতীতে হামলা হয়েছে। তাই নিরাপত্তার জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। তবে সন্ধ্যার আগে সব অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।’ তিনি বলেন, মানুষে পহেলা বৈশাখ পালনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। রাজধানীতে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে, ডিএমপির পক্ষ থেকে সেসব জায়গা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ডিবি, এসবিসহ গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।   হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকার বিভিন্ন স্পট ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ রাখবে ডিএমপি।   যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু জায়গায় ডাইভার্শন দেওয়া থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে আজ সন্ধ্যা থেকেই। আগামীকাল রোববারও (১৪ এপ্রিল) যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ষবরণ সীমিত করার মধ্যে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি লুকিয়ে আছে : জাসদ 
নিরাপত্তার খোড়া অজুহাত তুলে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান কাটছাট করার পুলিশী নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ। সোমবার (৮ এপ্রিল) দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, নিরাপত্তার খোড়া অজুহাত তুলে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কাটছাট করার পুলিশী নিষেধাজ্ঞা কোন অবস্থাতেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। তারা বলেন, ইসলামী জলসার নামে সারা রাত বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, নারী বিদ্বেষী অশ্লীল ভাষণ চলে। তখন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী চোখে ঠুলি, কানে তুলো গুজো বসে থাকে। তারা আরও বলেন, পহেলা বৈশাখসহ বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উৎসব, পালা, পর্বণ উদযাপনে নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে সীমিত করা, বন্ধ করার মধ্যে পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি লুকিয়ে আছে। তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, রাজনৈতিক মোল্লাদের তোয়াজ—তোষণ করার ভ্রান্তনীতি পরিহার করুন। জাসদ নেতৃদ্বয়, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান কাটছাটের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অহ্বান জানান।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

বর্ণিল আলোকসজ্জায় ইতালিতে ইংরেজি বর্ষবরণ
নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা। এই নিয়েই শুরু হলো আগামীর ‘২০২৪’। অর্জন-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ সবকিছু নিয়ে সবাই পুরো উদ্যমে শুরু করতে নতুন বছর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ইতালিয়ানরাও বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন করেছে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার-২০২৪’  নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতি বছরের ন্যায় ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালকে বরণ করে নেন ইতালির জনসাধারণ। এই আয়োজনে যোগ দেয় দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা। ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আতশবাজি আর বর্ণিল আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে এ উদযাপন করে ইতালিয়ানরা। রাজধানী রোম, মিলান, ভেনিস, ভিচেন্সা, নাপোলি, বলোনিয়ায়সহ দেশটির বিভিন্ন শহরের পয়েন্টগুলোতে মনোমুগ্ধকর আতশবাজি উপভোগ করতে আগে থেকেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। মেতে উঠেন বর্ষবরণের উৎসবে। ইউরোপসহ এশিয়ার শুধু নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে জমকালো আলোকসজ্জা ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়ে থাকে। ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় একে একে ২০২৪ সাল বরণ করে নেয় ইতালিসহ ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলো। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ইতালিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল বেশ জোরদার। প্রবাসীরা তাদের স্বাচ্ছন্দ্যমতো আনন্দঘন পরিবেশে ঘুরে বেড়ান।
০১ জানুয়ারি, ২০২৪
X