শরীয়তপুর ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে বৈশাখী গান, বৈশাখী মেলার গান ও জেলা শিল্পকলার নৃত্য পরিচালক সোহেল মীরমালতের কোরিওগ্রাফিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগুনের পরশমনি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
সানাই ও ব্যান্ডের তালে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা, বাহারি রঙের সাজে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করে- কেউ সাজে গ্রামীণ বধূ, নতুন বউ, জংলী মানব, বাউল। কেউ কেউ কুলায় ১লা বৈশাখ ১৪৩১ এবং ককশিটে পেঁচা, পাখি, বিভিন্ন দেশীয় ফলের প্রতিকৃতি বানিয়ে তা নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সদর উপজেলার তুলাষার ইউনিয়ন ও রুদ্রকর ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়দের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় রুদ্রকর ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়রা তুলাশার ইউনিয়নের কাবাডি খেলোয়াড়দের সবাইকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বৈশাখী মেলায় উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
জেলা শিল্পকলার শরীয়তপুরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মৃধা কালবেলাকে বলেন, বৈশাখী উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব একটিমাত্র উৎসবে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন