মসজিদের জন্য দান করা ডিমটি হয়ে গেল সোনার চেয়ে দামি
মসজিদ নির্মাণে গ্রামবাসী অনুদান সংগ্রহ করছিলেন। সেই দানে শরিক হওয়ার ইচ্ছে জাগে এক গরিব লোকের। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় একটি ডিম দান করেন। তিনি নিজেও জানতেন না এ ডিম সোনার চেয়ে দামি।  জানা গেছে, দান করা ডিমটি প্রায় আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে পুরো গ্রামে হৈচৈ। খবর এনডিটিভির। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে। এখানের সোপোরের গ্রামবাসীরা মালপোরা গ্রামে মসজিদ নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ করছেন। এ মসজিদের জন্যই ডিমটি দান করা হয়। রোববারের (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, মসজিদ কমিটি অন্যান্য দানের মতো ডিমটি সানন্দ্যে গ্রহণ করে। পরে সেটিকে নিলামের জন্য তোলা হয়। মুহূর্তে খবরটি আশপাশের গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের জন্য ওই ব্যক্তির সরলতা গ্রামবাসীদের আকৃষ্ট করে। নিলামে একের পর এক ডিমটি হাতবদল হতে থাকে। অংশগ্রহণকারীরা অনুদান সংগ্রহ বাড়াতে বারবার ডিমটি দান করে নিলামে তোলেন। এতে একপর্যায়ে ডিমটি ২ লাখ ২৬ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়। পুরো টাকা মসজিদের জন্য দান করেন নিলামকারীরা। মসজিদ কমিটির একজন সদস্য সংবাদমাধ্যমটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  মসজিদকে আল্লাহর ঘর হিসেবে সম্মান করা হয়। ইসলাম ধর্মে মসজিদ নির্মাণ বেশ সওয়াবের কাজ। কোনো মুসলমান মসজিদ নির্মাণে অংশ নিলে ওই মসজিদে যত দিন ইবাদত করা হবে, তিনি সওয়াব পাবেন। এ ছাড়া জান্নাতে তিনি বিশেষ প্রতিদান পাবেন বলেও ইসলামে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাজারে অপরিপক্ব তরমুজ, গ্রামের বাজারেও দাম চড়া
বাংলাদেশে ইফতারে সব সময়ই জনপ্রিয় তরমুজ। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়ে বিক্রি করছেন। দিনাজপুরের খানসামার খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনলেও চড়া দামে ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজিদরে। এদিকে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এসব তরমুজের অধিকাংশই অপরিপক্ব। তারপরও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর ভেতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। ফল উঠে এপ্রিলে। এরপর মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। এটি ভরা মৌসুম। পরিপক্ব তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) উপজেলা গেটের সামনে ফলের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার উপজেলায় তরমুজের তেমন আবাদ হয়নি। তাই বাইরে থেকেই এসব আনা হচ্ছে। পাইকারি ফল বিক্রেতা আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হয়েছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। কারণ রোজাদাররা টাকা বেশি দিয়ে হলেও একটু ফল মুখে দিতে চান। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান। সঙ্গে আবার গরমও পড়তে শুরু করেছে।’ তরমুজ কিনতে আসা ফারুক হোসেন কালবেলাকে জানান, ‘রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। তা ছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ব। বেশি বড় হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাগছে। যদি দামটা ৩০-৪০ টাকা কেজি হতো তাহলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’
২২ মার্চ, ২০২৪

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০-৫০ টাকা। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। এই একই বাজারে গত দুই দিন আগে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে মো. জমসের আলী নামের এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। নতুন এই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতারাও পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছিলেন। পেঁয়াজ যেহেতু পচে যায়, বেশি দিন রাখা যায় না; সেটিও পেঁয়াজের দাম কমার একটি কারণ। পেঁয়াজের দাম কমায় ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে বলেও জানান তিনি।   পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করলেও সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। তারা জানান, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকা হলে ভালো হতো। বাজারে প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেশি।  কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল তখন কোনো লেবার খরচ বাড়েনি। তারপরও অতি মুনাফার লোভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আমরা মনিটরিং করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X