ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে বাসচাপায় নিহত মা-মেয়ে-দুই নাতনি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে বাসচাপায় একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দিলবর নেছা (৫৫), তার পুত্রবধূ শাহীনুর আক্তার (২৪), নাতনি সায়মা আক্তার (৬) ও রাইসা আক্তার (২)। শাহীনুরের স্বামী সৌদি প্রবাসী। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সোমবার রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে দাউদকান্দির মালিখিল বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাচ্ছিলেন এক শিশুসহ তিন নারী। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। তাদের উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের সঙ্গে থাকা শিশু রাইসাকে গুরুতর আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এলাকায় তারও মৃত্যু হয়। নিহত শাহীনুরের শ্বশুর আবদুর রশিদ মোল্লা ও ভাই মো. ফরিদ সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লায় ডাক্তার দেখানোর জন্য দুপুরে দিলবর নেছা ও শাহীনুর আক্তার বাড়ি থেকে বের হন। ডাক্তার দেখানোর পর রাতে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওসি জানান, ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দিলবর নেছার মাথা থেঁতলে গেছে। শাহীনুর আক্তার, সায়মা আক্তার ও রাইছা আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া বাসটি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আটকের চেষ্টা চলছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

দাউদকান্দিতে বাসচাপায় নিহত ৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় বাসচাপায় চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রায়পুর মালীখিল এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আবু সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নিহতরা তিতাস উপজেলার বাসিন্দা। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই একই পরিবারের। তিনি জানান, এক শিশুসহ তিন নারী রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিন নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

ময়মনসিংহে বাসচাপায় নিহত ৭, চালক-সহকারী গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার নারী-শিশুসহ সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের বন্ধভাটপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- শেরপুর শহরের মীরগঞ্জ এলাকার চাপাতলী এলাকার আনিছুর রহমানের ছেলে মো. জাফর মিয়া জনি (৪২) ও আহসান হাবিব চানের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৪৫)। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ‘আদিল সরকার বাস’র চালক ও সহকারীকে ধরতে অভিযান শুরু করে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। পরে রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বন্ধভাটপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জানা গেছে, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার নুরুজ্জামান বাবলু মিয়া তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে সদর উপজেলায় এক আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছিলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর বড়বিলা এলাকায় পৌঁছলে শেরপুরগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়।  এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হলেও চালক ও সহকারী সে সময় পালিয়ে যান।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধামরাইয়ে বাসচাপায় নিহত ২, আহত ১
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী দ্রুতগতির সেলফি পরিবহন বাসের চাপায় মো. রুবেল পারভেজ ও মো. আব্দুল মান্নান নামে দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও একজন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বাস আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের থানা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাভার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ আবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর এলাকার মোকছেদ আলীর ছেলে মো. রুবেল পারভেজ। রুবেল ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। অপরজন মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান। তবে আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুবেল পারভেজ ও মো. আব্দুল মান্নানসহ ৩ জন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বেপরোয়াভাবে আসা ঢাকাগামী সেলফি পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব, ১৩-০৯০৪) একটি বাস তাদের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে একজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়। ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা জানান, সকাল সোয়া ৯ টার দিকে আমাদের কাছে দুর্ঘটনার খবর আসে। ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে মৃত অবস্থায় পাই। গুরুতর আহত আরও দুই পথচারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে আমরা নিশ্চিত না। সাভার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ আবুল হাসান জানান, আমি যতটুকু শুনেছি, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের থানারোড এলাকায় সেলফি পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে আসা ঢাকাগামী সেলফি পরিবহনের আরেকটি বাস এটিকে ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আইল্যান্ড ঘেঁষে অপেক্ষারত তিন পথচারীকে চাপা দেয় সেলফি পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা সেলফি পরিবহনের একটি বাস আটক করে ভাঙচুর চালিয়েছে। তবে বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

যশোর ও সিলেটে বাসচাপায় নিহত ১২
যশোর ও সিলেটে বাসচাপায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে যশোরে বাসের ধাক্কায় এক পরিবারের পাঁচজনসহ ইজিবাইকের সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হন অন্তত তিনজন। অন্যদিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। যশোরের দুর্ঘটনার বিষয়ে বারোবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলার লেবুতলা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ইমরান (২৭), ফাহিমা খাতুন (৬০), খাদিজা (৬), তার দুই যমজ সহোদর হাসান (২) ও হোসেন (২) এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজন। আহতরা হলেন নিহত তিন শিশুর মা সোনিয়া (৪৫), নয়ন হোসেন (৩৫) ও ফাহিমা (৬ মাস)। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর থেকে মাগুরাগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে পড়ে। ওই সময় বাসটি ইজিবাইককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর থানাধীন দরবস্ত এলাকায় বাসচাপায় অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হন। তারা হলেন জৈন্তাপুরের বড়খলা গ্রামের মোশদ আলী (৫০), একই উপজেলার শ্রীখেল গ্রামের হাজী নুর উদ্দিন (৫৫), বারগতি গ্রামের আব্দুল লতিফ (৫০), ফরফরা গ্রামের কামাল (২৫) ও দিঘীরপাড় গ্রামের আবদুল মতিন (৪৫)। পুলিশ জানায়, সিলেট থেকে জাফলংয়ে যাওয়ার পথে বাসটি জৈন্তাপুরের দরবস্ত এলাকায় পৌঁছলে একই দিকে যাওয়া অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে অটোরিকশার চালক রয়েছেন কি না, সেটি জানা যায়নি। তবে নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। জৈন্তাপুর থানার ওসি ওমর ফারুক মণ্ডল জানান, হতাহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০৮ জুলাই, ২০২৩

যশোর ও সিলেটে বাসচাপায় নিহত ১২
যশোর ও সিলেটে বাসচাপায় ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ও রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে যশোরে বাসের ধাক্কায় এক পরিবারের পাঁচজনসহ ইজিবাইকের সাত যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হন অন্তত তিনজন। অন্যদিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। যশোরের দুর্ঘটনার বিষয়ে বারোবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলার লেবুতলা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ইমরান (২৭), ফাহিমা খাতুন (৬০), খাদিজা (৬), তার দুই যমজ সহোদর হাসান (২) ও হোসেন (২) এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজন। আহতরা হলেন নিহত তিন শিশুর মা সোনিয়া (৪৫), নয়ন হোসেন (৩৫) ও ফাহিমা (৬ মাস)। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোর থেকে মাগুরাগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে পড়ে। ওই সময় বাসটি ইজিবাইককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর থানাধীন দরবস্ত এলাকায় বাসচাপায় অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হন। তারা হলেন জৈন্তাপুরের বড়খলা গ্রামের মোশদ আলী (৫০), একই উপজেলার শ্রীখেল গ্রামের হাজী নুর উদ্দিন (৫৫), বারগতি গ্রামের আব্দুল লতিফ (৫০), ফরফরা গ্রামের কামাল (২৫) ও দিঘীরপাড় গ্রামের আবদুল মতিন (৪৫)। পুলিশ জানায়, সিলেট থেকে জাফলংয়ে যাওয়ার পথে বাসটি জৈন্তাপুরের দরবস্ত এলাকায় পৌঁছলে একই দিকে যাওয়া অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে অটোরিকশার চালক রয়েছেন কি না, সেটি জানা যায়নি। তবে নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। জৈন্তাপুর থানার ওসি ওমর ফারুক মণ্ডল জানান, হতাহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
X