সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল বিএসএমএমইউ
সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের সইকরা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সবধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হলো। শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের চার চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র। নির্যাতনকারীরা বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের অনুসারী বলে জানা গেছে। বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিছিল-মিটিংসহ নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রীক পরিস্থিতির অবনতি ছাড়াও  চারজন চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ সবের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

স্বাস্থ্য খাতে ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে পারে বিএসএমএমইউ
বাংলাদেশ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি এবং কালাজ্বর নির্মূলসহ বিভিন্ন ভার্টিকাল স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন, গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্স এবং হেলথ ইনক্লুসিভিটি ইনডেক্স-এ অনেক পিছিয়ে আছে। যেমন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জনের সার্ভিস কাভারেজ ইনডেক্স-এ ১০০-এর মধ্যে বর্তমান স্কোর ৫২ যা ২০৩০ সাল নাগাদ কমপক্ষে ৮০ তে উন্নীত করতে হবে; স্বাস্থ্যের মোট ব্যয়-এ ব্যক্তির নিজস্ব অংশ বর্তমান ৬৮.৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।  ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্স-এ বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৩৫.৫ এবং ১৯৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৫তম। উল্লেখ্য, স্থানীয় এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ; প্রাদুর্ভাবজনিত রোগ শনাক্ত করা এবং বিবরণী পেশ করা; প্রাদুর্ভাবজনিত রোগ মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া; সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জনবলের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা; স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা এবং অর্থায়ন বাড়ানোর অঙ্গীকার ও প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক নিয়ম মেনে চলা এবং সামগ্রিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ ও জৈবিক হুমকি মোকাবিলায় অরক্ষণীয়তা - এই ৬টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্স-এর স্কোর তৈরি করা হয়। এগুলোর মধ্যে স্থানীয় এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জনবলের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর সবচেয়ে কম।  অন্যদিকে হেলথ ইনক্লুসিভিটি ইনডেক্স -এ ৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন (৩০.৮) এবং এই ইনডেক্সের ৩টি উপাদানের প্রত্যেকটিতে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন। উপাদানগুলো হলো- একটি জাতির নিকট জনগণের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব কতটুকু এবং রাষ্ট্রের সব নীতিতে স্বাস্থ্য কতটুকু স্থান পায়; অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যব্যবস্থা যেখানে আর্থিক সামর্থ্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের পথে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়; এবং জনগণ ও কমিউনিটিকে ক্ষমতায়িত করা যেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচকে আমাদের বর্তমান অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের উন্নয়ন, উন্নয়ন চিন্তা এবং উন্নয়ন স্বপ্নের সঙ্গে মানানসই নয়। অন্যদিকে, এই সূচকগুলোর বৈশিষ্টসমূহ যে বার্তা দেয় তা হলো স্বাস্থ্য গঠন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি শুধু স্বাস্থ্যখাতের ওপর নির্ভর করে না। একটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি ছাড়াও সে দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, ঔষধ নীতি, বিচারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ইত্যাদি স্বাস্থ্যখাতের পারফরমেন্স দারুণভাবে প্রভাবিত করে।  ২০০০ সালে প্রথম স্বাস্থ্যনীতি এবং ২০১১ সালে দ্বিতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তেমনি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ২০১২ সালে প্রণীত ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্রাটেজি’ বাস্তবায়নে। ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বাজেট ব্যয় করার পদ্ধতি হিসাবে ‘অপারেশনাল প্ল্যান’ পদ্ধতি তখনকার প্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়। উপযুক্ত ও দক্ষ জনবলের অভাব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব ও সমন্বয়হীনতাসহ নানাবিধ কারণে ‘অপারেশনাল প্ল্যান’ পদ্ধতি থেকে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, গত দুই দশকে স্বাস্থ্যখাতে কোনো কার্যকরী সংস্কার করতে পারি নাই; বরং সংস্কারের নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুইভাগে বিভাজিত করে আলাদা আলাদা জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছি। কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রথম সেক্টর প্রোগ্রামেও পরিবর্তনের তেমন কোনো রূপ রেখা দেখা যায়নি।  তাই সরকারি স্বাস্থ্য খাত থেকে আপাতত ভালো কিছু পাওয়ার আশা কম। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের নীতি-নির্ধারণী মহলের স্বাস্থ্যখাত এবং এই খাতের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নিখাঁদ এবং সামগ্রিক ধারণার অভাব। স্বাস্থ্যখাতের অবয়ব, কলেবর, কাঠামোগত জটিলতা এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতাসহ বহুমুখী বৈশিষ্ট আমাদের নীতি-নির্ধারণী মহলের নিকট সমন্বিতভাবে বোধগম্য নয়। ফলে, তারা স্বাস্থ্যখাতকে অন্যান্য খাত থেকে আলাদা হিসেবে ভাবতে পারেন না।  এই না বুঝার পিছনে একদিকে রয়েছে তাদের অজ্ঞতা, অন্যদিকে রয়েছে তাদের স্বার্থপরতা এবং দুর্নীতি পরায়ণতা। আবার ক্রমাগতভাবে স্বাস্থ্যখাত বিভাজিত হতে হতে এক একজনের নিজস্ব তালুকে পরিণত হয়েছে। ফলে মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হোক কোনো প্রতিষ্ঠানকেই জনবল, ইকুইপমেন্ট এবং অর্থায়নের ভিত্তিতে আমরা পূর্ণাঙ্গ এবং সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারিনি। এ সব প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত কর্ম পরিবেশও তৈরি করতে পারিনি। তাছাড়া রয়েছে নানা অযাচিত নিয়ম-কানুনের বেড়াজালে আবদ্ধতা। এসব কিছু থেকে বেরিয়ে আনার জন্য যে স্বার্থহীন, দূরদর্শী এবং গতিময় নেতৃত্ব প্রয়োজন তার আজ প্রচণ্ড অভাব। অন্যদিকে, বেসরকারি খাতের ওপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ, পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জনগণ অর্থ খরচ করে বেসরকারি খাত থেকেও গুণগত স্বাস্থসেবা পাচ্ছে না। তাই জনগণ বিদেশমুখী হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ বিদেশ মুখিতা সামনে আরও বাড়বে, এমনকি সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা নিতেও জনগণ বিদেশে যাবে। এই সুযোগে বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশে তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে যার লক্ষণ স্পষ্ট। উল্লেখ্য, কিছু বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই নেটওয়ার্কগুলো সাধারণ সেবা এখানে দিবে এবং পরবর্তী সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে তাদের নেটওয়ার্কের উন্নত হাসপাতালে রেফার করবে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই বিদেশ নির্ভরতা কোনোভাবেই জনগণের স্বাস্থ্য, দেশের অর্থনীতি কিংবা দেশের নিরাপত্তার জন্য শুভ নয়। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আমাদের সামনে কিছু পথ এখনও খোলা আছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বি এস এম এম ইউ)-এর স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা আছে এবং এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে ত্রাতার ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে পারে। যদিও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালসহ পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হতে বেশ কিছু বছর লাগবে। এ ক্ষেত্রে তাই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রেফারাল সুবিধাসহ একটি শক্তিশালী টেলিমেডিসিন সেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।  প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি জেলা শহরে বেসিক ডায়াগনস্টিক সুবিধাসহ একটি টেলিমেডিসিন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এই টেলিমেডিসিন সেন্টার দুই শিফট-এ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি শিফট-এ চুক্তি ভিত্তিতে দুজন ডাক্তার (একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা), একজন নার্স, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, একজন আয়া, একজন ক্লিনার ও একজন সিকিউরিটি গার্ড বিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষিত টীম থাকতে হবে।  অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উচ্চপ্রযুক্তি বিশিষ্ট একটি টেলিমেডিসিন সেবা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই ইউনিট জেলা টেলিমেডিসিন সেন্টার-এ আগত রোগীদের অডিও-ভিজ্যুয়াল টেকনোলজির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জেলা টেলিমেডিসিন সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফারাল-এর ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রাথমিক ভাবে কিছু জেলায় পাইলট আকারে এই কাযর্ক্রম শুরু করা যেতে পারে। পরে পাইলট-এর ফলাফলের ভিত্তিতে অন্যান্য জেলায় এই সেবা প্রসারিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের একটি শক্তিশালী কনসোর্টিয়াম গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম দিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন, আদ্ দ্বীন, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র, টিএমএসএস এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালসহ নট-ফর-প্রফিট হাসপাতালসমূহকে কনসোর্টিয়াম-এর সদস্য হতে আহবান করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এর নেতৃত্বে এ কনসোর্টিয়াম এর সদস্যরা একটি কমন স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার এর মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে গুণগতমানের সেবা প্রদানের পাশাপাশি একটি রেফারাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে।  এটি ঠিকঠাক মতো করতে পারলে এই কনসোর্টিয়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ফলে ফর-প্রফিট প্রাইভেট হাসপাতালগুলো একই স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার অনুসরণ করে এই কনসোর্টিয়াম এ যোগদান করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে স্বাস্থ্যবিমা চালু করাও সহজ হবে। উল্লেখ্য, স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকলভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা না দিলে স্বাস্থ্য বিমা চালু করলে তা আর্থিকভাবে টেকসই হবে না। উল্লিখিত পরামর্শগুলো প্রয়োগ করতে না পারলে সর্বশেষ পরামর্শ হলো বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশি এবং বিদেশি যৌথ মালিকানায় রেফারাল সুবিধাসহ একটি হাসপাতাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যা একটি স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কম পক্ষে ৫০ ভাগ মালিকানা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ সহযোগিতা এবং আনুকূল্যতা প্রয়োজন। আশাকরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্যবিদ্যালয় কর্তপক্ষ এবং সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবেন।  ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক 
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে বিএসএমএমইউ
বাংলাদেশ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, কভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি, কালাজ্বর নির্মূলসহ বিভিন্ন ভার্টিক্যাল স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করলেও সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন, গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্স এবং হেলথ ইনক্লুসিভিটি ইনডেক্সে অনেক পিছিয়ে আছে। যেমন সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জনের সার্ভিস কাভারেজ ইনডেক্সে ১০০-এর মধ্যে বর্তমান স্কোর ৫২, যা ২০৩০ সাল নাগাদ কমপক্ষে ৮০-তে উন্নীত করতে হবে; স্বাস্থ্যের মোট ব্যয়ে ব্যক্তির নিজস্ব অংশ বর্তমান ৬৮.৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্সে বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৩৫.৫ এবং ১৯৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৫তম। উল্লেখ্য, স্থানীয় ও বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ; প্রাদুর্ভাবজনিত রোগ শনাক্ত করা এবং বিবরণী পেশ করা; প্রাদুর্ভাবজনিত রোগ মোকাবিলায় সাড়া দেওয়া; সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জনবলের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা; স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা এবং অর্থায়ন বাড়ানোর অঙ্গীকার ও প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার বৈশ্বিক নিয়ম মেনে চলা এবং সামগ্রিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ ও জৈবিক হুমকি মোকাবিলায় অরক্ষণীয়তা—এই ছয়টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্সের স্কোর তৈরি করা হয়। এগুলোর মধ্যে স্থানীয় এবং বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য জনবলের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর সবচেয়ে কম। অন্যদিকে, হেলথ ইনক্লুসিভিটি ইনডেক্সে ৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন (৩০.৮) এবং এই ইনডেক্সের তিনটি উপাদানের প্রত্যেকটিতে বাংলাদেশের স্কোর সর্বনিম্ন। উপাদানগুলো হলো—একটি জাতির নিকট জনগণের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব কতটুকু এবং রাষ্ট্রের সব নীতিতে স্বাস্থ্য কতটুকু স্থান পায়; অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেখানে আর্থিক সামর্থ্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের পথে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এবং জনগণ ও কমিউনিটিকে ক্ষমতায়িত করা যেন কেউ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হয়। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচকে আমাদের বর্তমান অবস্থান নিশ্চয়ই আমাদের উন্নয়ন, উন্নয়ন চিন্তা এবং উন্নয়ন স্বপ্নের সঙ্গে মানানসই নয়। অন্যদিকে এ সূচিকগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহ যে বার্তা দেয়, তা হলো স্বাস্থ্য গঠন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি শুধু স্বাস্থ্য খাতের ওপর নির্ভর করে না। একটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি ছাড়াও সে দেশের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, ওষুধ নীতি, বিচারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ইত্যাদি স্বাস্থ্য খাতের পারফরম্যান্স দারুণভাবে প্রভাবিত করে। ২০০০ সালে প্রথম স্বাস্থ্যনীতি ও ২০১১ সালে দ্বিতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তেমনি উদ্যোগ নেওয়া হয়নি ২০১২ সালে প্রণীত ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি’ বাস্তবায়নে। ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন বাজেট ব্যয় করার পদ্ধতি হিসেবে ‘অপারেশনাল প্ল্যান’ পদ্ধতি তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত থাকলেও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তা গ্রহণযোগ্য নয়। উপযুক্ত ও দক্ষ জনবলের অভাব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার অভাব ও সমন্বয়হীনতাসহ নানাবিধ কারণে ‘অপারেশনাল প্ল্যান’ পদ্ধতি থেকে সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গত দুই দশকে স্বাস্থ্য খাতে কোনো কার্যকরী সংস্কার করতে পারেনি; বরং সংস্কারের নামে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুভাগে বিভাজিত করে আলাদা আলাদা জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেছে। কভিড-১৯ পরবর্তী প্রথম সেক্টর প্রোগ্রামেও পরিবর্তনের তেমন কোনো রূপ রেখা দেখা যায়নি। তাই সরকারি স্বাস্থ্য খাত থেকে আপাতত ভালো কিছু পাওয়ার আশা কম। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের নীতিনির্ধারণী মহলের স্বাস্থ্য খাত এবং এ খাতের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নিখাদ ও সামগ্রিক ধারণার অভাব। স্বাস্থ্য খাতের অবয়ব, কলেবর, কাঠামোগত জটিলতা এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতাসহ বহুমুখী বৈশিষ্ট্য আমাদের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে সমন্বিতভাবে বোধগম্য নয়। ফলে তারা স্বাস্থ্য খাতকে অন্যান্য খাত থেকে আলাদা হিসেবে ভাবতে পারেন না। এই না বোঝার পেছনে একদিকে রয়েছে তাদের অজ্ঞতা, অন্যদিকে রয়েছে তাদের স্বার্থপরতা ও দুর্নীতিপরায়ণতা। আবার ক্রমাগতভাবে স্বাস্থ্য খাত বিভাজিত হতে হতে একেকজনের নিজস্ব তালুকে পরিণত হয়েছে। ফলে মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক কিংবা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হোক, কোনো প্রতিষ্ঠানকেই জনবল, ইকুইপমেন্ট এবং অর্থায়নের ভিত্তিতে আমরা পূর্ণাঙ্গ ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে পারিনি। এসব প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত কর্মপরিবেশও তৈরি করতে পারিনি। তা ছাড়া রয়েছে নানা অযাচিত নিয়মকানুনের বেড়াজালে আবদ্ধতা। এসব কিছু থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে স্বার্থহীন, দূরদর্শী এবং গতিময় নেতৃত্ব প্রয়োজন, তার আজ প্রচণ্ড অভাব। অন্যদিকে বেসরকারি খাতের ওপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ, পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জনগণ অর্থ খরচ করে বেসরকারি খাত থেকেও গুণগত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। তাই জনগণ বিদেশমুখী হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ বিদেশমুখিতা সামনে আরও বাড়বে, এমনকি সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা নিতেও জনগণ বিদেশে যাবে। এ সুযোগে বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশে তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে যার লক্ষণ স্পষ্ট। উল্লেখ্য, কিছু বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এই নেটওয়ার্কগুলো সাধারণ সেবা এখানে দেবে এবং পরবর্তী সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে তাদের নেটওয়ার্কের উন্নত হাসপাতালে রেফার করবে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই বিদেশনির্ভরতা কোনোভাবেই জনগণের স্বাস্থ্য, দেশের অর্থনীতি কিংবা দেশের নিরাপত্তার জন্য শুভ নয়। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আমাদের সামনে কিছু পথ এখনো খোলা আছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্যসেবার প্রতি মানুষের আস্থা আছে এবং এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ত্রাতার ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসতে পারে। যদিও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালসহ পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু হতে বেশ কিছু বছর লাগবে। এ ক্ষেত্রে তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রেফারাল সুবিধাসহ একটি শক্তিশালী টেলিমেডিসিন সেবা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি জেলা শহরে বেসিক ডায়াগনস্টিক সুবিধাসহ একটি টেলিমেডিসিন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এই টেলিমেডিসিন সেন্টার দুই শিফটে খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতি শিফটে চুক্তিভিত্তিতে দুজন ডাক্তার (একজন পুরুষ ও একজন মহিলা), একজন নার্স, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, একজন আয়া, একজন ক্লিনার ও একজন সিকিউরিটি গার্ড বিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষিত টিম থাকতে হবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতের একটি শক্তিশালী কনসোর্টিয়াম গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম দিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন, আদ্ দ্বীন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, টিএমএসএস এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালসহ নট-ফর-প্রফিট হাসপাতালগুলোকে কনসোর্টিয়ামের সদস্য হতে আহ্বান করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে এ কনসোর্টিয়ামের সদস্যরা একটি কমন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজারের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে গুণগত মানের সেবা প্রদানের পাশাপাশি একটি রেফারাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। এটি ঠিকঠাক মতো করতে পারলে এই কনসোর্টিয়াম জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ফলে ফর-প্রফিট প্রাইভেট হাসপাতালগুলো একই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার অনুসরণ করে এই কনসোর্টিয়ামে যোগদান করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে স্বাস্থ্যবীমা চালু করাও সহজ হবে। উল্লেখ্য, স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকলভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা না দিলে স্বাস্থ্যবীমা চালু করলে তা আর্থিকভাবে টেকসই হবে না। উল্লিখিত পরামর্শগুলো প্রয়োগ করতে না পারলে সর্বশেষ পরামর্শ হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশি ও বিদেশি যৌথ মালিকানায় রেফারাল সুবিধাসহ একটি হাসপাতাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, যা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজার অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ ভাগ মালিকানা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকতে হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ সহযোগিতা ও আনুকূল্য প্রয়োজন। আশা করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকার বিষয়টি ভেবে দেখবে। লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিএসএমএমইউ ইউজিসি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই ইস্যু করবে বিএসএমএমইউ। হেলথ্ কার্ডটির মাধ্যমে তারা বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক ছাড় পাবেন। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারণ করা হয়।
৩০ নভেম্বর, ২০২৩

মৃগী রোগ চিকিৎসায় ভালো হয় : বিএসএমএমইউ উপাচার্য
শুরুতেই নির্ণয় ও চিকিৎসা দিতে পারলে মৃগী রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।  বুধবার (৮ অক্টোবর) মৃগী সচেতন মাস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই ব্লক অডেটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিসঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।  ভিসি বলেন, সারা বিশ্বে ৫০ মিলিয়ন মানুষ মৃগী রোগে আক্রান্ত। এই রোগ যে কোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। যদি কোনো শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সমাজ তাকে অস্পৃশ্য ভাবে, এটা কিন্ত ঠিক নয়। এ রোগ চিকিৎসায় ভালো হয়। এ রোগ যদি শুরুতে ধরা যায় ও চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে সম্পূর্ণ সুস্থ করা যায়। এ রোগের সব ধরণের চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু নিউরোলোজি বিভাগ ও ইপনায় হয়ে থাকে। সেমিনারে একটি করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজীদা আহমেদ। প্রবন্ধে বলা হয়, মৃগী রোগ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে সাধারণ স্নায়ুবিক রোগ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের মৃগীরোগ রয়েছে। মৃগীরোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ লোক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে। এটি অনুমান করা হয় যে মৃগীরোগে আক্রান্ত ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ খিঁচুনি মুক্ত থাকতে পারে যদি সঠিকভাবে নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা করা হয়। জীবনের প্রথম ১০ বছরে প্রায় ১৫০ শিশুর মধ্যে একজনের মৃগী রোগ ধরা পড়ে। বাংলাদেশে মৃগী রোগের প্রকোপ প্রতি ১০০০ জনে ৮ দশমিক চারজন। শিশুদের মধ্যে মৃগীরোগ বেশি দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের মৃগীরোগ সিনড্রোম পাওয়া যায়। প্রতিটি ধরনের চিকিৎসা এবং আরোগ্য সম্ভাবনা নির্দিষ্ট ধরনের আছে। কিছু মৃগীরোগ ওষুধের মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য। কিছু মারাত্মক ধরণের মৃগী রোগ আছে যা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন এবং মস্তিষ্কের বিকাশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। খিঁচুনির ওষুধ ছাড়াও কিছু বিকল্প চিকিৎসা বিদ্যমান রয়েছে। বিকল্পগুলি হল কিটোজেনিক ডায়েট, ইমিউনোথেরাপি, নিউরোস্টিমুলেশন, এপিলেপসি সার্জারি। মৃগী রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। শিশুদের মৃগী রোগ শুরুতেই নির্ণয় করা সম্ভব হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা হলে দীর্ঘমেয়াদী অক্ষমতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতারের সভাপতিত্বে ও ইপনার ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান। প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু নিউরোলোজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা। সেমিনারের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী কন্যা ও অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানানো হয়।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩

বিএসএমএমইউ গবেষণায় বহুদূর যাবে
চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা হাজার মাইল অতিক্রম করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার ৫ম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, প্রতি বছর ১ হাজারেও বেশি উন্নতমানের গবেষণা কাজ হয় এখানে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার গবেষণায় বরাদ্দ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। এ ছাড়া অনেক গবেষণা বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে, যা ভালো উদ্যোগ। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান খান, উপউপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন মানিক কুমার তালুকদার, প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন মো. আতিকুল হক তুহিন, নার্সিং অনুষদের ডিন দেবব্রত বণিক, মেডিকেল টেকনোলোজি অনুষদের ডিন দেবতোষ পাল প্রমুখ। এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। এরপর শহীদ ডা. মিলন হলে বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক গবেষকরা।
০১ নভেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গু রোধে ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান বেশি গুরুত্বপূর্ণ - বিএসএমএমইউ ভিসি
ডেঙ্গুর সংকট নিরসনে ব্যক্তির চেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল শনিবার তেজগাঁওয়ে বিএফডিসিতে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে এক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। ডা. শারফুদ্দিন বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। এডিস মশাবিরোধী অভিযানে জরিমানা হিসেবে আদায়কৃত অর্থ ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া সামর্থ্যহীন ব্যক্তির পরিবারকে প্রদান করা যেতে পারে। ডেঙ্গু চিকিৎসা প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, জেলা-উপজেলাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রটোকল অনুসরণ করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদ বিতর্কে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বিতার্কিকরা। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, টিভি প্রেজেন্টার ডা. ফাইজা রাহলা, জান্নাতুল বাকেয়া কেকা ও আসমা আক্তার নূপুর।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আরও দেড় হাজার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন ক্যান্সার চিকিৎসায় - বিএসএমএমইউ উপাচার্য
দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা। এজন্য আরও ১ হাজার ৬০০ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশ আয়োজিত ঢাকা ক্যান্সার সামিটে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ক্যান্সার রোগীর তুলনায় দেশে বিশেষজ্ঞ অপ্রতুল। সুতরাং ভবিষ্যতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার বেড়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসা পাওয়া যাবে এমন হাসপাতাল আটটি বিভাগীয় শহরেই স্থাপনের কথা ভাবছে সরকার। ক্যান্সার সামিটের গুরুত্ব তুলে ধরে এই চিকিৎসক বলেন, এই সামিটে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এসেছেন। তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির মাধ্যমে দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় অবদান রাখবেন এখানকার বিশেষজ্ঞরা। সাবেক কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান মেজর জেনারেল (অব.) ডা. আজিজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ, বিএসএমএমইউ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অনকোলজি পোস্ট তৈরি করে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক নিজামুল হক বলেন, রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল অনকোলজির উন্নয়ন করতে হবে। মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক পারভীন সাহিদা আক্তার বলেন, দেশের ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে ও আধুনিক চিকিৎসা বাস্তবায়নে এ সামিট অবদান রাখবে। দেশের চিকিৎসকদের নলেজ আপডেট করতে এমন আয়োজন জরুরি।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের শ্রদ্ধা
১৫ ও ২১ আগস্ট ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও সি ব্লকের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে তিনি এ দাবি জানান।  তিনি বলেন, যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ষড়যন্ত্র করেছে, যারা নেপথ্যে রয়েছে। সেই ঘৃণ্য পরিকল্পনাকারীদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে কমিশন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচার পথ রুদ্ধ করেছিল, খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল তাদেরও বিচার হতে হবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর করাসহ দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামির সাজা কার্যকর করতে হবে। আগামীতে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকারকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিজয়ী করতে চিকিৎসক সমাজসহ সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। উপাচার্য বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এই নজিরবিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতা। এই নারকীয় হামলায় আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে হামলায় নিহতদের স্মরণ করছি। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, রেজিস্ট্রার ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রসুল আমিন, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন, সহকারী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্ত, ডা. তানভীর আহমেদ, উপাচার্যের একান্ত সচিব-২ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।
২১ আগস্ট, ২০২৩
X