দেশের বিভিন্ন জেলায় জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ কারারুদ্ধ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, আলেম-উলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাইবান্ধায় জেলা
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ আটক সব নেতাকর্মীকে মুক্তিদান, অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা আমির মো. আব্দুল করিমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও মো. ফয়সাল কবির, ছাত্রশিবির জেলা সেক্রেটারি ওমর সানি, শহর জামায়াত সেক্রেটারী মো. আবু এইচ আকন্দ প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-উলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা
কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, কিশোরগঞ্জ জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের কলাপাড়া মোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসেন লোকমান, সদরের নায়েবে আমির মো. নুরুদ্দিন, সেক্রেটারি বুরহানউদ্দিন সুমন, সদরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুর রহমান, শহরের ওয়ার্ড সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা উত্তরের সেক্রেটারি শাহরিয়ার মাহমুদ শাকিল এবং জেলা দক্ষিণের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ফকির প্রমুখ।
চাপাইনবাবগঞ্জ
কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তি মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আবুজার গিফারি, জেলা সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য অধ্যাপক আবু বকর, জেলে নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সবুরসহ প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াতসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-উলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেক্রেটারি মুহা. মোবারক হোসাইন, জেলা প্রচার সেক্রেটারি কাজী সিরাজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা সম্পাদক জুনায়েদ হাসান, জেলা অফিস সেক্রেটারি রাজিফুল হাসান বাপ্পি ও জেলা শিবির সভাপতি গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
কুমিল্লা জেলা উত্তর
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াত নেতা অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়।
পটুয়াখালী জেলা
কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াতসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-উলামাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলার পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা আমির অধ্যাপক মো. শাহ আলম।
নাটোর জেলা
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা নায়বে আমির অধ্যাপক ইউনুস আলীর নেতৃত্বে উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, শহর আমির মাওলানা রাসেদুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান।
নোয়াখালী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এবং আলেম - ওলামাসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহর মাইজদীতে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
নোয়াখালী জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ইসহাক খন্দকার বিএসসি বিএডের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য মাওলানা নিজাম উদ্দিন ফারুক।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের অন্যতম নেতা জনাব ইসমাইল হোসেন মানিক, ছাত্র শিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর সভাপতি ইমরান বিন মর্তুজা, শহর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুপ, শ্রমিক নেতা মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মায়াজ, মাওলানা মোহাম্মদ আইয়ুব, এড আবদুল্লাহ আল রাকিব, দেলোয়ার হোসেন, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার প্রমুখ।
ভোলা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় ভোলা সদর রোডে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা,আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলা জেলা শাখার সেক্রেটারি কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মো. হারুনুর রশিদ।
সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন মনির। রাজনৈতিক সেক্রেটারি অধ্যাপক জিয়াউল মোরশেদ চৌধুরী ভোলা সদর উপজেলা আমির মাও. কামাল হোসেন জেলা বাইতুল মাল সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন। ভোলা সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল গাফফার। ভোলা পৌরসভার সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিন। সদর উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি আবুজাহান কবির ও জনাব মাওলানা আব্দুল বারী। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভোলা শহর শাখার সভাপতি নাহিদ হাসান সেক্রেটারি মো. হাসনাইনসহ সদর উপজেলা ও ভোলা পৌরসভার নেতারা। মিছিল শেষে সদর রোডে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি মো. হারুনুর রশিদ।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে জামায়াত নেতারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দলন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। জামায়াত নেতাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাদের নির্মতার হিটলার, মুসোলনিকেও হার মানিয়েছে। এ সরকারের শাসনামলে কথিত বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে ৫ জন শীর্ষ নেতাকে বিচারিক হত্যা, ৬ জনকে কারাগারে রেখে একের পর হত্যার পরও তাদের জিঘাংসা বন্ধ হয়নি বরং তারা আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদেরকে বছরের পর বছর আটকে রেখেছে এবং সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বায়বীয় মামলা দিয়ে ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালাচ্ছে। নেতাকর্মীরা আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও সরকার তাদের মুক্তি দিচ্ছে না বরং মিথ্যা ও সাজানো মামলায় নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ সব জুলুম বন্ধের আহ্বান জানাই।
জামায়াত নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বিচার ও প্রশাসনিক প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় জাতির মুক্তির জন্য জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে এ সরকারের পতনের বিকল্প নেই।
জামায়াত নেতারা, অবিলম্বে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩