‘রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে’
রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয়, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। হ্যাঁ, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে।  এ সময় তিনি বলেন, সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে। বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।  এর আগে, ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানান। রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় নিজের নামে আগামীতে আর কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর যাতে প্রকল্প না নেওয়া হয়। এমনকি খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে কোনো স্থাপনার নাম তার নামে না রাখারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
০৯ মে, ২০২৪

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলায় জাহাজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে মোংলাবন্দরে ভিড়েছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি কেএস এআইএম নামে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই বাণিজ্যিক জাহাজটি মোংলাবন্দর জেটিতে ভিড়ে। এর পর রাতের পালা থেকে পণ্য খালাস শুরু করে শ্রমিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।   জাহাজটিতে ৯০৪ প্যাকেজের ২ হাজার ৬০৩ টন ইলেকট্রিক্যাল মালামাল রয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজটি  গত ২৮ মার্চ রাশিয়ার নভোরোসিয়েস্ক বন্দর থেকে মোংলাবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বিদেশি এই জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কনভেয়ার শিপিং লাইনসের খুলনার ব্যবস্থাপক সাধন কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাস্টম ক্লিয়ারিং ও বন্দরের  সকল নিয়মকানুন শেষে মালামাল খালাস শুরু হয়েছে। এরপর খালাসকৃত মালামাল সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রূপপুপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে নির্মাণকাজের জন্য আমদানিকৃত সকল পণ্য মোংলাবন্দরের মাধ্যমে দেশে আনা হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

৩৫ জনকে নিয়োগ দেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল) এর অধীনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সার্ভিস ডিভিশনের জন্য ০৬টি পদে ৩৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল)। বিভাগের নাম : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন-সাইট ফায়ার স্টেশন। পদের বিবরণ চাকরির ধরন : স্থায়ী। প্রার্থীর ধরন : পুরুষ। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আবেদনের নিয়ম : আগ্রহীদের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরম এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই ঠিকানায় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরম পাওয়া যাবে। আবেদন ফি : টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ৫০০ টাকা পাঠাতে হবে। আবেদন শুরু : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ আবেদনের শেষ সময় : ০৫ মে ২০২৪ তারিখ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

একাধিক পদে চাকরি দেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) অধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড ফিজিক্যাল প্রোটেকশন সার্ভিস’ বিভাগে ছয় ক্যাটাগরির পদে ২৪ জন পুরুষ কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ৫ মে পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পদের সংখ্যা : ০৬টি জনবল নিয়োগ : ২৪ জন চাকরির ধরন : অস্থায়ী প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ  ১. পদের নাম : ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার (সিকিউরিটি অ্যান্ড ফিজিক্যাল প্রোটেকশন) পদসংখ্যা : ১টি যোগ্যতা : সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক (চার বছর)/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যে কোনো স্থানে। বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ৩৫,৬০০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ইঞ্জিনিয়ার বা সমমান (গ্রেড-৮) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ৬২,৪০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসনসুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। ২. পদের নাম : ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার (সার্ভার) পদসংখ্যা : ৫টি যোগ্যতা : সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস/ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক (চার বছর)/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যে কোনো স্থানে বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ৩৫,৬০০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ইঞ্জিনিয়ার বা সমমান (গ্রেড-৮) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ৬২,৪০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসনসুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। ৩. পদের নাম : ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রনিকস) পদসংখ্যা : ১০টি যোগ্যতা : সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড ফিজিকস অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং/ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যেকোনো স্থানে বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ৩৫,৬০০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ইঞ্জিনিয়ার বা সমমান (গ্রেড-৮) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ৬২,৪০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসন–সুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। ৪. পদের নাম : ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার (সিকিউরিটি অ্যানালাইসিস) পদসংখ্যা : ৩টি যোগ্যতা : সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যে কোনো স্থানে বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ৩৫,৬০০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ইঞ্জিনিয়ার বা সমমান (গ্রেড-৮) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ৬২,৪০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসনসুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। ৫. পদের নাম : ট্রেইনি সাব–অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রনিক মেইনটেন্যান্স) পদসংখ্যা : ৩টি যোগ্যতা : বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকার অনুমোদিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রনিক টেকনোলজি/ডাটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং টেকনোলজি/টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যে কোনো স্থানে বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ২৭,১০০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বা সমমান (গ্রেড-১০) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ৪৮,০০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসনসুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। ৬. পদের নাম : ট্রেইনি টেকনিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট পদসংখ্যা : ২টি যোগ্যতা : বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সরকার অনুমোদিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ/সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৪.০০ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩.০০ থাকতে হবে; সনাতন ফলাফল পদ্ধতির অধীন প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কেবল পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে বিশেষভাবে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল ও এমএস পাওয়ার পয়েন্ট এবং ইউনিকোড টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ন্যূনতম বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি এবং ওজন বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে অনুমোদিত ন্যূনতম পরিমাপে থাকতে হবে। কর্মস্থল : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা এনপিসিবিএল নির্ধারিত যে কোনো স্থানে বেতন : প্রথম দুই বছর প্রবেশনকাল গণ্য হবে, তবে তা প্রবেশনকালীন প্রশিক্ষণের ফলাফল/পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বাড়ানো হতে পারে। প্রবেশনকালে নির্ধারিত হারে সাকল্য বেতন ও বিধি মোতাবেক উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে। সাকল্যে বেতন হবে ১৬,৫৫০ টাকা। প্রবেশনকাল সফলভাবে সমাপ্তিতে এনপিসিবিএলে ট্রেইনি টেকনিক্যাল অ্যাটেনডেন্টের চাকরি টেকনিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট (গ্রেড-১৭) পদে নিয়মিতকরণ/নিশ্চিতকরণ করা হবে। তখন মাসিক মূল বেতন হবে ২০,৪০০ টাকা। সুযোগ-সুবিধা : এনপিসিবিএলে নিয়মিত চাকরিতে নিয়োগের পর নির্ধারিত হারে মাসিক মূল বেতন ও পারিবারিক আবাসনসুবিধা (অথবা পারিবারিক আবাসনসুবিধা না দিতে পারলে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা) এবং প্রযোজ্যতা অনুসারে মূল বেতনের ৪০ শতাংশ হারে প্রকল্প ভাতা বা বিদ্যুৎকেন্দ্র ভাতা, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, যৌথ বিমা, কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটিসহ অন্যান্য প্রান্তিক সুবিধা এনপিসিবিএলের বিধিমালা ও নীতিমালা অনুসারে দেওয়া হবে। বয়স : আবেদনের শেষ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জন্য ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। শর্ত : যোগদানকারীকে যোগদানের সময় এ মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে যে- তিনি এনপিসিবিএলে যোগদানের তারিখ থেকে কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করবেন। যদি এনপিসিবিএলে ১০ বছর চাকরি সমাপ্তির আগে স্বেচ্ছায় এনপিসিবিএল ত্যাগ করেন, তবে তিনি এনপিসিবিএল, সরকার বা অন্য যে কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার জন্য ব্যয়কৃত সমুদয় অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন। এনপিসিবিএলে যোগদানের সময় যোগদানকারীকে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র দাখিল করতে হবে এবং ঘোষণা মোতাবেক যোগদানকারীকে কোম্পানি বা রাষ্ট্রের বা সরকারের বা কোনো এনপিপির নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলে প্রতীয়মান হলে কর্তৃপক্ষ কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরির অবসানসহ যেকোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। আবেদন যেভাবে : আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদন ফি : প্রত্যেক প্রার্থীকে তার আবেদন নিশ্চিতকরণের জন্য এই ওয়েবসাইটে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসরণ করে যেকোনো টেলিটক নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে অফেরতযোগ্য ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবেদনের সময়সীমা : ৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে ২০২৪, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব রাশিয়ার
ছোট ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে স্মল মডুলার রিঅ্যাক্টরস (এসএমআরএস) বলা হয়। এসব কেন্দ্র সর্বোচ্চ ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার হয়ে থাকে। বড় কেন্দ্রের তুলনায় ছোট এসব কেন্দ্র বানানো এবং স্থাপন করা সহজ হওয়ার কারণে সম্প্রতি বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, বাংলাদেশে রসাটমের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ-রাশিয়া কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলেক্সি লিখাচেভ তার বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপ হবে। বর্তমানে আমরা নতুন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছি। রূপপুর এনপিপি সাইটে আরও দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশ গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়াও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টিপারপাস গবেষণা রিঅ্যাক্টর নির্মাণের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গবেষণা রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞান ও নিউক্লিয়ার মেডিসিনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমাধান দিতে সক্ষম। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, রসাটমের ডিজির সঙ্গে আলোচনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমটির কাজ শেষের পরপরই দ্বিতীয় কেন্দ্রের কাজ শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় কেন্দ্র নির্মাণে প্রথম কেন্দ্রের চেয়ে কম খরচ হবে বলেও রসাটম জানিয়েছে। তবে এবার রসাটমের পক্ষ থেকে স্মল মডুলার রিঅ্যাক্টরস বা ছোট ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এ ছাড়া সঞ্চালন লাইনের ধীরগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা না গেলে প্রস্তুত থাকার পরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে না। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের অগ্রগতি নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে জানাতে হয়। রুটিন কাজের অংশ হিসেবে রসাটমের মহাপরিচালক বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। গত সোমবার তিনি বিশেষ বিমানে রাশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই যান পাবনার রূপপুরে। সেখানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ঢাকায় ফিরেও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে ঢাকা ছাড়েন তিনি। রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ করছে রসাটম। এ কেন্দ্রটির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট চলতি বছরে এবং একই ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৬ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসবে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আগে সারা বিশ্বে নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা থাকলেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দিন দিন এটি নিরাপদ হয়ে উঠছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। তা ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে যে ক্ষতিকর জ্বালানি (স্পেন্ট ফুয়েল) বা পারমাণবিক বর্জ্য তৈরি হবে, তা রাশিয়া কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের দেশে ফেরত নেবে। পরমাণু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরেনিয়ামের শক্তি অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় অনেকগুণ বেশি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইউরেনিয়াম হলো কয়লা ও জ্বালানি তেলের চেয়ে সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। দ্বিতীয় আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সেটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তি অনুযায়ী প্রথম তিন বছর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে তা রাশিয়া বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। একবার জ্বালানি ভরার পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) এবং পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পরপর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট তৈরি হবে না। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপানসহ বিশ্বের ৩২টি দেশ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছে। সেই তালিকায় ইতিমধ্যে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো দেশে আসে পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম। পরদিন কড়া নিরাপত্তায় সেই জ্বালানি পাঠানো হয় রূপপুরে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মালামাল পাচারকালে আটক ৫টি ট্রাক
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পাচার করার সময় আনুমানিক দেড় কোটি টাকার তামার তারসহ ৫টি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের প্রবেশমুখ বাটাখালীস্থ বেলালের দোকান নামক এলাকা থেকে এ ট্রাক আটক করা হয়।  চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মেসার্স মুছা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে চোরাই পথে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তামার তারসহ বিভিন্ন মালামাল পাচার করে আসছিল। এ চক্রের সঙ্গে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও পরোক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। ট্রাকচালক খোরশেদ আলম বলেন, মালামালগুলো মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছে মেসার্স মুছা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মানিক নামের এক ব্যক্তি। মালামাল বৈধ নাকি অবৈধ এ বিষয়ে তারা কিছু জানে না।  চালকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালামালগুলো বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পথেই জনতা মালামাল ভর্তি ৫টি ট্রাক আটক করে চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, জব্দকৃত মালামালগুলো জনতা আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মালামাল ভর্তি ৫টি ট্রাক থানায় নিয়ে আসে। মালামালের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসলে মালামালভর্তি গাড়িগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে পাঠানো হবে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুযোগ থাকলে রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধ জানান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জায়গায় নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দুটি নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত জরিপ করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের ‘স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ ফিরিয়ে নেওয়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তার উত্তরে, রোসাটম মহাপরিচালক রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আরএনপিপি’র প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিট দ্বারা ব্যয়কৃত পারমাণবিক জ্বালানি রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে রাশিয়ান ফেডারেশনে ব্যয়কৃত পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত দেওয়ার জন্য সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশ সরকার এবং রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার ইতোমধ্যেই রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির ব্যয়িত পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষ করে বাংলাদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এবং তা বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এ জন্য তিনি রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে রাশিয়ার সহায়তার কথা এবং মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশটির সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান। আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে আরএনপিপি উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ করতে সক্ষম হবে। তিনি আরও বলেন, আরএনপিপির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপি এলাকায় দুটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের প্রস্তাবও দেন। তিনি আরও বলেন, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪ এর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, বিদ্যমান পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্প্রসারণ আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং প্রযুক্তিগত ও পারমাণবিক নিরাপত্তার আলোকে অধিক লাভজনক এবং যুক্তিসঙ্গত যা আন্তর্জাতিকভাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশি ও রাশিয়ানসহ প্রায় ২৫০০ কর্মী এই প্রকল্পে কাজ করছেন, যারা তাদের দক্ষতা অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী রোসাটম মহাপরিচালককে বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে বাংলাদেশের দক্ষতা কাজে লাগাতে বলেন। আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, মহামারি এবং স্যাংশনের জন্য প্রতিবন্ধকতা ছিল কিন্তু এতদসত্ত্বেও স্বাভাবিক গতিতেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৌশলগতভাবে এই বাধা এড়ানো গেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে আরএনপিপি এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিটের (১২০০x২=২৪০০ মেগাওয়াট) নির্মাণকাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ এই বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে, আর ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২ থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে শুরু হবে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ চায় সিপিডি
বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তার মূলে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। অদক্ষতা ও অনিয়মের কারণে এ খাতের বিপুল ভর্তুকির দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকেই। তাই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র ফেইজ আউট বা বন্ধের তাগিদ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গতকাল বুধবার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবর্তনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ: একটি নাগরিক ইশতেহার শীর্ষক সভায় এ প্রস্তাব দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জ্বালানি রূপান্তরে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সিপিডির স্বল্পমেয়াদি বা জুনের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—জ্বালানির চাহিদা পূর্বাভাস সংশোধন, জ্বালানির মূল্য পরিশোধ স্থানীয় মুদ্রায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান, সোলার সামগ্রীতে শুল্ক কমানো, বায়োগ্যাসের ব্যবহার ইত্যাদি। মধ্যমেয়াদি বা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য এমন প্রস্তাবের মধ্যে আছে, যেসব কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যমান তালিকায় নেই, সেগুলো অনতিবিলম্বে ফেজ আউট করা। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্তি, অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাসহ সমন্বিত জ্বালানি নীতি গ্রহণ, প্রকৌশলীদের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু, পাওয়ার প্লান্ট ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বাতিল করা ইত্যাদি। এ ছাড়া আর জ্বালানির জন্য আলাদা সেল, স্রেডা ও বিইআরসিকে শক্তিশালী করাসহ একাধিক প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। জ্বালানির রূপান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, নির্বাচনী ও নাগরিক সমাজের ইশতেহার শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সে সময় তিনি বলেন, নির্বাচনে জ্বালানির গুরুত্ব আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দলগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি আমাদানিতে মনোযোগী; কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে মনোযোগ কম। বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এ খাতের ভর্তুকি সমন্বয় করা হচ্ছে ভোক্তার ওপর দায় চাপিয়ে। এখানে জবাবদিহির কোনো সুযোগ থাকছে না। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ জেনারেশন বৃদ্ধি, ট্রান্সমিশন লাইন বৃদ্ধি ও পিপিপির মাধ্যমে জ্বালানির প্রকল্পের কথা বললেও সেদিকে অগ্রগতি নেই। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তিগুলো আরও স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে করা উচিত। সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি আহরণ করা। সেক্ষেত্রে উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রতিটি খাতের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে বিদ্যুৎ খাতের ওপর। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এ খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ বিষয়ে সরকারকে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম প্রমুখ।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে মোংলায় বিদেশি জাহাজ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারিজ মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এসটি সোফিয়া। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাজটি মোংলা বন্দরের পাঁচ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে। জাহাজটিতে এক হাজার ৬৮১ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য রয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টারপোর্ট শিপ এজেন্টসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কাজী তানভীর মাহাবুব বলেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য রাত থেকেই খালাস শুরু হবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পণ্য খালাস করে সেগুলো সড়ক পথে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জ্বালানি মজুদ পর্যাপ্ত / ভেড়ামারা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হলো কী কারণে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য এখনও ৩৩ লাখ লিটার ডিজেল মজুত আছে যা দিয়ে কেন্দ্রটি প্রায় ৬ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। জাতীয় গ্রিডে কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে এ কেন্দ্রটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। জাপানি মেশিন হওয়ায় তা এখনো যথেষ্ট ভালো। কিন্তু উৎপাদন দক্ষতা কমে গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মেশিন ও উৎপাদন খরচ ব্যয়বহুল হওয়ার কারণেই মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে কেন্দ্রটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানান। কেন্দ্রটিতে বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন ৬২ জন কর্মচারী-কর্মকর্তা। যাদেরকে অন্যত্র কেন্দ্রে বদলি করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ নির্দেশনা দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান।  বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডিজেলে চলা ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ২০২২ সালে দুটি ইউনিট বন্ধ করা হয়। এক ও দুই নম্বর ইউনিট ৪৬ বছর ধরে চলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ৪৪ বছর ধরে সচল আছে। সেটিও স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক ও দুই নম্বর ইউনিট বন্ধের পর প্রায় ২০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। তবে ২০২২ সাল থেকে তিন নম্বর ইউনিট থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা না হলেও কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণ, ডিজেল খরচ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ ২০২২ সালে সরকারের খরচ হয়ে গেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যার ফলে সরকার এখানে আর্থিক লোকশানের শিকার হচ্ছে।  জানা গেছে, ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৯৭৬ সালের ২৭ এপ্রিল জার্মানির এজি কার্নিস কোম্পানির প্রযুক্তিতে একটি জিট ইউনিট নিয়ে প্রথম উৎপাদনে আসে। একই বছরের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় ইউনিট চালু হয়। সে সময় ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থেকে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। চাহিদার কারণে ১৯৮০ সালের ১৯ জানুয়ারি জাপানের হিটাসি কোম্পানির প্রযুক্তিতে ২০ মেগাওয়াটের আরেকটি ইউনিট চালু করা হয়। তখন মোট সক্ষমতা দাঁড়ায় ৬০ মেগাওয়াট।  আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটি বন্ধ করে অকশন দিয়ে জায়গাটি ক্লিয়ার করতে হবে। এখানে ৪ থেকে  ৮ মেগাওয়াটের একটি সোলার প্যানেল (সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪
X