প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করবে বিবিএস
মূল্য না জানলে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা কঠিন। এজন্য সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি একজন ব্যক্তির সারা জীবনে অক্সিজেন, পানি ব্যবহারের পরিমাণ-পরিমাপের সঙ্গে এসবের আর্থিক মূল্যও নিরূপণ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে ন্যাশনাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস (এনআরএ) তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের আওতায় কাজগুলো করবে এনআরএ। ‘ন্যাশনাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস আন্ডার ইউএন সিস্টেম অব ইনভায়রনমেন্টাল ইকোনমি অ্যাকাউন্টিং’ শীর্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে বিবিএস এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ সেমিনার আয়োজন করে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং এফএওর রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াকুন সাই। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে সম্পদের পরিমাণ এবং কোথায় আছে—জানতে হবে। একই সঙ্গে এই সম্পদের মূল্যও জানতে হবে। আর এর জন্য সম্পদের মূল্য হিসাব করা ছাড়া উপায় নেই। এ কারণেই দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, একটি প্রচলিত ধারণা হলো পরিবেশ ও উন্নয়ন পরস্পরবিরোধী। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্যই টেকসই উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগে গায়ের জোরে অনেকেই বন ও পরিবেশ ধ্বংস করত। কিন্তু এখন প্রভাব খাটিয়ে কিছু করা চলবে না। সবার আগে দেখতে হবে জাতীয় স্বার্থ। এজন্যই অ্যাকাউন্টস দরকার। সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জানিয়ে সাবের হোসেন বলেন, এর আওতায় আরও ১১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। তখন প্রাকৃতিক সম্পদের লাইভ তথ্য পাওয়া আরও সহজ হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন এখনো অনেক দূরে। সনাতনী পদ্ধতি ইট পোড়ানো পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনাতন পদ্ধতিতে ইট তৈরিতে বছরে ১৩ কোটি টন মাটি ব্যবহার হচ্ছে। এটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। খাদ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন উজাড়ের সঙ্গে কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে। শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। এই নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। তথ্যভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, ততই আমরা টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে পারব। এজন্য সঠিক জরিপ প্রয়োজন। ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। প্রকৃতির মধ্য থেকেই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের যে অ্যাকাউন্টস করা হচ্ছে, সেটার জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন। সেমিনারে বিবিএস জানায়, দেশের, মাটি, পানি, বাতাস, বন, প্রাণিসম্পদসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করা হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যে কোনো নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে এই অ্যাকাউন্টস কাজে আসবে বলেও জানায় সংস্থাটি। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানে জাতিসংঘের সহায়তায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করবে বিবিএস
প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য না জানলে প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা করা কঠিন। এজন্য সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রথমবারের মতো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি একজন মানুষ সারাজীবনে কত অক্সিজেন ব্যবহার করে, কত পানি ব্যবহার করে এবং এসবের আর্থিক মূল্য কত সেটিও নিরূপণ করা হবে। এজন্য ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস (এনআরএ) তৈরি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক একাউন্টিং সিস্টেমের আওতায় এ কাজ করবে এনআরএ। ‘ন্যাশনাল রিসোর্স একাউন্টস আন্ডার ইউএন সিস্টেম অব ইনভায়রনমেন্টাল ইকোনমি একাউন্টিং’ শীর্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন অডিটোরিয়ামে বিবিএস এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএও যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার এবং এফএও এর রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াকুন সাই। সেমিনারে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে সম্পদের পরিমাণ এবং  কোথায় আছে সেটা জানতে হবে। একইসঙ্গে এই সম্পদের মূল্য আমাদের জানতে হবে। এটার জন্য সম্পদের মূল্য হিসাব করা ছাড়া উপায় নেই। এজন্য দেশে প্রথমবারের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, একটি প্রচলিত ধারণা হলো পরিবেশ ও উন্নয়ন পরস্পরবিরোধী। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্যই টেকসই উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যেন দুটোই করা সম্ভব হয়। এখন বিশ্বব্যাপী পরিবেশের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু এ যুদ্ধে প্রকৃতি কখনই হারবে না। তাই পরিবেশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, আগে গায়ের জোরে অনেকেই বন ও পরিবেশ ধ্বংস করত। কিন্তু এখন প্রভাব খাটিয়ে কিছু করা চলবে না। সবার আগে দেখতে হবে জাতীয় স্বার্থ। এজন্যই একাউন্টস দরকার। সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জানিয়ে সাবের হোসেন বলেন, এর আওতায় আরও ১১টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। তখন প্রাকৃতিক সম্পদেরও লাইভ তথ্য পাওয়া আরও সহজ হবে। এসডিজি বাস্তবায়ন এখনো অনেক দূরে। সনাতনী পদ্ধতিতে ইট পোড়ানো পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি দাবি করে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সনাতন পদ্ধতিতে ইট বানানোর কারণে বছরে ১৩ কোটি টন মাটি ইটে ব্যবহার হচ্ছে। এটা পরিবেশ ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ ও খাদ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বন উজাড় হচ্ছে কৃষি জমির ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বেঁচে থাকাটাই এখন মানুষের অন্যতম চিন্তা। এ চিন্তা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর এই বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত, একটি বাঁচা-মরার বিষয়। তিনি বলেন, এর ফলে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। আমাদের তথ্যভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ হবে ততই আমরা টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে পারব। এজন্য সঠিক জরিপ প্রয়োজন। ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। প্রকৃতির মধ্য থেকেই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের যে একাউন্টস করা হচ্ছে সেটির জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন। সেমিনারে বিবিএস জানায় দেশের, মাটি, পানি, বাতাস, বন, প্রাণিসম্পদসহ সব ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্য হিসাব করা হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। যে কোনো নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে এ একাউন্টস ব্যাপক কাজে আসবে বলেও জানায় বিবিএস। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানে জাতিসংঘের সহায়তায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ১৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে বেকারত্ব কমেছে, বলছে বিবিএস
দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আগের তুলনায় এক বছরে বেকারত্ব কমছে ০.১৭ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার। ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের এক প্রান্তিকে দেশে বেকার বেড়েছে ৪০ হাজার। আর বেকারত্বের হার বেড়েছে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বেকারত্ব বাড়লেও বিবিএসের বছরওয়ারি তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের সামগ্রিক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ গত এক বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে এক লাখ ১০ হাজার। গত বছরের সামগ্রিক হিসাবে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তাদের বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাদের ১৩-১৪ লাখের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হয়। বাকিটা দেশের বাইরে প্রবাসে যান। তাই দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা ২৪-২৮ লাখের মধ্যে আছে। বিবিএসের হিসাবে বেকারের বাইরে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে সেই সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লাখ। যাদের বড় অংশই শিক্ষার্থী, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক লোক। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এ সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি। আর শ্রমশক্তির বাইরে থাকা পুরুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

দেশের মোট জনসংখ্যা কত, জানাল বিবিএস
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস কার্যালয়ে আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। এবার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ০০৩ জন আর নারী রয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন। দেশে ভাসমান জনসংখ্যা ২২ হাজার ১৮৫ জন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে ১১ বছরে সিটি করপোরেশন এলাকায় জনসংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ জন রয়েছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯৭৬ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জনে। মোট জনসংখ্যার মধ্যে কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৩৭.২১ শতাংশ, কাজ খুঁজছে ১.৬৫ শতাংশ, কাজ করে না ২৯.৩২ শতাংশ। দেশে কাঁচা ঘর ৬৬.১৯ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৫৮.৭৮ শতাংশে। আর পাকা ঘর ১১.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২.৪৬ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।
২৮ নভেম্বর, ২০২৩

শ্রমিকের চাহিদা জানতে সার্ভে করবে বিবিএস
প্রথমবারের মতো ‘লেবার ডিমান্ড সার্ভে’ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর মাধ্যমে দেশে কোন খাতে কী ধরনের শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে বা কোথায় কতটুকু দক্ষতা বা শ্রমিকের ঘাটতি আছে, সেসব বিষয় তুলে আনা হবে। এতে সঠিকভাবে সরকারি নীতিনির্ধারণ এবং শ্রমের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কমানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৪ সালে এ সার্ভে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। দুই দিনব্যাপী এক সেমিনারের শেষ দিনে সোমবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ত্রৈমাসিক জিডিপি নিয়মিত প্রকাশের কথাও জানায় বিবিএস। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব তথ্য জানান বিবিএসের কর্মকর্তারা। ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সদস্যদের জন্য এই সেমিনার আয়োজন করে এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রজেক্ট। সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। বক্তব্য দেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সেমিনারের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য দেন লেবার ফোর্স সার্ভে প্রকল্পের পরিচালক ও বিবিএসের ডেপুটি ডিরেক্টর আজিজা রহমান, হাউস হোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার (এইচআইইএস) প্রকল্পের পরিচালক ও ডেপুটি ডিরেক্টর মহিউদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ এবং কৃষি উইংয়ের পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ, উপপরিচালক আকতার হাসান প্রমুখ।
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

শ্রমিকের চাহিদা জানতে লেভার ডিমান্ড সার্ভে করবে বিবিএস
প্রথমবারের মতো ‘লেবার ডিমান্ড সার্ভে’ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই সার্ভের মাধ্যমে দেশে কোন খাতে কী ধরনের শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে বা কোথায় কতটুকু দক্ষতা বা শ্রমিকের ঘাটতি আছে সেসব বিষয় তুলে আনা হবে। এতে সঠিকভাবে সরকারি নীতিনির্ধারণ এবং শ্রমের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সমন্বয়হীনতা কমানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৪ সালে এ সার্ভে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। দুদিনব্যাপী সেমিনারের শেষদিনে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ত্রৈমাসিক জিডিপি নিয়মিত প্রকাশের কথাও জানায় বিবিএস। ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) সদস্যদের জন্য এই সেমিনারের আয়োজন করে এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রজেক্ট। সেমিনারের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএস ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক দিলদার হোসেন। বক্তব্য দেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সেমিনারের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য দেন লেবার ফোর্স সার্ভে প্রকল্পের পরিচালক ও বিবিএসের ডেপুটি ডিরেক্টর আজিজা রহমান, হাউস হোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার (এইচআইইএস) প্রকল্পের পরিচালক ও ডেপুটি ডিরেক্টর মহিউদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ এবং কৃষি উইংয়ের পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ ও উপপরিচালক আকতার হাসান প্রমুখ। বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে বিবিএস। আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে তথ্যের গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেমিনারে জানানো হয়, আগামীতে মূল্যস্ফীতির তথ্য সিএপিআই (কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পার্সোনাল ইন্টারভিউইং) পদ্ধতি করার কাজ চলছে। এটি হলে আরও সঠিক এবং দ্রুত সময়ে তথ্য পাওয়া সহজ হবে। সেমিনারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব কীভাবে করা হয়, কৃষিতথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা হয় ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
০৬ নভেম্বর, ২০২৩

তিন মাসে বেকার কমেছে ৭০ হাজার : বিবিএস
দেশের বেকার জনগোষ্ঠী কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সংস্থাটির ত্রৈমাসিক হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে বেকার কমেছে ৭০ হাজার। এ সময়ে বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৩০ হাজারে। এর আগের প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশের বেকার সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ। সেপ্টেম্বর শেষে বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষ সবচেয়ে বেশি। দেশে এখন বেকারদের মধ্যে ১৬ লাখ পুরুষ, আর ৮ লাখ ৩০ হাজার নারী। রোববার (২৯ অক্টোবর) ২০২৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিএস। হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে বেকার কমলেও শ্রমশক্তি বেড়েছে, উল্টোদিকে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শ্রমশক্তির বাইরে জনগোষ্ঠী। বিবিএস বলছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যারা গত ৭ দিনে কমপক্ষে ১ ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং গত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন। সর্বশেষ প্রকাশিত হিসাব অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে দেশে বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে জুন প্রান্তিকে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।  গত তিন মাসে বেকার কমলেও দেশের শ্রমশক্তি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে শ্রমশক্তিতে যুক্ত রয়েছেন ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার। জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার। শ্রমশক্তি বলতে বোঝায়, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী ও বেকার জনগোষ্ঠীর মোট সমষ্টিকে।  কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়, গত সাত দিনে যারা কমপক্ষে এক ঘণ্টা কাজ করেছেন বা কমপক্ষে একটি মুরগি পালন করেছেন। সে হিসেবে দেশে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীও বেড়েছে। ২০২৩ সালের ৯ মাস শেষে দেশে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার। এর আগে জুন শেষে এ হার ছিল ৭ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার।  তবে শঙ্কার বিষয়, দেশের শ্রমশক্তির বাইরে অবস্থিত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বাড়ছে। শ্রমশক্তির বাইরে জনগোষ্ঠী বলতে বোঝায়, যারা কর্মে নিয়োজিত নন আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নন। বিশেষ করে ছাত্র, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও গৃহিণীরা এ হিসাবের অন্তর্ভুক্ত। বিবিএস বলছে, গত তিন মাসে এমন জনগোষ্ঠী বেড়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার। সেপ্টেম্বর শেষে শ্রমশক্তির বাইরে জনগোষ্ঠী ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার। জুন শেষে এ হার ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

কেমন সেবা পাচ্ছে মানুষ জরিপ করবে বিবিএস
দেশের সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে সেবাগ্রহীতাদের ধারণা জানতে জরিপ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এ জরিপের মাধ্যমে দেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মানুষ কেমন সেবা পাচ্ছে, সেটা জানা যাবে। এ ছাড়া বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বিচারপ্রার্থীদের ধারণাও জানা যাবে। জরিপ কাজ পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিবিএস। প্রকল্প প্রস্তাব সূত্রে জানা গেছে, বিবিএসের প্রস্তাবিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সারা দেশে অনুমোদন পেলে জরিপ চলতি বছরে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চলবে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিবিএসের প্রস্তাবিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশ কিছু খাতে ব্যয় কমিয়ে সংশোধন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সম্পর্কে বিবিএসের উপপরিচালক রাশেদ-ই-মাস্তাহাব কালবেলাকে বলেন, সুশাসন, ন্যায়বিচার এবং কার্যকর প্রতিষ্ঠানের ভিত তৈরি করাই মূলত এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ জরিপটির মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা, বিচারব্যবস্থা, সুশাসন ও সেবা গ্রহণে সেবাগ্রহীতার ধারণা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পিইসি সভায় কিছু খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সেগুলো বাদ দিয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি সংশোধন করা হবে। বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান কালবেলাকে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে অপরাধ, বিচার ও সরকারি সেবা গ্রহণে নাগরিকদের অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, দেশের শাসনব্যবস্থা এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন সেবা দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে মানুষের ধারণা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করে শাসনব্যবস্থা এবং সেবার মান সম্পর্কে মানুষের মতামত জানার জন্য জরিপ কাজটি পরিচালনা করা হবে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এসডিজি ১৬-এর অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রতি দুই বছর অন্তর জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাগুলো কর্তৃক খানাভিত্তিক জরিপের মাধ্যমে এ জাতীয় হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজির অভীষ্টগুলো বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সরবরাহের লক্ষ্যে এতদসংক্রান্ত বিষয়ে নাগরিকদের ধারণা জরিপ করা অতীব জরুরি। এ জরিপের মাধ্যমে দেশের সব স্তরে বিদ্যমান অপরাধ প্রবণতা, বিচারব্যবস্থা, সুশাসন ও নাগরিকসেবা গ্রহণে সেবাগ্রহীতার ধারণা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
২২ আগস্ট, ২০২৩
X