দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আগের তুলনায় এক বছরে বেকারত্ব কমছে ০.১৭ শতাংশ। তবে ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসে দেশে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে।
বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ১০ হাজার। ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের এক প্রান্তিকে দেশে বেকার বেড়েছে ৪০ হাজার। আর বেকারত্বের হার বেড়েছে ০ দশমিক ০৫ শতাংশ।
গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৭০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বেকারত্ব বাড়লেও বিবিএসের বছরওয়ারি তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের সামগ্রিক হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে। গত বছর শেষে বেকার লোকের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৮০ হাজার। অর্থাৎ গত এক বছরে দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে এক লাখ ১০ হাজার।
গত বছরের সামগ্রিক হিসাবে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার; আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজের জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং জরিপের আগে ৩০ দিন বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কাজ খুঁজেছেন, তাদের বেকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করেন। তাদের ১৩-১৪ লাখের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হয়। বাকিটা দেশের বাইরে প্রবাসে যান। তাই দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা ২৪-২৮ লাখের মধ্যে আছে।
বিবিএসের হিসাবে বেকারের বাইরে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী শ্রমশক্তির বাইরে রয়েছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে সেই সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লাখ। যাদের বড় অংশই শিক্ষার্থী, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত বা বয়স্ক লোক। শ্রমশক্তির বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে নারীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এ সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি। আর শ্রমশক্তির বাইরে থাকা পুরুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখের বেশি।
মন্তব্য করুন