দিনাজপুরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের প্রস্তুতি, চলবে বিশেষ ট্রেন
ছয় লাখ মুসল্লি'র সমাগমে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদ-উল-ফিতরের জামাতের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহিদ বড় ময়দানে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে অংশ নিতে আসা দূর-দূরান্তের মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ঈদ জামাত প্রস্তুতি কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। সভায় জানানো হয়, ঐতিহাসিক গোর-এ শহিদ বড় ময়দানে ঈদের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা সামশুল আলম কাশেমী। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মুসল্লিদের যাওয়া-আসার সুবিধার্থে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মিনারে সংস্কার কাজ, রং করা, ধোয়া মুছা, মাঠে মাটি ভরাটসহ আনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। এছাড়াও ঈদের নামাজে আসা মুসল্লিদের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ তৈয়ব আলী দুলাল জানান, মাঠের বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের টাওয়ার। মাঠের আরেকটি অংশে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের গ্যারেজ। এছাড়াও পাশের স্টেশন ক্লাব, সার্কিট হাউজ, শিশু একাডেমি ও জেলা গণগ্রন্থাগারেও যানবাহন পার্কিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের জন্য মাঠের চারিপাশে তৈরি করা হচ্ছে ১৭টি তোরণ। শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে এবং মিনারে যাওয়ার রাস্তাতে তৈরি হচ্ছে তোরণ। মুসল্লিদের জন্য মাঠে ওযুখানা, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের পাশাপাশি রয়েছে জেনারেটের ব্যবস্থা । লাগানো হবে শতাধিক মাইক, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় র‌্যাবের জন্য তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ মাচাং নির্মাণসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের দিন অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস সার্ভিস ছাড়াও যেসব উপজেলার সঙ্গে শহরের ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলা থেকে মুসুল্লিদের জন্য স্টেশনগুলো থেকে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা একটি ঐতিহাসিক স্বপ্ন ছিল। এখন এটি একটি সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা দিনাজপুরবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দু’টি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। মিনার দুটির উচ্চতা ৫০ ফুট, যে মেহরাবে খতিব বয়ান করবেন, সেটির উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদ সরকার জানান, প্রতি বছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরেও ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দিনাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম সর্বপ্রথম এ বড় ঈদ জামাতের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার আন্তরিক তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে এ ঈদগাহ মিনার। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন দিনাজপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও যদি বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে বড় মাঠের পাশে মসজিদসহ আশপাশের এলাকার মসজিদ গুলোতে একযোগে নামাজ আদায় করা হবে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে গত ২০ দিন ধরে মিনারের সংস্কার ও মাঠের পরিচর্যার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদের জামাতকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকবে । ঈদগাহের চার পাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদগাহ প্রাঙ্গণে সক্রিয় থাকবেন সাদা পোশাকে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়া মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয়েছে চারটি বড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে শহরজুড়ে। যাতে করে দূর দূরান্ত থেকে আসা যানবাহন গুলো শহরে প্রবেশ করতে ও বের হতে কোন সমস্যা না হয়। সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদগা জামাতের নামাজ আদায়ের সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত: গোর-এ শহিদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বড় কোনো মিম্বর ছিল না। ২০১৫ সালে স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেন। এরপর ২০১৭ নির্মিত ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনার তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গম্বুজগুলোর দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এর আগে ঈদগাহের মধ্যে দিনাজপুর স্টেশন ক্লাব থাকলেও এবার তা সরানো হয়েছে। ফলে বেড়েছে ঈদগাহের আয়তন। সিরামিক্স দিয়ে পুরো মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলে ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে। ২০১৭ সাল থেকেই প্রতিবারে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করছেন দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি ঐতিহাসিক গোর-এ শহিদ ময়দানে।  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুসল্লিদের জন্য ৩০০ অজুখানা, ৪০টি টয়লেট এবং খাবার পানি সরবরাহের জন্য ৫টি পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ জামাত প্রস্তুতি কমিটির সভা শেষে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও কমিটির নেতৃবৃন্দ ঈদগাহ মাঠ ইফতারের আগে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, শোলাকিয়া একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ, তবে আয়তনের দিক দিয়ে দিনাজপুর ঈদগাহ মাঠ চারগুণ বড়। ৬৬ একর জমিতে বিস্তৃত। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ আর নেই। প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছে দিনাজপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এবার কমপক্ষে ছয় লাখ মুসল্লি এই ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।এই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে সড়কে নেই চিরচেনা যানজট, থাকছে বিশেষ ট্রেন
ঈদ যাত্রায় ঢাকা ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ। তবে স্বাভাবিক গতিতে চলছে গাড়ি। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে খুশি যাত্রীরা। সড়ক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সকাল থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত  সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। এতে চান্দনা চৌরাস্তায় উড়ালসেতুতে গাড়ি চলাচল করছে কিছুটা ধীর গতিতে। তবে এ মহাসড়কের অন্য অংশে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যাত্রী ও চালকরা বলেছেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে গিয়ে কোথাও যানজটে পড়তে হয়নি। ফলে স্বাভাবিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন তারা। এদিকে, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। এতে চন্দ্রা ত্রিমোড় কেন্দ্রিক যানবাহনের জটলা রয়েছে। তবে যানজটের ভোগান্তি নেই। গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে নেওয়া হয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। ফলে আমরা আশা করছি ঈদযাত্রায় মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবেন। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তিন দিন গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত তিনটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাসিবুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে জয়দেবপুর থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত তিনটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকছে। আজ ৭ তারিখ ও আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল তিনটি বিশেষ ট্রেন রাত ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ট্রেনটি জয়দেবপুর থেকে ছেড়ে গিয়ে নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট, বিরামপুর, ফুলবাড়ী স্টেশন হয়ে সর্বশেষ দিনাজপুরের পার্বতীপুর জংশনে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সময় ভোররাত ৫টা ৫৫ মিনিট। ট্রেনটিতে মোট আসন সংখ্যা থাকবে ৭১৬টি, যার মধ্যে প্রথম শ্রেণির রয়েছে ২৪টি। বরাদ্দকৃত সব টিকেট কেবলমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। আসনবিহীন টিকেট ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে জয়দেবপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। আগামীকাল গাজীপুরের পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হবে। এতে সড়কে বাড়তি মানুষ ও গাড়ির চাপ বাড়তে পারে। এতে কিছুটা যানজটের শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

আজ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন
ফেব্রুয়ারি ও মার্চের সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পাঁচ দিনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারির ২০, ২৮, ২৯ তারিখ এবং ৬ ও ৭ মার্চ চলাচল করবে বিশেষ ট্রেনটি। আজ মঙ্গলবার থেকে এ ট্রেন চালু হচ্ছে। প্রথম ট্রেনটি আজ রাত ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করবে এবং বুধবার সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ও যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটিতে ১৪টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৫০টি এবং এসি চেয়ার ২২০টি। আর টিকিটের দাম রাখা হবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসের সমমূল্যের। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার এসি (স্নিগ্ধা) ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি (শোভন চেয়ার) ভাড়া ৬৯৫ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন
ফেব্রুয়ারি ও আগামী মার্চের সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের চাহিদা বিবেচনা করে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে পাঁচ দিনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারির ২০, ২৮, ২৯ তারিখ এবং ৬ ও ৭ মার্চ ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচল করবে এই বিশেষ ট্রেনটি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এটি চালু হচ্ছে। প্রথম ট্রেনটি মঙ্গলবার রাত ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করবে, যা পরদিন বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকারি ছুটির মধ্যে পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনা ও যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কক্সবাজার-ঢাকা রুটে পাঁচ দিনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে। বিশেষ ট্রেনটি ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ৭ মার্চও চলবে। ওই দিনগুলোতে ট্রেনটি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে ছাড়বে এবং কক্সবাজার পৌঁছাবে পরের দিন সকাল ৮টায়। একইভাবে ট্রেনটি ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৬ মার্চ কক্সবাজার থেকে ছাড়বে এবং ঢাকায় পৌঁছবে ভোর ৪টায়। ট্রেনটিতে ১৪টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৪৫০টি এবং এসি চেয়ার রয়েছে ২২০টি। আর টিকেটের মূল্য রাখা হবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসের সমমূল্যের। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার এসি (স্নিগ্ধা) ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা এবং নন-এসি (শোভন চেয়ার) ভাড়া ৬৯৫ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া (এসি) ৪৭০ টাকা এবং (নন-এসি) ২৫০ টাকা।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওরশ পালনে ভারতে যাচ্ছে বিশেষ ট্রেন
রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদিনীপুরে ছেড়ে যাবে বিশেষ ট্রেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে ১২৩তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে ২ হাজার ২৫১ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। ট্রেনে থাকবে ২৪টি বগি। জানা গেছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর বংশধর হযরত আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম মওলাপাক পবিত্র ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ওরশ শেষে ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরবে আগামী সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)।  বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। ট্রেনের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব‍্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফর : চলছে বিশেষ ট্রেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা আজ সিলেট থেকে শুরু করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সিলেটের হজরত শাহজালাল ও শাহপরান রহ-এর মাজার জিয়ারত ও জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম এ জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের বিভিন্ন রুটে ৪টি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশে রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।  চিঠিতে বলা হয়েছে, শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-শায়েস্তাগঞ্জ রুটে ২ জোড়া, মনতলা-সিলেট-মনতলা এবং সিলেট-বরমচাল-কুলাউড়া-সিলেট রুটে এক জোড়া করে মোট ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন যাওয়া-আসা করবে। জনসভাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের অনুমোদন দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের তথ্যমতে, স্পেশাল-১ ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-শায়েস্তাগঞ্জ রুটে যাওয়া আসা করবে। ১১৯ কিলোমিটার দূরত্বের এ রুটে ১০টি কোচ দিয়ে বিশেষ ট্রেন উভয়পথে যাত্রী পরিবহন করবে। এ রুটে সুলভ (২য় শ্রেণি) শ্রেণিতে জনপ্রতি ভাড়া ৭০ টাকা ও শোভন ভাড়া ১১৫ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও পার্সেল ভাড়া রাখা হয়েছে প্রতি কেজি ১ টাকা ৩৭ পয়সা। প্রতি ট্রিপে (আপ ও ডাউন) রেক প্রতি ৫৬ হাজার ১২০ টাকা, ১০% নন স্টপ চার্জ ৫ হাজার ৬১২ টাকা ধরে স্পেশাল-১ ট্রেনের দুই ট্রিপে মোট ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৪ টাকা। স্পেশাল-২ ট্রেনটি একই রুটে (শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট-শায়েস্তাগঞ্জ) সমাবেশের যাত্রী পরিবহন করবে। ১০ কোচের ট্রেনটিতে সুলভ (২য় শ্রেণি), শোভন, শোভন চেয়ার ছাড়াও প্রথম শ্রেণির কোচ সংযোজন করা হয়েছে। রেকপ্রতি ৪৭ হাজার ১৪১ টাকা ও ১০% নন স্টপ চার্জ ২ হাজার ৮৭৪ টাকা ধরে দুই ট্রিপে মোট ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩০ টাকা। স্পেশাল-৩ রুটে মনতলা-সিলেট-মনতলা রুটের ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে ১০টি কোচ সংবলিত একজোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এই রুটে সুলভ (২য় শ্রেণি) ৮৫ টাকা, শোভন ১৪০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৬৫ টাকা এবং প্রথম শ্রেণিতে (১৫% ভ্যাটসহ) ২৫৩ টাকা জনপ্রতি ভাড়া ধরা হয়েছে। পার্সেল প্রতি কেজি ভাড়া ধরা হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। প্রতি ট্রিপে (আপ ও ডাউন) রেক প্রতি ভাড়া ৬৪ হাজার ৯০৬ টাকা ও ১০% নন স্টপ চার্জ ৪ হাজার ৮৩৪ টাকা ধরে দুই ট্রিপে ট্রেনের মোট ভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকা।  অপর দিকে সিলেট-বরমচাল-কুলাউড়া-সিলেট রুটের স্পেশাল-৪ ট্রেনটি ২৯ কিলোমিটার দূরত্বের পথে যাত্রী পরিবহন করবে। ১০টি কোচ সংবলিত একজোড়া ট্রেনের সুলভ (২য় শ্রেণির) ভাড়া ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৩৫ টাকা এবং পার্সেল কেজি প্রতি ৯০ পয়সা। উভয় পথে (আপ ও ডাউন) স্পেশাল-৪ ট্রেনের মোট ভাড়া ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ১৬০ টাকা। সব মিলিয়ে সিলেটে প্রধানমন্ত্রী জনসভাকে কেন্দ্র করে রেলের পরিচালিত ৪ জোড়া ট্রেনে ভাড়া আদায় হবে ৪ লাখ ৪ হাজার ১৩৪ টাকা। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মো. নূরুল ইসলাম জানান, যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় রেলওয়ে সক্ষমতা অনুযায়ী বিশেষ ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা করে। যে কেউ চাইলে ভ্রমণের জন্য (বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যতীত) আবেদন করলে বিশেষ ট্রেন সার্ভিস দেওয়া হয়। সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেটে বিশেষ ৪ জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X