কলেরা ঠেকাতে বিশাল কর্মসূচি শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্বে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা কর্মসূচি শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর অংশীজনরা। খবর এএফপির। পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউই কলেরা পরীক্ষা কিটের প্রাথমিক চালান পেয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কলেরার সংক্রমণ শনাক্তে যে প্রচেষ্টা তা শুরু হলো। এবারের কর্মসূচিতে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ বিশ্বের ১৪টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশে ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার কিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থাটি। ২০২২ সালে তার আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ কলেরা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ৭ লাখের বেশি মানুষের কলেরা শনাক্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোট গ্যাভির অর্থায়ন ও সমন্বয়ে এবং ইউনিসেফের সংগৃহীত কিটের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি শুরু করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক বিবৃতিতে গাভির প্রধান প্রোগ্রাম অফিসার অরেলিয়া নগুয়েন বলেছেন, আমরা বিশ্বে কয়েক বছর ধরে কলেরা সংক্রমণের নজিরবিহীন বৃদ্ধি লক্ষ করছি। আজকের এই কর্মসূচি এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জরুরি সক্ষমতা বাড়াবে।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে আগ্রহী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ইচ্ছা পোষণ করেছে। ডব্লিউএইচও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগ মোকাবেলায় এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল বলেন, ডব্লিউএইচও বিশেষ করে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রদানে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রোগ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী যেমন নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কাজ করবে। যেহেতু বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, যে কোনো দুর্যোগে নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই ডব্লিউএইচও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর জন্য কাজ করবে। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগের মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যার মধ্যে রয়েছে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট রোগ। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, সংস্থাটি সমস্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পেশাদারদের পাঠ্যক্রমে রোগীদের সঙ্গে আচরণ করার ক্ষেত্রে আচরণগত পদ্ধতির মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের জন্য সহায়তা দেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে এবং ক্লিনিক থেকে নারী-শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তিনি আরও বলেন, সুতরাং, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্পবয়সী মেয়েরা স্তন ক্যান্সার নিয়ে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী স্তন ক্যান্সারের দ্রুত নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে রোগটি নিরাময়যোগ্য। স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয়ে সরকার উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রেফারেল সিস্টেম চালু করার জন্য কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভুটানকে বার্ন ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য শিক্ষার একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে যাচ্ছে কারণ ইতোমধ্যেই ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে প্রচুর শিক্ষার্থী বাংলাদেশে রয়েছে। সরকার এ কর্মসূচি সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার চিকিৎসক ও ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বেসরকারি স্বাস্থ্য চিকিৎসকদের জন্য লাইসেন্সিং পরীক্ষা চালু করতে যাচ্ছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সায়মা ওয়াজেদ। সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশের প্রথম এবং এই পদে অধিষ্ঠিত দ্বিতীয় নারী। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সুগত বসু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে বন্ধনের ওপর আলোকপাত করেন।
২৩ মার্চ, ২০২৪

এক মাসে করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আবারও ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে করোনা। গত এক মাসে বিশ্বে করোনায়  প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বুধবার বলেন, ছুটির জন্য মানুষের ভিড়ের কারণে করোনার প্রচলিত ধরনগুলো ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী গত মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১০ হাজার মানুষ করোনায় মারা গিয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে। ৫০টি দেশে এ সংখ্যা বেড়েছে, যার বেশিরভাগ ইউরোপ ও আরেকিার।  জেনেভার সদরদপ্তরে তিনি বলেন, প্যান্ডামিকের সময়ের তুলনায় ১০ হাজার মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু প্রতিরোধের এ পর্যায়ে এসে এত মৃত্যুর সংখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।   তিনি আরও বলেন, অন্যান্য জায়গায়ও এ সংক্রমণ নিশ্চিত বাড়ছে। তবে এগুলোর সব জানা বা নজরে আসছে না। তিনি এজন্য সরকারকে নজরদারি ও চিকিৎসা এবং টিকা সরবরাহ চালু রাখার আহ্বান জানান।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট হলো জেএন-১। এটি মূলত ওমিক্রনের একটি ধরন। যার বিপরীতে টিকা এখনও কার্যকর রয়েছে।   
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

উত্তর গাজায় কার্যকর নেই কোনো হাসপাতাল : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি হামলায় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে গাজার মানবিক সংকট। সেনাবাহিনীর একের পর এক হামলায় গৃহহারা হচ্ছে মানুষ। এমনকি সেনাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতালও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ‍উত্তরাঞ্চলে এখন আর কোনো হাসপাতাল কার্যকর নেই। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে কোনো হাসপাতাল আর কার্যকর নেই। জ্বালানি, স্টাফ ও সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।  সংস্থাটি জানিয়েছে, পুরো গাজায় ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৯টি আংশিক কার্যকর ছিল। যেগুলো কার্যকর ছিল এগুলোর সবটা দক্ষিণ গাজায় রয়েছে।  জেরুজালেম থেকে এক ভিডিওবার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রকৃতপক্ষে কোনো হাসপাতাল পরিষেবায় নেই।  তিনি বলেন, বর্তমানে আল আহলি হাসপাতালে কোনো রকমে চলমান রয়েছে। সেখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন করে কোনো ধরনের রোগীকে ভর্তি করা হচ্ছে না।   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, মেডিকেল সরঞ্জাম, স্বাস্থ্যকর্মীসহ নানা সংকট রয়েছে। ফলে সেখানে কোনো হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রমও করা যাচ্ছে না।  তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মৃতদেহ হাসপাতালের আঙিনায় সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছিল। কেননা নিরাপদভাবে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় সেগুলো দাফন করার মতো পরিবেশও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। 
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ডেঙ্গুর টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ডেঙ্গুজ্বরের টিকা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২ অক্টোবর) জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি করা এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও। ডেঙ্গুর এই টিকার নাম কিদেঙ্গা। এই টিকা এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলের মতো দেশে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের বার্তা সংস্থা জিজি প্রেস। জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় এই টিকা ব্যবহার করা যাবে। ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের শরীরে এই টিকা দেওয়া যাবে। বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও দুই হাজার ৭৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ৭৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৮২ জন এবং সারা দেশে দুই হাজার ১১৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৮৭১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮৫৫ জন এবং সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে দুই হাজার ১৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন ঢাকাতে এবং ছয়জন সারা দেশে মারা যান। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৬২ জন এবং সারা দেশে ৩৬৮ জন মারা যান। চলতি বছরের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৮৫ হাজার ১৪০ জন ও সারা দেশে এক লাখ ২৬ হাজার ৫৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট দুই লাখ এক হাজার ৪৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮১ হাজার ৫৩৮ জন এবং সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে সারা দেশে মোট নয় হাজার ১৯৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকাতে দুই হাজার ৯৪০ জন এবং সারা দেশে ছয় হাজার ২৫৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৫ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার চার শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩
X