ডেঙ্গুজ্বরের টিকা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সোমবার (২ অক্টোবর) জাপানি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি করা এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
ডেঙ্গুর এই টিকার নাম কিদেঙ্গা। এই টিকা এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলের মতো দেশে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের বার্তা সংস্থা জিজি প্রেস।
জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও-এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় এই টিকা ব্যবহার করা যাবে। ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের শরীরে এই টিকা দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও দুই হাজার ৭৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই হাজার ৭৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৮২ জন এবং সারা দেশে দুই হাজার ১১৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট দুই হাজার ৮৭১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮৫৫ জন এবং সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে দুই হাজার ১৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সাতজন ঢাকাতে এবং ছয়জন সারা দেশে মারা যান।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৬৬২ জন এবং সারা দেশে ৩৬৮ জন মারা যান।
চলতি বছরের ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ জন। এর মধ্যে ঢাকাতে ৮৫ হাজার ১৪০ জন ও সারা দেশে এক লাখ ২৬ হাজার ৫৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট দুই লাখ এক হাজার ৪৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৮১ হাজার ৫৩৮ জন এবং সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট নয় হাজার ১৯৮ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকাতে দুই হাজার ৯৪০ জন এবং সারা দেশে ছয় হাজার ২৫৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার হার শতকরা ৯৫ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তি থাকার হার চার শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
মন্তব্য করুন