অনলাইনে আবেদন করে সার্টিফিকেট তুলতে পারবে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
দেশে প্রথমবারের মতো ই-স্বাক্ষরযুক্ত স্মার্ট সার্টিফিকেট চালু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সার্টিফিকেট তুলতে পারবে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ই-স্বাক্ষরযুক্ত সার্টিফিকেটের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. রেজা সেলিমের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মো. জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সেক্টরের মতো আমরা সার্টিফিকেট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করেছি। এখন থেকে ই-স্বাক্ষরযুক্ত স্মার্ট পদ্ধতিটি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের সার্টিফিকেট পাবে। কোনো শিক্ষার্থী চাইলে দেশ ও দেশের বাইরের যে কোনো জায়গা থেকে ভোগান্তি ছাড়া সার্টিফিকেট তুলতে পারবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন ও রিলিফ ভ্যালিডেশন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপণ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে শাবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ১৩ মার্চ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। যেখানে বলা হয়েছে, সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপধারা-২ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এর অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হন না কেন, আগামী ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। ঘোষিত প্রজ্ঞাপন শিক্ষক সমাজের জন্য অবমাননাকর এবং বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাখ্যান করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানায় শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিয়ে বলেন, সর্বজনীন বলতে আমরা বুঝি সবার জন্য, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের ওপর যে স্কিম চালু করা হচ্ছে এটা খুবই বৈষম্যমূলক। এ প্রজ্ঞাপন অতি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তা ছাড়া তিনি আগামী ১৩ মে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘একটা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য এটম বোমার প্রয়োজন হয় না, শুধু শিক্ষকদের সুবিধাবঞ্চিত করাই যথেষ্ট। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নামে শিক্ষকদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে যার ফলে দেশ মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। মেধাবীরা দেশে থাকুক এটা হয়তো একটা শ্রেণি চাচ্ছে না এবং এদেশে শিক্ষকদের কদর করা হয় না বলেই তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা / পাঁচ মিনিটেই স্বপ্নভঙ্গ দুই পরীক্ষার্থীর
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের পরীক্ষায় পাঁচ মিনিট দেরিতে কেন্দ্রে আসায় পরীক্ষা দিতে পারেনি দুই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। তারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১টা ১০ মিনিটে এসে পৌঁছায়। নিয়মানুযায়ী ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ না করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা হলেন- রাহাত আলম। তিনি রাজধানীর লালবাগ থেকে এসেছেন। আরেক পরীক্ষার্থী হলেন এম এ মুনতাসীর ইসলাম। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন।   এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল গুচ্ছ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষা শুরুর ২২ মিনিটের পরেও পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গত ৩ মে গুচ্ছ বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১২ মিনিট পরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।  মুনতাসীরের অভিভাবক (মা) বলেন, এমনিতেই তো দেরি হয়ে গেছে। তাদের সমস্যা কী? একজন শিক্ষার্থীর দেরি হলেও তার সুযোগ দেওয়া উচিত।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই আমরা দায়িত্ব পালন করছি। ১১টা ৫ মিনিটের পর ঢোকার কোনো নির্দেশনা নেই। আমার কিছু করার নেই। আমি নিয়মের মধ্যে বাঁধা।  এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম  বলেন, ভর্তি কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রক্টররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেকই কাজ করেছি। বিগত দুটি পরীক্ষার পরীক্ষা শুরুর পরও পরীক্ষার্থী প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও আজকে কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
১০ মে, ২০২৪

গুচ্ছের সি ইউনিটের পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বে ১১ জন
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার একযোগে সারাদেশের ২২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সি ইউনিটে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের বিপরীতে প্রতি আসনে লড়াই করবেন ১১ জন শিক্ষার্থী।   গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের পরিবর্তে মোট আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে আসন প্রতি লড়াই করবেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা আগে সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য বলা হয়েছে।   এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ১৭ হাজার ২৩৮ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৫১৩ জন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার কলেজ ৩ হাজার ৪৮০ জন, ঢাকা গভ. মুসলিম হাই স্কুল ১ হাজার ২৪৫ জন পরীক্ষার্থী। সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত কক্ষ খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। যদিও গুচ্ছের ভর্তি কমিটি বলেছেন, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার হলে কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
১০ মে, ২০২৪

অর্ধযুগে পা রাখল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব
‘ঐক্যে মোরা, সত্যের পথে’ স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠার পাচঁ বছর পূর্ণ ও ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে কেক কেটে দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবাব মো. শওকত জাহান কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান। এরপর দুপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা, বার্ষিক ক্যালেন্ডার উন্মোচন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবাব মো. শওকত জাহান কিবরিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) শেখ মো. শহীদুল ইসলাম।  অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল হোসেন তোকদার। ২০১৯ সালের ৯ মে যাত্রা শুরু করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব।
১০ মে, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ট্যুরের টাকা গায়েবের অভিযোগ সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে
তিন মাস আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ট্যুরের টাকা নিয়েছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ। তবে সরকার সেন্টমার্টিনে নিষেধাজ্ঞা দিলে পরে একাডেমিক কাউন্সিলে ট্যুর স্থগিত হয়। তবে এখনো শিক্ষার্থীদের সেই টাকা ফেরত দেন নাই বলে অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ও ট্যুর আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আবু ওবায়দা রাহিদের বিরুদ্ধে। এদিকে কমিটির বাকি সদস্যদের কাউকে অবগত না করে নিজের ইচ্ছামতো ট্যুরের সকল পরিকল্পনা করার কারণে শিক্ষার্থীদের টাকার কোনো দায় নিচ্ছে না বিভাগ। টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ট্যুরের উদ্দেশে কক্সবাজার যাত্রা করার কথা থাকলেও ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন মিয়ানমার সীমান্তে অস্থির পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকবাহী সব জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় একাডেমিক কমিটির সভায় ট্যুর স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ট্যুরের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে ৪ হাজার ৫ শত টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। ১২ থেকে ১৭ তম ব্যাচ পর্যন্ত মোট ৬টি ব্যাচ থেকে ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এই টাকার মধ্যে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে আসন ও ব্লু মেরিন রিসোর্টে রুম বুকিংসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৯ শত ১০ টাকা। অবশিষ্ট ছিল ৪০ হাজার ৯০ টাকা। এরপর ট্যুর স্থগিত হলে কক্সবাজার গিয়ে কিছু টিকিট বিক্রি করে ছাত্র প্রতিনিধিরা। টিকিট বিক্রি ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস থেকে ৮ হাজার ৩শ টাকা ফেরতসহ মোট ৭৫ হাজার ১২ টাকা অবশিষ্ট থাকলেও বাকি প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৮ টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি সদস্য সচিব। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের টাকা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সীমান্তে বিরোধের কারণে সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও একক সিদ্ধান্তে সদস্য সচিব জাহাজ ও রিসোর্ট বুকিং নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষকরা। সদস্য সচিবের শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা ও নিজ উদ্যোগে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই ট্যুরে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা এমনটাই জানিয়েছে একাধিক শিক্ষক। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি সুপারিশের জন্য উপাচার্যের দ্বারস্থ হন আবু ওবায়দা রাহিদ। সেখানেও পাননি ট্যুরের অনুমতি। ট্যুরের বিস্তারিত হিসাব জানার জন্য তাকে বিভাগ থেকে চিঠি দেওয়া হলে তিনি উত্তর দেননি। পরে প্রায় দুই সপ্তাহ পর আবার চিঠি দেওয়া হলে তিনি বিভাগের অফিস সহকারীকে দিয়ে কোনো প্রকার স্বাক্ষর ছাড়া চিঠির অসম্পূর্ণ উত্তর পাঠান। যেখানে কোনো কমিটির সদস্যদেরও স্বাক্ষর ছিল না। ট্যুরের অর্থ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এএসএম ইউসুফ। তিনি বলেন, আমরা ১২তম ব্যাচ শুধু আয়োজক হিসেবে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের টাকা পয়সার ব্যাপার বিভাগ দেখবে। ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুব্রত বলেন, এটা একটা সিলি ম্যাটার। আমি মন্তব্য করবো না এই বিষয়ে। ১৪তম ব্যাচের প্রতিনিধি আবরার বিন মোস্তফা বলেন, আমি এখানে কোন প্রতিনিধি ছিলাম না। আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে না আসায় আমি ট্যুরের জন্য টাকা তুলে বিভাগে জমা দিয়েছি এবং বাকি টাকা স্টুডেন্টদের দিয়ে দিয়েছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১৪তম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, টিউশনের জমানো টাকা ট্যুরের জন্য দিয়েছি। এখন এই টাকার কোনো হদিস নেই। ট্যুরও হলো না। এখন আমরা কবে টাকা পাব সেটারও ঠিক নেই। ১৫তম ব্যাচের প্রতিনিধি মো. হান্নান বলেন, আমি সিআর হিসেবে ব্যাচের সবাই আমার কাছে টাকা জমা দিয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। এখন ওরা সবাই টাকার জন্য আমাকে নক দেয় কিন্তু আমি ওদের কোনো কিছু বলতে পারি না। ট্যুরের আহবায়ক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ট্যুরের আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কমিটির সদস্যরা অবগত ছিল না। সদস্য সচিব এককভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার সেন্টমার্টিন যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর আমরা বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি তুলে ট্যুর স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেই। সদস্য আফজাল হোসাইন বলেন, ট্যুর পরিস্থিতির কারণে একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে স্থগিত করা হয়েছে। আমি এখানে শুধু নামমাত্র সদস্য ছিলাম। ট্যুর কবে হবে, কীভাবে হবে, কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী যাবে, টাকা কোথায় দিচ্ছে, কীভাবে দিচ্ছে  আমি কিছুই জানতাম না। আমি এখানে শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে ট্যুর প্ল্যানের দুইটা এসএমএস পেয়েছি। এ বিষয়ে ট্যুর কমিটির সদস্য সচিব আবু ওবায়দা রাহিদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বিরোধের কারণে ট্যুর করা সম্ভব হয়নি। এখানে শিক্ষকরা বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারণে যেতে চায়নি। গত বছরের সুন্দরবন ট্যুর একজন শিক্ষকের নেতৃত্বেই হয়েছিল। এজন্য এই বছর আমি উদ্যোগ নিয়ে ট্যুর করতে চেয়েছি। ৭ তারিখ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আসে। এরপর আমি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি জাহাজ কক্সবাজার-সেন্টনার্টিন রুটে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক করার পর ১১ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে ট্যুর স্থগিত করা হয়। আমাকে যখন বিভাগ থেকে টাকার হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে তখন আমি স্বাক্ষর ছাড়া উত্তর দিয়েছি কারণ কমিটির অন্য কোনো সদস্য স্বাক্ষর করেনি। তাহলে আমি কেন করবো? এ দায় তো আমার একার না। এখন উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। ক্যাম্পাস খোলা হলে শিক্ষার্থীদের টাকার ব্যাপারে আমরা বিভাগের সঙ্গে কথা বলবো। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, ট্যুর যাতে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য একটা ট্যুর কমিটি করা হয়েছিল। আমি এখানে সংশ্লিষ্ট ছিলাম না। পরে জানতে পারলাম সদস্য সচিব একাই সব কাজ করছে। বাকি কমিটির সদস্যরা এসব বিষয়ে অবগত নয়। মায়ানমার সীমান্তে বিরোধ জানার পর আমরা ট্যুরের আগে সদস্য সচিবকে সবকিছু অফ রাখতে বললাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে সবকিছু বুকিং করে দিয়েছেন। এরপর আমরা একাডেমিক কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ট্যুর স্থগিত করি। ট্যুরের হিসাব জানার জন্য আমি তাকে একটি চিঠি দিয়েছি। উত্তর না পেয়ে দুই সপ্তাহ পর আবার চিঠি দেওয়ার পর উনি অসম্পূর্ণ একটি হিসাব অফিস সহকারীর মাধ্যমে আমার কাছে জমা দেন। তিনি আরও বলেন, ওই চিঠিতে তার এবং কমিটির কোনো সদস্যের স্বাক্ষর ছিল না। হিসাব থেকে আমরা জানতে পেরেছি একটা ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীই ট্যুরের টাকা দেয়নি। আবার অনেক শিক্ষার্থী ৫০০ টাকা জমা দিয়েছে। তাহলে এতো শিক্ষার্থীর টাকা বাকি রেখে উনি কীভাবে সবকিছু বুকিং করলেন? ট্যুরের কোনো টাকা বিভাগে জমা হয়নি। তাহলে বিভাগ কেন এ টাকার দায় নেবে? উনি যদি আমাদেরকে ট্যুরের টাকার আর্থিক হিসেব পুরোপুরি বুঝিয়ে দেন তাহলে আমরা চূড়ান্ত একাডেমিক কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের টাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। উল্লেখ্য, কুবি উপাচার্য যোগদানের পরেই মার্কেটিং বিভাগে অভিনব উপায়ে এক অনুবিধি যোগ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ দেন আবু ওবাইদা রাহিদকে।
০৯ মে, ২০২৪

মধ্যরাতে ছাত্র হলে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ছাত্রলীগ নেত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী মধ্যরাতে ছাত্র হলের গেস্ট রুমে গিয়ে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর নাম সাবিহা সায়মন পুষ্প। তিনি শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, বুধবার (৮ মে) শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমানের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প ছাত্রদের আবাসিক হল শাহ পরাণের সামনে যান। পরে সেখান থেকে অন্যান্য নেতাকর্মীর সঙ্গে শাহ পরাণ হলের ভেতরে গেস্ট রুমে গিয়ে কেক কেটে সাধারণ সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। শুভেচ্ছা জানানো শেষে সেখান থেকে তিনি ছাত্রী হলে ফিরে যান। ছাত্র হলে প্রবেশ করতে পারেন কি না এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেত্রী সাবিহা সায়মন পুষ্প জানান, তিনি অপরিচিত কাউকে তার কোনো পারসোনাল তথ্য দিবেন না। মধ্যরাতে ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাহ পরাণ হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ছাত্র হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর প্রবেশ নিয়ে শাবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ছাত্র হলে প্রবেশের বিষয়টা আমি বেশ পরে জেনেছি। এ বিষয়ে দুই হলের প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হলেও তিনি প্রভোস্টের সহযোগিতায় এখনো হলে থাকেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
০৯ মে, ২০২৪

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে কোইকা কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্য কার্যালয়ে তাদের এ সাক্ষাৎ হয়। এসময় কোইকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ইয়াং হিউনউ তার সঙ্গে ছিলেন। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, অরগানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ এবং ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্টারপ্রিনিউরশিপ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইউথ এন্টারপ্রেনারশিপ শীর্ষক পাইলট প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কোইকার আর্থিক সহযোগিতায় এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিকুলাম আধুনিকায়ন এবং উদ্যোক্তা শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সংলাপ, সেমিনার, কর্মশালাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ ছাড়া এন্টারপ্রেনারশিপ বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং কিছু শিক্ষার্থী কোরিয়া সফরের সুযোগ পাবেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদানের জন্য কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানান। এই প্রকল্প দেশে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে আরও যৌথ শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রকল্প গ্রহণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
০৯ মে, ২০২৪

খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উঠছে একনেকে
অবশেষে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এটি ছাড়াও অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হবে আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চলতি অর্থবছরের নবম সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর বাইরে আগে অনুমোদন পাওয়া বেশ কয়েকটি প্রকল্প একনেক সভার অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তির মুখে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি, আসবাব এবং নির্মাণ খাত থেকে ৬৯ কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধন করে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। পরে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদন পেলে চলতি বছর শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য অবকাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে আধুনিক উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, দেশের স্বাস্থ্য খাতে সর্বাধুনিক মানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি, রোগীদের জন্য সর্বাধুনিক মানের সার্বক্ষণিক ওয়ান-স্টপ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা, খুলনা বিভাগের সব মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ বা ইনস্টিটিউট ও সমজাতীয় অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা এবং মানসম্মত স্নাতকোত্তর মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। প্রকল্পটির অনুমোদনের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে খুলনা জেলা এবং আশপাশের প্রায় ২ কোটি মানুষকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। মানসম্মত স্নাতকোত্তর মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাসহ খুলনা বিভাগের সব মেডিকেল শিক্ষা-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান একই ছাতার নিচে আনা যাবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ২ হাজার ৭৩৬ জনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এসব কারণে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। একনেক সভার কার্যতালিকা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের নবম একনেক সভায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ছাড়া আরও ৯টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব স্ট্যাটিসটিকস সার্ভিস বেজড অন প্ল্যাটফর্ম প্রকল্প, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের চায়না এইড প্রজেক্ট অব বার্ন ইউনিট অব চিটাগং মেডিকেল কলেজ হসপিটাল ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প। একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবিত দুটি প্রকল্প। এগুলো হলো পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং বরিশাল জোলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রোগ্রাম ফর সাসটেইনেবিলিটি ইন দ্য টেক্সটাইল অ্যান্ড লেদার সেক্টর (স্টিল) প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত সিলেটের ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঢাকা জেলায় বিদ্যমান সার্কিট হাউস ভবনের স্থলে নতুন অত্যাধুনিক সার্কিট হাউস ভবন নির্মাণ, জননিরাপত্তা বিভাগের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নবসৃজিত গাজীপুর (৬৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): ডিডিএম অংশ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করার জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া একনেকে অবগতির জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। যেগুলো ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ‘তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন-এ তে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেন্থদেনিং দ্য ক্যাপাসিটি অব ওয়েদার অ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিসেস প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগের রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন রাস্তায় সড়কবাতি স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। একসিলেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্ম্যালহোল্ডার ফার্মারস দ্য স্ট্রং প্রডিউসারস অর্গানাইজেশন (একসেস) প্রকল্প।
০৯ মে, ২০২৪

কুবিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও দাবি-দাওয়া নিয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত’ ঘটনার তদন্তপূর্বক তথ্য উদঘাটন এবং শিক্ষক সমিতির ‘দাবি-দাওয়া’ পর্যালোচনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে)  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তপূর্বক তথ্য উদঘাটনের জন্য ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্রকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।   কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী।  এদিকে একই সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  কমিটির অন্যান্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রফেসর ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, আবদুন নূর মুহম্মদ আল ফিরোজ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী।  এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, এখানে বলা হয়েছে আলোচনা করবে কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। যেখানে উপাচার্য নিজেই হামলা করেছেন সেখানে তার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সভায় কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে বলে মনে করি না।   প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর ভিসির কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কিছু দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে দুজন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এরই জেরে তিন দফা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষক সমিতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষকরা। সবশেষে, গত ২৮ এপ্রিল শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ভিসিপন্থি সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষকদের কিল, ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান দখলে নেন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।   এ ছাড়াও শিক্ষক সমিতির ৭ দফা দাবি হলো- ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা ও ঘটনার তদন্ত করা। পাশাপাশি হামলায় মদদ দেওয়া প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে অপসারণ করা।   অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে ঢাকার অতিথিশালা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড ১ ও ২ তে আবেদন করা শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান ও ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করা; শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি স্থায়ীকরণে আইনবহির্ভূত শর্তারোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্নের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা; ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা প্রত্যাহার করে আগের নীতিমালা বহাল এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
০৮ মে, ২০২৪
X