কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতির নেতৃত্বে আক্তার হোসেন নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে তুলে এনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, দৌলখাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুর রহমান, দেলু মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, কাসেমের ছেলে রাব্বি, ইমন আলীর ছেলে দেলু মিয়া, কান্তর আলীর ছেলে আক্কাছ।
মঙ্গলবার (৭মে) সকালে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুর রহমানসহ অভিযুক্তরা আক্তার হোসেনকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করছে।
ভুক্তভোগী সোন্দাইল গ্রামের দিনমজুর আক্তার হোসেন জানান, সকালে দোকানে নাশতা করতে যান তিনি। ওই সময় অভিযুক্তরা তাকে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে যান তার মা আনোয়ারা বেগম। তাকেও মারধর করেন আওয়ামী লীগ নেতা।
আনোয়ারা বেগম জানান, আক্তার চোর নয়। তাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গেলে সফিক তার গালে ও কানে থাপ্পড় মারে। এখন তিনি কানে কম শোনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানি কামাল হোসেন বলেন, ওইদিন সকালে আক্তার হোসেন তার দোকানে নাশতা করছিল। হঠাৎ অশ্বদিয়া গ্রামের আক্কাছ ও আবুল হোসেন গিয়ে আক্তারকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করতে করতে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত অশ্বদিয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক আলী আক্কাছ জানান, তার ও আবুল হোসেনের অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়। সন্দেহজনকভাবে আক্তারকে তুলে এনে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
আরেক অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুর রহমান বলেন, ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পাই আক্তারকে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখেছে স্থানীয়রা। তবে চুরির কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। আক্তারের মা আনোয়ারা বেগমকে থাপ্পড় মারার বিষয়টি স্বীকার করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষকে উদ্ধার করি।
মন্তব্য করুন