তামিমের দলে ফেরা নিয়ে যা বললেন বিসিবি সভাপতি
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের দলে ফেরা-না ফেরা নিয়ে নাটকীয়তা এখনও চলছে। গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের সময় হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলাতেও সময় নেননি তিনি। এরপর সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলে ফিরেও আসেন তিনি। তবে এক ম্যাচ খেলার পর থেকেই দলের বাইরে তিনি। বাদ পড়েন ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল থেকেও। এখন জাতীয় দলে তামিম আর ফিরবেন কি না এই প্রশ্নই দেখা দিচ্ছে সবচেয়ে বেশি। দেশসেরা এই ওপেনারের গত বছর থেকে তার পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি আলোচনা তিনি আর জাতীয় দলে ফিরবেন কি না তা নিয়ে। এমনকি দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবিও জানে না তামিম টাইগারদের হয়ে আর ফিরবেন কি না। এর আগে খবর এসেছিল বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকের পরেই জাতীয় দলে ফেরা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন তামিম। তবে কাঙ্খিত সেই বৈঠক এখনও অনুষ্ঠিতই হয়নি। তবে এবার তামিমের ইস্যুতে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি দেশ সেরা এই ওপেনারের জাতীয় দলে ফেরার দিনক্ষণ জানিয়েছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন জানান, ২০২৫ সালে জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে তামিমকে। তিনি বলেন, ‘লাস্ট ওর সাথে যোগাযোগ হয়েছে তখন কথা ছিল ও (তামিম) প্রথমে ক্রিকেট অপারেশন্সের জালাল ইউনুস এবং আমাদের সিরাজ ভাই (এনায়েত হোসেন সিরাজ) ওনাদের সঙ্গে বসবেন তারপর আমার সাথে বসবে। ওনাদের সাথে বসেছে, এখন আমার সাথে বসবে। আমি যেটা শুনেছি, ওর কাছ থেকে শোনার আগে কমেন্ট করা উচিত না। আমি যেটা শুনেছি ও বলেছে সামনের বছর থেকে খেলবে।’ তবে জাতীয় দলে না থাকলেও ক্রিকেটের সাথেই আছেন তিনি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপাও এনে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ডিপিএলে প্রাইম ব্যাংকের জার্সিতেও বেশ রানের মধ্যেই আছেন এই বাঁহাতি। এর আগে মার্চের ১০ তারিখ বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তামিম। সেই বৈঠকের ফল অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সেই বৈঠকের পর ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস চৌধুরী বলেছিলেন, 'আলাপ আলোচনা হয়েছে। এখন বিষয়গুলো আমরা সভাপতি সাহেবের (পাপন) কাছে জানাব। আলাপ করার পরে তারপর আমরা একটা বক্তব্য দেবো। তার (তামিম) প্ল্যান আমরা শুনেছি, এবার সভাপতিকে জানিয়ে আলাপ শেষে আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।'
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভৈরবে ভোট দিলেন বিসিবি সভাপতি পাপন
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিসিবি সভাপতি আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন রোববার সকাল ১১টায় নিজ এলাকায় ভৈরব এমপি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছন।  এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিণী রোকসানা হাসান। এদিকে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। এ সময় আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং তিনি জয়ের ব্যাপার নিশ্চিত। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ছে। এ আসনে ১৪২টি কেন্দ্র, মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৩১৯ জন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচনী কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ৩ জন মেজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব ৪টি মোবাইল টিম ও দুই প্লাটুন বিজিবি ২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ ফোর্সের টিম নিয়োজিত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা অবাধে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছে বিসিবি সভাপতি আলহাজ নাজমুল হাসান পাপন, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীক নিয়ে নূরুল কাদের সোহেল, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীক নিয়ে মো. রুবেল হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে একতারা প্রতীক নিয়ে হেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তজোট থেকে লাঠি প্রতীক নিয়ে অ্যাড. আইয়ুব হোসেন এ ছাড়া সতন্ত্র থেকে মো. শাহাবুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার খোকন।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সাকিবের বিসিবি সভাপতি হতে চাওয়া নিয়ে যা বললেন পাপন
আর মাত্র আট দিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় এই নির্বাচনে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন থেকে লড়ছে তিনজন। মাগুরা-১ আসন থেকে লড়ছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নড়াইল-২ আসন থেকে লড়ছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মুর্তজা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন লড়ছেন তার এলাকা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে। আর সেখানেই আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেন পাপন। নির্বাচনী প্রচারে থাকলেও সাকিবকে দেখা গেছে সমর্থকদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেও। এর মধ্যে তাদের নির্বাচনী এলাকায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিও বেড়েছে। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শেষের দিকে থাকা সাকিব জানিয়েছেন, অবসর নিলেও ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকার ইচ্ছে। তা-ই নয়, সুযোগ আসলে বিসিবি সভাপতিও হতে চান তিনি। সাকিব ও মাশরাফী দুজনই ইচ্ছে পোষণ করেছেন বিসিবি সভাপতি হওয়ার। তবে পাপনের চোখে কে যোগ্য? বোর্ড সভাপতি হওয়ার সক্ষমতা ও পরিচালনার দক্ষতা কার মধ্যে ভালো দেখতে পান পাপন? সরাসরি এর উত্তর দিতে চাইলেন না বর্তমান বোর্ড সভাপতি। নির্বাচনের সময় এড়িয়ে গেলেন এমন জটিল প্রশ্ন। তবে আজ ভৈরবে নিজের নির্বাচনী এলাকায় বিসিবি সভাপতি এতটুকু বললেন, ‘বলা মুশকিল, এটা বলা মুশকিল, এটা বলা কঠিন, এটা এত সহজ না। এটা আসলে কঠিন। এটা এখানে বলা ঠিক হবে না।’ সম্প্রতি বোর্ড সভাপতিও বলেছিলেন, তিনি আর বেশিদিন নেই। তবে সেটি পরিষ্কার কোনো কিছু ইঙ্গিত করে না। সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে পাপন বললেন, ‘ওর সঙ্গে আমার যে কথা হয়েছে ও খেলবে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত খেলার কথা, সেটাই জানি।’
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
X