বুটেক্সে কর্মচারী মান্নান হত্যায় ১৮ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শহীদ আজিজ হলে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই কর্মচারী আব্দুল মান্নানকে হত্যার ঘটনায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৮৩তম সভায় এ শাস্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাদের মধ্যে ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুল আলম আতিক, এইচ এম ফুয়াদ হাসান এবং ৪২তম ব্যাচের এনামুল হককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ৩৯তম ব্যাচের জান্নাতুন নাঈমের স্নাতক ডিগ্রি বাতিল করা হয়। এ ছাড়া ৮ জনকে হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, একজনকে হলে ভর্তি নিষিদ্ধ, একজনকে জরিমানা করা ও চারজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই বুটেক্সের শহীদ আজীজ হল থেকে মোবাইল চুরির ঘটনায় আবাসিক শিক্ষার্থী কর্তৃক আব্দুল মান্নান নামে এক কর্মচারীকে হত্যা হয়। নিহত কর্মচারী হলের ডাইনিংয়ে কাজ করতেন।  সেদিন রাতে আতিকুল আলম ও ফুয়াদ হাসান ডাইনিংয়ের কর্মচারী বয় মান্নানকে হলের ৩১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে তাকে হাতুড়ি, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প, মশারি টানানোর লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকেন।  একপর্যায়ে মান্নান অচেতন হয়ে পড়লে রাতে হামলাকারীরা তাকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তখন পুলিশ আতিকুল, ফুয়াদ ও মো. নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। তেজগাঁও থানায় আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন হলের কর্মচারী মো. মাসুদ।
০১ মে, ২০২৪

বুটেক্সে সুপেয় পানির অভাব, নানা সমস্যা ওয়াশরুমগুলোতে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ক্লাসরুমের সংকট নিরসন এবং শিক্ষার পরিবেশ বিস্তৃতির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ভবন তৈরি হয়। প্রায় দুই বছর আগে থেকে ভবনটিতে শুরু হয় নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের বেশিরভাগই চলে এখানে। তবে ভবনটিতে রয়েছে নানা সমস্যা। সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকা, ওয়াশরুমের নানা সমস্যা এবং সেসব নিয়ে সঠিক তদারকির অভাব নিয়ে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। তীব্র দাবদাহে মৌলিক চাহিদা পানির ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বারবার বলার পরও সমস্যার সমাধান না হওয়া, কিছু ক্ষেত্রে সমাধান করলেও তা কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ভবনটিতে প্রতিটি ফ্লোরে সুপেয় পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা থাকলেও অকেজো হয়ে পড়ে আছে পানির ট্যাপগুলো। এতে পানির জন্য এক ফ্লোরের শিক্ষার্থীদের অন্য ফ্লোরে যেতে হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে আরও সমস্যা। প্রতিটি ফ্লোরের ওয়াশরুমে হাই-কমোড ও লো কমোডের ফ্ল্যাশ, ওয়াটারগান কাজ না করা, আবার সেসব না থাকাসহ ওয়াশরুমের বাতি নষ্ট পাওয়া যায়। ওয়াশরুমগুলোতে নেই সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ, টিস্যু পেপার, টাওয়েলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে অপরিচ্ছন্ন টয়লেট থেকে নির্গত হচ্ছে দুর্গন্ধ যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ফ্লোর, ২য়, ৩য়, ৮ম ও ১০ম তলায় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে গ্রাউন্ড ফ্লোর, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় খাবার পানির ফিল্টার নষ্ট পাওয়া গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফ্লোরে খাবার পানির ট্যাপ সংলগ্ন বেসিনও নষ্ট পাওয়া গেছে। ক্যান্টিনের ওয়াশরুমে ১১টি বেসিনের মধ্যে ৫টি বেসিন নষ্ট পাওয়া গেছে। প্রতিটি ফ্লোরে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকলেও ক্যান্টিনের হাত ধোয়ার ওয়াশরুমটা কম্বাইন্ড হওয়ায় তা অনেকের কাছে বিব্রতকর মনে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ছেলেদের ওয়াশরুমের ক্ষেত্রে ২য় তলায় সব ফ্ল্যাশ ও ওয়াটার গান নষ্ট, ৩য় ও ৪র্থ তলায় প্রত্যেকটিতে ৬টি কমোডের মধ্যে ৪টি কমোডের  ফ্ল্যাশ নষ্ট, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় ৬টি কমোডের মধ্যে প্রতিটিতে ১টি করে ফ্ল্যাশ ও ২টি করে ওয়াটার গান নষ্ট, ৭ম তলায় ১টি ফ্ল্যাশ ও ১টি ওয়াটার গান নষ্ট, ৮ম তলায় ৩টি ফ্ল্যাশ ও ২টি ওয়াটার গান নষ্ট, ৯ম তলায় ২টি ওয়াটার গান এবং ১০ম তলায় ২টি ফ্ল্যাশ ও ২টি ওয়াটার গান নষ্ট। মেয়েদের ওয়াশরুমে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৪টি, ২য় ও ৩য় ফ্লোরে ৩টি করে, ৪র্থ তলায় ১টি, ৫ম তলায় ২টি, ৬ষ্ঠ তলায় ৩টি, ৭ম তলায় ১টি, ৮ম তলায় ৪টি, ৯ম তলায় ৫টি ও ১০ম তলায় ১টি ফ্ল্যাশ নষ্ট পাওয়া গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফ্লোরে ওয়াটার গানসহ ওয়াশরুমের বাতিও নষ্ট পাওয়া গেছে। উক্ত সমস্যা নিয়ে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৈয়বা ভূঁইয়া বলেন, তীব্র গরমে বেশিরভাগ সময় ফিল্টারে পানি না থাকায় তৃষ্ণার্ত অবস্থায় দীর্ঘ সময় ক্লাস করে খুবই ক্লান্ত লাগে। নামমাত্র একটা হ্যান্ড ওয়াশ থাকলেও নেই কোনো টিস্যু বা পেপার টাওয়েলের ব্যবস্থা। এ ছাড়া বাজে দুর্গন্ধ তো রয়েছেই। রোজার বন্ধের পর বেসিন থেকেও বের হচ্ছিল ডিসকালারড ময়লা পানি। একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, অজুতে পা ধোয়ার জন্য নিচু কল থাকলে অনেক ভালো হতো। যদিও নিচ তলার কমন রুমের পাশে একটা অজুখানা আছে। তবে ওইটা এত নোংরা যে কষ্ট করে নিজের ফ্লোরেই অজু করতে যেতে হয়। আবার ক্লাসের ফাঁকে হলে গিয়ে অজু করে নামাজ পড়ে আসার মতো সময়ও থাকে না। ৪৮তম ব্যাচের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অঙ্গন রায় জানান, ভার্সিটি খোলার পর থেকে পানি পাই নাই ফিল্টার থেকে। আজকেও খাইতে গেলাম, দেখি যে পানি আসে না। এই পিচ গলা, চামড়া পুড়ে যাওয়ার মতো গরমে সবাই যাতে ঠান্ডা পানি পায় এই ব্যবস্থার বাস্তবায়নটা দেখতে চাই আমরা বুটেক্সের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অভিযোগগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এই বিষয়গুলো প্রতি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান দেখেন। বিভাগীয় প্রধান পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনকে অবগত করলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তারপরও আমি ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে সমস্যা সমাধানের জন্য বলে দেব। ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. আফজাল হোসেন বলেন, এসব সরঞ্জামাদি ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস সরাসরি ক্রয় করে না। আপনাদের সমস্যা সম্বলিত দরখাস্ত বুটেক্সের প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মহোদয়ের কাছে জমা দেন। পরিচালকের কাছ থেকে আমাদের এখানে ফরোয়ার্ড হলে আমরা সরেজমিনে এগুলো চেক করে একটি প্রতিবেদন স্যারের কাছে জমা দেব। কারণ এগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস থেকে ক্রয় হয় না। প্রতিবার শিক্ষার্থীদের কেন আবেদন করতে হবে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। এ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহীম শেখ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা, চাওয়া পাওয়া নিরসনে সবসময় শিক্ষার্থীদেরই আবেদন করা লাগবে বিষয়টা কাম্য নয়। একটি সাধারণ সমস্যা সমাধানে যদি শিক্ষার্থীদের প্রতিবার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাহলে বিষয়টা আসলেই ভোগান্তির। কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের লিখিত আবেদনের অপেক্ষায় না থেকে নিজেরাও সমস্যা নিরসনে অগ্রগামী হওয়া এবং শিক্ষার্থীবান্ধব হওয়া।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র গরমেও সশরীরে ক্লাস বুটেক্সে
তীব্র তাপদাহে বন্ধ অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) এখনো ক্লাস চলছে সশরীরে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার জানান, উপাচার্য দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, নীতিগত ও আর্থিক কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার শর্ত দিয়ে রুটিন উপাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়ায় তিনিও কিছু করতে পারছেন না। উল্লেখ্য, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান ৯ দিনের ছুটিতে থাকায় রুটিন দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খান। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারব না, তা নয়। এটি যেহেতু জরুরি অবস্থায় পড়ে, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। সেমিস্টার শেষের দিকে, তাই এখন ক্লাস বন্ধ দিলে সময়সূচি মেলানো কষ্টকর হবে। তবে শিক্ষার্থীরা না চাইলে নিজ বিভাগের মাধ্যমে জানাতে পারে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বুটেক্সে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ৮ মে
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ভর্তি শুরু আগামী ৮ মে (বুধবার)। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গতবছরের মতো এবারও ১০টি বিভাগে ৬০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। সেগুলো হলো— ১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০) ২. ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০) ৩. ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০) ৪. অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (৮০) ৫. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট (৮০) ৬. টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন (৪০) ৭. ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০) ৮. টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স (৪০) ৯. ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০) এবং ১০. এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (৪০)। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৮ মে মেধাক্রম ১ হতে ৬০০ পর্যন্ত মোট ৬০০ জন ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ জনকে এবং উপজাতি কোটায় ১ জনকে ভর্তি করা হবে। ৮টা থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।  এরপর অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম ৬০১ হতে ১৩৫০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ১০ আসনের মধ্যে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থীদের বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সাড়ে ১০টা থেকে ১টার মধ্যে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। পরে অপেক্ষমাণ তালিকার মেধাক্রম ১৩৫১-২০০০ পর্যন্ত এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ১০ আসনের মধ্যে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি করানো হবে। শিক্ষার্থীদের দুপুর ২টার মধ্যে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং ২টা থেকে উপস্থিত মেধাক্রমানুসারে তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এর আগে গত ৮ মার্চ বুটেক্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় এক আসনের বিপরীতে অংশ নেয় ৯ ভর্তিচ্ছু। এবার পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বুটেক্সে হবে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) হবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্মরণে স্মৃতিফলক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি (বুটেক্সসাস) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে স্মৃতিফলক স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করার জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিনকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেনকে। এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার (এইচআর) মুহাম্মদ শরীফুর রহমান ও এক্রিডাইটেড ল্যাবের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. কবিরুল ইসলাম। স্মৃতিফলক স্থাপন নিয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, স্মৃতিফলক কোথায় স্থাপন করা হবে, ডিজাইন কেমন হবে এসব ব্যাপারে খুব শিগগিরিই মিটিং করে আমরা সিদ্ধান্ত সেব। এরপর এটা সিন্ডিকেট সভায় যাবে। যেহেতু কমিটি গঠন করা হয়েছে এটা অবশ্যই হবে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

বুটেক্সে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বের জেরে সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহিল কাফী দৈনিক যায়যায়দিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এবং বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির অর্থ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল এবং একই বিভাগের তার সহপাঠী সৌরভ চৌহান ও সাংবাদিক আব্দুল্লাহিল কাফী ল্যাব শেষ করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রসায়ন ল্যাবের সামনে কয়েকজন তাদের গতি রোধ করে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক কাফী ঝামেলা না করে মিটমাটের কথা বললে তার ওপরও হামলা চালানো হয়। হামালার শিকার আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আমি আর আসিফ এসিওয়াইএম (ACYM) ল্যাব শেষ করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। এ সময় কেমিস্ট্রি ল্যাবের সামনে আসলে কয়েকজন আসিফের দিকে তেড়ে আসে। এরপর কয়েকজন মিলে তাকে বেধড়ক মারে। পরে আমি আটকাতে গেলে কয়েকজন পেছন থেকে আমার ওপর হামলা করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ও ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আলিফ বলেন, আমি ক্লাস শেষ করে যাচ্ছিলাম। দেখি কাফীকে কয়েকজন পেছন থেকে আঘাত করছে, যার মধ্যে তৌহিদ আলামিন ও  জোবায়ের মাহমুদ উপস্থিত ছিল। হামলায় আহত ৪৬তম ব্যাচের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আসিফ বলেন, আমি, কাফী আর সৌরভ ল্যাব শেষ করে যাচ্ছিলাম। পরে কেমিস্ট্রি ল্যাবের সামনে আসলে আলফায়েদ আকাশ, নির্জন, দিপুসহ আরও অনেকে আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে কাফী ও সৌরভ তাদের আটকাতে গেলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আরেক সহপাঠী লিখন আটকাতে গেলে তার ওপরও হামলা করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলফায়েদ আকাশকে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেয়ে কল কেটে দেয় এবং পরে আর ফোন ধরেনি। আরেক অভিযুক্ত ইশরাক জাহান দিপুর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাফী এবং হামলার শিকার হওয়া আসিফ ইকবাল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ক্যাম্পাসে মারামারি এবং সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় প্রক্টর ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমা বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি এবং এ রকম এলাকা ইস্যু নিয়ে মারামারি করা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। ভিকটিমের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা তাদের আইডি, ডিপার্টমেন্ট শনাক্ত করছি। দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা তেজগাঁও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। এ রকম কিছু যেন ঘটনা না ঘটে আমরা সে বিষয়ে সতর্ক আছি।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

বুটেক্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, জেনে নিন আবেদনের বিস্তারিত
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাবেরী মজুমদারের স্বাক্ষরিত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ মার্চ। আবেদন গ্রহণ ২৮ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদনকারীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে ন্যূনতম জিপিএ ৪.৫০ থাকতে হবে। এ ছাড়া গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজি বিষয়ে ২০-এর মধ্যে সর্বমোট কমপক্ষে ১৮.৫০ গ্রেডিং পয়েন্ট থাকতে হবে। আবেদনকারীকে ৩০০ টাকা ফি প্রদানের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য ৭২০০ জন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি এ তালিকা পাওয়া যাবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীকে ১০০০ টাকা পরিশোধ করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ মার্চ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধা তালিকা প্রকাশ করার সম্ভাব্য তারিখ দেওয়া হয়েছে ২৮ মার্চ। ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে গণিতে ৬০ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞানে ৬০ নম্বর, রসায়নে ৬০ নম্বর এবং ইংরেজি বিষয়ে ২০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেধা তালিকার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৩০০০ জন শিক্ষার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ শতাংশের কম নম্বর প্রাপ্তদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না। এবার ১০টি বিভাগে ৬০০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এর মধ্যে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগে আসন রয়েছে ৮০টি করে। অন্যদিকে টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স, ডাইজ অ্যান্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোতে আসন রয়েছে ৪০টি করে। আবেদন প্রক্রিয়া ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বুটেক্সে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনে স্মারকলিপি প্রদান
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রদানকৃত স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একযুগ পার হলেও এখনো মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কোনো স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়নি। দেশের স্বাধীনতার জন্য অসামান্য ভূমিকা রাখা এসব বীরদের স্মরণে স্মৃতিফলক না থাকাটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোটেও প্রশংসনীয় নয়। প্রতি বছর বুটেক্সে দেশের জাতীয় দিবসগুলো সাদামাটাভাবে পালন করতে দেখা যায়। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদেরও অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথীদের মনে লালনের জন্য স্মৃতিফলক স্থাপন করা অতীব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ স্মারকলিপি প্রদানকালে বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরমান হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ শহীদদের স্মৃতিফলক না থাকায় শিক্ষার্থী বিভিন্ন দিবসে ভাব গাম্ভীর্যের সাথে দিবসগুলো পালন করতে পারে না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমে আসার শঙ্কা থেকে যায়। তাই আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিসত্বর শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা উচিত। পাশাপাশি বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উল ইসলাম বলেন, বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য কোনো না কোনো স্মৃতিচিহ্ন থাকে। এটি বাংলাদেশি হিসাবে আমাদের আত্মপরিচয়ের অংশ। দুঃখজনক যে বুটেক্সে এ ধরনের কোনো ম্যুরাল নেই।  আমরা বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে তাই ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক ম্যুরাল স্থাপনে ভিসি মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছি। স্মারকলিপি হস্তান্তর শেষে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, যেহেতু দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এমন স্মৃতিফলক করেছে তাই এটি একটি যৌক্তিক দাবি। শিক্ষার্থীদের এ দাবি বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনদের মিটিংয়ে তোলা হবে, তাদের মতামতের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা এ নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X