বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) এলাকাভিত্তিক দ্বন্দ্বের জেরে সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহিল কাফী দৈনিক যায়যায়দিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এবং বুটেক্স সাংবাদিক সমিতির অর্থ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল এবং একই বিভাগের তার সহপাঠী সৌরভ চৌহান ও সাংবাদিক আব্দুল্লাহিল কাফী ল্যাব শেষ করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রসায়ন ল্যাবের সামনে কয়েকজন তাদের গতি রোধ করে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক কাফী ঝামেলা না করে মিটমাটের কথা বললে তার ওপরও হামলা চালানো হয়।
হামালার শিকার আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আমি আর আসিফ এসিওয়াইএম (ACYM) ল্যাব শেষ করে ক্লাসের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। এ সময় কেমিস্ট্রি ল্যাবের সামনে আসলে কয়েকজন আসিফের দিকে তেড়ে আসে। এরপর কয়েকজন মিলে তাকে বেধড়ক মারে। পরে আমি আটকাতে গেলে কয়েকজন পেছন থেকে আমার ওপর হামলা করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ও ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আলিফ বলেন, আমি ক্লাস শেষ করে যাচ্ছিলাম। দেখি কাফীকে কয়েকজন পেছন থেকে আঘাত করছে, যার মধ্যে তৌহিদ আলামিন ও জোবায়ের মাহমুদ উপস্থিত ছিল।
হামলায় আহত ৪৬তম ব্যাচের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আসিফ বলেন, আমি, কাফী আর সৌরভ ল্যাব শেষ করে যাচ্ছিলাম। পরে কেমিস্ট্রি ল্যাবের সামনে আসলে আলফায়েদ আকাশ, নির্জন, দিপুসহ আরও অনেকে আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে কাফী ও সৌরভ তাদের আটকাতে গেলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আরেক সহপাঠী লিখন আটকাতে গেলে তার ওপরও হামলা করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলফায়েদ আকাশকে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেয়ে কল কেটে দেয় এবং পরে আর ফোন ধরেনি। আরেক অভিযুক্ত ইশরাক জাহান দিপুর সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাফী এবং হামলার শিকার হওয়া আসিফ ইকবাল প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ক্যাম্পাসে মারামারি এবং সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় প্রক্টর ড. উম্মুল খায়ের ফাতেমা বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি এবং এ রকম এলাকা ইস্যু নিয়ে মারামারি করা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। ভিকটিমের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা তাদের আইডি, ডিপার্টমেন্ট শনাক্ত করছি। দ্রুতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা তেজগাঁও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। এ রকম কিছু যেন ঘটনা না ঘটে আমরা সে বিষয়ে সতর্ক আছি।
মন্তব্য করুন