টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস
টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ শেষে আজ শনিবার সকালে রাজধানীর আকাশ ছিলো মেঘলা। কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়। পরিমাণে কম হলেও, বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়ায় কমেছে গরমের প্রকোপ। স্বস্তি মিলেছে নগরবাসীর। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ২৩ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, আগামী কয়েকদিন ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ  বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  এছাড়া ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের দুই একটি জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এর পরে আবারও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে, জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময়ে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘু চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। এদিকে, দেশের ১২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।  শনিবার রাত ৯টা থেকে রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। 
১৮ মে, ২০২৪

কাল থেকে টানা ৬ দিন ঝড় বৃষ্টির আভাস
ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে আজ রোববার মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামীকাল সোমবার থেকে দেশজুড়ে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এ ঝড়-বৃষ্টি বিভিন্ন অঞ্চলে টানা ছয় দিন ধরে চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। এদিকে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে আরও ২৪ ঘণ্টার সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে। হাফিজুর রহমান জানান, আজকের পর থেকে তাপমাত্রা কমে আসবে। বৃষ্টি কমবেশি সারা দেশে হচ্ছে, ৭ তারিখ থেকে সারা দেশেই হবে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯, যশোরে ৩৮ দশমিক ৮, চুয়াডাঙ্গা ও পটুয়াখালীতে ৩৮ দশমিক ৫ এবং মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ২৭, কক্সবাজারে ৮, বান্দরবানে ৬, রাঙামাটিতে ৫, সিলেটে ৪ ও বগুড়ায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে আজ ও আগামীকালের রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এদিকে ঝড়ের সময় সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, এখন কালবৈশাখীর সময়। এ মাসে কয়েকটি কালবৈশাখী হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি হয়। ফলে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে। অন্যদিকে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় আপাতত বড় পরিসরে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নদনদীতে পানি দ্রুত বাড়তে পারে। উদয় রায়হান বলেন, কিছু পয়েন্টে বর্ষা-পূর্ববর্তী মৌসুমের বিপৎসীমা অতিক্রম করে যেতে পারে বা স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই অবস্থা এক থেকে দুদিনের বেশি দীর্ঘায়িত হবে না।
০৫ মে, ২০২৪

দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে কিছু বিভাগে টানা ২ দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালকের পক্ষে আবাহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ কালাম মল্লিক বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি প্রশমিত হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ১৭ এপ্রিল বুধবারের দেওয়া পূর্বভাসে বলা হয়েছে, এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

৫ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
ঢাকাসহ দেশের ৫ বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বুধবার (২৭ মার্চ) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বলা হয়, বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। অন্যদিকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বিষয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা। আর রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
২৭ মার্চ, ২০২৪

১৮ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দেশের ১৮ জেলায় দমকা হাওয়া, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সংস্থাটির উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। দুপুর একটা পর্যন্ত এ পূর্বাভাস কার্যকর থাকবে।  পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময়ে দেশের ১৮ জেলায় ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে।  নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, বগুড়া, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া দপ্তর। আর বর্ধিত পাঁচ দিনে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
২০ মার্চ, ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আভাস
ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়খালী, খুলনা এবং সিলেট ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় আজ বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামীকাল বুধবারের (২১ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়াও সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
ফাল্গুনের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া পূর্বভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।  পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাসহ খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। যদিও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রায় পরিবর্তন ঘটবে না। তবে কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা।  এ ছাড়াও আগামীকাল শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। একই সঙ্গে পরদিন রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।  আগামী কয়েক দিন শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে। তবে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির আভাস
দেশজুড়ে আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী সময়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্রও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে ওইদিন সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আগামী বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী সময়ের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। 
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

৪ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সেই সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। যে কারণে সূর্য উঁকি দিতে সময় নিচ্ছে। আবহাওয়ার এ অবস্থার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। তবে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রাও বেড়েছে। বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার যা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

শীতের মধ্যে দুদিন বৃষ্টির আভাস
কথায় আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’। কয়েক বছর ধরেই এমন শীতের অনুভূতি মেলেনি। এ বছর ওই প্রবাদের মর্মার্থ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে দেশবাসী। গতকাল মঙ্গলবারও মৌলভীবাজার, বরিশাল, ভোলা ও কুমিল্লা জেলা এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চলতি শীত মৌসুমে তাপমাত্রা এতটা আর কখনো নামেনি। দেশের বেশিরভাগ এলাকা ভারি কুয়াশায় ছেয়ে ছিল। সূর্যের দেখা মেলেনি। এদিকে আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। তবে জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত বাড়তে থাকে। এক দিন আগে সোমবার দেশের ২১ জেলায় ছিল শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল তা বিস্তৃত হয়েছে ৪৩ জেলায়। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ১০-এর নিচে। তাই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ঢাকায়ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ১; কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও ফরিদপুরে ৭ দশমিক ৫; রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ৭ দশমিক ৮; পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮; মাদারীপুরে ৮ দশমিক ৩; বরিশাল, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৮ দশমিক ৪; নীলফামারীর ডিমলা ও টাঙ্গাইলে ৮ দশমিক ৫; যশোর, নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৮ দশমিক ৬; কুষ্টিয়ার কুমারখালী, নওগাঁর বদলগাছী ও বগুড়ায় ৯, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ২; খুলনা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৯ দশমিক ৪; ভোলা ও সাতক্ষীরায় ৯ দশমিক ৫; রংপুরে ৯ দশমিক ৬ এবং কুমিল্লায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কুয়াশা থাকায় ঠান্ডার অনুভূতি থাকবেই। তবে মেঘের কারণে রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। দিনে ঠান্ডা তুলনামূলক বেশি থাকবে। মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে। তাতে কিছু কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ প্রশমিত হবে এবং কিছু কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার রেকর্ড রয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি রেকর্ড রয়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত চলতে পারে কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আজ ও আগামীকাল ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির পর ফের কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বেড়েছে শীতের দাপট। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিন। শীতের দাপটে ঠান্ডাজনিত অসুখ-বিসুখে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে সকাল ১০টায়। এদিকে দুদিন ধরে যমুনাপাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে চলেছে। প্রচণ্ড শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। গতকাল সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে রেকর্ড করা হয়। তিন ঘণ্টা পর রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। যেটা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার অপর স্টেশন তাড়াশে রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এ স্টেশনেও এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। প্রচণ্ড শীতে জড়োসড়ো হয়েও পেটের দায়ে শহরে রিকশা চালাতে এসেছেন আমিনুল, মোস্তফা ও সাগরসহ অনেকে। তারা বলেছেন, এত শীতে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু এক দিন রিকশা না চালালে পেট চলবে না। নির্মাণ শ্রমিক নজরুল, মমিন ও জামাল বলেন, দিন হাজিরার কাজ করি। কাজ না করলে মালিক টাকাও দেবে না, আমাদের সংসারও চলবে না। শীতের ভয় করে লাভ নেই। শীতের তীব্রতায় আবারও তাপমাত্রা নেমেছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ওপর দিয়ে আবারও বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরুতে এমন ঘন কুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গতকাল থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করায় বাড়ছে ঠান্ডার প্রকোপ। শীতের তীব্রতায় ইরি-বোরো আবাদেও প্রভাব পড়ছে বলে জানান কৃষকরা। দিনের অধিকাংশ সময় মিলছে না সূর্যের দেখা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নেমে যাচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে চরাঞ্চলের মানুষজনসহ অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে। সকাল ১০টার দিকে সূর্য উঁকি দিলেও হিমশীতল বাতাসের জন্য ঠান্ডার তীব্রতা কমেনি। হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা, ভ্যানচালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। (প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কালবেলার সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা)
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X