বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফিরল ২০ বাংলাদেশি
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত থেকে ২০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যশোরের বেনাপোল সীমান্তে তাদের প্রত্যাবাসন করে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রত্যাবাসনকালে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন, কলকাতায় কর্মরত মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা এবং বিজিবি কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।  বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশকালে ও অবস্থানকালে আটক হওয়া এ সব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এসব বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে তাদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী পারাপার
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ দিনে যাত্রী পারাপার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ হাজারে। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের ছুটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপারের এই চাপ দেখা দিয়েছে। ভ্রমণ, ব্যবসা ও চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট যাত্রীরা এক দেশ থেকে ভিন্ন দেশে যাত্রা করে। ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদ ও নববর্ষের সরকারি ছুটি থাকায় ১১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩২ হাজার ৯৮৯ জন যাত্রী পারাপার করেছেন। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত ৩ গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে দুই দেশের ইমিগ্রেশনে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে পেট্রাপোলে ভোগান্তি বেশি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ১১ এপ্রিল ঈদের দিন থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনে মোট ৩২ হাজার ৯৮৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪১৯ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন। আর ১৩ হাজার ৫৭০ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় আজ থেকে ভারত হতে দেশে ফেরা যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে দীর্ঘ ছুটির কারণে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমন করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজন যাত্রী জানান, এবার পরিবার নিয়ে ভারতে ঈদ ও নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছেন। ঈদের আগের দিন তিনি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। স্ত্রী ও ছেলের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ঈদের আগের দিন ভারতে যান। বেশি সময় কাটিয়েছেন শিলিগুড়িতে। নববর্ষের দিনটি কলকাতা শহরে উদযাপন করেন তারা। শফিকুল ইসলাম নামে একজন পাসপোর্টধারী যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ইমিগ্রেশন পার হতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বেনাপোলে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সহজতর হলেও ভারতের পেট্রাপোলে দীর্ঘ সময় লাগছে। পেট্রাপোলে ১৮টি কাউন্টার (ডেস্ক) থাকলেও সবটিতে কর্মকর্তা না থাকায় যাত্রীদের সারি দীর্ঘ হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য সব ডেস্কে যাতে কর্মী থাকেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পেট্রাপোলে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, পেট্রাপোলের ওসির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হয়। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাগিদ দেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত ৪ মরদেহ হস্তান্তর
দীর্ঘ এক মাস ১০ দিন পর রাজধানীর গোপিবাগ বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪ পোড়া মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মরদেহ ৪টি হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি ফেরদাউস আহমেদ বিশ্বাস স্বজনদের কাছে মরদেহ চারটি হস্তান্তর করেন। যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- রাজবাড়ীর আবু তালহা (২৩), পুরান ঢাকার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫), রাজবাড়ির চন্দ্রীমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজবাড়ীর এলিনা ইয়াসমিন (৪৪)। ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ওসি‌ ফেরদাউস আহ‌মেদ বিশ্বাস জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় চারটি মরদেহ একেবারেই পোড়া ছিল দেখে শনাক্ত করার পর্যায় ছিল না। পরে আদালতের আদেশক্রমে দাবিকৃত স্বজনদের ও পোড়া মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি ল্যাবে ক্রস ম্যাচিংয়ে দাবিদার শনাক্ত মিলে যায়। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে এলিনা ইয়াসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই মনিরুজ্জামান মামুন। নাতাশার জেসমিনের মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই খুরশীদ আহমেদ। আবু তালহার মরদেহ গ্রহণ করেন মামা মনিরুল ইসলাম এবং চন্দ্রীমা চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন বড় ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এলিনা ইয়াসমিনের স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন চপল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজ আমার স্ত্রীসহ কয়েকজন মারা গেল। আমার বাচ্চা সারাজীবন কি বলবে? বাচ্চাটি কীভাবে মূল্যায়ন করবে? রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাধারণ জনগণ কেন ভোগ করবে? এগুলো থেকে মুক্তি চাই। সবাই আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। নাতাশার বড় ভাই খুরশীদ আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিন অপেক্ষার পর আমার বোনের মরদেহ বুঝিয়ে পেলাম। এই ৪০ দিন যে আমাদের পরিবার কীভাবে কেটেছে তা বুঝানো যাবে না। এরকম ঘটনার স্বীকার যেন কেউ না হয় এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বেনাপোল চেকপোস্টে বিপুল পরিমাণ ডলারসহ নারী আটক
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ভারত থেকে আসা নাসরিন আক্তার নামে এক নারী যাত্রীকে  ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় তাকে আটক করা হয়। তিনি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে। বেনাপোল চেকপোস্ট শুল্ক গোয়েন্দার সদস্য আফজাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি, ভারত থেকে এক বাংলাদেশি নারী পাসপোর্ট যাত্রী বিপুল পরিমাণ মার্কিন ডলার নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দার একটি টিম ইমিগ্রেশন কাস্টমসে অবস্থান করে। পরে তাকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ডলারের আনুমানিক বাংলাদেশি মূল্য ৮৪ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

১১ জানুয়ারি থেকে চলবে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’
রাজধানীর গোপীবাগে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বন্ধ থাকা ট্রেনটি ১১ জানুয়ারি পুনরায় চলাচল শুরু করবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্টেশন মাস্টার শাহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রেনটি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে ওইদিন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চারজন নিহত হন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই রাতে ঢালারচর ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দগ্ধ ৮ জনই আশঙ্কাজনক
রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুই শিশুসহ আটজন চিকিৎসাধীন। শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তাদের সবার অবস্থাই শঙ্কাজনক। একই সঙ্গে তারা মানসিক ট্রমায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। ট্রেনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঢাকা-বেনাপোল ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজন আহত ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা ঝুঁকিমুক্ত নন। সবার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। ভর্তিদের মধ্যে একজন রোগীর সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ বার্ন হয়েছে। তবে সবাই মানসিক ট্রমার মধ্যে আছেন। তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছি। রোগীর অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আসিফ মোহাম্মদ খান নামে এক রোগীর শরীরে ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নাফিজ আলমের ৫ শতাংশ পুড়েছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ৮ রোগীর মধ্যে দুজনের শরীর দগ্ধ হয়েছে। আসিফ মোহাম্মদ খান (৩০) ও নাফিস আলম (২২) বাদে বাকিরা দগ্ধ না হলেও ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এর মধ্যে রেহান (৬) ও দিহান (১১) নামে দুই শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন ডা. কৌশিক বিশ্বাস (৩২), মাসুদ রানা (৩১), ডেইজি আক্তার রত্ম (৪০) ও মো. ইকবাল (৪৮)।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসকে টার্গেট করে অগ্নিসংযোগ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এ জঘন্য অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আমরা কোনো ত্রুটি রাখব না। এ অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।  শনিবার (৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।  এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে চারজন নিহত হওয়ার ভয়াবহ ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। নির্বাচনের ঠিক এক দিন আগে এই দুর্ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উৎসব, নিরাপদ ও নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করার আসল অভিপ্রায় প্রদর্শন করে। এটি গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আক্রমণ এবং আমাদের নাগরিকদের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার এ নির্মম প্রচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রের চেতনা এবং আসন্ন নির্বাচনে আমাদের নাগরিকদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণের অবমাননা। ট্রেনে আগুন লাগিয়ে মানুষ পোড়ানোর সহিংসতার এমন ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি। এটি আমাদের সমগ্র সমাজের বিবেককে হতবাক করেছে, প্রকৃতপক্ষে সমগ্র বিশ্বের বিবেককে হতবাক করেছে। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ট্রেনে আগুন দেওয়ায় নিরপরাধ যাত্রীরা অকল্পনীয় আতঙ্কের শিকার এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার দৃশ্য সহ্য করতে বাধ্য হয়েছিল। অপরাধীদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং দেশের আইন অনুযায়ী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে। 
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রেনে আগুনে দগ্ধ ৮ রোগীর কেউ শঙ্কামুক্ত নয়
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ৮ রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে তাই কেউ এখনো শঙ্কামুক্ত নন। দগ্ধরা হলেন- আশিক মোহাম্মদ খান (৩০), ডাক্তার কৌশিক বিশ্বাস (৩২ ), মাসুদ আলম (২২), মাসুদ রানা (৩১), ডেইজি আক্তার রত্না ( ৪০), রিহান (৬), মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (৪৮) ও দিহান (১১ )। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দগ্ধদের বার্ণের পরিমাণ কম হলেও তাদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় রোগীদের শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নের এইচডিইউতে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে পুড়ে চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করে রাত ১০ টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন  / বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা
রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা রেলওয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম। মামলার প্রসঙ্গে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা ও যাত্রী হত্যার ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঢাকা রেলওয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।  তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের আগুনে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গোপীবাগ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ। তারা হলেন- ৫৬নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান (৩৮) ও কবির (৪৪)। এর আগে গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ ঘটনায় ডিবির জালে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৮ জন।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৩২টি ট্রেন চলাচল স্থগিত
রেলপথ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই অঞ্চল (পূর্বাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চল) থেকে মোট ৩২টি ট্রেনের দুদিন (৬ ও ৭ জানুয়ারি) চলাচল স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পুড়ে যাওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসের কোচ দেখতে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। কামরুল আহসান বলেন, আমরা কিছু লোকাল ট্রেন যেগুলোর দিনের বেলাতে মুভমেন্ট কম থাকে এমন পূর্বাঞ্চলের ২০টি এবং পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেন এই দুই দিন চালাচ্ছি না। আপাতত আমরা যে কয়েকটি ট্রেন স্থগিত রেখেছি এগুলো ছাড়া বাকি সব ট্রেন চলাচল করবে। কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীর মুভমেন্ট কম থাকার কারণে এই ট্রেনগুলো সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ট্রেনে আমাদের যেসব কর্মচারী আছে তারা অন্য ট্রেনগুলোতে কাজ করবে। নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের লোকোমোটিভগুলো দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা দেখব। পুরো কাজটাই করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুসংগঠিত করার জন্য। বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আমাদের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও দেখছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা নাশকতামূলক কার্যক্রম। এটা এখন ফাইনাল বলা যাবে না। যারা নিহত হয়েছেন, তারা তো পুড়ে গেছে। এটা ডিএনএ ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব না। কমলাপুর জিআরপি থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনের দুটি বগি একেবারে পুড়ে গেছে এবং পাওয়ার কার আংশিক পুড়ে গেছে। এটি পরিষ্কার করার পর বুঝতে পারব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রেলওয়ে এখনো সবচেয়ে নিরাপদ বাহন। তবে নাশকতা ঠেকাতে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন স্টেশন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ট্রেনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা চালু করেছি, পর্যায়ক্রমে সব কয়টি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X