ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ পুলিশসহ দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নাসিরনগরের ফান্দাউক এবং লাখাই উপজেলার মুড়াকুড়ি গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ফান্দাউক গ্রামে বৈশাখী মেলা চলছে। মেলায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে। মঙ্গলবার বিকেলে মেলায় পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের এক যুবকের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসাও করে দেওয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় দুপক্ষ স্থানীয় একটি মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহাগ রানা জানান, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ উপনির্বাচন চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রার্থীদের মধ্যে মো. হেলাল উদ্দিন চশমা, শফিকুল আলম আনারস ও বিল্লাল মিয়া ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তপশিল ঘোষণার পর ছয়জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে শেষ দিন তিন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ হওয়ায় তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেন আল মামুন সরকার। তবে এক বছর পূর্ণ না হতেই ২৩ সালের ২ অক্টোবর মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। আগামী ৯ মার্চ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিজয়ের মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু, খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, কোষাধ্যক্ষ আশিকুল ইসলাম, জেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুন নূর, সাংবাদিক জহির রায়হান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহসভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটু। সভায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের নানা ক্রান্তিলগ্নে সাংবাদিকদের অনবদ্য সাহসী ভূমিকা ছিল। এরই আলোকে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাংবাদিরা নিরন্তরভাবে কাজ করে যাবে। বক্তারা মুক্তযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। আলোচনা সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর নিয়ে আলোচনায় ইসি
লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ দুই উপনির্বাচনের গেজেট স্থগিতই থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এদিকে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঠিক আগমুহূর্তে ‘আনুষ্ঠানিকতার’ এ দুটি উপনির্বাচনে কারচুপি ও জাল ভোটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এলো নির্বাচন কমিশন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভক্তির মধ্যেই এ দুটি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে খানিকটা বিব্রত সংস্থাটি। ফলে নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ নিয়ে হার্ডলাইনে রয়েছে কমিশন। ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের খুব একটা বেশি সময় বাকি নেই। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন নিয়ে পুরো কমিশনই ব্যস্ত সময় পার করছে। এর ঠিক আগমুহূর্তে রোববার অনুষ্ঠিত দুটি আসনের আনুষ্ঠানিকতার উপনির্বাচন নিয়ে অনেকটাই নির্ভার ছিল কমিশন। ভোটের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট বর্জনকেও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে ভোট শেষে এ দুটি নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি ইসির দায়িত্বশীল কেউ। কিন্তু ভোটের পরদিন কারচুপি ও জাল ভোটের ভিডিও ভাইরাল ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অবাক হন কমিশনের কর্মকর্তারাও। ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ভোটকেন্দ্রের কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ইসি সেটির বিশ্লেষণ করেছে। এটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি। সরেজমিন তদন্তের পর তারা যে প্রতিবেদন দেবেন, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত প্রতিবেদনে ভোট কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র অথবা পুরো নির্বাচনই বাতিল করতে পারে। এর আগে, রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, সাদা রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে একের পর এক সিল মারছেন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, যিনি সিল মেরেছেন তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তবে সম্প্রতি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে বিষয়টি ইসির নজরে আসে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ‘ওপেন ভোট’ নেওয়ার পাশাপাশি ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। এদিকে, লক্ষ্মীপুরের ভোটে ভাইরাল হওয়া আজাদকে ‘শিবিরকর্মী’ দাবি করেন উপনির্বাচনে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু। গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন। পিংকু বলেন, ‘আজাদ ছাত্রলীগের কেউ নন, তিনি শিবিরের লোক। এর আগে বিতর্কিত কাজ করেছেন যে কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিবির করার অভিযোগেই তাকে এর আগে বহিষ্কার করা হয়। আমাদের বিতর্কিত করার জন্য আজাদ টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছেন। জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এ কাজ করা হয়েছে।’ এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
০৮ নভেম্বর, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংঘর্ষে বল্লমের আঘাতে যুবকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক মীর ফাহাদ (৩২) মারা গেছেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  নিহত ফাহাদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মীর মোশারফ হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মীর মোশারফ হোসেনের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই মীর জালালের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর পরপরই মীর জালালের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মীর মোশারফ ও তার বড় ছেলে মীর ফাহাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ফাহাদের মাথায় বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে। পরে গুরুতর অবস্থায় আহত ফাহাদকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত নয়টার দিকে মারা যান ফাহাদ। নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা জানান, ওই যুবকের মরদেহ এখনো বাড়িতে পৌঁছায়নি। প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় জড়িত তিন আাসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ / ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।  বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ও রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন।  বিজ্ঞপ্তিতে ওই ১৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের স্বাক্ষর রয়েছে। বহিষ্কৃত ১৭ নেতাকর্মীর মধ্যে জেলার কসবা উপজেলার সাতজন, আখাউড়া উপজেলার চারজন, সরাইল উপজেলার চারজন এবং আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলার একজন করে রয়েছেন।  তারা হলেন কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ ইসলাম, খাড়েরা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দীপু মিয়া, একই কমিটির সদস্য আসিফুল আলম, কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, একই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাছিব, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য নাজমুল সরকার, বিনাউটি ইউনিয়ন শাখার সদস্য সৈকত আলী। আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুরকান আহম্মেদ, একই শাখার কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান খাদেম ও আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাইজিদ খান। সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, একই শাখার কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান মাইনুর, শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ নিয়ামুল ও একই কমিটির সদস্য আজহার উদ্দিন। এ ছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান ও নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. মমিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে যেসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করেছেন। এজন্য তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৭ আগস্ট, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিকট শব্দে বিস্ফোরণ, এলাকায় আতঙ্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরিত হয়ে মাটির নিচ থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে কসবা উপজেলার কসবা-চৌমুহনী সড়কের পাশে বিশাড়াবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে আগুন নেভায়।  এ খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খানসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন। স্থানীয়রা জানায়, লোকসানের ভয়ে ব্যবসায়ীরা বিশাড়াবাড়ী গ্রামের লোকজনের কোরবানির পশুর চামড়া না কেনায় চামড়াগুলো ঘটনাস্থলে মাটিচাপা দেয় গ্রামবাসী। মাটিচাপা দেওয়া চামড়া ধীরে ধীরে মাটির নিচে পচে গিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে মাটিতে আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছেন দমকল বাহিনীর কমকর্তা আবদুল্লাহ খালিদ। এদিকে আগুন নেভানোর পরও মাটির নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। চামড়া পচে তৈরি হওয়া বায়োগ্যাস নাকি প্রাকৃতিক গ্যাস বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সালদা নদী ও বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ডের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিমুল এহসান খান।
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X