২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
নতুন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এবার উত্তর আমেরকিার দেশ নিকারাগুয়ার ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের ওপর দমনমূলক কর্মকাণ্ড এবং অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে দেশটির ২৫০ সরকারি কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া একইসঙ্গে দেশটির সরকারি তিন সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ এবং আধাসামরিক কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। একই সময়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এবং অর্থবিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের সুবিধার্থে চোরাচালান এবং মানব পাচার নেটওয়ার্কগুলো বৈধ পরিবহন পরিষেবাগুলিকে কীভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবহিত করার জন্য একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে৷ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিকারাগুয়া সরকারের পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর  গৃহীত অভিবাসন নীতিমালা অীবধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক।  বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিকারাগুয়া সরকার বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্যের বিষয়ে সাড়া দেয়নি।  এর আগে ৩৭ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ওপর দিয়ে গোয়েন্দা বেলুন ওড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সব কোম্পানি চীনের। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কয়েকটি গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে।  রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব চীনা কোম্পানির মধ্যে ২২টি কোম্পানি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহায়তা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ১১টি কোম্পানি নজরদারি বেলুন তৈরি করেছে এবং বাকিরা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে। ফলে তারা এবং তারা আমেরিকায় কোনো ব্যবস্যা পরিচালনা করতে পারবেন না। 
১৬ মে, ২০২৪

স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যারের অপব্যবহারে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক গ্রেডের স্পাইওয়্যারের বিস্তার রোধে এই প্রথম বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। গত সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, যেসব দেশ স্পাইওয়্যারের অব্যবহার করে নাগরিকদের নির্বিচারে আটক, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় জড়িত, সেসব দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে দমনপীড়ন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ সীমিত করেছে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত এবং বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নাগরিকদের গোপনীয়তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ভিন্ন মতের মানুষদের হুমকির মুখে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, সেসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের নিকটবর্তী সদস্যরা এই ভিসা নীতির আওতায় পড়বে এবং তাদের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার তৈরিতে বিশ্বে সবার শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল। গত বছর শেষদিকে ভারতের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা এনএসওর তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ তোলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। স্পাইওয়্যার মূলত এমন একটি সফটওয়্যার, যা ব্যবহার করে যে কারও ফোনের মেসেজ, কল লিস্ট, ইমেইল, ছবি ও অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। এমনকি যে কার ছবিও তোলা যায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আলোচনা 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ জোরালোভাবে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা হয়। নির্বাচনের পরও সেই ভিসানীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নতুন করে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নই উঠেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি, স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ ইস্যুতে করা প্রশ্নে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানান স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তবে তাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি এমন অভিযোগ করে সাংবাদিক জানতে চান, যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ন করেছে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-সি ভিসানীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধের অবস্থা কী?  জবাবে বেদান্ত বলেন, ভিসানীতি এবং তা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো খবর আমার কাছে নেই। এই ভিসানীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিসানীতির বিষয়টি এমন নয় যে, নির্বাচন সম্পন্ন  হয়েছে আর তাই সূর্য ডুবে গেছে। এরপরও সাংবাদিক সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান, ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি এখনো চলমান কিনা? জবাবে বেদান্ত বলেন, হ্যাঁ। ভিসানীতি প্রয়োগে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এর আগে গত ১ জানুয়ারি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশটির উদ্বেগের কথা জানান। নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে। ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি দুটি বিষয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমটি হলো, গ্রেপ্তার সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান। আর দ্বিতীয়টি হলো, বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইস্যু
ভিসানীতি আরোপের ক্ষেত্রে দেশ ভেদে কোনো পার্থক্য করে না যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ভিসানীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।  ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলের কাছে প্রশ্ন করা হয়, এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছিল ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্নকারী ব্যক্তিরা নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধের মুখোমুখি হবে।’ কিন্তু আপনারা পাকিস্তানের ক্ষেত্রে একই ঘোষণা দেননি। একই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আচরণে পার্থক্য কেন? জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে, কোনো পার্থক্য আছে। আমরা বিষয়টি (পাকিস্তানের ওপর ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ) এখনো পর্যালোচনা করে দেখিনি।’  ধারাবাহিকভাবে তার কাছে আবার প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কোনো ব্যক্তি যদি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে বা হস্তক্ষেপ করে তাহলে আপনারা কী করবেন?  জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমি এখানে বিষয়টি পর্যালোচনা করব না। প্রতিটি দেশই আলাদা এবং আমি এখান থেকে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানাতে পারব না। তবে আবারও বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই।’  
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রবাসীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সৌদি
ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রবাসীদের স্বস্তির খবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির সরকার ভিসার (ইকামা) মেয়াদ শেষ হওয়ায় দেশে ফিরতে না পারা প্রবাসীদের জন্য এ স্বস্তির বার্তা দিয়েছে দিয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট ওকাজ নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।  সৌদি আরবের পাসপোর্ট অধিদপ্তর (জাওয়াজাত) জানিয়েছে, যেসব প্রবাসী ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নিজ দেশে ফিরতে পারেননি তাদের ওপর থেকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে রিয়াদ। এ জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং পুনঃপ্রবেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফিরতে না পারা প্রবাসীদের প্রবেশের জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ এবং সমুদ্র, বিমান ও স্থলবন্দরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে এ নির্দেশনাটি মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে দেশটির বাইরে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদের মধ্যে ফিরে না প্রবাসীদের তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অধিদপ্তর।  ব্যবসায়ীদের দাবি, শ্রমিক রেসিডেন্সি পারমিট (ইকামা), ওয়ার্ক পারমিট এবং রিটার্ন টিকিটের নরায়ন ফি না দেওয়ার তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তেন। এ জন্য মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত না আসা শ্রমিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছিলেন নিয়োগকর্তারা।  ব্যবসায়ীদের দাবি, সময়মতো না ফেরায় শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তি বাতিলে বাধ্য হন তারা। এতে করে একদিকে স্বার্থের ক্ষতি আর অন্যদিকে কর্মসংস্থান বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছিল।   নতুন করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও শর্তারোপ করেছে সৌদি। এতে বলা হয়েছে, কর্মীকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য সমস্ত বকেয়া জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। যেসব শ্রমিকের ভৈধ ভিসা নেই তারা সৌদি আরবে ফেরত আসলে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ভিসা দেওয়া হবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের ৯০ দিন বা তার বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট দেওয়া হবে এবং সেখানে তাদের আঙুলের ছাপ থাকতে হবে।  
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

এবার ইসরায়েলিদের ওপর যুক্তরাজ্যের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। ফলে এখন থেকে এসব ইসরায়েলি নাগরিক যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। খবর রয়টার্সের। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সহিংস হামলা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে অধিকৃত এই অঞ্চলে কমপক্ষে ২৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এক এক্সবার্তায় (সাবেক টুইটার) ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও হত্যা করে উগ্র বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি—উভয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্থ করছে। তিনি বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা বন্ধ এবং এসবের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরায়েলকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এসব সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর যুক্তরাজ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি। এর মাধ্যমে আমাদের দেশ যেন ভয়াবহ এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আবাসস্থল পরিণত না হতে পারে তা নিশ্চিত করছি। এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস হামলায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়া গত মাসে ফ্রান্স বলেছে, তারা এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দিকটি বিবেচনা করছে। আর বসতি স্থাপনকারীদের তাদের দেশে ঢুকতে না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বেলজিয়াম। এ ছাড়া গত সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পেশ করবেন বলে জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। পশ্চিম তীরের উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংগঠিত সহিংসতা সম্পর্কে ইইউ উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যে ব্যবস্থা নিতে পারি তা গ্রহণের সময় এসেছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেননি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান। তবে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরামর্শ দেবেন তিনি। ইসরায়েলিদের ওপর কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি বোরেল। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। ফলে এসব ইসরায়েলি ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবে না।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ বিধিনিষেধ আরোপের তথ্য জানানো হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এদিন একটি প্রেসিডেনশিয়াল ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন, যাতে বিশ্বজুড়ে দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পররাষ্ট্র দপ্তরের ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের এখতিয়ার সম্প্রসারণ করা হয়। খবর রয়টার্সের। সোমবার ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আফগানিস্তানের সাবেক স্পিকারসহ দুই সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ দেশটির ৪৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালকের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৩০ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এই পদক্ষেপ ছাড়াও এদিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ক্ষমতা সম্প্রসারিত করে একটি ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন জো বাইডেন। এর ফলে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে। সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আইনের আওতায় আমি ৩০ জনের বেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করছি। এদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। এর ফলে এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বিশ্বজুড়ে এমন ব্যক্তিদের নিশানা করে আজকের (সোমবার) পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জবাবদিহি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দুর্নীতি দমন এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ গুয়েতেমালার ১০০ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) প্রায় ৩০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা / ১০০ এমপিসহ ৩০০ ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ গুয়েতেমালার ১০০ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) প্রায় ৩০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। খবর রয়টার্সের। এমপি ছাড়াও দেশটির বেসরকারি খাতের কয়েকজন প্রতিনিধি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিশানা করে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয়তা বিধির কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশ করা না হলেও এসব ব্যক্তি দেশটির গণতন্ত্র বা আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে জড়িত। গুয়েতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালোর বিজয়কে বাতিল করতে চেষ্টা করছেন দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটররা। গত শুক্রবার তাদের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে আরেভালো বলেছেন, এই পদক্ষেপ ন্যায়ভ্রষ্ট ও অভ্যুত্থানচেষ্টার শামিল। সমালোচনা করে আরেভালো বক্তব্য দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুয়েতেমালার জনগণ তাদের কথা বলেছেন। তাদের রায়কে সম্মান করতে হবে। গুয়াতেমালার গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির (যারা) ওপর এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় দুর্নীতিবিরোধী নেতা আরেভালো ও তার মধ্য-বামপন্থি দল সিড মুভমেন্ট পার্টির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি তদন্ত করছে। মূলত কয়েক বছর আগে দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় অনিয়ম হয়েছিল, এমন অভিযোগ তুলে এসব তদন্ত করছেন প্রসিকিউটরা। মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুয়াতেমালার সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়ামাত্তেই ও তার কার্যালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলিদের ওপর বেলজিয়ামের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার পশ্চিম তীরে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। মূলত ইসরায়েলি উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের উদ্দেশে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার দি ক্রো ঘোষণা করেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলাকারী হিংসাত্মক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বেলজিয়াম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং পশ্চিম তীরে চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের বেলজিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করে—এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করব। এক্স পোস্টে ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া নিজের এক ভাষণের ভিডিও যুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে বেলজিয়াম সরকার ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে কথা বলেছে, যা প্রতিটি সরকারের মূল কাজ। কিন্তু প্রথম থেকেই আমরা সহিংসতার বিরুদ্ধে, সব জিম্মি মুক্তির বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথাও বলে আসছি।’ এর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলায় জড়িত ইসরায়েলি উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংস আক্রমণ করেছে, তাদের ওপর এটি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘পশ্চিম তীরে শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্ট করার’ সঙ্গে জড়িত যে কোনো ব্যক্তি বা যারা বেসামরিক নাগরিকদের ‘প্রয়োজনীয় পরিষেবা’ এবং ‘মৌলিক প্রয়োজনগুলো’ গ্রহণ করতে অযৌক্তিকভাবে বাধা দেবে, তাদের এ ভিসা নীতির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
X