ভুটান ভ্রমণে সুখবর পেতে পারেন বাংলাদেশিরা
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ৩য় পররাষ্ট্র বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) থিম্পুতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।    সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন- বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিস পেমা চোডেন।  এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভুটানে বিদ্যমান ফি কমানোর অনুরোধ করেন। ভুটান বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এ ছাড়াও দুই পক্ষ পর্যটন বৃদ্ধি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।   উভয় পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হন। উভয় পররাষ্ট্র সচিব ভুটানের রাজার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং সমঝোতা স্মারকগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের উপায়  নিয়েও আলোচনা করেন এবং খুব শিগগিরই ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত  নেন।  উভয় পররাষ্ট্র সচিব দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা নিযে আলোচনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশ সার্ক ও বিমসটেক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে যাবে।  এই সফরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি.এন. ধুংগেল এর সাথেও বৈঠকে করেন। তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় সহযোগিতা, আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভুটানকে বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল যান চলাচল চুক্তি (বিবিআইএন এমভিএ) কাঠামোতে পুনরায় যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।   পররাষ্ট্র সচিব থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সারি ও আবাসিক নির্মাণ প্রকল্পের চলমান নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাজার আমন্ত্রণে ভুটান গেলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুকের আমন্ত্রণে ভুটান গেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুটানের রাজার সফরসঙ্গী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে ভুটান যান তিনি। এদিন ভুটানের দক্ষিণাঞ্চলীয় গেলেফু সিটিতে অবস্থান করেন ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে অবস্থানকালে ভুটানের রাজা বেশকিছু সময় ধরে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলেফু সিটি ঘুরে দেখান এবং সেখানে শান্তিপূর্ণ, পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত আইকনিক সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান। গতকাল শুক্রবার সকালে গেলেফু সিটি থেকে রাজার সঙ্গে বিমানে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্য প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরে রাজা ওয়াংচুক ও প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে স্বাগত জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায়। পরে পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানী থিম্পুতে যান রাজা ও প্রতিমন্ত্রী। ভুটান সফর শেষে রোববার দুপুরে দেশে ফেরার কথা প্রতিমন্ত্রীর।
৩০ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশ ভুটান তিন সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিন সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতাবিষয়ক এ ৩টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি পুনঃনবায়ন করা হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ভুটানের রাজা ওয়াংচুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি আলোচনা হয়েছে, ভারত এ ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের জায়গা দিতে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ ভুটানের রাজার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভুটানকে আবার বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ইনিশিয়েটিভ)-এ যোগদানের জন্য এবং এয়ার-কানেক্টিভিটি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে এই সফরে চুক্তি হচ্ছে না। ভারত যেভাবে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা করেছে, ভুটান থেকে আমদানির ক্ষেত্রেও ভারত সহায়তা করবে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-থিম্পু এখন সপ্তাহে মাত্র দুটি ফ্লাইট আছে, এটি বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ ভুটান অত্যন্ত সুন্দর দেশ, যে একবার গেছে, সে বারবার যেতে চায়। মানুষ যাতে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেতে পারে, সে নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি কয়েকবার গেছি, বর্তমান রাজার বিবাহ উৎসবেও যোগ দিয়েছি। গত বছর তিনি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার সময় যাত্রাবিরতিতে আমি তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলাম। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভুটান থেকে সহজে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের সহায়তা চেয়েছেন। নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং আগামী ২৫ মার্চ ভুটানের রাজার আসন্ন সফরে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভুটান থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তার দেশের অ্যান্টি-ডাম্পিং পরিমাপকারীদের অপসারণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপকে আধুনিকায়ন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এবং ১৯৯৬ সালের আগে পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী কে হতো তা একটি ‘নির্দিষ্ট মহল’ নির্ধারণ করত। শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণেই জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারেনি। তিনি বলেন, কিন্তু ১৯৯৬ সালে সেই একই মহল গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কাছে মাথা নত করে। ওই বছর আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো দুষ্টচক্র ভেঙে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, গত বছর ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর বাস্তবায়নের জন্য আরও দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লেনদেনে রুপি-টাকার ব্যবহার, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু বায়োপিকসহ দু’দেশের কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ রয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের (সিইপিএ) আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে উত্তরণের পর সিইপিএ সহায়ক হবে। তিনি বলেন, এলওসিকে প্রকল্পভিত্তিক করে তুলতে একটি নতুন কাঠামো প্রস্তুত করতে নতুন চিন্তাভাবনা ও আলোচনা চলছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে একটি উচ্চ বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে এই চার দেশের যে কোনো অংশে সহজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায়। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সৈয়দপুর থেকে নাটোর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে। ভার্মা বলেন, বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো ভারতে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরিত করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা কারখানা স্থাপনে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ। তিনি শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, তারা রংপুরে একটি অফিস স্থাপনে আগ্রহী। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২১ মার্চ, ২০২৪

পথকুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে যে রেকর্ড গড়ল ভুটান
পথকুকুররা সবসময় অবহেলিত। এদেরকে কেউ কাছেই ঘেঁষতে দেয় না। সেখানে শতভাগ পথকুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে ভুটান। ভুটানের রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং ঐতিহাসিক এই অর্জনের বার্তা দেন। তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে দেড় লাখের বেশি পথকুকুর এবং ৩২ হাজার পোষা কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দেশীয় সংস্থার পাশাপাশি সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল অ্যানিমেল দাতব্য সংস্থা হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া মহাদেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন পথকুকুর রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। এ ছাড়া জীবাণুবাহী এসব কুকুরের কামড়ে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়ে থাকে। মূলত ভ্যাকসিনেশনের বাইরে থাকায় কুকুরের জন্মহার ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। যা নিয়ে সতর্ক হয়ে ওঠে ভুটান। তারা হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানায়। শুরুতে ছোট পরিসরে কার্যক্রম পরিচালিত হলেও ধীরে ধীরে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে যায়। এই কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সংগঠনটি ৩২ জনের বেশি ভুটানের নাগরিককে উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এ কার্যক্রমের পেছনে অবদান রাখা সবাইকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি, উদ্যোগটিকে গোটা বিশ্বের অর্জন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং মানুষের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। যদিও ছোট পরিসরে শুরু, কিন্তু এই চেষ্টা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের মুখপাত্র বলেন, ভুটান সরকারের মতো এতটা উৎসাহ নিয়ে ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতা—এমনটা আমরা আর দেখিনি।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা শুরু ২৩ জুন
ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা। আগামী ২৩ থেকে ২৫ জুন রাজধানীর গুলশান-১-এ শুটিং ক্লাবে এই মেলা হবে। বাণিজ্য, শিল্প ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভুটান সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মেলা আয়োজন করছে ভুটান কান্ট্রি অফিস অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মেলার থিম ‘ভুটানে বেড়ে ওঠার জন্য বিনিয়োগকারী, প্রযোজক, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের মধ্যে মেলবন্ধন’। দুই দেশের ব্যবসা, উদ্যোক্তা এবং সেবাদাতাদের নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ দেবে এই ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ার। সেইসঙ্গে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।  ভুটান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ভুটান কান্ট্রি অফিসের বিশেষজ্ঞরা এই মেলায় অংশ নেবেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলার পাশাপাশি ভুটানের বিশেষজ্ঞরা দেশটিতে বিনিয়োগের সুযোগ এবং কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনার আয়োজন করবেন।
২১ জুন, ২০২৩
X