মাটির নিচে পাওয়া গেল মদ তৈরির উপকরণ
নওগাঁর রাণীনগরে এক অভিযানে চোলাই মদ তৈরির ৭৫ লিটার মাদকদ্রব্য ওয়াসসহ (জাওয়া) এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত আজিজার রহমান (৬৬) কাশিমপুর সরদারপাড়া গ্রামের মৃত আফসার সরদারের ছেলে। রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আজিজার নিজ বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে বিক্রি করে -এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী আজিজারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বাড়ি তল্লাশি করে বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচ থেকে ড্রাম ভর্তি চোলাই মদ তৈরির ৭৫ লিটার মাদকদ্রব্য ওয়াস (জাওয়া) উদ্ধার করে পুলিশ। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাতেই আজিজারের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজিজারের বিরুদ্ধে ৭টি মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
০৮ মে, ২০২৪

মদ দিয়ে নারী এমপিকে মাতাল, অতঃপর...
মাদক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী এমপি। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের এমপি ব্রিটেনি লগা অস্ট্রেলিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন যে সম্প্রতি তাকে জোরপূর্বক মাদক দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে। নিজের সংসদীয় সীমানার বাইরে ইয়েপুনে রাতে তিনি আক্রমণের শিকার হন। ব্রিটেনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুর্ঘটনাবশত যে কারো সঙ্গে ঘটতে পারে। আমাদের অনেকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে থাকে।  আস্ট্রেলিয়া নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর গত রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি প্রথমে পুলিশ স্টেশনে যান এবং পরে হাসপাতালে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হাসপাতালে পরীক্ষায় শরীরে মাদকের অস্তিত্ব মিলেছে। আমি এসব মাদক গ্রহণ করিনি। এগুলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান তিনি।  কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস (কিউপিএস) নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েপুনে রোববার যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।  তারা জানিয়েছে, তারা পানীয়র বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং পানীয়ের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানোর বিষয়টি কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে তদন্ত করছে। এ ছাড়া যৌন হয়রানির সঙ্গে নেশাজাতীয় পানীয়ের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  অস্ট্রেলিয়ার এ নারী এমপি কেপাল থেকে ২০১৫ সালে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় এক দশক ধরে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।  অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের আবাসনমন্ত্রী মিয়াগান স্ক্যানলন এ ঘটনাকে বিস্ময়কর  এবং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনি আমাদের সহকর্মী। সে অমার বন্ধু। এটা অগ্রহণযোগ্য যে নারীরা ঘরে এবং বাইরে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আমাদের সরকার নারীদের সুরক্ষা এবং সহিংসতা বন্ধ করতে যা যা করণীয় তা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  
০৫ মে, ২০২৪

বিচিত্র / আধা ঘণ্টায় বিমানের সব মদ খেয়ে ফেললেন যাত্রীরা!
বিমানযাত্রায় যাত্রীদের অ্যালকোহল বা মদ পান সাধারণ বিষয়। তবে মাঝেমধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে; যা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু এবার তুরস্কের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের যাত্রীদের মদপানের ঘটনা খবরের শিরোনাম হয়েছে অন্য কারণে। সানএক্সপ্রেস এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটের যাত্রীরা বিমান উড্ডয়নের ৩০ মিনিটের মধ্যেই ফ্লাইটের পুরো অ্যালকোহল সরবরাহ শেষ করে ফেলেন! মঙ্গলবার নিউজএইটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্রমণবিষয়ক সাপ্তাহিক টিটিজিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন-জার্মান সিইও ম্যাক্স কাওনাটজকি এ ঘটনা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যে ফ্লাইটে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি গলফারদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা ছিল। তবে কবে, কখন, কোন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করেছিল এবং সেটিতে কতজন যাত্রী ছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। কাওনাটজকি ব্রিটিশদের অন্যান্য দেশের ভ্রমণকারীদের তুলনায় ‘অধিক উচ্চব্যয়ী, অধিক সুখবাদী’ বলে বর্ণনা করেছেন। তুরস্কের ফ্লাইটে অ্যালকোহল সরবরাহ দ্রুত শেষ হওয়ার ব্যাখ্যা করে কাওনাটজকি বলেন, উড্ডয়নের ২৫ মিনিটের মধ্যে আমরা সব বিয়ার এবং ওয়াইন বিক্রি করেছিলাম। সানএক্সপ্রেস ২০২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে এর কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করেছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

মদ বিক্রেতার হামলায় আহত হয়ে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
মদ বিক্রেতাদের হামলায় আহত হয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন শহীদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। শুধু প্রতিমা ভাঙচুর নয়, তার হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।  এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন শহীদুল। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় এমন হামলা চালিয়েছেন শহীদুল ইসলামসহ একটি চক্র।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা খাগরিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড জলদাসপাড়া শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে বাসন্তী পূজার আরতি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।  আহতরা হলেন ওই এলাকার সহদেব জলদাসের স্ত্রী কৃষ্ণা জলদাস (৩২), অর্জুন জলদাসের ছেলে সুজন জলদাস (২৫) ও তার ভাই শিপন জলদাস (১৭)।  শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি কৃষ্ণা জলদাস বলেন, শহীদুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের কয়েকজন লোকের কথাকাটাকাটি হয়। সেই ঘটনার জের ধরে শহীদ তার বাহিনী নিয়ে আমাদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে আমাদের ওপর হামলা করে।  খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, জলদাশ পাড়ার একটি অংশে নিয়মিত মদ বিক্রি হয়। এলাকাটি মূলত চন্দনাইশের বৈলতলীর সীমানাবর্তী। মন্দিরে যে পূজার অনুষ্ঠান আছে সেটি মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের অবহিত করেনি। পুলিশ প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়নি। শহীদ নামের ছেলেটি মদ খাওয়ার জন্য জলদাশ পাড়া এলাকায় গেলে স্থানীয় মদ বিক্রেতাসহ কয়েকজন মিলে শহীদকে মারধর করে। পরে শহীদ মন্দিরে হামলা করেছে বলে শুনেছি। আমরা অভিযুক্ত শহীদকে খুঁজছি। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য সব জায়গায় পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এখানে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এলাকার মানুষ বিষয়টিকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রোশ হিসেবে মূল্যায়ন করছে।  এদিকে সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নে বাসন্তী পূজায় হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনগতভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, পারিবারিকভাবে প্রতিমা নিয়ে পূজোর কাজ চলছিল। মদ্যপান নিয়ে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে দুটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একজনকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা অনেককে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। তবে ভিন্ন কথা বলছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, মূলত শহীদুল ইসলাম একজন চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। সে প্রায় সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকেন। এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলেন। এই মন্দিরেও তিনি চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু মন্দিরের সংশ্লিষ্টরা তা দিতে অস্বীকার করায় তিনি তাদের ওপর হামলা চালান। ভাঙচুর করেন প্রতিমা। একজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেন তিনি। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যারা ওই মন্দিরের পুরোহিত কিংবা পূজা অর্চনা করেন তারা খুবই আতঙ্কিত। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের ইউএনও, থানার ওসি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা চাই।  এদিকে উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নেতা রাজিব ধর, রাজু দাম, টিটু তালুকদার, শুভাশীষ ভট্টাচার্যও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে আর সাতকানিয়াবাসী দেখেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এর ফলাফল না দেখতে পাব আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারছি না।  এর আগে বিকেলে ঘটানাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকারসহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নেতাকর্মীরা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েও পার্সেল চেয়েছিলেন পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে ঘটে যাওয়া সেই রাতের ঘটনা হয়তো কেউ ভুলে যায়নি। যে ঘটনা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েছিল মিডিয়াপড়াসহ গোটা দেশজুড়ে। হয়েছিল একাধিক মামলা।  নানা অভিযোগ তুলে বোট ক্লাবের পরিচালক নাছির উদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পরীমণি। তবে ছেড়ে কথা বলেনি নাছির উদ্দিনও। মামলা করেছিলেন তিনিও।  পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের করা সেই হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং একে অপরের বাসায় আসা যাতায়াত ছিল। ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়। এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে। ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন। একপর্যায়ে পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাছির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাছির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’ তখন পরীমণির অনুরোধে নাছির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি। তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ঐ বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’ এ সময় পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকেন। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের উপরে মাথায় লাগে। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির উপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’ তখন জিম তেড়ে এসে নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাছির মাহমুদ আহত অবস্থায় ঐ রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই ক্লাব থেকে চলে যায় পরীমণিরা। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগের বিষয়ে নিবিড় তদন্ত করে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি। ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী আছে, মেডিকেল রিপোর্ট আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলার প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

মদ নিয়ে নতুন যেসব নির্দেশনা দিল দুবাই
মদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আবর আমিরাত। দেশটির বেশিরভাগ এলাকায় আইনত মদ বা মদজাদীয় পানীয় আইনত নিষিদ্ধ নয়। তবে মদ্যপানের ক্ষেত্রে ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপারে উৎসাহিত করে দেশটি।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) খালিজ টাইমস জানিয়েছে, মদ্যপানের ব্যাপারে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম রাজ্য দুবাই। রাজ্যটিতে মদ্যপানের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ও লাইসেন্সের ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যটিতে মদ বা মদজাতীয় পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমিরাতের অন্যতম প্রধান শহর দুবাইয়ে ২০২৩ সালে মদ বা মদজাতীয় পানীয় ক্রয়বিষয়ক আইন শিথিল করা হয়েছে। রাজ্যটিতে মদের ওপর ৩০ শতাংশ করও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে পর্যটক ও স্থানীয়দের কাছে এটি আরও সহজলভ্য হয়ে ওঠে।  আইনানুসারে দুবাইসহ আরব আমিরাতের সর্বত্রই মদ্যপান ও কেনার জন্য ২১ বছর বয়স হতে হবে। এর চেয়ে কমবয়সী কোনো ব্যক্তি সেখানে এসব কেনা ও গ্রহণ করতে পারবেন না।  মদ্যপানের বিষয়ে সেখানে আরও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ শহরটিতে যেখানে সেখানে মদ্যপান নিষিদ্ধ। রেঁস্তোরা বা লাউঞ্জে বসে মদ্যপান করতে হবে। এ ছাড়া লাউঞ্জ বা রেস্তোরাঁর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজ বাড়ি বা থাকার জায়গায় মদপান করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রেও লাইসেন্সে রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিষয়ে দেশটির আইন অত্যন্ত কড়া। এ আইন লঙ্ঘন করলে আদালত জরিমানা নির্ধারণ করবেন। শুধু তাই নয়, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ২৩টি কালো পয়েন্ট যুক্ত হবে। এ ছাড়া গাড়িটি ৬০ দিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হবে।  দুবাইয়ে চাইলেই মদ কেনা যায় না। শহরটিতে যার তার কাছে মদ বিক্রিও নিষিদ্ধ। এটি কেনার জন্য অবশ্যই লাইসেন্সে থাকতে হবে। তবে লাইসেন্সের প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। চাইলে অনলাইনেও এটির জন্য আবেদন করা যায়।  অনলাইন ছাড়াও সরাসরি মদের দোকানে গিয়ে যে কেউ চাইলে আবেদন করে লাইসেন্স পেতে পারেন। দেশটির নাগরিকদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে হবে। আবেদন করার পর যে কেউ চাইলে মদ কিনতে পারবেন।   
১২ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের দিন মদপানে নিহত ৩
নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ঘটনার পর তাদের অপর এক বন্ধু মুক্তার হোসেন গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান নিশাত (২০)। নিহত শারিকুল ইসলাম পিন্টুর বাবা আক্কাস আলী বলেন, বিকেল ৩টার দিকে আমার ছেলে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বলতে পারছি না। স্থানীয় পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে বিলউরাইল গ্রামের মাঠে চার যুবক এক সঙ্গে মদ পান করে। এর কিছু পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশিক নামের এক যুবক মারা যায়। অন্য দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এরপর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর মদ খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল 
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার সদ‍্য বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইসরাত জাহান তনুর মদপান ও ইয়াবা সেবনের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।  ভিডিওতে দেখা যায়, মহিলা লীগ নেত্রী একবারে এক বোতল মদ সাবাড় করছেন। তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ও সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে। এর প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে চলতি বছরের সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দলীয় প‍্যাডে, সংগঠনবিরোধী ও শৃংখলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে তনুর মদপান ও ইয়াবা সেবনের স্থীরচিত্রি এবং ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরে একে একে বিভিন্ন আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছবি ও ভিডিও। ভুক্তভোগী ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে কিছু সাংবাদিক ও লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানি এবং ব্লাকমেইল করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নেত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়।  ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার কথাও বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তনু কালবেলাকে বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পেছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব‍্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। ২০২২ সালের একটি ভিডিওতে কিছু ছবি এডিট করে আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও বদরুল আমিনসহ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং আইসিটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছি। আশা করি, ন‍্যায় বিচার পাব। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি কালবেলাকে বলেন, তার বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওগুলো ফেক। সেগুলো যে তনুর না সেটি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার পদের বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

নারীকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা অতঃপর...
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে এক নারী যাত্রীকে জোর করে মদ খাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাস্টমসের সিপাহি রুবেল নামে একজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে স্থলবন্দরের লাগেজ চেকিং ভবনে এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার জোগেন্দ্রনগর এলাকার সঞ্জিত সাহা, তার বোন ঐশি সাহা ও আরেক আত্মীয় বেলা দেড়টার দিকে বৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে একটি মদের বোতল পাওয়া যায়। এটি নিতে হলে তাদের এক হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানানো হয়।  আরও জানা যায়, তবে প্রত্যেক বিদেশি যাত্রী একটি করে মদের বোতল আনতে পারবে- এমন নিয়মের কথা বলার পর কাস্টমসের সিপাহি রুবেল নামে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই মধ্যে রুবেল বলতে থাকে তারা মাদক ব্যবসায়ী। আর ব্যবসায়ী না হলে নিজের জন্য আনা হয়ে থাকলে এখনই খেতে হবে। উত্তেজিত রুবেল তখন মদের বোতল ভেঙে পানিতে মিশিয়ে ঐশিকে খেতে বলেন। ঐশি এতে বিব্রত হন। পরে প্রতিবাদ করেন। সঞ্জিতের কাছেও মদের গ্লাস নিয়ে যায় রুবেল। তখন ভারতীয় ওই যাত্রীদের নানারকম ভয়ভীতি দেখানো হতে থাকে। একপর্যায়ে ব্যাগে নতুন কাপড় আছে কিনা সেটিও জানতে চান। খবর পেয়ে সেখানে ভারতীয়দের পরিচিতরা ছুটে যান। কাস্টমসের এক কর্মকর্তা তার সহকর্মীকে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ান। সঞ্জিত সাহা বলেন, 'নিয়ম মেনেই এক বোতল মদ আনা হয়। কিন্তু কাস্টমসের একজন বলছিল এটা নিতে হলে টাকা দিতে হবে। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বোনকে জোর করে খাইয়ে দিতে চায়। আমাকেও খেতে বলে।' ঐশি সাহা বলেন, 'আমি বলেছি আমার বয়স ১৮ পার হয়েছে। মদ খেতে হলে বাসায় খাব। আপনাদের সামনে কেন খেতে হবে। এরপর তারা নতুন কাপড় কি কি আছে জানতে চায়। আমি বলেছি বেড়াতে এলে নতুন কাপড় আনা যাবে না এমন কোনো নিয়ম আছে নাকি।' স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, 'এটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। যাত্রীরা খারাপ আচরণ করেছে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দায়িত্বে যিনি ছিলেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ পানে দুই যুবক নিহত
মানিকগঞ্জে বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ পানে অসুস্থ হয়ে মামা-ভাগনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়াডের সদস্য আ. রাজ্জাক। নিহত ব্যক্তিরা হলেন, গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (১৯), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার দাসকান্দি বায়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)। দিপু সরকারের বড় বোনের ছেলে নিহত প্রসেনজিৎ।   হাটিপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য আ. রাজ্জাক জানান, আমার নির্বাচনী এলাকার জগন্নাথপুর গ্রামের শুশীল বৈরাগীর বাড়িতে তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। এ বিয়েতে সে তার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে দাওয়াত করেন। শুক্রবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কয়েকজন যুবক মদ পান করে। অতিরিক্ত মদ পানের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। শনিবার তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। হাসপাতালে এ দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।   নিহত দীপুর মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী বলেন, বোনের বিয়ে উপলক্ষে রাতে ৮-১০ জন মিলে তরল কিছু খাই। এর মধ্যে ৬-৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়ি। বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে প্রসেনজিৎকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অরও অবনতি হলে সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অপর দিকে দীপুকেও একই দিনে মানিকগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, নিহত প্রসেনজিতের মৃত দেহ ময়নাতদন্ত করে স্বজনদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হরিরামপুর থানার ওসিকে বলা হয়েছে। হরিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, শনিবার মদ পান করে দুজন মারা গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
০৩ মার্চ, ২০২৪
X