সুন্দরবনের আগুন কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে বলে দাবি করা যাবে না। সুন্দরবনের আগুন কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে থাকবে।  সোমবার (৬ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুন্দরবনের আগুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সুন্দরবনে যে আগুন লেগেছিল, সেই আগুনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি যেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেটা হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন শতভাগ নিভে গেছে, এমন কিছু না। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। কন্ট্রোল করা গেছে, কর্ডোন করা গেছে। আগামী কয়েক দিন এটা পর্যবেক্ষণে থাকবে। তিনি বলেন, বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নেভে না। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, নিভে গেছে। কিন্তু কোনো একটি লতা বা অন্য কিছু দিয়ে আগুনটা অনেক দূর চলে যাবে। নতুন করে আগুন জেগে ওঠে। বনের আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এখন কয়েক দিন সুন্দরবনের আগুন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আপনারা জানেন, ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম ওখানে গেছেন, কাজ করছেন। জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ সদস্য এবং দেড়শোর বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ছিল পানির উৎস। সেখান থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। গভীর জঙ্গল হওয়ায় রাতে কাজ করা যায় না। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ওখানে অনেক ঝুঁকি ছিল। সবমিলিয়ে তারা খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন। যে কারণে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। 
০৬ মে, ২০২৪

আমদানি-রপ্তানিতে ‘সেবা’ অন্তর্ভুক্ত করে নতুন আইন
সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনানুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। সোমবার (১ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরোনো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এজন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এ আইনের আওতায় সেবাকে যুক্ত করা হয়েছে। কমোডিটির (পণ্য) পাশাপাশি সার্ভিসকে (সেবা) যুক্ত করা হয়েছে। খসড়া আইনে থাকা সেবার সংজ্ঞা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অধীন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস চুক্তিতে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী যে কোনো সেবা। মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সভায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’, ‘বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৪’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনগুলো গত সরকারের মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো তা সংসদে বিল আকারে পাস হয়নি। ফলে এখন নতুন করে আইনগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের প্রয়োজন হচ্ছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সড়ক পরিবহন আইনে শাস্তি কমছে
বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি অর্থাৎ জেল-জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ‘সড়ক পরিবহন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে আইনটি প্রণীত হয়েছিল। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। খসড়া আইনের ১২টি ধারায় বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি কমানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব বলেন, বেশিরভাগই আর্থিক জরিমানার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে তিনটি ধারায় অপরাধ অজামিনযোগ্য রাখা হলেও সেখানে এখন একটি ধারা অজামিনযোগ্য রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারিগরি নির্দেশ না মানলে এতদিন তিন বছর জেল দেওয়ার বিধান ছিল। এই অপরাধের সাজা আগের মতো রাখা হলেও এটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।  নিয়ন্ত্রহীনভাবে বা ওভারলোডে গাড়ি চালানোর পর দুর্ঘটনা হলে সেটিকে অজামিনযোগ্য থেকে জামিনযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। এখন শুধু দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা গুরুতর আহত হলে তা অজামিনযোগ্য অপরাধ হবে। মাহবুব হোসেন বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল এ আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রস্তুত সংক্রান্ত অপরাধ করলে এতদিন ২ বছর জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল, সেটিকে কমিয়ে ২ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। লাইসেন্স বাতিলের পরও যানবাহন চালালে বর্তমান আইনে ৩ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এখন তা কমিয়ে ৩ মাস জেল ও ১৫ হাজার হাজার টাকা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কন্ডাক্টরের দায়িত্ব পালন করলে এক মাস কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এই ধারায় এখন কন্ডাক্টরের সঙ্গে সুপারভাইজার শব্দটি যোগ করা হয়েছে। ভাড়ার চার্ট না দেখালে বা বেশি ভাড়া নিলে এতদিন ১ মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। দুটো অপরাধ একসাথে করলে এতদিন এই শাস্তি দেওয়া হতো। এখন চার্ট প্রদর্শন না করলে বা বেশি ভাড়া দাবি করলে এই সাজা দেওয়া হবে। মিটার টেম্পারিং করলে ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতো। এখন এই অপরাধের জন্য তিন মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে, সঙ্গে এক পয়েন্ট কাটা যাবে। সরকার নির্ধারিত হারের থেকে টার্মিনাল চার্জ বেশি নিলে তা চাঁদাবাজি হিসেবে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব। তিনি বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ট্রাফিক সাইন ও সংকেত না মানলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এখন জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ওজন বহন করলে ৩ বছর জেল ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হতো। এখন সেটিকে বদলে ১ বছর জেল, ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। এর সঙ্গে চালকের এক পয়েন্ট কাটা যাবে। পরিবেশদূষণকারী মোটরযান চালালে ৩ মাস জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতো। এটিকে কমিয়ে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করালে বর্তমান আইনে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে চালকের ১ পয়েন্ট কাটা হতো। এটিকে বদলে শুধু এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। কী অবস্থায়, কীভাবে গাড়ি চালাতে হবে সেই নির্দেশনা অমান্য করলে এতদিন ৩ মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। সেটিকে বদলে এক মাস জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। মোটরযান মালিককে বিমা করতে হবে বলে একটি ধারা যোগ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিমা না করলে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
১৩ মার্চ, ২০২৪

দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে কাল থেকে মাঠে কার্যক্রম দেখা যাবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে মাঠে কার্যক্রম দেখা যাবে বলে আশা করছি। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম বেড়েছে। মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রশাসনকে দৃশ্যমান অ্যাকশন নেই- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেন কালকে থেকে কী হয়। কালকে থেকে নিশ্চয়ই কার্যক্রম দেখবেন, আমি আশা করছি। তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়েও কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি উৎপাদন যেন কোনো অবস্থায়ই ব্যাহত না হয় এবং একই সাথে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার ইতোমধ্যে কিছু তৈরি করা হয়েছে এবং আরও কিছু তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চারটি স্তম্ভের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ- এই চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে সব মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে যে, ওই অংশের সাথে জড়িত অংশটুকু যেন তারা পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে। ‘যে প্রকল্প প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যে প্রকল্প থেকে জনগণ উপকার পাবে সে প্রকল্প নিতে বলেছেন। নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে লাগবে, তা খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করতে বলেছেন এবং সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’ সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওনার (প্রধানমন্ত্রী) জিরো টলারেন্স এবং সকল মন্ত্রণালয়কে একই নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলো যেন প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, সেটি মনিটর করার জন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। শূন্যপদ পূরণ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি শূন্যপদ পূরণে নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যাতে কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। নতুন বাজার অনুসন্ধান এবং নতুন বাজারে কীভাবে প্রবেশ করা যায়, সে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন। বিশেষ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্যের বিষয়ে তিনি বলেছেন। গার্মেন্টসকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে সে রকম সহায়তা দিয়ে তিনটি ক্ষেত্রে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় সেজন্য তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন যে, আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যাতে সেটি বেশি কর্মমুখী হয়। ফ্রিল্যান্সিং আরও বাড়তে পারে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আ.লীগে যোগ দিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের প্রাথমিক সদস্য পদের ফরম তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন কবির বিন আনোয়ার। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের যোগ দিলেন সদ্যবিদায়ী এ মন্ত্রিপরিষদসচিব। দীর্ঘদিন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন কবির বিন আনোয়ার।
১০ জানুয়ারি, ২০২৪

সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিফিংয়ের সময় এ কথা বলেন তিনি।  মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরে জেটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে কক্সবাজারে জেটি নির্মাণের জন্য স্থান খোঁজার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বৈঠকে ‘সামুদ্রিক পর্যটন নীতিমালা-২০২৩’-এর খসড়ার অনুমোদন এবং চায়না ও বিআরপিএলের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজে উৎসাহ দিতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ, আইডিকার্ড প্রদান, সুরক্ষা, আইনগত সহযোগী ও তাদের সহযোগীর বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। সরা বিশ্বে ভলান্টিয়ারের ব্যাপক চাহিদা আছে। সেই লক্ষ্যে এই নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

পদত্যাগপত্র কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি : মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেকনোক্র্যাট কোটার তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, পদত্যাগপত্র কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কতজন পদত্যাগ করেছেন এবং পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।  তিনি বলেন, আপনারা জানেন, পদত্যাগপত্র দিলেও তা কার্যকর করার জন্য একটা পদ্ধতি আছে। সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই তা কার্যকর হবে। কোন তিন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন- এমন প্রশ্নে মাহবুব বলেন, অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

২৮ অক্টোবর নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যা হলো
আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। যা নিয়ে রীতিমতো নানা আলোচনা চলছে। সংসয়ে পড়েছে সাধারণরা। তবে সমাবেশ ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের তরফ থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, জনজীবন যেন ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এজন্য অনুমতি চেয়ে শনিবার  দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। এদিকে মহাসমাবেশ ঘিরে রাজনীতির ময়দানেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল এবং তাদের মিত্র দলগুলো দিনটিকে ঘিরে শক্তিমত্তা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা নস্যাৎ করা হবে। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতাও লক্ষ্য করা গেছে। রোববার (২২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমাবেশ ঘিরে সড়কে প্রতিবন্ধকতা থাকবে কি না জানতে চান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পরে রাতে দূতাবাসের দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। পরে সোমবার (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে আলোচিত বিষয় নিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

এক বছর মেয়াদ বাড়ল মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুবের
এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। আগামী ১৩ অক্টোবর তার অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা; কিন্তু তাকে আরও এক বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে রাখতে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, আগামী ১৪ অক্টোবর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর চুক্তিভিত্তিক মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাহবুব। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মাহবুব হোসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পান। এর আগে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ছিলেন। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তিনি সচিব পদোন্নতি পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব পান। দেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা। চাকরি জীবনে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, যুগ্ম সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষক, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপপ্রধান (জেন্ডার), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের পরিচালক (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) পদেও ছিলেন।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
X