বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ
২ মিনিট আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন ফখরুল
১৮ মিনিট আগে
রাজধানীতে বিটিআরসির অভিযান, সরঞ্জামাদি জব্দ
১ ঘণ্টা আগে
শোরুম ম্যানেজার নেবে যমুনা গ্রুপ, পদ ৩০
১ ঘণ্টা আগে
‘উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়নে ব্যর্থ’
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২২ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
অস্তিত্ব হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বলরাম হাড়ি মন্দির
ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার অংশ ছিল মেহেরপুর। যার পুরোটাই ইতিহাস আর ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ। এখানে বিচরণ ছিল বিভিন্ন সুফিসাধক, আধ্যাত্মিক সাধক আর দরবেশের। আছে বহু পুরোনো স্থাপনা, যা কালের সাক্ষী হয়ে কয়েক শতাব্দী ধরে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। তেমনই ১৭৮৫ সালে মেহেরপুরে জন্ম নেন বলরাম হাড়ি নামের এক আধ্যাত্মিক সাধক। তাকে ঘিরে গড়ে ওঠে মন্দির, তৈরি হয় ভক্ত অনুরাগী। তিনি ‘উপাসথ’ নামে একটি ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেন। যার অনুসারীরা বলরামী সম্প্রদায় নামে পরিচিত। ১৮৫০ সালে ৬৫ বছর বয়সে বলরাম হাড়ি মৃত্যুবরণ করলে জীবন মুখার্জী নামক স্থানীয় এক জমিদার এ মহান সাধকের স্মৃতি রক্ষার্থে ৩৫ শতাংশ জমি দান করেন। দানকৃত জমির ওপর নির্মাণ করা হয় বলরাম হাড়ির সমাধি মন্দির। কিন্তু কালের বিবর্তনে জমির বেদখলে মন্দিরটি অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। বলরাম হাড়ির কিছু অনুসারীসহ স্থানীয় কয়েকজন মন্দিরের জায়গা দখল নিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দখলের বিষয় নিয়ে দখলকারীরা কোনো কথা বলতে রাজি নন। তবে বলরাম হাড়ির দশজন অনুসারী বলছেন, সরকারি আশ্রয়ণের ঘর পেলে দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেবেন। জানা গেছে, ১৮ শতকের শেষের দিকে বা ১৯ শতকের গোড়ার দিকে সাধক বলরাম হাড়ি প্রবর্তিত ‘উপাস’ লোকধর্মের উদ্ভব ও বিকাশ হয়। বাউলদের মতো বলরামীরাও বংশানুক্রমিক নন। দীক্ষা নিয়েই এ ধর্মে অনুসারীরা অন্তর্ভুক্ত হন। বলরাম হাড়িকে তার ভক্তরা বলতেন হাড়িরাম। মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, বীরভূম, বর্ধমান ও কলকাতা অঞ্চলে এ ধর্ম বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রতিবছর বারুনী তিথিতে এ মন্দির প্রাঙ্গণে বলরামী সম্প্রদায়ের উৎসব হয় ও মেলা বসে। একসময় এ অঞ্চলে বলরাম হাড়ির ভাবাদর্শের প্রচুর অনুসারী থাকলেও বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমে গেছে। এখনো মেহেরপুরে বলরাম হাড়ির প্রায় দুই হাজারেরও অধিক অনুসারী রয়েছেন। তাদের মতে বৈষ্ণবরা যেমন শ্রী চৈতন্যকে কৃষ্ণের অবতার মনে করেন, তেমনি বলরামের ভক্তরা তাকে রামের অবতার বলে মনে করেন। বলরাম হাড়ির অনুসারী মেহেরপুর বড়বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সুশান্ত হালদার কালবেলাকে বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই আমি দেখেছি দুই বিঘার বেশি জায়গার ওপর আমরা বললাম হাড়ির অনুসারীরা দোল পূর্ণিমার অনুষ্ঠান করতাম। কিন্তু দিনদিন আমাদের মন্দিরের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রাণের দাবি অতি দ্রুত বেদখল হওয়া হওয়া জমি পুনরুদ্ধার করে মন্দিরকে যেন বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট মেহেরপুরের প্রকল্প পরিচালক জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, মন্দিরটি দেখভালের দায়িত্ব আমাদের না। সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২১ সালে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৭ টাকা ব্যয়ে বলরাম হাড়ির মন্দিরটি সংস্কার ও সংরক্ষনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা নির্দেশনা পেয়ে নির্মাণের বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছি। মন্দিরের কতটুকু জমি ছিল এবং কতটুকু দখল হয়ে গেছে এ বিষয়ে কোনো কিছুই আমাদের জানা নাই। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নজিব হাসান কালবেলাকে বলেন, সম্প্রতি এখানে আমার নিয়োগ হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমি খোঁজখবর নিব। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
পার্বতীপুরে মন্দির থেকে মূর্তি ও স্বর্ণালংকার চুরি গ্রেপ্তার ১
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণের চার জোড়া ধাতব মূর্তি, স্বর্ণালংকার ও কাঁসা-পিতলের মূল্যবান তৈজসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় পার্বতীপুর শহরের ইব্রাহিমনগর মহল্লার হরিজনপল্লির রাজকুমার বাসফোর প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে চুরির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ শহরের ইব্রাহিমনগর মহল্লার শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. সুজনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে প্রতিদিনের মতো মন্দির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে রাজকুমার বাসফোর পরিবারের গৃহবধূ পূজা বাসফোর (৩২) মন্দিরের মূল দরজার তালা ভাঙা দেখতে পান। পরে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি পার্বতীপুর রেলওয়ে থানাকে অবহিত করা হলে শুক্রবার সকালে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকিউল আযমের নেতৃত্বে পুলিশের উপপরিদর্শক সাজিদ হাসানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাজকুমার বাসফোরের ছেলে রুবেল বাসফোর বলেন, মন্দিরের তালা ভেঙে চোররা এক ফুট উচ্চতার রাধাকৃষ্ণের চার জোড়া ধাতব মূর্তি, গলার স্বর্ণের চেইন, লকেট, দুই জোড়া কানের দুল, স্বর্ণের বাঁশিসহ প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও মন্দিরের পূজায় ব্যবহৃত কাঁসা-পিতলের মূল্যবান তৈজসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিকভাবে এ মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছি। মন্দিরে নিত্য পূজা অনুষ্ঠিত হয়। চুরির ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাকিউল আযম বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ মে, ২০২৪
বৃটিশ স্থাপত্য /
শতবর্ষী জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দির
দূর থেকে স্থাপত্যটি দেখলে যে কারও মনে হবে এটি একটি প্রাচীন জমিদারবাড়ি। ব্রিটিশ স্থাপত্যের আদলে তৈরি এ স্থাপত্যটি ঘুরে দেখতে ভেতরে প্রবেশ করলেই ভেঙে যাবে এ ধারণা। কারণ, এটি আদতে একটি মন্দির। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অবস্থিত এ মন্দিরটির নাম জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দির। ১৯১৪ সালে কুচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর এটি নির্মাণ করেন। দেবীগঞ্জ পৌরসদরের চৌরাস্তা থেকে করতোয়া সেতুর দিকে যাওয়ার পথে এশিয়ান মহাসড়ক সংলগ্ন মধ্য পাড়ায় ১ একর ৪ শতাংশ জমির ওপর জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি নির্মাণ করা হয়। ব্রিটিশ স্থাপত্যের সঙ্গে মিল রেখে ইট, সুরকি, চুন, পাথর ও লোহার সমন্বয়ে জমিদারবাড়ির আদলে এটি নির্মাণ করা হয়। মন্দিরের মূল ভবনে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি গোলাকৃতির প্রবেশদ্বার, যার উভয় পাশে রয়েছে উঁচু দুটি পিলার এবং বাঁ দিকে পুরোহিত প্রবেশের জন্য আরও একটি ছোট প্রবেশদ্বার। মন্দিরের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য গোলাকৃতির আটটি জানালা রয়েছে। মন্দিরের ভেতরে রয়েছে তিনটি কক্ষ। ডান দিকের কক্ষে দেবী কালীর প্রতিমা, মাঝের কক্ষে দেবী দুর্গার এবং বাঁ দিকের কক্ষে কৃষ্ণ ঠাকুরের প্রতিমা রয়েছে। মন্দিরের পেছনের অংশে পূজা অর্চনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত পুরোহিতের থাকার জায়গা এবং মন্দির কমিটির কার্যালয়, মন্দিরের ডানে দুর্গাপূজার স্থায়ী মণ্ডব, সামনে বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠ এবং চতুর্দিকে ইটের সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ঐতিহাসিক এ মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত কুচবিহারের মহারাজার ম্যানেজার হাতির পিঠে ভজনপুর তহশিলে যাওয়ার সময় শালডাঙ্গার জঙ্গলে একটি পিতলের ভাঙা মূর্তি দেখতে পান। মূর্তিটি ছিল দুর্গা দেবীর। ম্যানেজার মূর্তিটি নিয়ে দেবীগঞ্জে ফিরে আসেন এবং মহারাজার কাছে বিষয়টি জানান। মহারাজা ভাঙা মূর্তিটি কাশি থেকে অষ্টধাতু দ্বারা মেরামত করে এনে ১৯১৪ সালে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ির নির্মাণ করে সেখানে তা স্থাপন করেন। ধারণা করা হয়, শালডাঙ্গায় প্রাপ্ত এই মূর্তিটি দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের আন্দোলনের সময় তাদের উপাসনার জন্য গভীর জঙ্গলের স্থাপিত হয়েছিল। প্রতি বছর বৃহৎ পরিসরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আয়োজন হয় জগবন্ধু ঠাকুরবাড়িতে। দুর্গাপূজার সময় মন্দির প্রাঙ্গণে বসে সপ্তাহব্যাপী মেলা। এ ছাড়া সরস্বতী পূজা, লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজাসহ সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এখানে হয়। জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী বলেন, এই মন্দিরটি অনেক পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১১০ বছর ধরে নিয়মিত পূজা-অর্চনা হয় এখানে। এ ছাড়া প্রতিদিন গীতাপাঠ এবং প্রতি শুক্র ও শনিবার ধর্মীয় আলোচনা হয়। শতবছরের পুরোনো ঐতিহাসিক জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দির দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন দেবীগঞ্জে। কুমার অংকন সাহা নামে স্থানীয় এক যুবক জানায়, শতবছরের পুরোনো জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে আছে। প্রতি বছর পঞ্চগড় জেলার সব থেকে বড় দুর্গাপূজার আয়োজন হয় এখানে। ১১০ বছর আগে নির্মিত জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরটির বেশকিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। মন্দিরটি টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সংস্কার। এ বিষয়ে জগবন্ধু ঠাকুরবাড়ি মন্দিরের দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শুভ্রাংশু শেখর রায় (শুভ) বলেন, এটি পঞ্চগড় জেলার অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহৎ মন্দির। মন্দিরটির সংস্কার করতে হবে। বেশকিছু স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি,Ñ ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এতে আগামী প্রজন্ম এ মন্দিরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
হরিপুরে সৎসঙ্গ আশ্রম মন্দির উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সৎসঙ্গ আশ্রম মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন ভারতের অনুকূল ঠাকুরের নাতি পূজ্যপাদ ড. শ্রী শ্রী অনিন্দ্যদুতি চক্রবর্তী (বিংকি)। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ পরিক্রমার অংশ হিসেবে ধর্মীয় আন্দোলন সৎসঙ্গ এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ৪র্থ পুরুষ (প্রপ্রৌত্র) ড. শ্রী অনিন্দ্যদুতি চক্রবর্তী (বিংকি) বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টায় ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের কালচা কালীতলায় নবনির্মিত সৎসঙ্গ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমের মন্দির উদ্ধোধন ও সৎসঙ্গ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সৎসঙ্গের সহসম্পাদক সুব্রত আদিত্য, হরিপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মধুসূধন দেবনাথসহ ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মীয় লোকজন।
২৯ মার্চ, ২০২৪
কান্তজিউ মন্দির রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ঐক্য পরিষদের
পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দিরের দেবোত্তর ভূমিতে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পরিষদের তিন সভাপতি সাবেক এমপি ঊষাতণ তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা ও জেলা প্রশাসকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিবিরোধী অপচেষ্টার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে জাতি ও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের ঘৃণ্য অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থি। পরিষদ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুনিশ্চিতকরণে কান্তজিউ মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
২৩ মার্চ, ২০২৪
কান্তজিউ মন্দিরের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ঐক্য পরিষদের
পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দিরের দেবোত্তর ভূমিতে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (২২ মার্চ) সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ স্বাক্ষরিক গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পরিষদের সভাপতিত্রয় প্রাক্তন সংসদ সদস্য ঊষাতণ তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা ও জেলা প্রশাসকের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিবিরোধী এই অপচেষ্টার সাথে নিজেদের যুক্ত করে জাতি ও দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের ঘৃণ্য অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন। যা নিঃসন্দেহে দেশের শান্তিশৃঙ্খলার পরিপন্থি। পরিষদ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা সুনিশ্চিতকরণে কান্তজিউ মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
২২ মার্চ, ২০২৪
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি এই আয়োজন করে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডলের পরিচালনায় এ বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি জে. এল ভৌমিক, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক বাসুদেব ধর, ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডি. এন. চ্যাটার্জী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে লালন না করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। এজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তারা। প্রার্থনা সভা পরিচালনা করেন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত প্রণেন্দ্র ভট্টাচার্য তপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, কাজল দেবনাথ, জয়ন্ত সেন দীপু, মিলন কান্তি দত্ত, পংকজ দেবনাথ এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বলরাম পোদ্দার, জয়ন্ত সেন দিপু, তাপস কুমার পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, কালবেলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা, গোপাল দেবনাথ, ড. তাপস চন্দ্র পাল, বিপ্লব দে, গোপাল সরকার, ব্রজ গোপাল দেবনাথ, ধ্রুব কুমার লস্কর, পদ্মাবতী দেবী, দিপালী চক্রবর্তী প্রমুখ।
১৭ মার্চ, ২০২৪
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে হবে : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা
কোনো মন্দিরের জমি দখল হওয়া সমীচীন নয় উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, যে কোনো মূল্যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেদখলে থাকা ১২ বিঘা জমি উদ্ধার হওয়া দরকার। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই জমি যদি সরকার উদ্ধার করে মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়, তাহলে দেশের সম্পদ কমবে না। কারও কোনো ক্ষতি হবে না। শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার ঐক্যবব্ধ ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে কোনো আপস নয়।
১৬ মার্চ, ২০২৪
মন্দির ও শ্মশানে অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশানের জায়গা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার চত্বরে হিন্দু মন্দিরের শ্মশান কমিটির উদ্যোগে এ সভা হয়। সভাটি হিন্দু মন্দির ও শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, সুহিলপুর মৌজার ১২৬৫ দাগে ৩১ শতক ভূমিতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানাদি পালন করে দাহ করার কাজ সম্পন্ন করে আসা হচ্ছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের জোরপূর্বক দখলের কারণে বহুদিন ধরে সৎকার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া এ ভূমিতে এসএ জরিপমূলে জরিপ কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে নালিশা ভূমি খাস খতিয়ান হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হয়। এতে এলাকার কিছু জবরদখলকারী ভূমিদস্যু মন্দিরসহ শ্মশান ভূমিটিতে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করে। দীর্ঘ ৩০ বছর মামলা-মোকদ্দমা শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে শ্মশ্মানের পক্ষে রায় আসে। কিন্তু রায় ঘোষণার ৬ মাস পার হয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে একটি কুচক্রী মহল জায়গাটি লিজ নেওয়ারও পাঁয়তারা করছে। বক্তারা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে শিগগিরই আদালতের রায় বাস্তবায়িত না হলে এবং শ্মশ্মানের ভূমি নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করা হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ ভূমিটিকে খাসজমি দাবি করে বলেন, উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া আছে। যখন প্রয়োজন হবে, তখন খাসজমি থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া বি এস জটিলতায় মন্দির ও শ্মশ্মানের ভূমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বি এসে কোনো রকম জটিলতা হয়ে থাকলে উপযুক্ত তথ্যাদি দিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে আদালত যে রায় দেন তা মেনে নেওয়া হবে। সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক সাচ্ছু মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল দেব, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজন দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র চৌধুরী, সাদ্দাম হোসেন, সুহিলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিশিকান্ত রিশি, রাশেদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের বকুল হাজারী, পল্লি চিকিৎসক নয়নমণি দেব, বাকাইল গ্রামের হিন্দু সমাজের সভাপতি অমৃত লাল দাস, হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশান কমিটির উপদেষ্টা সুকান্ত দাস প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
‘পারিবারিক সম্প্রীতি ধরে রাখাই বর্তমান সমাজের চ্যালেঞ্জ’
বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ততই বেড়ে চলেছে। মানুষে মানুষে এই দূরত্বের কারণে সম্পর্কের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হচ্ছে। ব্যস্ততার এই যুগে পারিবারিক বন্ধন এবং সম্প্রীতি ধরে রাখাই এখন সবার মূল দায়িত্ব। একটি পরিবারের সন্তানের বড় হয়ে ওঠার জন্য বাবা-মায়ের দেখভালের যে কর্তব্য সেটা পালন করতে হবে। তাহলে সন্তানও বাবা-মায়ের প্রতি তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করবে। ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে উদযাপিত মহানগর মেলা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে তা পালিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল। অনুষ্ঠানে মহানগর পরিবারের পক্ষ থেকে কর্মবীর চিত্ত রঞ্জন মজুমদার এবং নারীমুক্তির সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ শ্রীমতী সাহাকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির এই পরিবার দিবসের আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই। এখানে সবাই তাদের পরিবার নিয়ে এসে একসঙ্গে মিলিত হয়েছেন। সবার সঙ্গে সবার দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে, আন্তরিকতা বাড়ছে। এই বিষয়টিই আমাদের প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমি অনেক সময়য় বিভিন্ন ঘটনা শুনতে পাই, বাবা-মা তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারছেন না। সন্তানরা তাদের বাবা-মা কে কাছে পায় না। এজন্য তাদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। যার কারণে মাঝে মাঝে সন্তানরা ভুল পথে চলে যায়। এই জিনিসটা যেন না হয় সেদিকে আমদের খেয়াল রাখতে হবে। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বর্তমান সমাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির কারণে মানুষের জীবনে কাজের চাপ বেড়ে গেছে। সামাজিক দিক রক্ষা করার চেয়ে অর্থ উপার্জনের দিকেই মানুষের মনোযোগ বেশি। এতে করে মানুষে মানুষে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই জিনিসটা যেন না হয় সেজন্য আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সামাজিক সম্প্রীতি ধরে রাখতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে শ্রী মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির মহানগর পরিবার দিবস একটি সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। আমাদের এই মিলনমেলা সবসময় চালু থাকবে। আমাদের সব পরিবারের মধ্যে যেন আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠে সেটাই আমাদের কাম্য। আমাদের সন্তানদের খেয়াল রাখাও আমাদের কর্তব্য। আমি নিবেদন করবো প্রত্যেক পরিবারে এমন সন্তান যেন তৈরি হয় যেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে তারা অবদান রাখতে পারে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
আরও
X