রেলসেতুর নিচ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর ওপর নির্মিত রেল ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি হারুনুর রশিদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করেছে পু‌লিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই ঘটনার মূল রহস‌্য জানা যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে

মগবাজার থেকে চিত্রপরিচালকের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর মগবাজার দিলু রোডের একটি বাসা থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক এম এ আউয়ালের (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। তিনি সহযোগী পরিচালক হিসেবে ‘সিটি রংবাজ’ ছবিতে কাজ করেন। এরপর পূর্ণ পরিচালক হিসেবে ‘রাজপথের বাদশা’ ও ‘কাছের শত্রু’ ছবি পরিচালনা করেন। হাতিরঝিল থানার এসআই এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে দিলু রোডের একটি মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সেখানে কয়েকজন মিলে ভাড়া থাকতেন। এক রুমমেট রাতে কাজ থেকে ফিরে দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। এর পরও সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেন। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
১৭ ঘণ্টা আগে

৩৪ ঘণ্টা পর মিলল হৃদির মরদেহ
খুলনার দাকোপের পানখালী ফেরি থেকে ঝপঝপিয়া নদীতে পড়ে নিখোঁজ হৃদি রায় নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফেরি ঘাটের অদূরে নদীর চর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হৃদি রায় দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা রতন চন্দ্র রায়ের মেয়ে। রতন চন্দ্র বটিয়াঘাটা উপজেলায় মৎস্য কার্যালয়ে মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। হৃদি বটিয়াঘাটার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দাকোপ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাসার কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিখোঁজ হওয়া শিশুকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হয়। তবে রাতে বৈরী আবহাওয়া থাকায় নদীতে নেমে সঠিকভাবে উদ্ধার কাজ করতে পারেনি ডুবুরি দল। মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে দিনভর অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যা নেমে আসায় আলো স্বল্পতায় রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনি বলেন, বুধবার ভোর ৬টা থেকে আবারও অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে সাড়ে ৬টার দিকে নিখোঁজ ওই শিশুর মরদেহ নদীর চরে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে সোমবার ঝপঝপিয়া নদীর পানখালি ফেরিঘাটে ফেরি ও পন্টুনের মাঝে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয় হৃদি। সে পরিবারের সঙ্গে সুন্দরবনের করমজল ইকো-ট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্র ভ্রমণ শেষে বটিয়াঘাটা ফিরছিল।
০৮ মে, ২০২৪

নিখোঁজ শ্রমিকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় কার্গো বোটের এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১০টায় সদর ইউনিয়নের কাটাফাঁড়ি খালের জালিয়াখালী নাশির ঝোরা নামক স্থানে স্থানীয়রা ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে নিহতের ফুফাত ভাই আশেক এলাহি জানান, যুবকের নাম আনোয়ার হোসাইন (২১)। সে মগনামা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শরৎ ঘোনা এলাকার আকতার হোসেনের পুত্র। নিহতের ভাই দেলওয়ার হোসেন বলেন, গত তিন দিন আগে সে লবণ বহনকারী কার্গো বোটে শ্রমিক হিসেবে জালিয়াখালি নাশির ঝোরায় এলাকায় বোটে যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজকে সকালে নৌকা নিয়ে দুই দিক থেকে নদীতে খুঁজতে বের হই। সকাল ১০টায় ওই স্থানে বোটের পাশে তাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তার ৫ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, খোলা অবস্থায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। সে লবণ বহনকারীর বোটের শ্রমিক। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের সুরহাল দেখে মনে হচ্ছে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
০৮ মে, ২০২৪

আ.লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মোখলেসুর রহমান উপজেলার নসরৎপুর ইউপির বিনাহালি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।  স্থানীয়রা জানান, মোখলেসুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে উপজেলার বাজারে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং প্রথম স্ত্রী তার গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। দুপুরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পারিবারিক কলহের জেরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি।  আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
০৭ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে এক ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার (৬ মে) দুপুরে হাজীগঞ্জের ১০নং গন্তব্যপুর ইউনিয়নের হরিপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্ত্রীর নাম নুসরাত জাহান মাহি (১৯)। তিনি গন্তব্যপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেনের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের পরের দিন হরিপুরে জাকির ও নুসরাতের বিয়ে হয়। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। তবে পারিবারিক কলহ নাকি অন্যকিছু থেকে নুসরাত আত্মহত্যা করল তা এখনো বোঝা যায়নি। এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, আমি শাহরাস্তির চেরিয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে রয়েছি। দুপুরে ফোনে খবর পেলাম নুসরাত ফাঁস দিয়েছে। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখি ও মারা গেছে। আমি এখন আর কোনো মন্তব্য করার মতো অবস্থায় নেই। এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
০৬ মে, ২০২৪

জাবি থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জিসান আহমেদ নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জিসান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের হল অ্যাটেন্ডেট নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার বাসিন্দা। জানা গেছে, সকালে জিসানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পথচারীরা। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জিসান পরিবারের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কলাবাগান এলাকায় আনসার ক্যাম্পের পাশে বসবাস করতেন। জিসানের বড় ভাই ওয়ালীউল্লাহ কালবেলাকে বলেন, গতকাল দুপুর থেকে সারা দিন বাড়িতে ছিল না জিসান। রাতে বাড়িতে ফিরলে মা তাকে এতক্ষণ কোথায় ছিল এটা বলে রাগারাগি করে ও গরুকে পানি খাওয়ানো হয়নি কেন এসব নিয়েও বকা দেয়। তখন সে আবার রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে রাত ৮টার সময় আমার কাছে ফোন দিয়ে সে ক্ষমা চায়। আমরা মনে করেছিলাম সে আবার ফিরে আসবে কিন্তু সে যে এমন করবে আমরা বুঝতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমি নিরাপত্তা শাখার অধীনে থাকা আনসার ক্যাম্প থেকে জানতে পারি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় একটি ঝুলন্ত মরদেহের খোঁজ মিলেছে। পরে আমি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানাই। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জি এম আসলামুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমরা সকালে এসে মরদেহটি উদ্ধার করেছি। নিহতের পরিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। এখন আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
০৬ মে, ২০২৪

কদমতলীর বাসা থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে আনিতা সুলতানা রিতিকা নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার বলছে, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব জুরাইন ঋষিপাড়া এলাকার মীর মঞ্জিল বাসার তৃতীয় তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কদমতলী থানার এসআই কামরুন নাহার বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের সময় বাসার ড্রয়িং রুমে শায়িত অবস্থায় ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আনিতার মামা মীর নুরুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে নানির সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে আনিতা। ভোরে উঠে দেখা যায় আনিতা ড্রয়িং রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। পরে আমরা নিজেরাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে পুলিশে খবর দিই।
০৫ মে, ২০২৪

দেশে পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ
তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। মরদেহ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ বিমানটি ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। নিহতরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির নয়ন বিশ্বাস, খালিয়ার মামুন শেখ ও সজল, বাজিতপুর নতুনবাজারের কাজী সজীব ও কবিরাজপুরের কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন। এর আগে গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের (তিউনিসিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত) উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ঘটনায় নিহত হন ৯ যাত্রী, যার মধ্যে আটজন বাংলাদেশি নাগরিক। আরেকজন পাকিস্তানের। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আড়াই মাসের প্রচেষ্টার পর দেশে ফিরল তাদের মরদেহ। স্বজনের কাছে হস্তান্তরের পাশাপাশি দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
০৩ মে, ২০২৪

৯০০ মরদেহ আদালতে হয়ে গেল ১৩৫!
আদালতে সুর পাল্টেছেন মিল্টন সমাদ্দার। তিনি এতদিন একাধিক গণমাধ্যমে ৯০০ মরদেহ দাফনের দাবি করেছিলেন। কালবেলাকে তিনি বলেছিলেন, ৬০০ মানুষ তার আশ্রমে মারা গেছেন এবং বাকি ৩০০ মানুষের মরদেহ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে দাফন করেছেন। তবে আদালতে মিল্টন সেই সংখ্যা কমিয়ে বলেছেন, তার আশ্রমে ১৩৫ জন মারা গেছেন। তাদের কবরের রসিদ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, নাম-পরিচয়হীন মরদেহ কবরস্থানে দাফন করা না যাওয়ায় তিনি ঘুষ দিয়ে রাতের অন্ধকারে দাফন করেছেন। এ কারণে সব মরদেহ দাফনের রসিদ তার কাছে নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মিল্টন সমাদ্দার বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করি। পরের বছর সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। আমাদের কার্যক্রম দেখে অধিদপ্তর ২০১৮ সালে নিবন্ধন দেয়। এখানে শুধু পরিচয়হীন ছিন্নমূল মানুষকে এনে আশ্রয় ও চিকিৎসা দিই। আশ্রম সাধারণ মানুষের অনুদানে পরিচালিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট সংরক্ষণ করি। বর্তমানে এখানে ২৫৬ জন আশ্রিত মানুষ আছেন। এ পর্যন্ত ১৩৫ জন আশ্রমে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের সমাহিতকরণের জন্য আমরা নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা নিশ্চিত হয়ে মৃত্যুর কারণ সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দিই। এটা শুধু দাফনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এসব মানুষকে দাফনের দায়িত্ব নিতে আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করি। এমনকি হাইকোর্টেও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কেউ তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় নিজস্বভাবে তালিকা করে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করি। এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, কালবেলার প্রতিবেদকের সঙ্গে সামসুদ্দিন নামের কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য রয়েছে। এর সূত্র ধরে কালবেলা পক্ষপাতিত্বমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, কালবেলার কারণেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে আশ্রমের সাপ বের হয়ে গেছে। সামসুদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই কালবেলা কর্তৃপক্ষের। সংবাদে প্রকাশিত অন্য সব ভুক্তভোগীর মতোই সামসুদ্দিনও মিল্টন সমাদ্দারের হাতে নির্যাতিত একজন ভুক্তভোগী। এই সংবাদের আগে কারও সঙ্গে কারও কখনো দেখা হয়নি, কথাও হয়নি, এমনকি কেউ কাউকে চিনতেনও না। সংবাদের বাইরে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।
০৩ মে, ২০২৪
X