কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ
কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ। দেখা মিলছে না সূর্য্যের। চারপাশ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো অবস্থা। দেশটির রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে অবস্থা এমন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা। মানে ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে শ্বাসনালীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা। ২০১৮ সালের পর ফের এই ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে। দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর আগে চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা এই ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও। গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার গ্রিসের কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫টি দাবানলের তথ্য পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।  সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে জমে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে এর বেশিরভাগ ইউরোপের দেশে ভেসে আসে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সৌদিতে বিরল তুষারপাত, ঢেকে গেছে মরুভূমি
বিরল তুষারপাতের সাক্ষী হলো মরুময় সৌদি আরব। উত্তপ্ত মরুর বুকে নেমে আসে শুভ্র তুষার। দেশটির রাজধানী রিয়াদের পশ্চিমাঞ্চলের আফিফ মরুভূমিতে হঠাৎ করে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে শুধু বরফই পড়েনি এদিন শিলাবৃষ্টিও পড়েছে। আবহাওয়ার এমন অস্বাভাবিক দৃশ্যে অবশ্য খুব একটা বিপাকে পড়তে হয়নি সৌদিবাসীদের। উল্টো সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বিরল এই তুষারপাত উপভোগ করতে অনেকে রাতেই বেরিয়ে পড়েন বাসা থেকে। রীতিমতো উৎসবে মাতেন কেউ কেউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তুষারে ঢাকা মরুভূমির ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর মরুভূমি ছেয়ে গেছে শুভ্র তুষারে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানায়, রোববার থেকে সৌদিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন আসবে। এদিন থেকে বৃষ্টিপাত, বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং ধূলিঝড় দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে সৌদির পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে মেঘের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং রিয়াদ অঞ্চলের একটি অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, সোমবার থেকে তাবুক, উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত, আল জাওয়াফ, হাইল, মদিনা, কাসিম এবং রিয়াদের উত্তরাংশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। থাকবে বজ্রঝড় ও শিলা। এতে করে উপত্যকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়। এছাড়া মক্কার বিভিন্ন জায়গাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে তাপমাত্রা কমে আসবে গোটা সৌদি আরবে । সৌদি আরবের গড় তামপাত্রা ২৭ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও মরুভূমিতে অবশ্য শিলাবৃষ্টি নতুন কিছু নয়, তবে তুষারপাতের ঘটনা বিরল। দেশটিতে প্রায়ই আকস্মিক বৃষ্টিপাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভেসে যায় রাস্তাঘাট, গাড়ি সবকিছু। অনেকে বলছেন, এই পবিত্র রমজানে বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ সৌদি আরবে অবস্থান করছে। তারাও সাক্ষী হচ্ছেন বিরল এই তুষারপাতের। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিপাকে পড়তে হবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে। এই সময় সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেশি বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  
১৭ মার্চ, ২০২৪

পানি সংকটে কৃষকদের হাহাকার, জমি শুকিয়ে মরুভূমি
প্রথম দেখায় মনে হতে পারে এটি কোনো মরুভূমি অঞ্চলের দৃশ্য। তবে দূরে তাকালে সবুজ অরণ্য দেখলে সেই ভুল ভেঙে যাবে। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশের কৃষিজমির দৃশ্য এটি। পানির অভাবে ফসলি জমি শুকিয়ে ফেটে গেছে। যার কারণে ফসল উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার কৃষক। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প আওতাভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা, বদরপুর, গাব্দেরগাওসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানির এমন সংকট দেখা যায়। সেচ কাজে দ্রুত পানি সরবরাহ না বাড়লে উপজেলার প্রায় ১০ হাজার ৮০ হেক্টর জমির বোরো আবাদ চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঘ মাসের শুরুতে কৃষকরা বোরো আবাদের জন্য চারা রোপণ করলেও পানির তীব্র সংকটে পড়ে তারা। কিছুদিন পুকুর, ডোবা ও খাল থেকে পানি নিয়ে সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হয়। তবে এখন সব ধরনের জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। সময় মতো ধান রোপণ করতে পারছেন না অধিকাংশ কৃষক। যারা ধানের চারা লাগিয়েছেন তাদেরও চারাগুলো মরে যাচ্ছে পানির সংকটে। এমন সংকটে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনো সুরাহা পাননি কৃষকরা। ফলে প্রতিদিনই কৃষকের ‘কান্নায় ভিজছে’ ফসলের মাঠ। চাঁদপুর জেলা পা‌নি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশ‌লী জহুরুল ইসলাম জানান, সব কৃষকরা একসঙ্গে পানি তোলার কারণে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত পানির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, পানির প্রেসার যে পরিমাণ প্রয়োজন পানি উন্নয়ন বোর্ড তা বাড়াতে পারেনি। খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং কৃষিজমি তুলনামূলক উঁচু হওয়ায় পানি সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ পুকুর, খাল, নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঠিকভাবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে সেচ সংকট দেখা দেয় কৃষি জমিতে। অবিলম্বে তাই খাল খনন অথবা গভীর নলকূপ স্থাপনের দাবি কৃষকদের।
১০ মার্চ, ২০২৪

ভয়াবহ বন্যা লিবিয়ায়  / মরুভূমি চোখের পলকে হয়ে গেল সাগর!
ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় মৃত্যুপুরী লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় শহর দেরনা। যেদিকে চোখ যায় শুধু বন্যার ক্ষতচিহ্ন। চারদিকে পানি, ধ্বংসস্তূপের ছড়াছড়ি। রাস্তাঘাটও বন্ধ। এ কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ। নিহতের এ সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারে ঠেকতে পারে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র। সূত্র : আলজাজিরা। দেরনার আল-মুখাইলি গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মাদ আল-আওকালি। ২২ বছর বয়সী আল-আওকালি ১০ সেপ্টেম্বরের ঝড় ও বন্যার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা আলজাজিরার কাছে তুলে ধরেছেন। ‘আপনি কি কখনো মরুভূমিকে চোখের পলকে সাগরে পরিণত হতে দেখেছেন’—এমন প্রশ্ন দিয়েই নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা শুরু করেন আল-আওকালি। তিনি বলেন, শক্তিশালী ঝড়ের পর চারদিকে মেকি নীরবতা। কোথাও কোনো আওয়াজ নেই। মানুষের চলাচল নেই। তিনি বলেন, ঝড়ের পর আমরা নিশ্চিন্ত মনেই ঘুমাতে গেলাম; কিন্তু রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই আমাদের ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করে। এরপর পরিবারের সবাইকে নিয়ে তাড়াহুড়া করে বাড়ির ছাদে যাই। ছাদে ওঠামাত্র বন্যার মাত্রা ও তীব্রতা বুঝতে পারি। আল-আওকালি বলেন, এই ভয়াবহতা দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। সমগ্র এলাকা বন্যার পানি গ্রাস করে ফেলেছে। উত্তর ও পশ্চিম, সবদিক থেকেই পানি আসছে। এমন ভয়াবহ বিপদের মধ্যেও প্রতিবেশী ও এলাকার অন্য মানুষের কথা ভুলে যাননি আল-আওকালি। নিচু এলাকা হওয়ায় আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এমনটা প্রথম দিকেই আঁচ করতে পারেন তিনি। তাই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান প্রতিবেশীদের খোঁজে। অনেকেই বাড়িতে আটকা পড়েন। ছাদেও যেতে পারেননি। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে আমি সামনে যাওয়ার চেষ্টা করি; কিন্তু পানির তোড় আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে পাশের বাড়ির দেয়ালে ধাক্কা দেয়। কিছুক্ষণ পর দেয়াল বেয়ে বহু কষ্টে তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকি। দেখতে পাই, ওই পরিবারের সদস্যরা ঘরের আলমারির ওপর উঠে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, তারা সারা রাত ওই আলমারির ওপরই পার করেছেন। কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। বন্যার পর থেকে গ্রামের মানুষজন বাড়ির ছাদে বা ঘরের আসবাবের ওপর বাস করছেন। অনেক ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ফলে বহির্বিশ্বে কী হচ্ছে, তারা তা জানেন না। শুধু আল-মুখাইলি গ্রাম নয়, উপকূলীয় শহর দেরনার সব এলাকার অবস্থা এমন করুণ। হাজার হাজার মানুষ হতাহত, গৃহহীন। লিবিয়ার অন্যত্রও এ ঝড়ের কারণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুল জলিল। গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ভেঙে সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ঘুমন্ত বাসিন্দাদের ওপর ধসে পড়ে। এমনকি বন্যার পানিতে অনেক মানুষের মরদেহ শতাধিক কিলোমিটার দূরে ভেসে গেছে। দাফনের সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে তিন হাজারের বেশি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আরও দুই হাজার মানুষের মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে। বেশিরভাগ মরদেহ দারনা শহরের বাইরে গণকবর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য মরদেহ কাছের শহরগুলোয় পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো শহরের কেন্দ্রস্থলে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোয় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। আর ডুবুরিরা দেরনার কাছে সমুদ্রে মরদেহের সন্ধানে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন। বন্যার কারণে ধ্বংসাবশেষ ও কাদার নিচে এখনো অনেক মরদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে। ওসব এলাকার সড়কগুলো তলিয়ে গেছে বা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি আনতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। রেড ক্রসের লিবিয়ার প্রধান ইয়ান ফ্রিদেজ বলেন, এ বিপর্যয় ছিল সহিংস ও নৃশংস। সাত মিটার উঁচু ঢেউ ভবনগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে এবং অবকাঠামোকে সমুদ্রে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ, অনেক মরদেহ তীরে ভেসে আসছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও ভঙ্গুর অবকাঠামো: ঝড় ও বন্যায় দেরনা শহরের সংযোগ সড়ক ও সেতুগুলো ধসে গেছে। ফলে সেখানে সহজে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও ফোন লাইনগুলো কাটা পড়েছে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ এখন গৃহহীন। শহরের অধিকাংশ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় উদ্ধারকাজের সুবিধার্থে সমুদ্র করিডোর খোলার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেতেরি তালাস বলেন, আগাম সতর্ক করা গেলে ও জরুরি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ঠিকভাবে কাজ করলে অনেক মৃত্যু এড়ানো যেত। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেরনার ডেপুটি মেয়র আহমেদ মাদরোদ জানিয়েছিলেন, ২০০২ সালের পর থেকে শহরের বাঁধগুলো ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। লিবিয়ার থিঙ্কট্যাঙ্ক সাদেক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আনাস এল গোমাতি ভয়াবহ এ দুর্যোগে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কারণ হিসেবে দুর্বল অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছেন। অবকাঠামোগত দুর্বলতার পেছনে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X