মাস্টার্সেও পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির কথা ভাবছে ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কথা ভাবা হচ্ছে। শুক্রবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ঢাবি উপাচার্য বলেন, আমরা বর্তমানে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভর্তি করছি, মাস্টার্সেও সে পরিমাণ শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে ভর্তি করার প্রয়োজন আছে কি না তা ভাবা হচ্ছে। এখন কেবল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়। সে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মাস্টার্সে ভর্তি করানো আইনগতভাবে বৈধ কি না, তাও আমাদের ভাবতে হবে। তিনি বলেন, মাস্টার্সে যারা যাবে তারা সংখ্যায় বেশি হবে না। যারা নিজের বিষয়ের ওপর গবেষণা করবে, ক্যারিয়ার নির্মাণ করবে- তারাই হয়তো মাস্টার্সে পড়াশোনা করবে। অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, লাইব্রেরিতেও একই প্রক্রিয়ায় চালু হচ্ছে। যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী মাস থেকে লাইব্রেরিতেও প্রবেশ করতে পারবে না। এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দুএকজন হয়তো অ্যাকাডেমিক বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচি নির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যানজ্ঞান হওয়ার কথা।
১১ মে, ২০২৪

আবার সশরীরে ক্লাসে ফিরছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার (৮ মে) থেকে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় আগামী বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ এ সিন্ধান্ত অনুমোদন করেন। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় জনসংযোগ দপ্তর। এতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল, যেমন খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
০৬ মে, ২০২৪

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে 'ন্যাভিগেটিং ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েস ইন দ্য ইনভলভিং গ্লোবাল অর্ডার' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।  রোববার (৫ মে) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, নেদারল্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজ-এর রেক্টর ড. আর, আর, গঞ্জেভোর্ট, যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. জো ডিভাইন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোশতাক খান প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়তে শিক্ষাবিদ, গবেষক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।  বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণ এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সামাজিক ও আঞ্চলিক সংঘাতসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই সম্মেলন বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের জন্য এক্ষেত্রে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
০৫ মে, ২০২৪

তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে এলে ঢাবিতে ক্লাসের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত 
সারা দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলছে অনলাইন ক্লাস। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তা চলমান থাকবে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসলে সশরীরে ক্লাসের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।  শুক্রবার (৩ মে) সকালে কালবেলাকে তিনি এ কথা জানান। অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, গতকাল তো অনেক বেশি তাপমাত্রা ছিল। রাতে বৃষ্টি হওয়াতে এটা একটু হ্রাস পেয়েছে। আর দু-একদিন দেখা যাক। তাপমাত্রা যদি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে, তাহলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই একটা নির্দেশনা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলে একত্রিত হয়ে শীঘ্রই একটি সভা করব। সেই সভার সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালও পরিবেশ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনেই ক্লাস চলবে বলে গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অফলাইন ক্লাসের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগামী রোববারেও অনলাইনেই ক্লাস চলমান থাকবে। সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টি হলে পরিবেশ ঠান্ডা হওয়া সাপেক্ষে রোববারের পরে অফলাইন ক্লাস হতে পারে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূর্বেই জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে পরিবেশ অনুকূল না হলে অনলাইনেই ক্লাস চলমান থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শও দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেগুলো হলো- সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা, প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল- যেমন: খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয়, যেমন চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
০৩ মে, ২০২৪

নিজের নামে ভুয়া জিমেইল, সতর্ক করলেন ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নামে ভুয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করছে একটি প্রতারক চক্র।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে মাকসুদ কামাল নিজেই তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি জানান এবং বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।  ফেসবুকে তিনি লিখেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি ঘোষণা। কেউ আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ভুয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে। প্রতারকচক্র গুগল চ্যাটে আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছে এবং আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা পাঠাচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও জানান, আমি যে ই-মেইল আড্রেসটি ব্যবহার করি তা হলো-  [email protected]. সুতরাং, অনুগ্রহ করে এই ধরনের কোনো আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার আগে আমার উল্লিখিত ই-মেইল আড্রেসটি দেখুন। বিষয়টি আপনাদের পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / কোরআন পাঠের জন্য শোকজের ঘটনায় ঢাবি উপাচার্যকে লিগ্যাল নোটিশ 
রমজানকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না তার জবাব চেয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে কলা অনুষদ ডিনের চিঠি দেওয়ার ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির এই নোটিশটি পাঠান। এতে গত ১৩ মার্চ আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হকের কার্যালয়ে পাঠানো চিঠিটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ মার্চ দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা গেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না এর জবাব চেয়ে কলা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল বাছির ১৩ মার্চ আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জুবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হকের কাছে চিঠি প্রদান করেছেন। এতে আরবি সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক ওই অনুষ্ঠান আয়োজনকে প্রক্টর অফিসের নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চার লঙ্ঘন।  এতে আরও বলা হয়, প্রক্টর অফিসের নিয়ম ক্যাম্পাসে প্রযোজ্য হতে পারে, তবে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো কখনই তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলেনি। ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে এটা আরও সত্য। বাংলাদেশের ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হতো, যদি ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের সংগঠিত সব সমাবেশের জন্য সম্মানিত প্রক্টরের অনুমতি নিতে হতো। ক্যাম্পাসে কোরআন তেলাওয়াতের ধারণা হলো একদল ছাত্রের মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ। তাদের উদ্দেশ্য হয়তো ছিল অন্যদের রমজানের সময় পবিত্র মহাগ্রন্থ পাঠে অনুপ্রাণিত করা বা উৎসাহিত করা। যে কোনো সময়ে, যে কোনো জায়গায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে কারও কাছ থেকে অনুমতির প্রয়োজন হয় না। কারণ, এটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অথবা আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করে না, এমনকি কারও নিরাপত্তা হুমকির কারণও হয় না। লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠই নয়, বরং এটি দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বিবর্তন ও বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুও বটে। সুতরাং, এখানে জনগণের ক্ষতি সাধন হবে না এমন যে কোনো সংগঠন তৈরি করার, একত্র হওয়ার এবং বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার অধিকার শিক্ষার্থীদের রয়েছে। অতএব, কোরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠানকে ঘিরে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বাংলাদেশের সংবিধান এবং সংবিধানের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রয়োগ করার অধিকারের নিয়মের পরিপন্থি। এই লিগ্যাল নোটিশ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মার্চ ঢাবিতে কোরআন পাঠের ঘটনায় আরবি বিভাগের চেয়ারম্যানকে শোকজ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে কালবেলা। যা মুহূর্তেই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে, গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনস্থ বটতলায় মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে কোরআন তেলাওয়াত আসরের আয়োজন করে আরবি সাহিত্য পরিষদ নামে এক সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজকে অনেকে ইতিবাচকভাবে নিলেও কেউ কেউ নেতিবাচকভাবে নিয়ে সমালোচনা করেন। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন যুক্তিতর্ক লক্ষ্য করা যায়।
৩০ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচনে একটি শক্তিধর রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করেও সফল হয়নি : মাকসুদ কামাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিগত নির্বাচনে একটি শক্তিধর রাষ্ট্র সকল ষড়যন্ত্র করার পরেও তারা সফল হতে পারেনি। সফল হতে পারেনি এ কারণেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এ দেশের সকল মানুষের অন্তরের অন্তস্তলে আছে বিধায় মানুষ অন্যরা যত প্রলোভনই দেখাক তাদের মানুষ বিশ্বাস করে না। শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনের এ. টি. এম শামসুল হক হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের শিক্ষানীতি করার জন্য ড.কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে কমিশন করেন। ড. কুদরত-ই-খুদা সেদিন যে শিক্ষানীতি দিয়েছিলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন এবং সেই শিক্ষানীতি যদি প্রয়োগ হতো তাহলে বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে আছে তার বহু আগেই সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক যে স্থিতিশীলতা সেটি বাংলাদেশ অর্জন করত। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর গবেষণা চলছে। তিনি এখনো আমাদের কাছে অতিপ্রয়োজনীয়। একটি জাতিকে তিনি মুক্ত করেছেন অপরিসীম দুঃখ কষ্ট ও ত্যাগ সহ্য করে। অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে তিনি বাঙালির স্বাধীনতা এনেছেন। বাঙালির জীবনে অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এসেছে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধু শ্রেষ্ঠ বাঙালি হয়েছেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।
১৬ মার্চ, ২০২৪

ঢাবির প্রশ্নফাঁসের ঘটনা গুজব বললেন উপাচার্য
গত তিন দিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে প্রতারকচক্র কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করছে। প্রশ্নফাঁসের এ বিষয়টিকে গুজব বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। প্রতারকচক্রটি গুজব ছড়িয়ে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, বাস্তবে কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এই চক্রের মূল কাজ হলো আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যারা এ সম্পর্কে জানেন না, তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এ জন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে। প্রতারকচক্রটি সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আপনাদের অনেক সাংবাদিকও তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই চক্রটি প্রশ্নের বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকেও অগ্রিম টাকা চাচ্ছে। এ পর্যন্ত এই চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়ার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা সংবাদমাধ্যমগুলোতে সবাইকে এই প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের সমন্বয়ক ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান আমার সঙ্গে এবং দুজন উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, পরীক্ষা উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছি যেন প্রতারক চক্রটি এবারের ভর্তি পরীক্ষাকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৩ সংকট সমাধানে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিলেন নারী শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্যাম্পাসের ভিতরে চক্রাকার পরিবহন সার্ভিস চালু এবং বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্য কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসা একটি প্রতিনিধি দল। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি। ক্লাস, পরীক্ষাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের দিনের বেশিরভাগ সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন খাবারের কোনোরকম ব্যবস্থা না থাকায় মানহীন খাবারও উচ্চমূল্যে কিনে খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। যা অধিকাংশের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এইসব মানহীন খাবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে প্রতিনিয়ত দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ক্যাম্পাস অভ্যন্তরীণ ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খাবারের মান এবং দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ যানবাহন চালু করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশালায়তনের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু, ক্যাম্পাসে কোনো ইন্ডি ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে যাতায়াতের একমাত্র বাহন রিকশা। যায় ভাড়া বহন করা শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসহ। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধা বিবেচনায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে চক্রাকার পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০ টাকায় ক্যাম্পাসে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করতে পারবে। বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ভবঘুরে, পাগল, নেশাখোর, ভিক্ষুক এবং হিজড়াদের অবাধ বিচরণ লক্ষণীয়। যারা ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত ঝামেলা থেকে ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ করা এখন অতিব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাবি উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন মাকসুদ কামাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২৯তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। গতকাল শনিবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় সেখানে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক বিভিন্ন দায়িত্বে আমি নিযুক্ত ছিলাম, সেক্ষেত্রে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করব। যতদিনই থাকি, একসঙ্গে কাজ করব। ড. মাকসুদ কামাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক। ২০২০ সালের জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চারবারের নির্বাচিত সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহ্বায়কের দায়িত্বে এবং দুই মেয়াদে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন।
০৫ নভেম্বর, ২০২৩
X