ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্যাম্পাসের ভিতরে চক্রাকার পরিবহন সার্ভিস চালু এবং বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ উপাচার্য কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসা একটি প্রতিনিধি দল।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি। ক্লাস, পরীক্ষাসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের দিনের বেশিরভাগ সময় ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হয়। কিন্তু ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন খাবারের কোনোরকম ব্যবস্থা না থাকায় মানহীন খাবারও উচ্চমূল্যে কিনে খেতে হয় শিক্ষার্থীদের। যা অধিকাংশের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এইসব মানহীন খাবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকে প্রতিনিয়ত দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ক্যাম্পাস অভ্যন্তরীণ ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খাবারের মান এবং দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ যানবাহন চালু করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশালায়তনের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু, ক্যাম্পাসে কোনো ইন্ডি ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে যাতায়াতের একমাত্র বাহন রিকশা। যায় ভাড়া বহন করা শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসহ। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধা বিবেচনায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে চক্রাকার পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০ টাকায় ক্যাম্পাসে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাতায়াত করতে পারবে।
বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ভবঘুরে, পাগল, নেশাখোর, ভিক্ষুক এবং হিজড়াদের অবাধ বিচরণ লক্ষণীয়। যারা ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত ঝামেলা থেকে ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ করা এখন অতিব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন