দিঘিতে মিলল এক মণ কোরাল মাছ
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় দিঘিতে ধরা পড়েছে তিনটি বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ। যেগুলোর ওজন এক মণ। মাছগুলো তাৎক্ষণিক ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বড় মাছটি ২০ কেজি আর বাকি দুইটা মাছসহ তিনটি মাছের ওজন মোট ৪০ কেজি হয়েছে।  শুক্রবার (১৭ মে) সকালে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কমলার দিঘিতে জাল ফেললে কোরালগুলো উঠে আসে। কমলার দিঘিটি চর ঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আজাদ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দিঘিতে জাল ফেলেন। জাল ফেলার খবরে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা।  প্রথমবার জাল ফেললে মাছগুলো জাল কেটে বের হয়ে যায়। ফের আবার জাল ফেললে একসঙ্গে তিনটি বিশাল আকৃতির কোরাল মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো রিপন বেপারী এক হাজার টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এ সময় কোরাল মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমান।  চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কামরুল ইসলাম মহব্বত বলেন, কমলার দিঘিটি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে আছে। আজ সকালে দুইবার জাল ফেলে তিনটি এক মণ ওজনের কোরাল মাছ পাওয়া যায়। মাছগুলো এক হাজার টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেন রিপন বেপারী। চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আজাদ বলেন, দিঘির পানি কমে আসলে প্রতিবছর এভাবে জাল ফেলে মাছ ধরা হয়। মাছ বিক্রি করে সে টাকা ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা রাখা হয়। বিশাল আকৃতির মাছ হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া গেছে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশিষ চাকমা বলেন, আমরা জানি সাগরে বড় বড় কোরাল পাওয়া যায়। পুকুরে যে বিশাল কোরাল মাছ হয় তা আমি আজকেই প্রথম দেখলাম। মাছগুলো দেখলে যে কারো মন ভরে যাবে।
৪ ঘণ্টা আগে

কীটনাশকযুক্ত পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশুর
কুমিল্লায় কীটনাশকযুক্ত পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে মো. ফাহাদ (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর গ্রামের আইয়ুব আলী নামে এক ব্যক্তি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন। তিনি গত রাতে পুকুরে মাছ ধরার জন্য শক্তিশালী কীটনাশক প্রয়োগ করেন। সকালে পুকুরে মাছ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে নেমে পড়ে। এ সময় ফাহাদও মাছ ধরতে নেমেছিল। পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় সে বিষাক্ত পানি পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফাহাদের মা সায়িদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে এসে পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আমি তার পিছে পিছে যাওয়ার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে তাকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করি। পরে তাকে পুকুরে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেকে আমি এখন কই পামু। পুকুর লিজ নেওয়া স্বত্বাধিকারী আইয়ুব আলী বলেন, আমি মাছ ভেসে ওঠার জন্য ট্যাবলেট প্রয়োগ করেছিলাম। সকালে মাছগুলো উঠিয়ে নেব সেই জন্য। মাছ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ সেখানে নেমে পড়ে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জেনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো আবেদন বা অভিযোগ কোনো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পাইনি। বস্তুত শিশুটি পানিতে ডুবে না কি পুকুরে বিষাক্ত পানি পান করে মৃত্যু হয়েছে, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তাই স্ব-প্রণোদিত হয়ে ওই পুকুরের পানি বোতলে করে থানায় এনেছি। পানির বিষাক্ততা নির্ণয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর মধ্যে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ মে, ২০২৪

কুমিল্লায় কীটনাশক ছিটানো পুকুরে মাছ ধরতে নেমে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় কীটনাশক দেওয়া পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে কীটনাশকযুক্ত পানি খেয়ে ফাহাদ (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত ফাহাদ জগন্নাথপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুন।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর গ্রামে একটি পুকুর লিজ নিয়ে একই গ্রামের আইয়ুব আলী মাছ চাষ করে আসছিলেন। তিনিএকই দিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাউকে না জানিয়ে ওই পুকুরে মাছ ধরার জন্য শক্তিশালী কীটনাশক প্রয়োগ করেন। পরবর্তী সময়ে ওই পুকুরে কিছু মাছ ভাসতে দেখে স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশীরা মাছ ধরতে নেমে পড়ে। এদের মধ্যে ফাহাদও সেখানে মাছ ধরতে নামে। এক পর্যায়ে সে গভীর পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় বিষাক্ত পানি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি উপস্থিত লোকজন টের পেয়ে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ফাহাদের মা সায়িদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে এসে পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আমি তার পিছে পিছে যাওয়ার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে তাকে না দেখতে পেরে খোঁজাখুজি শুরু করি। পরবর্তীতে তাকে পুকুরে পাওয়া যায়। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেরে আমি এখন কই পামু।  এই বিষয়ে পুকুর লিজ নেওয়া আইয়ুব আলী বলেন, মাছ ভেসে উঠার জন্য ট্যাবলেট প্রয়োগ করেছিলাম। সকালে মাছগুলো উঠিয়ে নিবো সেজন্য। মাছ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ সেখানে নেমে পড়ে। এই বিষয়ে কোতওয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি এইমাত্র শুনেছি। আমি সেখানে পুলিশ পাঠাচ্ছি।
১৩ মে, ২০২৪

১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলো ১১ কেজির বাগাড়
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলে অছেল হালদারের জালে ১১ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। শনিবার (১১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে পদ্মা নদীর ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে মাছটি ধরা পড়ে। জেলে অছেল হালদার কালবেলাকে বলেন, শুক্রবার রাতে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যাই। সকাল পর্যন্ত কোনো মাছ না ধরা না পড়ায় নদীতে জাল ফেলে বসে থাকি। পরে দুপুর দেড়টার দিকে জালে জোরে একটি ধাক্কা দেয়। তখন বুঝতে পারি জালে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। জাল টেনে তুলতেই দেখতে পাই বড় একটি বাগাড় মাছ।  তিনি বলেন, মাছটি দুপুরে বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লার আড়তে নিয়ে আসি। সেখানে ওজন দিয়ে মাছটি ১৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেই। দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ১১ কেজি ওজনের বাগাড় মাছটি ১৫ হাজার ৯৫০ টাকায় কিনে নিয়েছি। এখন কেজিতে ৫০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে দেব।
১১ মে, ২০২৪

শত্রুতার বিষে মরল লক্ষাধিক টাকার মাছ
নওগাঁর রাণীনগরে পুকুরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট (বিষ) দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১০ মে) সকালে ওই পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে ওঠে। উপজেলার আমিরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে জামাল সরদারের লিজকৃত পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। মাছ চাষি জামাল সরদার বলেন, বাড়ির পাশে ফুটবল খেলা মাঠ এলাকায় এক বিঘার একটি পুকুর লিজ নিয়ে প্রায় এক বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলাম। সকালে পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরের রুই, কাতলা ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তিনি দাবি করে বলেন, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা শত্রুতা করে আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে জামাল সরদারের আরও একটি পুকুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ নিধন করেছিল। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মে, ২০২৪

মাছ বিক্রি করে এসে ছেলে দেখল বাবা নেই
বাবা-ছেলে মিলে মাছ ধরে তা বিক্রি করতে গিয়েছিল ছেলে। পরে ফিরে দেখে তার বাবা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরদিন জাল টানলে নদী থেকে তার বাবার মরদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার (১০ মে) সকালে নওগাঁর রাণীনগরে নদীর দহ (গভীরতম স্থান) থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনছার আলী (৬৯)। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে। পেশায় তিনি জেলে ছিলেন। মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২-৩ দিন ধরে জেলে আনছার ও তার ছেলে ছোট যমুনা নদীর আতাইকুলা এলাকায় দয়া পালের দহে মাছ ধরছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও বাবা-ছেলে মাছ ধরছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনছারের ছেলে মাছ বিক্রির জন্য বেতগাড়ি বাজারে যান। আর আনছার দহেই ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনছারের জন্য খাবার নিয়ে যায় তার ছেলে। এ সময় বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে ওই দহের পানিতে জাল টানলে জেলে আনছারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। রাণীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী মাসুদ বলেন, ওই জেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। নিহতের পরিবার দাবি করেছেন আনছার দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিলেন এবং নদীর দহের পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছেন। তাই পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

বিষ প্রয়োগে মরল ১০ লাখ টাকার মাছ
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ মে) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  ক্ষতিগ্রস্ত প্রজেক্টের মালিক মো. বদিউল আলম ছেপাড়া গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন প্রজেক্টে মরা মাছ ভাসতে দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি এসে দেখি পুরো প্রজেক্টে ৪-৫ কেজি ওজনের রুই, কাতলা, সিলভারকার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পরে লোকজন নেমে মরা মাছগুলোর স্তূপ দেয়। পানি থেকে একটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। আমার ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে। তিনি আরও বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী হয়ে কাজ করেছি। নৌকা সমর্থিতরা আমাকে কাজ না করার জন্য নানাভাবে হুমকি দেয়। আমি এসবের তোয়াক্কা না করে কাজ করায় তারা আমার ক্ষতি করবে জানিয়ে লোকজনের মাধ্যমে খবর পাঠায়। প্রজেক্টের মাছগুলো কয়েকদিন পর বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু আমি এখন নিঃস্ব হয়েছি।  গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল বলেন, এটি মানুষ হত্যা করার শামিল। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন করায় তার অপরাধ হয়েছে। দুবৃর্ত্তরা ১০ লাখ টাকার মাছ বিষ ঢেলে মাছ হত্যা করেছে। যারা এ নিষ্ঠুর কাজ করেছে তদন্ত করে বিচার দাবি জানাচ্ছি। দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিক বদিউল আলম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৯ মে, ২০২৪

ইরানে বিরল ‘মাছবৃষ্টি’, আকাশ থেকে পড়ছে জীবিত মাছ
ভারী বর্ষণের সঙ্গে উপর থেকে পড়ছে মাছ। বাতাসের সঙ্গে উড়ে আসছে এগুলো। কিছু মাছ এখনও জীবিত। মাটিতে পড়ে ছটফট করছে। হ্যাঁ! মাছবৃষ্টি। সম্প্রতি এ ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।  সোমবার অবাক করা এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইরানের ইয়াসুজ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির সঙ্গে রাস্তায় পড়া মাছগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন মানুষজন।  স্থানীয় পৌর প্লাজার কাছ থেকে এক ব্যক্তির করা ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মাছ। এর মধ্যেই উপর থেকে পড়ছে আরও। ভিডিওকারী ব্যক্তি নিজেই মাটি থেকে একটি মাছ তুলেছেন, সেটি নড়াচড়া করছে। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এ ঘটনায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ঘটে যখন একটি টর্নেডো সমুদ্রের পানির ওপর দিয়ে যায়। টর্নেডোর প্রচণ্ড শক্তি পানির সঙ্গে ব্যাঙ, কাঁকড়া বা মাছ তুলে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যায়। এরপর সেগুলো কোনো জায়গায় বৃষ্টির সঙ্গে নিচে এসে পড়ে। ইরানেও তাই হয়েছে। মাছবৃষ্টির ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ ও ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সারকানা ও ক্যালিফোর্নিয়ার অরভিলেও মাছবৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস 
০৯ মে, ২০২৪

‘সুন্দরবনে আগুন লাগায় মাছ ব্যবসায়ীরা’
সুন্দরবনে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। বড় গাছসহ লতাগুল্ম মারা যাচ্ছে। প্রাণীদের আবাস ও প্রজননস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বন্যপ্রাণীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। কিছু অসৎ বন কর্মকর্তার যোগসাজশে মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ীরা বারবার সুন্দরবনে আগুন লাগাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার মোংলা প্রেস ক্লাবে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্য দেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরার সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। আরও বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার অধ্যক্ষ মো. সেলিম, কমলা সরকার, হাছিব সরদার, সুন্দরবনের জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মণ্ডল, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হক, শেখ রাসেল প্রমুখ।
০৮ মে, ২০২৪

মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু 
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে সমুজ মিয়া (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সমুজ মিয়া একই গ্রামের ছনোয়ার মিয়ার ছেলে। জানা যায়, সমুজ মিয়া বাড়ির পাশে দুপুরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তখন হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সমুজ মিয়া বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।  এর আগে হবিগঞ্জের বাহুবলে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া (৫০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দানিছ মিয়া স্থানীয় চলিতাতলা মাদ্রাসা শিক্ষক। তিনি বাহুবল সদর ইউনিয়নের সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাহুবলের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষক দানিছ মিয়া বাড়ির পাশে জমি থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বাহুবল মডেল থানার ওসি মো. মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।  
০৬ মে, ২০২৪
X