শতভাগ জিপিএ-৫ পেল যশোরের জাফরীয়া মাদ্রাসা
নিজেদের ঐতিহ্য আর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে যশোরের জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ১৩ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের সাতজন এবং মানবিক বিভাগের ছয়জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে মানবিক বিভাগের তিনজন এবং বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী শেখ আরাফাত হোসাইন বলেন, শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ আর কাউন্সিলিং এর কারণে এমন ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। এমন ফলাফল আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাবে। মাদ্রাসার অভিভাবক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সন্তানদের এমন সাফল্য অনুপ্রেরণার। ভালো ফলাফল ভালো স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবেন। তিনি সন্তানদের সাফল্য কামনা করেন।  জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন বলেন, জীবনের সবচেয়ে আনন্দ তখনই যখন ছাত্রদের সাফল্য ধরা দেয়। ছাত্রদের ভালো ফলাফলের মাধ্যেমে শিক্ষকদের  পরিশ্রম ও সার্থকতা প্রকাশ পায়।  তিনি বলেন, আজকের সফল্যের সবটুকু কৃতিত্ব শিক্ষক আর ছাত্রদের। তাদের পরস্পরের সহযোগিতা আর পরিশ্রমের কারণে এমন ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে।  উল্লেখ্য, জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটির ক্যাম্পাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দত্তরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। প্রতিষ্ঠানটিতে থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ মদিনা, তুরস্ক ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছে। ছয় বছরে অর্থসহ হাফেজে কোরআন ও দাখিল পাসের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।
১২ মে, ২০২৪

সিনেমা হলের জায়গা বিক্রি, নির্মাণ হবে মাদরাসা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার ছন্দা সিনেমা হলটি অবশেষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হলটি ভেঙে প্রতিষ্ঠা করা হবে ইদরিসিয়া দারুল কোরআন মাদরাসা নামে একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ ও মাদরাসার জিম্মাদার মাওলানা মোকাররম হোসেন। সিনেমা হলের জমিটি ক্রয় করার জন্য ২০ লাখ টাকা বায়নাও করা হয়েছে।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিনেমা হলের সামনের রাস্তার পাশে প্রচারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নামে একটি ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। ব্যানারে লেখা রয়েছে, “আলহামদুলিল্লাহ ছন্দা সিনেমা হলটি মাদরাসার জন্য বায়না করা হয়েছে। চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বায়না মূল্য ২০ লাখ টাকা। সদকায়ে জারিয়ার এ মহৎ কাজে আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। মাদরাসার রসিদ ছাড়া কোনোপ্রকার লেনদেন করবেন না।” মাও. মোকাররম হোসেন বলেন, জমির বায়না করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য বিত্তবানসহ সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যও চাওয়া হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুতই জমির নির্ধারিত মূল্যের বাকি টাকা পরিশোধ করে মাদরাসা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। দলিলকরাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হবে।  নরসিংদীর প্রবীণ চলচ্চিত্র প্রয়োজক শামসুর রহমান পিন্টু বলেন, দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শিল্প ক্রান্তিকাল পার করছে। ক্রমশ নিভে যাচ্ছে দেশের হলগুলোর রুপালি পর্দার আলো। নরসিংদীতে গত দুই দশকে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫টির বেশিপ্রেক্ষাগৃহ। সর্বশেষ হাসনাবাদের ৯০ দশকের ছন্দা সিনেমা হল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ঢিমেতালে নরসিংদীতে টিকে আছে দু-একটি সিনেমা হল। তাছাড়া বর্তমান ডিজিটাল যুগে সবার হাতে স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট থাকায় এখন সিনেমা, নাটকসহ চিত্তবিনোদন হাতের মুঠোয়। তাই এখন আর সিনেমা হলে যেতে হয় না। মানুষ মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ-ডেক্সটপেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সিনেমা, নাটক ইত্যাদি দেখে থাকে। সিনেমা হলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমন খান জানান, বর্তমানে সিনেমা ব্যবসা মন্দা হওয়ায় তাদের অবস্থা শোচনীয়। মালিকপক্ষ ঠিকমতো বেতন দিতে পারে না। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই অন্য পেশা বেছে নিচ্ছে। ছন্দা সিনেমা হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রুবেল আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন লোকসান গুনে হলটি চলছিল। মাস শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, জেনারেটরসহ নানা মেইনটেন্যান্স খরচ রয়েছে। লোকসানি এই প্রতিষ্ঠান আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েক বছর আগেও সপ্তাহে দু-একটি সিনেমা রিলিজ হতো, এখন মাসেও একটি হয় না। নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে তা দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারনেটে বা অন্যান্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই হলে তেমন কেউ সিনেমা দেখতে আসে না। নিরুপায় হয়ে এ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

মাদরাসা বোর্ডের ফল দেখবেন যেভাবে
এইচএসসি ও সমমানের ২০২৩ সালের ফলা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। এদিন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। ফল জানা যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.bmeb.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে। মার্কশিট নম্বরসহ আলিম পরীক্ষার ফল ২০২৩ দেখার নিয়ম বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bmeb.gov.bd এ অনলাইন সেবা-১ কর্নার-এর আলিম পরীক্ষা- ২০২৩ লিংকে ক্লিক করে জেলার কেন্দ্রভিত্তিক মাদ্রাসার রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। শিক্ষা বোর্ডের রেজাল্ট আর্কাইভ www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে নিজ নিজ ফলাফল জানতে পারবেন। মাদরাসার আলিম রেজাল্ট ২০২৩ মোবাইল মেসেজে (SMS) দেখার নিয়ম প্রকাশিত মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম রেজাল্ট, মোবাইল এসএমএস-এর মাধ্যমে মার্কশিটসহ দেখা যাবে। মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানতে নিচের ফরম্যাটে মেসেজ লিখে 16222 নম্বরে পাঠিয়ে দিতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের একজন কল্পিত আলিম পরীক্ষার্থীর মেসেজ ফরম্যাট দেখুন AlimMad1234562023 Send 16222 উদাহরণ : Alim Mad 123456 2023 মেসেজ লিখে, যে কোন অপারেটরের মোবাইল থেকে 16222 নম্বর পাঠিয়ে দিন। ফিরতি মেসেজে গ্রেড পয়েন্ট নাম্বার সহ আলিম পরীক্ষার রেজাল্ট জানা যাবে। জানা গেছে, এ বছর মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আলিমে পাসে হার প্রায় এক দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩

মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৭৫ শতাংশ
এইচএসসি ও সমমানের ২০২৩ সালের ফলা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আলিমে পাসে হার প্রায় এক দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে। জানা গেছে, এ বছর মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে। এসএমএস-এর মাধ্যমে যেভাবে জানা যাবে : মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল। একইভাবে আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। আর কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন। মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩
X