Fri, 17 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
নীরবে ডিম হালিতে বেড়েছে ১৫ টাকা
১৩ মিনিট আগে
টেনিসে বিরাট সম্ভাবনা আছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১৬ মিনিট আগে
গায়ের কাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেল ৫ কোটি টাকার সোনা!
১৮ মিনিট আগে
ফের আচরণবিধি লঙ্ঘন, ৭ ডেগ খিচুরি জব্দ
১৭ মিনিট আগে
মালয়েশিয়ায় থানায় হামলা চালিয়ে ২ পুলিশ সদস্যকে হত্যা
৫৪ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১৭ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
শতভাগ জিপিএ-৫ পেল যশোরের জাফরীয়া মাদ্রাসা
নিজেদের ঐতিহ্য আর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে যশোরের জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর ১৩ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের সাতজন এবং মানবিক বিভাগের ছয়জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে মানবিক বিভাগের তিনজন এবং বিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী শেখ আরাফাত হোসাইন বলেন, শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ আর কাউন্সিলিং এর কারণে এমন ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। এমন ফলাফল আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাবে। মাদ্রাসার অভিভাবক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সন্তানদের এমন সাফল্য অনুপ্রেরণার। ভালো ফলাফল ভালো স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবেন। তিনি সন্তানদের সাফল্য কামনা করেন। জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন বলেন, জীবনের সবচেয়ে আনন্দ তখনই যখন ছাত্রদের সাফল্য ধরা দেয়। ছাত্রদের ভালো ফলাফলের মাধ্যেমে শিক্ষকদের পরিশ্রম ও সার্থকতা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, আজকের সফল্যের সবটুকু কৃতিত্ব শিক্ষক আর ছাত্রদের। তাদের পরস্পরের সহযোগিতা আর পরিশ্রমের কারণে এমন ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, জাফরীয়া জীবন্ত কোরআন বহুমুখী আদর্শ মাদ্রাসা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটির ক্যাম্পাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দত্তরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। প্রতিষ্ঠানটিতে থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ মদিনা, তুরস্ক ও ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করছে। ছয় বছরে অর্থসহ হাফেজে কোরআন ও দাখিল পাসের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে।
১২ মে, ২০২৪
মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.৬৬ শতাংশ, জিপিএ-৫ কত?
চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন। এ বছর গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ এ বছর পাসের হার বেড়েছে। এসএসসিতে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর আগে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ মে) বেলা ১১টায় গণভবনে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। ফলাফল দেখবেন যেভাবে- সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফল দেখার নিয়মসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীকে ফল দেখতে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সেখানে থাকা Result কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন’র (EIIN) মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে সারা দেশের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
১২ মে, ২০২৪
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
হবিগঞ্জের বাহুবলে বাড়ির পাশের জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দানিছ মিয়া (৫০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দানিছ মিয়া স্থানীয় চলিতাতলা মাদ্রাসা শিক্ষক তিনি বাহুবল সদর ইউনিয়নের সাতপাড়িয়া গ্রামের রহিম উল্লাহর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাহুবলের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষক দানিছ মিয়া বাড়ির পাশে জমি থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এসময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
০৬ মে, ২০২৪
মাদ্রাসা ছাত্রীকে লঞ্চে নিয়ে ধর্ষণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৮ম শ্রেণীর এক মাদ্রসাছাত্রীকে (১৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে (১ মে) রায়পুর থানায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত রাকিবসহ তার মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে (২ মে) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল এবং আদালতে হাজির করবেন পুলিশ। মামলার এজাহারে জানা যায়, কিশোরীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তার মা মানুষের বাসায় গৃহকর্মী এবং বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। কিশোরী শহরের টিসি সড়কের স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে রং মেস্ত্রী রাকিব হোসেন (২৫) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। রোববার (২১ এপ্রিল) শহরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রামের বড় বোনের শশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে শহরের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাকিবসহ অজ্ঞত আরও ২ জন কিশোরীর মুখে কাপড় চেপে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হায়দরগন্জ বাজার হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চ ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে আটক করে ওই দিন কিশোরীকে রাবিক কয়েকবার ধর্ষণ করে। ওই রাতে রাকিব কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু রাকিবের মা ও বাবা তাদের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় রাকিব তাদের বাড়িতে কিশোরীকে রেখেই পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে কিশোরীর পরিবারকে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে সময় কালক্ষেপণ করায় বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করা হয়। কিশোরীর মা জানান, আমার অবুঝ কিশোরী মেয়ের সর্বনাশ করেছে বখাটে রাকিব। আমি সমাজের মানুষের কাছে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা করেছি। আমি উপযুক্ত বিচার চাই। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাকিব পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তার বাবা মিছির আলী ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করেন। রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুক মজুমদার বলেন, বুধবার রাতে (১ মে) ধর্ষণ আইনে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এরপর বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার জবানবন্দি নিতে লক্ষ্মীপুর বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর।
০৩ মে, ২০২৪
সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশ
তীব্র দাবদাহ প্রশমন ও ক্যাম্পাস সবুজায়নের লক্ষ্যে দেশের সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। তীব্র দাবদাহের প্রভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র দাবদাহের সংকট মোকাবিলায় অন্যতম নিয়ামক বৃক্ষরোপণ। এতে আরও বলা হয়, তীব্র দাবদাহ প্রশমন ও মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সবুজায়নের লক্ষ্যে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশের সব মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪
দাবদাহে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস হবে অনলাইনে
সারা দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহমান তীব্র দাবদাহের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে দেশের সকল অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাকে স্ব-শরীরে ক্লাস বন্ধ রেখে অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশনা দিয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের জারিকৃত এক নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে ২১ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সকল ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ ফরম পূরণ ও যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাদ্রাসার অফিসগুলো খোলা থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে : ১. দিনের বেলা যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকা, প্রয়োজনে বের হলে রোদ এড়িয়ে এবং ছাতা, টুপি/ক্যাপ ব্যবহার করা। ২. প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি/লেবুর শরবত পান করা। ৩. ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। ৪. বেশি অসুস্থ বোধ হলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
সোয়া কোটি টাকায় বিক্রি সিনেমা হল, হবে মাদ্রাসা
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকার ছন্দা সিনেমা হলটি অবশেষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হলটি ভেঙে প্রতিষ্ঠা করা হবে ইদরিসিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা নামে একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ বলে জানিয়েছেন মালিকপক্ষ ও ওই মাদ্রাসার জিম্মাদার মাওলানা মোকাররম হোসেন। সিনেমা হলের জমিটি ক্রয় করার জন্য ২০ লাখ টাকা বায়নাও করা হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, সিনেমা হলের সামনের রাস্তার পাশে ‘ধর্মপ্রাণ মুসল্লিবৃন্দ’ নামে একটি ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ ছন্দা সিনেমা হলটি মাদ্রাসার জন্য বায়না করা হয়েছে। চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বায়না মূল্য ২০ লাখ টাকা। সদকায়ে জারিয়ার এ মহৎ কাজে আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। মাদ্রাসার রশিদ ছাড়া কোনো ধরনের লেনদেন করবেন না।’ ইদরিসিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসার জিম্মাদার মাওলানা মোকাররম হোসেন বলেন, জমি বাবদ বায়না করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য বিত্তবানসহ সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্যও চাওয়া হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত জমির নির্ধারিত মূল্যের বাকি টাকা পরিশোধ করে মাদ্রাসা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হবে। দলিল করাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হবে। নরসিংদীর প্রবীণ চলচ্চিত্র প্রযোজক শামসুর রহমান পিন্টু বলেন, দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শিল্প ক্রান্তিকাল পার করছে। ক্রমে নিভে যাচ্ছে দেশের হলগুলোর রুপালি পর্দার আলো। নরসিংদীতে গত দুই দশকে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫টির বেশি প্রেক্ষাগৃহ। সর্বশেষ হাসনাবাদের ৯০ দশকের ছন্দা সিনেমা হল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ঢিমেতালে নরসিংদীতে টিকে আছে দু-একটি হল। সবার কাছে স্মার্টফোন, ইন্টারনেট থাকায় এখন সিনেমা, নাটকসহ চিত্তবিনোদন মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই এখন মানুষ আর সিনেমা হলে যেতে চাই না। মানুষ এখন মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সিনেমা ও নাটক দেখছে। সিনেমা হলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমন খান জানান, বর্তমানে সিনেমা ব্যবসা মন্দা হওয়ায় তাদের অবস্থা শোচনীয়। মালিকপক্ষ ঠিকমতো বেতন দিতে পারে না। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই অন্য পেশা বেছে নিচ্ছে। ছন্দা সিনেমা হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রুবেল আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন লোকসান গুনে হলটি চলছিল। মাস শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, জেনারেটরসহ নানা মেইনটেন্যান্স খরচ রয়েছে। লোকসানি এই প্রতিষ্ঠান আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েক বছর আগেও সপ্তাহে দু-একটি সিনেমা রিলিজ হতো, এখন মাসেও একটি হয় না। নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে তা দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই ইন্টারনেটে বা অন্যান্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাই হলে তেমন কেউ সিনেমা দেখতে আসে না। নিরুপায় হয়ে এ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হচ্ছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল
ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের দেশব্যাপী চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’-এ ফ্রিজ কিনে এবার মিলিয়নিয়ার হয়েছেন রাজশাহীর মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলাম। পেলেন নগদ ১০ লাখ টাকা। এই নিয়ে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৩ জন গ্রাহক। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আমিনুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ তানোর থানা রোডে ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘মেসার্স তছলিমা ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩২ হাজার ৫৯০ টাকা দিয়ে ১৬৩ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। ম্যাসেজে দেখেন- ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজশাহীর তানোর উপজেলার থানার মোড় এলাকায় তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিলিয়নিয়ার আমিনুল ইসলামের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর। মাদ্রাসা শিক্ষক আমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার খাগড়ায়। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, বাবা মা ও ভাইসহ পাঁচজন সদস্য। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে গণিতে স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে শহরের আম চত্বর এলাকার আল মারকাযুল ইসলামি আসসালাফি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলাম বলেন, এখন প্রায় সবার ঘরেই ওয়ালটন ফ্রিজ ব্যবহার হচ্ছে। শুনেছি ওয়ালটন ফ্রিজের মান অনেক ভালো। দামও হাতের নাগালে। তাই আমার বাসার জন্যও ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাব তা কল্পনাও করিনি। ওয়ালটনের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। ওয়ালটন থেকে প্রাপ্ত টাকায় অসুস্থ বাবা-মায়ের চিকিৎসা করাব এবং অবশিষ্ট টাকা আমার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখব। তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন যে কখনো ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে না তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে তার প্রমাণ আমি নিজেই। তাই সবাইকে ওয়ালটনের পণ্য কেনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ওয়ালটন এখন দেশের স্বনামধন্য ও শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড। সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে সাশ্রয়ী দামে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। ওয়ালটন দেশের জন্য যা করার করছে; এখন আমাদের কাজ হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য কিনে প্রতিষ্ঠানটিকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়া। ওয়ালটনের পণ্য কেনার পর আমাদের দেশের টাকা দেশেই থাকবে। চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন সব সময় ভালোর সঙ্গে থাকে। ওয়ালটন চায়, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। ঈদের আনন্দটাকে আরও বাড়িয়ে দিতে ওয়ালটনের এই মিলিয়নিয়ার অফার চলছে। বাংলাদেশে ওয়ালটনের জন্ম না হলে, সবাইকে বহু দাম দিয়ে ফ্রিজসহ সব প্রোডাক্ট কিনতে হতো। তাই আপনারা সবাই দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটনের পণ্য কিনুন। ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম বলেন, পণ্য কেনার জন্য ওয়ালটন যে ১০ লাখ টাকা দিচ্ছে এবং ক্রেতাকে দেওয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে তার প্রমাণ আজকের এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মিজানুর রহমান, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আসাদ্জ্জুামান এবং ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘তছলিাম ইলেকট্রনিক্স’-এর স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪
মাদ্রাসা বন্ধের রায় স্থগিত করলেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভারতের উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে এই প্রদেশের ১৭ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। এ ছাড়া প্রদেশের ১৬ হাজার মাদ্রাসা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। খবর এনডিটিভির। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এই রায় দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেওয়া রায় প্রাথমিকভাবে সঠিক নয়। উত্তরপ্রদেশ ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং মাদ্রাসা বোর্ডকে এই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলো ২০০৪ সালের মাদ্রাসা শিক্ষা অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে গত মাসে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করছে এই কথা বলে এই আইনটিকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্থানান্তরিত করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে শুক্রবার হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, মাদ্রাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রক। বোর্ডের প্রতিষ্ঠা ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে প্রভাবিত করে না। রায়ে চন্দ্রচূড় বলেছেন, হাইকোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আমরা মনে করি যে শিক্ষার্থীদের স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশনা ঠিক নয়। তিনি বলেন, পিআইএল-এর উদ্দেশ্য যদি হয় গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভাষার মতো মূল বিষয়ে মাদ্রাসাগুলো ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা দেবে, তাহলে এর সমাধান মাদ্রাসা আইন, ২০০৪-এর বিধান বাতিল করে হবে না। এই মামলায় উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসার পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার অর্থ ধর্মীয় নির্দেশনা নয়। হাইকোর্টের রায়ে ১০ হাজার মাদ্রাসা-শিক্ষক ও ১৭ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যদিও রাজ্য সরকার বলেছে তারা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার গুণগত মান নেই, এটি সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয়, এমন বলা ভুল হবে। মাদ্রাসার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ বৈষম্যমূলক হবে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে ‘অরুণা রায় বনাম ভারত’ মামলায় রায়ে এমনটাই বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪
মাদ্রাসা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান শাহ আলমগীর
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব হাছিনা আক্তারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ জানা গেছে। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২০-এর ধারা ১৩(২) অনুযায়ী মুহাম্মদ শাহ আলমগীর (১২৪০), মাদ্রাসা পরিদর্শক, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে অবসরে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. সিদ্দিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X