বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে সুখবর দিল মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করল মালয়েশিয়া সরকার। এখন থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে এজেন্সি ছাড়াই আবেদন করা যাবে। ফলে কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ আরও কমবে।  শুক্রবার (৮ মার্চ) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। খবর মালাই মেইলের। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের সক্রিয় আইডি ও ব্যবহারকারীর ম্যানুয়াল প্রদান করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এখন থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগের মাইভিসা পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ই-ভিসার আবেদন করতে পারবে কর্মীরা।  তিনি বলেন, যেসব কর্মীকে ভিসা অনুমোদন হয়েছে তাদের মালয়েশিয়ায় আনতে নিয়োগকর্তাদের চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গত ফেব্রুয়ারিতে বিদেশিকর্মী নিয়োগে এজেন্টের হস্তক্ষেপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নেপালের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আসতে মাত্র ৩ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত খরচ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের বেলায় তা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রিঙ্গিত লাগে। যা ‘আধুনিক দাসত্বের’ সমতুল্য। এদিকে, ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচি অনথিভুক্ত ও তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অভিবাসন বিভাগে রিপোর্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল ৭ মার্চ পর্যন্ত অভিবাসী প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় ৫ হাজারের বেশি আবেদন করা হয়েছে এবং প্রায় ২ হাজার শ্রমিক নিজ দেশে ফেরে গেছেন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

ইসরায়েলি জাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালয়েশিয়া
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দেশের সব বন্দরে ইসরায়েলের শিপিং প্রতিষ্ঠান জিআইএমের জাহাজের নোঙরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মালয়েশিয়া। একই সঙ্গে ইসরায়েলের পতাকাবাহী অন্য যে কোনো জাহাজকেও মালয়েশিয়ার বন্দরে নোঙর করতে দেওয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে। খবর আলজাজিরার। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, মৌলিক মানবিক নীতি উপেক্ষা এবং আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত গণহত্যা ও নৃশংসতার জবাবে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অন্যতম সোচ্চার সমর্থক মালয়েশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও হামাসের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন আনোয়ার ইব্রাহিম। আনোয়ার বলেন, ২০০২ সাল থেকে জিআইএমের জাহাজ দেশের বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ফলে মালয়েশিয়ার বাণিজ্য কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না। জিআইএম ইন্টিগ্রেটেড শিপিং সার্ভিসেস লিমিটেড জিআইএম নামেই বেশি পরিচিত। এটি ইসরায়েলের একটি সরকারি শিপিং প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিপিং প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ২০টি বড় কার্গো জাহাজ প্রতিষ্ঠানের একটি। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরারেয়েলি হামলায় আরও ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক শ মানুষ। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ হাজার ৬৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫২ হাজার মানুষ। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছে কয়েক হাজার।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমাদের চাপে মাথা নত করবে না মালয়েশিয়া
ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানাতে মালয়েশিয়াকে চাপ দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে তাদের সেই চাপের মুখে মাথা নত না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। সোমবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার মালয়েশিয়ার সংসদে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, বিভিন্ন বৈঠকে হামাসের প্রতি নিন্দা জানাতে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলো মালয়েশিয়াকে বারবার চাপ দিচ্ছে। তবে আমি বলেছি যে নীতিগতভাবে হামাসের সঙ্গে আগে থেকেই আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আর তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা তাদের এমন মনোভাবের সঙ্গে একমত নই। কারণ হামাস গাজায় অবাধ নির্বাচনে বিজয়ী। গাজাবাসী তাদের নির্বাচিত করেছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া দীর্ঘকাল ধরেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে বেশ সোচ্চার। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে তারা দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে দেশটির কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। অতীতে বিভিন্ন সময়ে হামাসের শীর্ষ নেতারা প্রায়ই মালয়েশিয়া সফর করে দেশটির প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক হামাসের আমন্ত্রণে ইসরায়েলি অবরোধ সত্ত্বেও গাজা সফর করেছিলেন।
১৬ অক্টোবর, ২০২৩

মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সাগরে নৌকাডুবি, ২৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সাগরে নৌকা ডুবে অন্তত ২৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনো ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি। জীবিত কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, তারা সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের নৌকায় ৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। একপর্যায়ে রাখাইনের রাজধানী সিত্তওয়ের কাছে একটি বড় ঢেউয়ের আঘাতের তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন নারী এবং ১০ জন পুরুষ রয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা মুসলিম। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গণহত্যা অভিযান থেকে বাঁচতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যারা এখনো মিয়ানমারে রয়ে গেছে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। তাদের অনেকে উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমান। ছোট মাছ ধরার নৌকায় গাদাগাদি করে আন্দামান সাগর দিয়ে এই দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা সবসময়ই বিপজ্জনক, বিশেষ করে ভরা বর্ষার মৌসুমে। অধিকাংশ রোহিঙ্গাই অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য জনপ্রতি তাদের খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলারের মতো। বাড়ি, জমির মতোর মূল্যবান সম্পদ বিক্রি করে দিয়ে তারা এ অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন।
১১ আগস্ট, ২০২৩
X