পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে ডোবার পানিতে ডুবে মো. রাব্বি (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের হাজরা নাটোর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বি একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। রাব্বির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ের পাশে ডোবার পানিতে গোসল করতে যায়। সেখানে পানিতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেনি রাব্বি। ঘটনাটি জানতে পেরে তার বাবা-মা ডোবা থেকে তাকে তুলে নিয়ে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী জানায়, রাব্বি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে বারবার ওই ডোবার পানিতে গিয়ে গোসল করতো। সবার অগোচরে গোসল করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে

বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া চাকশাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে বিজয় (১২) ও সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর এলাকার কবির মিয়া (২৭)। বিজয় ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।  স্থানীয়রা জানান, জমির ধান কাটার জন্য পাঁচদোনা মোড় থেকে দুজন শ্রমিক নিয়ে আসি এবং তারা দুপুর পর্যন্ত ধান কাটে। খাবার খেয়ে দুপুরের পর জমিতে গিয়ে আবার কাজ শুরু করলে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে কবির মিয়া নামে এক কৃষি শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও একজন। এ সময় পাশে ফুটবল খেলারত বিজয় ও সৌরভও আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিজয়কে মৃত ঘোষণা করেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুল কবীর বাশার জানান, বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মাঠে ধান কেটে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মো. মুজিবার চৌধুরী (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল ৫টার সময় উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের উলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত জলিল চৌধুরীর ছেলে। লক্ষীপাশা ইউপি সদস্য ওহিদ শেখ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আকাশ মেঘলা দেখে বাড়ির পাশে পশ্চিম ডাঙ্গা বিলে কাটা ধান গোছাতে যান কৃষক মুজিবার চৌধুরী। মাঠের কাটা ধান গুছিয়ে রেখে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত মাঠ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজন ও নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে কমল বারোয়ার (২৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কৃষক নাচোল এলাকার মোহাম্মদপুর জাল মাছ কুড়িগ্রামের বত্রিশ বারোয়ারের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে নাচোল থানার ওসি মো তারেকুর রহমান সরকার জানান, বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে কৃষক কমল বারোয়ার নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে

কারাগারে হাজতির মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে মহিউদ্দিন (৪২) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মহিউদ্দিন জেলার কসবা উপজেলার কুটি এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, গত একমাস আগে একটি মাদক মামলায় মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারাগারের চিকিৎসক তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  তিনি আরও জানান, তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে

বজ্রপাতে দেশে ৩৮ দিনে ৭৪ জনের মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম (এসএসটিএফ) জানিয়েছে, গত ৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৩৫ জন কৃষকসহ অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বজ্রপাতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে নারী ১১ জন এবং পুরুষ ২০ জন। চলতি মাসের ১ থেকে ৮ মে পর্যন্ত বজ্রপাতে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন নারী এবং ৩৪ জন পুরুষ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রকাশিত এসএসটিএফের গবেষণা সেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে একদিনে বজ্রপাতে ১১ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। বজ্রপাতের ক্ষেত্রে কৃষকরা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারেন- সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে। সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, ঢাকার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিদর্শন করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ সময় ৫০০ জন করে কৃষক নিয়ে দল তৈরি করে বজ্রপাত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এসএসটিএফের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বজ্রপাতের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। এ ছাড়াও মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাস বজ্রপাত সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সংগঠনটি কিছু পরামর্শও দিয়েছে কৃষকদের জন্য। সেগুলো হলো- • মাঠে কাজ করার সময় আকাশে কালো মেঘ দেখে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়া। • বৃষ্টির সময় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকা। • খোলা আকাশের নিচে কাজ করার সময় জুতা পরতে হবে। • বজ্রপাতের সময় মাঠে কাজ করার সময় শুয়ে পড়ুন। ফোরামের সভাপতি ড. কবিরুল বাশার জানান, বজ্রপাত বাড়ার পেছনে দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গাছ কাটা, বিশেষ করে মাঠের উঁচু গাছ কাটা। তিনি বলেন, গাছপালা না থাকলে খোলা স্থানে বা মাঠে মানুষের ওপর আঘাত হানে বজ্রপাত। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন ঝড়ের সময় গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়াই ভালো। কিন্তু এটা ঠিক না। ঘরবাড়ি বা স্থাপনায় আশ্রয় নিতে হবে মানুষকে। সরকারকে হাওর অঞ্চলে এবং উন্মুক্ত এলাকায় বজ্রনিরোধ যন্ত্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে

সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের পল্লীতে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ওই কিশোরের নাম শিমুল হোসেন (১৪)। সে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ইছার আলী ছেলে। নিহতের মা শিরিনা পারভীন জানান, শিমুল বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরতে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে সে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যায়। এদিকে, বৃষ্টি থেমে গেলেও ছেলে বাড়িতে না আসায় তার মা শিরিনা পারভীন খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন তার ছেলে নদীর পাড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং পল্লী চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানকে (মনু) খবর দেন। পল্লী চিকিৎসক তাদের বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কালিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি হাসপাতাল থেকে তথ্য পেয়েছি। থানা পুলিশ সেখানে গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তারা মারা যান। এর আগে উপজেলার আড়িয়াবাজার এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তারা দুজন ঘরে শুয়ে ছটফট করছিলেন। নিহত দুজন হলেন নন্দীগ্রাম উপজেলার নিমগ্রামের হেফজুল (৪০) ও তার স্ত্রী আফরোজা। তারা আড়িয়াবাজার এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। হেফজুল এই এলাকায় ভাড়া থেকে বগুড়া শহরের আশপাশে গাছ কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। বাড়িওয়ালা শফিকুল ইসলাম বলেন, হেফজুল তার স্ত্রীকে নিয়ে দুবছর আগে তার বাড়ি ভাড়া নেন। তারা স্বামী-স্ত্রী সবসময় মিলেমিশে থাকতেন। হেফজুলের স্ত্রী আফরোজার বাবার বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলাতে। সকালে হেফজুল তার ভায়রার সঙ্গে গাছ কাটা নিয়ে ফোনে কথা বলেছে। স্বামী-স্ত্রী বাজার করেও নিয়ে এসেছে। বাড়িওয়ালা বলেন, আমার অন্য ভাড়াটিয়াদের কাছে শুনে ওদের ঘরে গিয়ে দেখি দুজনেই ছটফট করছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা মারা যায়। এখন এর মধ্যে তাদের মধ্যে কী হয়েছে তা জানি না। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, সকালে নিহত হেফজুল বাজার করে নিয়ে বাসায় এসে দেখেন তার স্ত্রী অসুস্থ। এরপরই তিনি আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। এ সময় তার স্ত্রীর হাত ও পায়ের তালুতে মেসেজ করার সময় তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন এলে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়া পুলিশ স্থানীয়ভাবে বিস্তারিত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে।
৮ ঘণ্টা আগে

ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যু বেড়ে ১০০
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বুধবার (৮ মে) পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে মৃত্যু ১০০ ছুঁয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ডজেনখানেক। তাদের অনেকেই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যের ৪০০টি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্তবর্তী রাজ্যটিতে গত সোমবার থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে শহরের রাস্তাঘাট। পানির নিচে নিচু এলাকার বাড়িঘর। সেতু, নদী, খাল একাকার। কিছু এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটে। এখনো অনেক অঞ্চলে ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া গুয়াইবা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে বইছে। এতে তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই এর আশপাশের এলাকা থেকে নতুন করে লোকজনকে সরানো হচ্ছে। ব্রাজিলের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় ন্যাশনাল সেন্টার বলেছে, রাজ্যের দক্ষিণ অংশ আরও ভয়াবহ বন্যার উচ্চঝুঁকির মধ্যে ছিল। কিন্তু ভারি বৃষ্টি কমায় তা থেকে নিস্তার পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুতের মতো পরিষেবাগুলো। এ ছাড়া পথঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধারকাজ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা দফায় দফায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়ে তার মন্ত্রিসভা পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি। এর আগে এক বক্তব্যে তিনি দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতির ওপর জোর দেন। আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা অনুমান করে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্যাকবলিত অঞ্চলে সর্বাত্মক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
১৪ ঘণ্টা আগে

ডেঙ্গুতে মৃত্যু একজনের ভর্তি ২২
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ ডেঙ্গু রোগী। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গতকালের আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন, ঢাকা উত্তর সিটিতে দুজন, দক্ষিণ সিটিতে তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন এবং রাজশাহী বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন। গতকাল সারা দেশে মোট ১৯ রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ২ হাজার ২০৫ জন ছাড়পত্র পেলেন।
২০ ঘণ্টা আগে

বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল যুবকের
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নির্মাণাধীন ঘরে বিদ্যুৎস্পর্শে মো. রেজাউল ইসলাম তপু (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তপু চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাধীন লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামে মসজিদপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সোবহানের ছোট ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম আল-নূর হাসাপাতালে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার (৮ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের চাচাতো ভাই সাংবাদিক আব্দুর রব লাভলু। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টায় নির্মাণাধীন ঘরের কাঁচা দেয়ালে মোটরপাইপ দিয়ে পানি দিচ্ছিলেন তপু। এ সময় পানি ছিটকে ঘরের বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড ভিজে যায় ও ঘরের মেঝেতে পানি জমে থাকে। পরে পানি দেওয়া শেষ হলে তপু ওই ঘরের একটি কক্ষের জ্বলন্ত বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করতে সুইচবোর্ডে হাত দেওয়ায় বিদ্যুৎস্পর্শ হন। ঘরের মেঝেতে পানি জমে থাকায় বৈদ্যুতিক শর্টের ফলে তিনি দীর্ঘক্ষণ সুইচবোর্ডের সঙ্গে আটকে থাকেন। আরও জানা যায়, পরে ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ করে ওই ঘরে কর্মরত রাজমিস্ত্রিরাসহ পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা ১১টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের জানাজা বুধবার বাদ আসর চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাধীন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
০৮ মে, ২০২৪
X